Logo
শিরোনাম

বিয়ের তিন মাস না যেতেই স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন,স্বামী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৩৪৩জন দেখেছেন

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নববধূকে জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী। এমন লোমহর্ষক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকান্ডস্থলে শত-শত মানুষ ভীড় জমায়।

নিহত স্ত্রীর নাম গৃহবধূ রুপালী বেগম (২০) উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের মনির চৌকিদারের বাড়ির সিরাজ মিয়ার মেয়ে।

রোববার (১২ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ময়নাতদন্তের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।   এর আগে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের আবু তাহের বাবুল মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী ইউসুফ নবী রুবেলকে (২৬) রক্তমাখা ছোরাসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের আবু তাহের বাবুল মেম্বারের বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,গত তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে রুবেলের সাথে বিয়ে হয় রুপালী বেগমের। কিছু দিন আগ থেকেই পরকীয়ার জের ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এ পরকীয়ার জেরে শনিবার দিবাগত রাতে তাদের মধ্যে বাকবিন্ডা দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্বামী রুবেল তার স্ত্রী পারভীনকে গায়ের ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফল কাটার চুরি দিয়ে গলায় জবাই করে হত্যা করে।

ওসি আরো জানায়, ওই সময় ঘরে থাকা বৃদ্ধ মায়ের শৌরচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে হত্যাকারীকে আটক। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়,পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত রক্তমাখা ছোরা হত্যাকারীর দেখানো মতে ঘরের দরমার ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়।পরকীয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাসুর রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



২ দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার চুলা, শিল্পকারখানায় সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর আগামী দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দুই দিন ধরে চুলা জ্বালাতে সমস্যায় পড়ছেন ভোক্তারা। গ্যাসসংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের একটি বড় অঞ্চলে লোডশেডিং চলছে। শনিবার রাজধানীতে একেক এলাকায় গড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে। রবিবারও লোডশেডিং ছিল ঢাকায়।

নসরুল হামিদ বলেন, দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেটি থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। আর যেটি কাছাকাছি আছে, তা থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।

বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাবটা থাকবে, তবে খুব বেশি নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যে তৈরি হয়েছিল, এই সমস্যাটা আর থাকবে না। আগামী দুই দিনের মধ্যেই লোডশেডিং পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।

 গত শুক্রবারও এখান থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় শুক্রবার রাত ১১টায় দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। এতে সব সময়ই সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসে ২১৫ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধ হওয়ায় গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি বেড়ে গেছে।


আরও খবর



সৌদি যাচ্ছেন বাইডেনের উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি সৌদি নেতাদের পাশাপাশি ভারতীয় ও আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সপ্তাহের শেষে সৌদি আরব সফর করবেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে দেওয়া বক্তৃতায় জ্যাক সুলিভান বলেন, এ সপ্তাহের শেষদিকে আমি সৌদি আরবের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করব।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া সুলিভানের সফরটি এসেছে যখন ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাইডেনের সৌদি আরব সফরের পর থেকে ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। যদিও দুটি দেশ সম্প্রতি সুদানের সংকটসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।

সুলিভান বলেন, আমার প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা বৈঠকের জন্য সৌদি আরবে আসবেন, যাতে আমরা নয়াদিল্লি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারি, যা ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গত বছর স্বাক্ষরিত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জোরালো হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আমাদের কিছু অত্যন্ত বাস্তব উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। আমরা মনে করি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এ অঞ্চলে যা দেখেছি তার থেকে এটি ভিন্ন হবে।

মার্কিন কৌশলের বক্তৃতায় সুলিভান বলেছেন, সপ্তাহান্তে আলোচনার সময় ইয়েমেনের সংঘাত একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হবে। অন্তত যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি রোডম্যাপে কাজ করার জন্য তারা সৌদি উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে বাইডেনের শীর্ষ সহযোগী সুলিভান মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং তিনি এ অঞ্চলের প্রতি ওয়াশিংটনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, এ কৌশল পাঁচটি মৌলিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে, এগুলো হচ্ছে অংশীদারিত্ব, প্রতিরোধ, কূটনীতি এবং সংঘাত নিরসন, একীকরণ এবং মূল্যবোধ গড়ে তোলা।


আরও খবর



পাংশায় শিক্ষক হত্যা মামলায় আরো ৩ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

সৈকত শতদল রাজবাড়ী প্রতিনিধি :

