শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের প্যারিনগর গ্রামের সমীর দাসকে
"ফ্লোটিং হাউস"-"ভাসমান ঘর"প্রদান করা হয়েছে।
১লা আগষ্ট সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে "ফ্লোটিং হাউস"-"ভাসমান ঘর"প্রদান করা হয়।সমীর দাসকে ২ টি শোবার ঘর ও ১টি রান্নাঘর বিশিষ্ট ঘরটি হস্তান্তর করা হয়।এ ঘর নির্মাণে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।বৈশিষ্ট বন্যায় পানি বৃদ্ধি হলে ঘরটির প্লাটফর্মও সমানুপাতিকভাবে উঁচুতে উঠবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুহেল আহমদ, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসমা বিনতে রফিক প্রমূখ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,
সাম্প্রতিক বন্যায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর, দক্ষিণ বাদাঘাট ও পলাশ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের শতভাগ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। সরকারিভাবে ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৭১৭ টি পরিবারকে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন এবং বেসরকারি উদ্যোগে ৭৩ টি পরিবারকে ঢেউটিন প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন,বিগত ০৪ জুলাই বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তালুত স্যার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার্থে ভাসমান ঘরের প্রয়োজনীয়তা ও আইডিয়া দিলে বেসরকারিভাবে কিছু ফান্ড কালেকশন করতঃ প্যারিনগরে অবস্থিত পূর্নাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত সমীর দাসের ঘর পরিদর্শন করি এবং ভাসমান ঘর স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করি। পরবর্তীতে হাওর বিলাসের সামনে স্থাপিত ভাসমান হাওর ভিউ ক্যাফের আদলে প্লাটফর্ম তৈরি করে স্থানীয় মিস্ত্রি নজরুল ও আমার সহকর্মীদের সহযোগিতায় মাত্র ১৪ দিনে ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরে যাদের ঘর অবস্থিত এবং যারা অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক নয় তাদের জন্য এরকম ঘর স্থাপন অনুকরণীয় হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিশিং উপযোগী স্থানে এরকম "ফ্লোটিং ভিলেজ" কনসেপ্ট চালু রয়েছে।