Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে গৃহবধু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :  

বকশীগঞ্জে গৃহবধু সূচনা আক্তার সূচী (২৭) হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌর শহরের মালিরচর মন্ডলপাড়া এলাকাবাসী এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানববন্ধনে সূচীর স্বজনরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। 

মালিচর মন্ডলপাড়া-ধুমালী সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান,আলমগীর মিয়া,মজনু মিয়া ও গৃহবধূ সূচনার মা রোজিনা বেগম প্রমূখ। আসামীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। গত শুক্রবার রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারি খানপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে সূচীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী খানপাড়া গ্রামের ইফাজ উদ্দিনের ছেলে আলমাছ হোসেন আরিফের (৩২) সাথে প্রায় পাচঁ বছর পূর্বে পৌর শহরের মালিরচর মন্ডলপাড়া গ্রামের বেলায়েত মিয়ার মেয়ে সূচনা আক্তার সূচীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সূচনার ঝগড়া হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে পুলিশ তার স্বামীর ঘর থেকে গৃহবধু সূচীর লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরেই সূচীর স্বামী ও শশুড়সহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গৃহবধু সূচীর মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূচনার শাশুড়ী আকলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে। 

মানববন্ধনে সূচনার মা রোজিনা বেগম বলেন,বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন সূচনাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সূচনা যদি আত্মহত্যা করেই থাকে তাহলে বাড়িতে খবর না দিয়ে শশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলো কেন। দোষীদের শাস্তি দাবি জানান তিনি।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে,গৃহবধুর শাশুড়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



বেতন পেলেন শ্রমিকরা, আগামীকাল খুলবে কারখানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

টিএনজেড গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে টানা তিনদিন গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এবার সরকারের সহায়তায় গ্রুপের পাঁচটি কারখানার তিন হাজার ৬২০ শ্রমিক এবং ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন পেয়েছেন। এতে খুশি শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে যথারীতি শনিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে।

টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক জানান, প্রথম দফায় শ্রমিকদের বকেয়া আট কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে এই বেতন পরিশোধ করা হয়। এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বেতন পেয়ে কারখানার শ্রমিক রোকসানা আক্তার বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।

টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক জানিয়েছেন, শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে। তিনি আশা করছেন, শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন এবং উৎপাদন শুরু করে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা করবেন।

টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেসিক ক্লথিং লিমিটেড ও অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ শ্রমিকের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। এছাড়া এক্সপো কার্টুন ও এমএনএস ইয়ার্ণ ডায়িং কারখানায় স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া রয়েছে।

এরপর ৯ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ভয়াবহ যানজট দেখা দেয় মহাসড়কে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন এবং পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। টানা তিনদিনের বিক্ষোভের পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন যে, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে উদ্যোগ নেবে সরকার।

গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টিএনজেড গ্রুপের ৩১ শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।

টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা বড় বিনিয়োগ করেছি এবং ব্যাংকের সুদ পরিশোধে আমাদের অর্থ সংকট হয়েছে। এক্সপোর্ট বিপ্ল আপ ফান্ড থেকে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সহায়তায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিকরা কোনো কাজ না করেই এই অর্থ পেয়েছেন। আগামী কিস্তির অর্থও তারা কাজ ছাড়াই পাবেন।

ব্যাংক লোন প্রাপ্তিতে জটিলতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাবদ দেড়শ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হলেও, টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বেতন দিতে সমস্যা হয়।

হেদায়তুল হক আরও বলেন, আমাদের এক্সপোর্ট বিপ্ল আপ ফান্ড থেকে ১১-১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করলে এই সংকট হতো না। কয়েকবার তারিখ দিলেও তা রক্ষা করতে পারিনি।

শ্রম সচিব শফিকুজ্জামানের সহায়তায় শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএ’র রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, প্রায় শত কোটি টাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির দলিল নিয়ে সহযোগিতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেননি।

শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতায় শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকাগুলো সময় মতো পাবেন। আমরা আশা করি, শ্রমিকরাও এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবিন এর সিনেমা।