রাজবাড়ীর পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো:  মিজানুর রহমান কে ৩০ এপ্রিল রাতে  পাংশা থানা ধীন  কলিমহর ইউনিয়নে হোসেনডাঙ্গা বাজার হইতে বাড়ি ফেরার পথে রাতে  বসা কুষ্টিয়া এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ৬মে রাতে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩ আসামি সহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য  ইতিপূর্বে এই হত্যাকাণ্ডেরনঘটনায়র পাঁচজনকে ৫ এপ্রিল  গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সেই সময় আসামিদের কাছ থেকে এক নালা বন্দুক ও দুই তাজা কাত্তুজ উদ্ধার করে । 

আজ ৭ এপ্রিল পাংশা মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন সহকারী পুলিশ সুপার পাংশা সার্কেল সুমন কুমার সাহা, এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাংশা মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাসুদুর রহমান।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে আবুল কাশেম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ছাগল নিয়ে দ্বন্ধে দুই পক্ষের টেঁটাযুদ্ধে নিহত আবুল হোসেন হত্যার বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বকশীগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়কের নইমিয়ার বাজারে ঘন্ট্যাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বগারচর এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, গাজী আমানুজ্জামান মডার্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অংশ নেন। আবুল কাশেম ওরফে দুলাল মিয়ার খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত আবুল কাশেমের ভাই রেজাউল করিম,পিতা আবদুর রাজ্জাক,স্ত্রী মাসুমা বেগম,ছেলে মনিরুজ্জামান, মেয়ে লামিয়া আক্তার মুনিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ আলী ও মো.আবু রাইহান প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। 

উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আলিরপাড়া গ্রামে ছাগল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আবুল কাশেম ওরফে দুলাল মিয়া নামে এক ব্যাক্তি নিহত হন। এই ঘটনায় নিহত দুলাল মিয়ার ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচুসহ ৬ জন আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।


আরও খবর



বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় প্রশিক্ষিত আনসার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা গত ১৪ মে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। পুলিশের পরিবর্তে তাদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত করা হয়েছে আনসারের বিশেষ প্রশিক্ষিত জনবল। তবে এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিতে গেলে অর্থ খরচ করতে হবে কূটনীতিকদের। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি আনসার সদস্যকে ৩০০ ডলার করে দিতে হবে।

আগে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হতো না বিদেশি কূটনীতিকদের। মূলত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিনামূল্যে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হতো। তবে গত ১৪ মে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকার পুলিশের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়ায় এখন থেকে অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা নিতে হবে তাদের।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছ থেকে গাড়ি নিলে জ্বালানি খরচ ছাড়াও সঙ্গে দিতে হবে আরো এক হাজার ডলার। এছাড়া অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে তাও বহন করতে হবে ওই দূতাবাসকেই।

গত ১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার বাহিনীর সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিকপত্র পৌঁছে গেছে। পত্রে এসকর্ট সুবিধা পেতে হলে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডিরেক্টরের (অপস) ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি কোনো বিদেশি কূটনীতিক।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূতাবাসে ছয় বছর নিরাপত্তায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি)। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত লোকবল সরবরাহের সক্ষমতাও রয়েছে বাহিনীটির।

১৭ মে বৈঠক শেষে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে আনসার বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত কোনো বিদেশি দূতাবাস থেকে কূটনীতিক নিরাপত্তার জন্য আনসারের এসকর্ট সুবিধা পেতে আনুষ্ঠানিক আগ্রহ দেখানো হয়নি, এমনকি জানানো হয়নি লিখিত চাহিদাও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এজিবি ইউনিট গঠন করা হয়। গঠন করা হবে আরো একটি ব্যাটালিয়ন, সে প্রক্রিয়া চলছে।

আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একজন পরিচালকের নেতৃত্বে আটজন কর্মকর্তা ও ৪১৬ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এজিবি। এজিবির মতো প্রশিক্ষিত জনবলে রয়েছেন আরো তিন হাজার সদস্য। কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় এজিবিকে ব্যবহার কিংবা প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়নও গড়া যেতে পারে। এতে পোশাকসহ কাঠামোগত পরিবর্তনও প্রয়োজন হবে না।

আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্যদের দেশে-বিদেশে কুইক রেসপন্স ট্রেনিং (কিউআরটি), স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল ট্রেনিং (এসটিটি), স্পেশাল প্রটেকশন ট্রেনিং ও বিশেষ অস্ত্র চালনার ট্রেনিংও রয়েছে। আনসারের কর্মকর্তারা এসএসএফ ও র‌্যাব, সচিবালয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে প্রেষণে কর্মরত থেকে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

বুধবার (২৪ মে) সকালে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ ইফতেহার আলী বলেন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমাদের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর