Logo
শিরোনাম

বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তির প্রতিবাদে কাউনিয়ার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ভারতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তি ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে রংপুরের কাউনিয়া তে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


ভারতে পুরোহিত রামগীরি মহারাজ ও বিজেপি বিধায়ক নিতেশ রানে কর্তৃক বিশ্ব নবী (সাঃ) এর অবমাননা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বেইলিব্রিজ যুব সমাজ ও সর্বস্তরের মুসলিম জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বেইলিব্রীজ বাজার এলাকার প্রায় প্রত্যেকটা মসজিদ থেকে খন্ড খন্ড আকারে   মিছিল বের করে একত্রিত হন মুসল্লিরা । মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে  রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাশে বেইলিব্রীজ বাস স্ট্যান্ড এসে শেষ হয়। 

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বেইলি ব্রিজ বাজার জামে মসজিদের সভাপতি নুরুল আমিন, পুরাতন জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। বেইলিব্রিজ কেন্দ্রীয়  ঈদগাহ মাঠে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।

 

  বক্তাগণ বলেন, রসুল (সাঃ) সারা বিশ্বের সর্বকালের সেরা মানব।  তাকে মানা অথবা না মানার স্বাধীনতা আছে। তবে অবমাননা করার অধিকার কারো নেই। বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননাকারীর শাস্তি দাবি ও ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আজ  এই বিক্ষোভ মিছিল । আমরা বিশ্ব নেতাদের প্রতি এর সঠিক বিচারের এর কঠিন বিচার ও কটুক্তিকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। 

পারে ভারত ফিলিস্তিন সহ সারা বিশ্বে নির্যাতিত মুসলানদের  শান্তি কামনা দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাজার মসজিদ খতিব মুফতি রবিউল ইসলাম।


আরও খবর



২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি আসছে বাংলাদেশে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকাঃ আগামী ২২ শে নভেম্বর, শুক্রবার হোটেল লেকশোর গ্রান্ড, গুলশান- ২ এ Admission Connect আয়োজন করতে যাচ্ছে Multi Destination Education Expo যেখানে শিক্ষার্থীরা কানাডার University of Windsor, University of Ragina ও Algoma University এবং ইউকে এর University of Assex,Coventry University, Yorkvile University সহ দুই দেশের মোট 20 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি কথা বলে স্কলারশিপ সহ ভর্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

USA, অস্ট্রোলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এ ভর্তিচ্ছুদের জন্যও রয়েছে আলাদা কাউন্সেলিং সেশন। এছাড়া শিক্ষালোন বা টিউশন ফি লোনের জন্য রয়েছে ডেডিকেটেড ডেস্ক।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ বলেন, মেলার দিন যারা USA এবং কানাডার জন্য এপ্লিকেশন প্রসেস শুরু করবেন তাদের জন্য ফাইল ওপেনিং ফি এবং ভিসা পরবর্তী সার্ভিস চার্জে রয়েছে ৫০% ডিসকাউন্ট। এছাড়াও যারা UK, অস্ট্রোলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করবেন তাদের জন্য রয়েছে IELTS registration ফি ক্যাশব্যাক।

তিনি আরো জানান, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য মেলায় রয়েছে ডেডিকেটেড স্টাডি লোন বা টিউশন ফি লোন আবেদনের বিশেষ বুথ। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশে প্রথম স্টাডি লোনের সুযোগ নিয়ে এসেছিল ২০২২ সালে যা এখন আরো বিস্তৃতভাবে হচ্ছে। মেলায় স্টাডি লোনের eligibility এবং process সহ খুটিনাটি সব তথ্য জানতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

তিনি জানান, যাদের IELTS বা অন্য কোন ল্যাংগুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি নেই, তাদের জন্য MOI দিয়ে অনেক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। যারা স্টাডি গ্যাপ নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্যও মেলায় সুখবর রয়েছে বলে তিনি জানান। মেলায় আসা প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আনলিমিটেড স্টাডি গ্যাপ নিয়ে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীরা মেলায় এসে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা গ্রহন করে উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এটি কখনো থেমে থাকে না। শুধুমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে নির্বাচন দেওয়া উচিত। সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয়।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ঢাকা বিভাগের বিএনপির নেতাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রশ্ন তুলে মঈন খান বলেন, সংস্কারের রূপরেখা দুই বছর আগেই ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তারা আগের আন্দোলন সংগ্রামে সময় কোথায় ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কর্তৃত্ব একক কোনো দলের নয় এ বিপ্লবে সবার সমর্থন ছিল।

মঈন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নারী-শিশুসহ আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ১৪ মাসে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দক্ষিণ গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অস্থায়ী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্য উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হামলায় নারী ও শিশুরা ‘পুড়িয়ে মারা’ গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বসতিগুলোতে নজিরবিহীন হামলায় চালিয়ে অন্তত ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৪ হাজার ৫৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




