Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে পথসভা ,বিএনপির প্রতিবাদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বহিস্কৃত এক নেতাকে নিয়ে পথসভা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে পৌর বিএনপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফ্রিং করে প্রতিবাদ জানান তারা। তাদের দাবি আবদুর রউফ তালুকদার গত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন এবং একাধিকবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন,যে কারনে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য গত ৫ মে সোমবার বকশীগঞ্জের নিলাক্ষিয়া মোড় ও পৌরশহরের বটতলা মোড়ে পথসভা করেন সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম। পরে সন্ধ্যায় পুরাতন ইসলামী ব্যাংক ভবনে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। এ সময় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রউফ তালুকদারসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়,ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতনের পর বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটি নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা হয়। সম্মেলনকে প্রতিহত করতে মাঠে নামেন সাবেক আইজিপির অনুসারীরা। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার। সম্মেলন ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও বিভক্তি দেখা দেয়। সম্মেলন সফল করতে মিছিল সমাবেশ করেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সমর্থকরা। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক (বর্তমান সভাপতি) মানিক সওদাগর। সম্মেলনকে ঘিরে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্র্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ১৮ ফেব্রুয়ারি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেদিন নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সম্মেলনের ২২ দিন গত ১২ মার্চ বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনুমোদনের পর বাতিলের দাবিতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আবদুর রউফ তালুকাদারের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

গত ৫ মে সোমবার দুপুরে বকশীগঞ্জে আসেন বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক পথসভা ও মতবিনিময় সভা করেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে তার সাথে ছিলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত আবদুর রউফ তালুকদার।

এই ঘটনায় বুধবার প্রেসব্রিফ্রিং করে বিএনপি। আবদুর রউফ তালুকদারকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে এবং তাকে নিয়ে পথসভা করায় তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স,পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার শাকিল প্রমূখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাহান পারভেজ শাহীন,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লাভলু,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তানজির আহমেদ সুজন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আশিকুর রহমান তোলন,সদস্য সচিব শহিদুল হক দুলাল,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শেখ রহমত আলী,সদস্য সচিব মিজানুর রহমান,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জুবাইদুল ইসলাম শামীম,পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব আহম্মেদ সায়েমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আবদুর রউফ তালুকদার দল থেকে একাধিকবার বহিস্কার হন। ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে আবার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারও করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সবশেষ গত ২০২৪ সালের ২১ মে তাকে আবারো দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপরও তিনি দলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তাই গত ২৫ মার্চ তাকে স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য বহিস্কার চেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচির বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সকল নেতা স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আরো বলেন,গত ১৭ বছর তিনি আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন। দলের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন। আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসর বহিস্কৃত একজন নেতাকে নিয়ে পথসভা দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাই এর  তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম বলেন,বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তৃনমূল বিএনপিকে উপেক্ষা করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অগনতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা কমিটিতে আছেন তারা দলের দু:সময়ে ছিলেন না। আবদুর রউফ তালুকদার ৪ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি দলের জন্য অনেক শ্রম দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের জন্য কাজ করে যাবো আমরা।


আরও খবর



পাঁচ টাকার নোট থেকে কুসুম্বা মসজিদের ছবি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় পাঁচ টাকার নোট থেকে ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের ছবি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মান্দা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, কুসুম্বা মসজিদ জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অমূল্য নিদর্শন। এটি পাঁচ টাকার নোটে বহাল থাকায় দেশের মানুষ সহজেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারতেন। সেই নোট থেকে কুসুম্বা মসজিদের ছবি প্রত্যাহার করে নেওয়া দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অবমূল্যায়নের শামিল। অবিলম্বে কুসুম্বা মসজিদের ছবি পুনরায় পাঁচ টাকার নোটে বহালের দাবি জানাচ্ছি। এ দাবী না মানা হলে ভবিষ্যতে মান্দাসহ নওগাঁবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির নেতারা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অর্থ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। একই দাবিতে জামায়াতে ইসলামী মান্দা উপজেলার শাখার নেতারা আলাদাভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। মান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরামুল বারী টিপু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ও শামশুল ইসলাম বাদল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল ও আব্দুল মালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালহা জুবায়ের এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিদুজ্জামান সালেক প্রমুখ।


আরও খবর



রাণীনগরে আগুন দিয়ে খড়ের পালা পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নওগাঁর রাণীনগরে পূর্ব বিরোধের জ্বের ধরে খড়ের পালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্মিভূত করার অভিযোগ ওঠেছে। এসময় প্রায় ২২লাখ টাকা দামের একটি ট্রাক্টরও পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ওঝাওজি পাড়া গ্রামে।

