Logo
শিরোনাম

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলেই সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয়টিতে ঘুরে দাঁড়ায় টিম টাইগ্রেস। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় মেয়েদের কাছে ৮ উইকেটে হারের ফলে সিরিজের সাথে সরাসরি বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগও হারাল বাংলাদেশ। অবশ্য সুযোগ একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ৬ দলের সঙ্গে একটি বাছাইপর্ব খেলে উৎরে যেতে পারলে ২০২৫ সালের বিশ্বমঞ্চের টিকিট পাবেন জ্যোতিরা।

সেন্ট কিটসে শুক্রবার রাতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৯ রান। এক পর্যায়ে স্কোর হয় ৩ উইকেটে ৯৪। সেখান থেকে হঠাৎ ধসে ৪৩.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে কেবল ১১৮ রানের সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের মেয়েরা। জবাবে ২৭.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিক দল।

টপঅর্ডার ব্যাটাররা কাজটা কিছুটা করে দিয়েছিলেন। শুরুতে উইকেট হারানোর পরও ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তারের জুটিতে ধীরে অর্ধশতরানের জুটি আসে। দুজনই থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন, ফারজানা করেছেন ২২, শারমিন বিদায় নেন ৩৭ রানে।

তাদের বিদায়ের পর থেকে শেষপর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইনিংসটা খেলেছেন সোবহানা মোস্তারি। কিন্তু উইকেটের অন্যপাশে ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। এরমধ্যেই ৬২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১১৮ রানে থামে বাংলাদেশ।

জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। উদ্বোধনী জুটি তাদের এনে দেয় ৪৫ রান। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ফিরে গেলেও ১১৯ রান তাড়া করতে স্বাগতিকদের বেগ পেতে হয়নি। কিয়ানা জোসেফ করেন ৩৯, সঙ্গে ডিয়ান্দ্রা ডটিনের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস উইন্ডিজের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে দেয়।

মেয়েদের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশকে হারানোয় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে অষ্টমস্থানে। তাদেরও সরাসরি খেলা হচ্ছে না বিশ্বকাপে। অন্যদিকে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাছাই পর্ব খেলবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে দুটি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট।


আরও খবর



চাল সংগ্রহে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেবে অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহের ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর। এ জন্য ব্যর্থ কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে। এর বাইরেও চাল সরবরাহে ব্যর্থ মিলারদের বিরুদ্ধে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে সাড়ে পাঁচ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে তিন লাখ ৮৭ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ৭১ হাজার ৯৬৫ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি), কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারের মজুতের বড় একটি অংশ আসে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান ও চাল কেনার মাধ্যমে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সেদ্ধ চাল কেনা শুরু হয়েছে, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।

প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা ও ধান ৩৩ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এছাড়া ৪৬ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে আতপ চাল।

তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তা কিনতে পারছে না।

চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে চুক্তি না করা এবং চুক্তি করে চাল সরবরাহ না করা মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তাদের কাছে এর আগেও চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় জামায়াতের সমাবেশ হাজারো মানুষের ঢল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলাম এর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নওগাঁ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ স্থলে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াই টায় নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সমাবেশ কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির নওগাঁ -৪ (মান্দা) আসনের  জামায়াত মনোনীত  এমপি পদপ্রার্থী খ.ম আব্দুর রাকিব এর সভাপতিত্বে শুরু হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও নওগাঁ -২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের  জামায়াত মনোনীত এমপি পদ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, নওগাঁ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী, নওগাঁ -৫ (নওগাঁ সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদ প্রার্থী  এবং সাবেক নওগাঁ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আ স ম সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ও সাবেক শিবিরের জেলা সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, মারুফ আহমেদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও নওগাঁ -১ (পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর) আসনের  জামায়াত মনোনীত  এমপি পদ প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুল আলম, নওগাঁ জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য, নওগাঁ -৬ (রানীনগর- আত্রাই) আসনের  জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী, আত্রাই উপজেলা জামায়াতের আমির ও পাচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ খবিরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রাকিব প্রমূখ।

সমাবেশ শুরুর পূর্ব থেকে শুরু হওয়ার সাথে সাথেই জেলার সকল উপজেলা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, ইউনিট হতে ব্যানার ফেস্টন নিয়ে নওগাঁ নওযোয়ান মাঠে এসে সামবেশে মিলিত হয় জামায়াতের হাজারো নেতা কর্মীরারা। জামায়াত নেতা এটি আজহারের নিঃশ্বর্ত মুক্তির দাবীতে ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে নওগাঁ জেলা শহরের রাস্তাঘাট প্রকম্পিত করে তারা শ্লোগান দিতে থাকেন।

নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে মুক্তির মোড়ে এসে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির নওগাঁ -৪ (মান্দা) আসনের  জামায়াত মনোনীত  এমপি পদপ্রার্থী খ.ম আব্দুর রাকিব এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। 


আরও খবর



ভোট সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ভোট সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ইইউর কমিশনার হাজদা লাহবিব বলেন, ইইউ এ বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের সহায়তায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, এ অনুদান গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হলেও ক্যাম্পের মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি ঠেকানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়, কারণ তহবিলের ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এটি বহু বছর ধরে চলমান, কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। এর কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ নেই।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনার বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য আনন্দের। জাতিসংঘের মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’

ইইউ কমিশনার বলেন, ‘এ সংকটের একমাত্র সমাধান হলো শান্তি। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানোও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এক ঘণ্টার এ বৈঠকে তারা জলবিদ্যুৎ আমদানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইইউ’র সমর্থন চান, কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে উত্তরণের পথ সুগম করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।

‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলি, আর এটি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নেপাল ও ভুটান— উভয় দেশই আমাদের কাছে জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী-যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইইউ কমিশনার দুর্যোগ প্রস্তুতি, ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ‘সেরা অভিজ্ঞতা’ এবং প্রস্তুতি কৌশল বিনিময়ের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।

দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি অসাধারণ সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হলো— আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইইউর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সময় প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, পরিবর্তন আনতে গেলে সবসময় প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এখনও অনেক কিছু করার বাকি। আমরা আপনাদের পাশে আছি।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




এনসিপি’র ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে। দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা এক পত্রে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়ে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকরা মুক্ত হয়েছে। তবে শহীদ মিনারে ঘোষিত অভ্যুত্থানের এক দফা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। একটি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে এই জনপদের মানুষ ইতিহাসের নানান সময়ে নিজেদের হাজির করেছে। প্রায় ২০০ বছরের উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা ১৯৪৭ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করি। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র এই জনপদের মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষকে ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে এই জনপদের মানুষ ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে প্রণীত মুজিববাদী সংবিধানের মধ্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিয়েছে। যার ফলে এ দেশের নাগরিকরা ইতিহাসের বিভিন্ন পরিক্রমায় বাকশাল, স্বৈরতন্ত্র এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো থেকে ফ্যাসিবাদের সকল উপাদান ও কাঠামোকে বিলোপ করতে এবং এই জনপদের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপদানে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আমরা, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা, ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করেছি।

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম বীর যোদ্ধা শহীদ ইসমাঈলের বোন মিম আক্তার জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। উক্ত আহ্বায়ক কমিটি (আংশিক) আগামী এক বছরের মধ্যে এই রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার প্রণয়ন, কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক বিস্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

কমিটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সারোয়ার তুষার, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনূভা জাবীন, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, ড. আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন, এহতেশাম হক ও হাসান আলী।

সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, মো. রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশিদ), মো. মাহিন সরকার, মো. নিজাম উদ্দিন, আকরাম হুসেইন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত (দপ্তর), আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, ফরিদুল হক, মো: ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মো. মঈনুল ইসলাম (তুহিন), মুশফিক উস সালেহীন, ডা. জাহেদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর, মোশফিকুর রহমান জোহান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আফসানা ছপা, আহনাফ সাইদ খান, আবু সাঈদ মোহাম্মদ সুজা উদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, গাজী সালাউদ্দীন তানভীর, তামিম আহমেদ, তাহসীন রিয়াজ ও প্রীতম দাশ।

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক- সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাছের খান, সাকিব মাহদী, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ, আসাদুল্লাহ আল গালিব, হানিফ খান সজীব, আবু সাঈদ লিয়ন। সংগঠক: রাসেল আহমেদ, ইমরান ইমন, ফরহাদ সোহেল, রফিকুল ইসলাম আইনী, মোস্তাক আহমেদ শিশির, আজাদ খান ভাসানী, প্রীতম সোহাগ, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, এম এম শোয়াইব, নাহিদ উদ্দিন তারেক, আব্দুল্লাহ আল মনসুর, মিয়াজ মেহরাব তালুকদার, অ্যাডভোকেট শিরীন আক্তার শেলী, আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ আল মুহিম, নাজমুল হাসান সোহাগ, খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল।

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক- মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোল্যা রহমাতুল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মেজবাহ কামাল মুন্না, জোবাইরুল হাসান আরিফ ও ইমন সৈয়দ। সংগঠক: আকরাম হোসাইন রাজ, হামযা ইবনে মাহবুব, ওয়াহিদুজ্জামান আসাদ বিন রনি, মোহাম্মাদ রাকিব, আরমান হোসাইন, মো. রাসেল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা, শওকত আলী, ডা. আশরাফুল ইসলাম সুমন, মুনতাসির মাহমুদ, ডা. মিনহাজুল আবেদীন, সাকিব শাহরিয়ার, আজিজুর রহমান রিজভী, আব্দুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, নয়ন আহমেদ, কাউছার হাবিব, আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, আরিফুল ইসলাম, নফিউল ইসলাম, মো. রাকিব হোসেন।

মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। যুগ্ম সমন্বয়ক: অ্যাডভোকেট মোঃ তারিকুল ইসলাম (যুব), ডা. মো: আব্দুল আহাদ (চিকিৎসা), মাজহারুল ইসলাম ফকির (শ্রমিক), দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের, কৃষিবিদ গোলাম মোর্তজা সেলিম, মেহেরাব সিফাত, অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, শেখ মোহাম্মদ শাহ মঈনুদ্দিন, খান মুহাম্মদ মুরসালীন, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, নাভিদ নওরোজ শাহ, তুহিন মাহমুদ, মো. আরিফুর রহমান (তুহিন), সাগর বড়ুয়া, রাফিদ এম ভূঁইয়া, মাহবুব আলম।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন:

সানজিদা খান দীপ্তি (শহীদ আনাসের মা), খোকন চন্দ্র বর্মন (আহত), মো. ফাহিম রহমান খান পাঠান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (সন্দ্বীপ), ঋআজ মোরশেদ, ইমরান নাঈম, মশিউর আমিন শুভ, আল আমিন শুভ, প্লাবন তারিক, ওমর ফারুক, আসাদুল ইসলাম মুকুল, ফিহাদুর রহমান দিবস, মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক, মো. আব্দুল মুনঈম, রকিব মাসুদ ইনজামুল হক রামিম, সৈয়দা নীলিমা দোলা, এস আই শাহীন, আসাদুজ্জামান হৃদয়, তানহা শান্তা, ডা. মশিউর রহমান, ইমরান শাহরিয়ার, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয়, আজাদ আহমেদ পাটওয়ারী, জাহিদুল ইসলাম সৈকত, আরজু নায়েম, ডা. মনিরুজ্জামান, তাওহিদ তানজিম, মোহাম্মদ উসামা, মাহবুব-ই-খোদা, তারিক আদনান মুন, নাহিদা বুশরা, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, মারজুক আহমেদ, নীলা আফরোজ, নূরতাজ আরা ঐশী, সাইয়েদ জামিল, শেখ খায়রুল কবির আহমেদ, রফিকুল ইসলাম কনক, মীর হাবীব আল মানজুর, মো. ইমরান হোসেন।

আরও রয়েছেন- মো. আরিফুল দাড়িয়া, মো. ইনজামুল হক, আবু সাঈদ মুসা, ডা. আতাউর রহমান রাজিব, সালমান জাভেদ, ইমামুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম, ডা. সাবরিনা মনসুর, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ছেফায়েত উল্লাহ, আহমেদুর রহমান তনু, দিদার শাহ, রাদিথ বিন জামান, ফারিবা হায়দার, সাইফুল ইসলাম, ইয়াহিয়া জিসান, সোহেল রানা, রিদওয়ান হাসান, হাসিব আর রহমান, ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, জাওয়াদুল করিম, আল আমিন টুটুল, ইসমাইল হোসেন সিরাজি, ইফতেখারুল ইসলাম, হাফসা জাহান, জায়েদ বিন নাসের, মামুন তুষার, ওমর ফারুক, সালাহউদ্দিন জামিল সৌরভ, মো. হিফজুর রহমান বকুল, আসিফ মোস্তফা জামাল, জোবায়ের আলম, মেজর (অব.) মো. সালাউদ্দিন ও খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল।


আরও খবর



খনিজসম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি জেলেনস্কি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের দেশটিতে বিরল খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ডেভলপমেন্টের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে।

ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুনেছি তিনি (জেলেনস্কি) শুক্রবার আসছেন। তিনি যদি চান তাহলে আমার সঙ্গে এটা ঠিক আছে। তিনি আমার সঙ্গে এটিতে সই করতে চান। এটি একটি বড় চুক্তি হতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেছেন, চুক্তিটি এক ট্রিলিয়ন ডলারের হতে পারে। যা মার্কিন করদাতাদের অর্থ ফেরত পেতে নিশ্চয়তা দেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এমন এক যুদ্ধে লড়াই করার জন্য শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছি যা কখনও হওয়া উচিত ছিল না।

এই চুক্তির বিনিময়ে কিয়েভ কী পাবে জানতে চাইলে ট্রাম্প ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যের কথা উল্লেখ করেন, যা তিনি দাবি করেছেন যে, এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন কংগ্রেস ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইউক্রেনের জন্য ১৭৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।

অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ সম্পদের প্রবেশাধিকার দিতে প্রস্তুত, যার মধ্যে রাশিয়া-অধিকৃত ইউক্রেনের খনিজও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। সোমবার রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পে সম্পদ বিনিয়োগে আগ্রহী, বিশেষ করে রাশিয়ার ‘নতুন অঞ্চলগুলোতে’ খনিজ আহরণের বিষয়ে।


আরও খবর