নির্মাণ মৌসুমেও কমছে রড-সিমেন্টের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের শুরুর দিকে অবকাঠামো নির্মাণের প্রধান পণ্য রড-সিমেন্টের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ডলার ব্যাংকে তারল্য সংকটের পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খুলতে অনীহাসহ বিভিন্ন কারণে এলসি মার্জিন সুবিধা কমে যায়। এতে ব্যাহত হয় আমদানি বাণিজ্য। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সরবরাহ উৎপাদন। তবে পর্যাপ্ত আমদানি সত্ত্বেও চাহিদা না থাকায় দাম নিম্নমুখী রয়েছে। চলতি নির্মাণ মৌসুমে সংকট কাটিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরার আশা থাকলেও সরকারি নির্মাণ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় সংকটে পড়েছে ইস্পাত সিমেন্ট খাত।

গত দুই সপ্তাহে দেশের বাজারে রডের দাম টনপ্রতি - হাজার টাকা কমেছে। সর্বশেষ গত দুই দিনে কমেছে প্রায় হাজার টাকা। রডের পাশাপাশি সিমেন্টের দামও বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০-১৫ টাকা কমেছে। চাহিদা না বাড়লে রড-সিমেন্টের দাম আরো কমবে বলে আশঙ্কা করছেন মিল মালিকরা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো খাত সবচেয়ে নাজুক সময় পার করছে। চলমান প্রকল্পের কাজে ধীরগতির পাশাপাশি বিগত ছয় মাসে নতুন কোনো মেগা প্রকল্পের অনুমোদন হয়নি। আগের প্রকল্পগুলোয় বিক্রি করা পণ্যের দামও মেটাতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। আগস্ট-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মিলছে না। আবার সরকারি প্রকল্পের বিল আটকে থাকায় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না অনেকে।

এদিকে গত এক বছর ডলারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে বাড়তি দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অথচ দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদকরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত ইস্পাত শিল্পকে নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া না হলে এর সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মেসার্স ডালিয়া ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. সাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘শীত মৌসুমে মূল্যবৃদ্ধির কথা থাকলেও গত ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের রডের দাম টনপ্রতি - হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার টনপ্রতি দাম কমেছে হাজার টাকা। মিল মালিকরা সরবরাহ বাড়ানোর কারণে মিলগেট থেকে সংগ্রহ মূল্য টনপ্রতি হাজার টাকা কমিয়েছেন।দাম আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী সংগ্রহ মজুদ কমিয়ে দিচ্ছেন। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন তিনি।

জানা গেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে নির্মাণ খাতে ধস নেমেছে। আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম একেবারে স্তিমিত হয়ে গেছে। মিল-কারখানাগুলো কোনো রকমে উৎপাদন চালু রাখলেও নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ভবন নির্মাণে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজেও মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বিগত এক বছর দেশে সরকারি বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন কম থাকায় রড-সিমেন্টের বাজারে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার বেছে বেছে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে।

বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের ইস্পাত খাত সংকটময় সময় পার করছে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্লান্ট স্থাপনে বিশাল বিনিয়োগ করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে কারখানাগুলো। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার চাহিদা না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে না পারলে ইস্পাত খাতের উদ্যোক্তারা বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

সিমেন্ট খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেড ওয়ানভুক্ত কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা সিমেন্টের বস্তাপ্রতি দাম ছিল ৫০০ টাকা। তবে গত কয়েক দিন সিমেন্ট ক্রয়ে ডিলারদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছে উৎপাদকরা। যার কারণে বস্তাপ্রতি দাম ১০-১৫ টাকা কমে লেনদেন করতে পারছেন পাইকারি খুচরা বিক্রেতারা। তবে দেশে উৎপাদিত অন্যান্য কোম্পানির সিমেন্ট ৪৬০-৪৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদা কম থাকায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দাম আরো নিম্নমুখী হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রামভিত্তিক ডায়মন্ড সিমেন্টের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাকিম আলী বলেন, ‘সিমেন্ট খাতের উৎপাদন সরকারি নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দেশের বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, সেগুলো গত আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সিমেন্ট খাতে।বিশ্ববাজার থেকে আমদানি, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা কেটে গেলেও ব্যবহারজনিত চাহিদা বৃদ্ধি না পেলে খাত ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উৎপাদকরা বলছেন, এতদিন ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ব্যাংকে ব্যাংকে ধরনা দিতে হতো। ডলার সংকটে অনেকে বাধ্য হয়ে ছোট আকারের এলসি খুলতেন। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহের কারণে পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। যার কারণে দেশে রড-সিমেন্ট উৎপাদনে কাঁচামালের সংকট নেই। বরং বাড়তি আমদানির কারণে স্ক্র্যাপের বাজারও কমে গেছে। উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও চাহিদা কম থাকায় দামে প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, দেশের ইস্পাত কোম্পানিগুলোর রড উৎপাদনে সক্ষমতা কোটি ২০ লাখ টন। বছরে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টনের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশই ব্যবহার হয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে। বাকি ৪০ শতাংশ বেসরকারি উদ্যোক্তা ব্যক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহার হয়। বর্তমানে চাহিদা কমে ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা কমেছে সরকারি প্রকল্পে। নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে রডের চাহিদা ২০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসায় দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রানী রি-রোলিং স্টিল মিলসের নির্বাহী পরিচালক সুমন চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ইস্পাত পণ্যের প্রধান ক্রেতা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন কার্যত বন্ধ রয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতিও শূন্যের কোঠায়। যার ফলে রডের বাজারে ক্রেতা চাহিদা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। অবকাঠামো নির্মাণ খাতের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরও সংকটময় পরিস্থিতিতে বিল পাচ্ছেন না। ফলে নানামুখী সংকটের কবলে পড়েছে দেশের ইস্পাত সিমেন্ট খাত।