ওই গ্রামের মৃত আব্বাস আলী শেখের ছেলে জাহের আলী শেখ জানান,সোমবার রাত অনুমান পৌনে ১২টা নাগাদ বাড়ী সংলগ্ন বাগানে পূর্ব বিরোধের জ্বের ধরে কে বা কাহারা দুটি খড়ের পালায় আগুন ধরে দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় একটি পালার আগুন নিভাতে পারলেও প্রায় ৫বিঘার একটি পালা সম্পন্ন ভস্মিভূত হয়ে যায়। তিনি দাবি করে বলেন,তার খলিয়ানে রাখা প্রায় ২২লাখ টাকা দামের একটি ট্রাক্টরে অকটেন ছিটিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা। কিন্তু লোকজন ছুটে আসায় তারা আর হয়তো আগুন দিতে পারেনি। এঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।  

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মসলেম উদ্দীন বসুনিয়া জানান,এঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



অনাহারে মৃত্যু আরো ২৯ ফিলিস্তিনির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া খাবারের অভাবে এ পর্যন্ত মারা গেছেন আরো ২৯ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শুক্রবার (২৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বহু বৃদ্ধ, নারী ও শিশুও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেইর আল বালাহর আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় বহু হতাহতকে উদ্ধার করে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আশরাফ আমরার তোলা ছবিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত শিশুদের কোলে নিয়ে ছুটছেন আহত স্বজনরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি যেসব শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে অনাহারে, যাকে ‌অনাহারজনিত মৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং হাজারো মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।


আরও খবর



বিশৃঙ্খলা ও ক্ষোভ থেকে পদত্যাগ ভাবনা ড. ইউনূসের!

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূস ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে পৌঁছলে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নাহিদসহ অন্যান্যরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এক সংকটময় পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা সামনে আসায় এ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসকে কেন পদত্যাগের চিন্তা করতে হচ্ছে, সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে গঠিত এই সরকারকে কেন এমন সংকটে পড়তে হলো-এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটছে যখন বিএনপি রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে এবং এ সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন আর অব্যাহত না রাখার ইঙ্গিতও দিচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বুধবার বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে নির্বাচন, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর প্রসঙ্গ এবং মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। যা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে।

এমন এক পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূসের এমন ভাবনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নাহিদ ইসলামের মাধ্যমেই প্রধান উপদেষ্টার এই ভাবনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতিটাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে। বিএনপি বলছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের তাদের দাবি এড়াতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনার কথা সামনে আনা হয়েছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আবেগ সৃষ্টি করার কিছু নেই"।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এ-ও বলছেন, সরকারের দুর্বলতার কারণে পরিস্থিতি সামলাতে যখন ব্যর্থতার প্রশ্ন আসছে, তখন পদত্যাগের এই ভাবনার কথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এক ধরনের হুমকি বা সতর্কতা বলে তারা মনে করছেন।

এখন অন্তর্বর্তী সরকারের এই সংকট সামলাতে জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শও দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো দেওয়া হয়নি।

কেন সংকটে সরকার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সেই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতসহ সব দল এবং সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছিল।

এতবড় সমর্থন পাওয়ার পরও সেই সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ কেন আসছে, এমন প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা।

তারা বলছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের দুর্বলতা রয়েছে; যা তিনি নিজে বিভিন্ন সময় প্রকাশও করেছেন।

সেই ছাত্র নেতৃত্ব যখন রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠন করল, এই দলের প্রতিও তার পক্ষপাতিত্ব রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। যা বিএনপিকে ক্ষুব্ধ করেছে।

যদিও উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন পদত্যাগ করে দলটির হাল ধরেছেন। কিন্তু আরও দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা পদে রয়ে গেছেন। তাদের পদত্যাগের দাবিতে এখন রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।

সরকারের গত নয় মাসে প্রথম দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে এনসিপির ব্যানারে বিভিন্ন ইস্যু তুলে রাজপথে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভনের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকার দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। বিএনপি বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এখন তারা সেই অভিযোগকে সামনে এনেছে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়টি আলোচিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মব সৃষ্টি করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দাবি তুলে তা আদায়ের চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা সমর্থনের বিষয়ও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ যেমন রয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় আসছে।

সরকারের একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা গত বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন, সেখানে অধ্যাপক ইউনূস নিজেও অংশীজনদের অসহযোগিতার কথা বলে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্লেষকেরা রাজনীতিতে বিভক্তি, দলগুলোসহ সরকারের অংশীজনদের বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ নিয়ে বিরোধ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। সেকারণে অসহযোগিতার বিষয় প্রকট হয়েছে।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের এখন প্রভাব রয়েছে। তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। ফলে রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে।

তিনি মনে করেন, সরকারের দিক থেকেও করিডর ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপিসহ দলগুলো ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে বিএনপি ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

একইসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি আছে। সবমিলিয়ে সরকার কাজ করতে পারছে না। আর সেকারণে সরকারের জন্য সংকট গভীর হয়েছে বা সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সরকারের ভেতর থেকেও করিডরসহ বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু যখন সামনে আনা হচ্ছে, তখন সরকারের ভেতরেও কোনো গোষ্ঠী স্বার্থ বা ব্যক্তি স্বার্থ কাজ করছে কিনা- সেই প্রশ্নও রয়েছে বিশ্লেষকদের।

বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থান কী

দলগুলো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে মনে হচ্ছে।তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনাকে তার আবেগের বিষয় হিসেবে বর্ণনা করছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় আবেগ সৃষ্টি করার কিছু নেই। তারা মনে করছেন, যখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করা হচ্ছে, তখন এ ধরনের আবেগের কথা বলা হচ্ছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলতে গিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির রাজপথের কর্মসূচি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে একজন উপদেষ্টা বিবিসিকে জানান।

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আদালতের রায় পেয়েছেন। এরপরও তাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সেকারণে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবি মানার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতার কথা বলা হচ্ছে।

বিএনপি অবশ্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম, এই দুই ছাত্র প্রতিনিধির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগের দাবি তুলেছে। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি যুক্ত করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলছে বিএনপি।

দলটির নেতারা বলছেন, এনসিপি বিভিন্ন সময় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে চাপের মুখে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। সেখানে বিএনপির যৌক্তিক দাবি মানা হচ্ছে না। এনসিপির নেতারা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

তবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দুজন ছাত্র প্রতিনিধি সরকারে থেকে যেসব কর্মকাণ্ড করছে, তারা দায় এখন সরকারকেই বহন করতে হবে।

এছাড়া নির্বাচনসহ বিএনপির সব দাবি যৌক্তিক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দাবি এড়িয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের ভেতরেও নানা আলোচনা রয়েছে। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সংকট উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে দলগুলোকে বেশ সতর্ক মনে হয়েছে। নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরলেও দলগুলো দলগতভাবে কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, অধ্যাপক ইউনূস চলে যেতে পারেন অথবা দলগুলোসহ অংশীজনদের আস্থায় এনে নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন, এই দুটি পথ খোলা রয়েছে।

লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সরকার এখন নির্বাচনমুখী হলে বিএনপিসহ দলগুলো আবারও সহযোগিতা বাড়াবে এবং সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ব্যাংকে ফিরল ১৯ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরের পরের মাসেই ব্যাংকে ফিরেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। ঈদের মাসে সাধারণত বাড়তি খরচের কারণে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে মার্চ মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। তবে এর পর তা দ্রুত ব্যাংকে ফিরে এসেছে। এ ছাড়া আমানত পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা

বলছেন, ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে অর্থনীতির জন্য তা ক্ষতিকর হয়। এতে টাকার লেনদেন বা হাত বদলের গতি কমে এবং মানি ক্রিয়েশন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, ব্যাংকে টাকা ফেরার অর্থ হলো তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি এবং বিনিয়োগে সহায়ক পরিবেশের সৃষ্টি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুদের হার বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। বিশেষ করে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নিলে আগের আমলের ব্যাংক খাতের লুটপাট ও অনিয়মগুলো প্রকাশ্যে আসে, যা জনগণের আস্থার সংকটে বড় প্রভাব ফেলেছিল। ফলে ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নগদ অর্থ ব্যাংকে ফেরার ধারা শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল শেষে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ কমেছে ১৯ হাজার ৬৫ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে ঈদের কারণে মার্চ মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। তার আগের ছয় মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা কমেছিল।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি কমতে শুরু করে।

অন্যদিকে, গত এপ্রিল শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এক মাস আগে মার্চে যার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ১৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আগের মাস মার্চে ব্যাংকগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ আমানত বেড়েছিল, প্রায় ২৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এদিকে গত এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। মার্চে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।


আরও খবর