 


আরও খবর



ফুলবাড়িতে পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিকল্প কলা পাতায় লবণ বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী :

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নজরদারি বা তৎপরতা না থাকার কারণে সরকারের এই আইনকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে ক্রেতা এবং ক্রেতারা যত্রতত্র ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার অবাধে করে যাচ্ছে।  


সোমবার ১৮ (নভেম্বর) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারে সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায় ব্যতিক্রম একটি দৃশ্যে।পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশ রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে শমসের আলী নামের এক লবণ ব্যাবসায়ী কলা পাতায় ১ কেজি করে লবণ সুন্দর করে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে বাজারে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।আবার অনেকে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা সহ তার দোকানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও করছেন।


জানাযায়, লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ বছর ধরে তিনি খড়িবাড়ি বাজারে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি করে আসছেন।


এব্যাপারে লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) বলেন, আমি খবর শুনেছি টেলিভিশনে অনেক জনে পেপার পত্রিকায় পরেছেন তাদের মুখে শুনেছি, সরকার পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেই কারণে আমি সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে, পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজ উদ্যোগে ১ কেজি লবণ কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট করে বিক্রি করছি।কলা পাতায় লবণ বিক্রি করার কারণে আপনার বিক্রি কমেছে না কি এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নানা কমেনি বরং আমার এমন উদ্যোগ দেখে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি আরও জানান আসলে পলিথিন খুব ক্ষতিকারক সবাই জেনে ও এখনো ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের লোক যদি একটু তদারকি করতেন তাহলে এর ব্যবহার অনেক টা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।


খড়িবাড়ি বাজারে লবণ ক্রেতা, আনোয়ারা হোসেন, মমিনুল হক, ইলাহী বকস জানান, কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা গুলো এমন ভাবে তৈরি করেছে ব্যাগে রাখলে পরার সম্ভাবনা নাই। একদম পরিবেশ বান্ধব প্যাকেট গুলো,সমসের চাচার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।ব্যবসায়ী জাহেদুল হক জানান,বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব উদাহরণ স্বরূপ কলাপাতার প্যাকেটে লবণ বিক্রি করছেন শমসের চাচা।তার এই অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলা পাতায় লবণ বিক্রি করছেন,এই পদ্ধতি ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। তিনি আরও জানান,কলার পাতা একদম সহজলভ্য এবং পচনশীল যা পরিবেশ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রেজাউল হক মনি জানান,একসময় এই কলা পাতায় মোড়ানো প্যাকেটের মাধ্যমে লবণ সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি বেচা কেনা হতো প্রায় চল্লিশ পয়চল্লিশ বছর আগের কথা হবে।কিন্তূ যুগের পরিবর্তনে এটা আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যায় যুগের পরিবর্তনে আসে পলিথিনের ব্যবহার এটাযে পরিবেশের জন্য কত ক্ষতিকারক তা আমরা কখনো ভেবে দেখিনা।আজ অনেকদিন পর কলা পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট দেখে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।খুব ভালো লাগলো। এটি অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব আমরা এতদিন জেনেশুনে পলিথিন ব্যবহার করে পরিবেশ বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেছি।বর্তমান সরকার যেহেতু পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমারা সবাই সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নিজের পরিবেশ নিজেই রক্ষা করি,পলিথিন ব্যবহার না করি। পরিবেশ রক্ষার্থে আসুন আমরা সবাই পুরোনো দিনে ফিরে যাই, পলিথিনের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কলার পাতা শট্রির পাতা বা পাটজাত পচনশীল পণ্যের ব্যবহারে এগিয়ে আসি।সবাই সুস্থ থাকি।


আরও খবর