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ছোটপর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি কোন সিনেমায় কাজ করেছেন । নাম ‘সাবা’। অনলাইনে কিংবা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই সেই সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে মর্যাদাপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব বলা হয় টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিলোএই উৎসবের ৪৯তম আসর। চলছে টানা ১১ দিন। এই মর্যাদাপূর্ণ উৎসবেই দেখানো হয়েছিল মেহজাবিনের ‘সাবা’।


টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যেসব সিনেমা প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, সম্প্রতি তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সেখানে ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিশ্বের ২৪টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে মেহজাবিন অভিনীত বাংলাদেশি সিনেমা ‘সাবা’।

এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসেন। গত এপ্রিলে মেহজাবিনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘সাবা’র পোস্টার উন্মোচনের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির খবর জানানো হয়। সেই খবরের তিন মাস পরেই  নতুন সুসংবাদ পেয়েছিলো।

‘মাটির প্রজার দেশে’র আরিফুর রহমান ও তামিম আবদুল মজিদের প্রযোজনায় ‘সাবা’র চিত্রগ্রহণে ছিলেন বরকত হোসেন পলাশ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে মেহজাবিন ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার এবং রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ। চলতি বছরের শেষ দিকে এটি মুক্তি পাওয়ার কথা।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪




শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অনেকে হোটেলের মিক্সড সবজিটা খুব পছন্দ করে, ভাবে সকালের নাস্তায় বাসাই পরোটা তৈরি করলেও সবজিটা হোটেল থেকে নিয়ে আসতেই হবে। অত সুন্দর করে বাসাই রান্না করতে পারব না। কিন্তু সেই ধারনাটা একদম ঠিক নয়, আপনি ইচ্ছা করলে বাসাই তৈরি করতে পারবেন হোটেলের সুস্বাদু মিক্সড সবজি। চলুন তাহলে জেনে নেই হোটেলের মিক্সড সবজিটির রেসিপি

যে উপকরন লাগবে

 

সবজি ৬-৭ রকমের (আমি নিয়েছিঃ পেঁপে, মিস্টিকুমড়া, মটর,শিম, আলু, ফুলকপি, বেগুণ, কাঁচা টমাটো, গাজর সব সবজি কিউব বা ছোট করে কাটা আর সমপরিমাণ করে নিতে হবে। এখানে ১ কাপ করে নেয়া),

ছোলার ডাল ১/২ কাপ,

পেঁয়াজ কুচি ২-৩টি বড়,

কাঁচামরিচ ফালি ৮-১০টি,

হলুদ+ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ,

মরিচের গুড়া+জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ,

ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো,

লবণ স্বাদমতো,

তেল রান্নার জন্যে ২ টেবিল চামচ

 

ফোঁড়নের জন্যে লাগবে

 

থ্যাতো করা রসুন ৬-৭কোয়া,

শুকনামরিচ ৩-৪টি,

অল্প একটু গরম মসলা,

তেজপাতা২-৩টি,

আস্ত জিরা দেড় চাচামচ এবং

তেল-পরিমাণমত

 

যেভাবে তৈরি করতে হবে

 

মিক্সড সবজি রান্না করতে হলে প্রথমে ছোলার ডাল ৩০মিনিট আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডাল ফুলে উঠলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে

 

এবার হাঁড়িতে সব সবজি ও ডাল নিয়ে তাতে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ, হলুদ-মরিচ-ধনিয়া-জিরা গুঁড়া, দুই টেবিল চামচ তেল ও লবণ দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এমনভাবে মাখাতে হবে, যেন সবজির গায়ে মসলা বেশ ভালোভাবে লেগে যায়। সবজি মাখানো হলে হাত ধোয়া পানি দিয়ে দিতে হবে। বেশী পানি দেওয়ার দরকার নেয়। সবজি ও পানি সমান-সমান থাকলেই হবে

 

এইবার হাঁড়িটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ বাড়িয়ে রান্না করতে হবে। এবার পানি ফুটে উঠলে আঁচ মাঝারি করে রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে আলতো করে কাঠের খুন্তি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। পেঁপে আর আলু যখন সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন ঢাকনা খুলে দিতে হবে। যদি দেখেন, সবজিতে পানি বেশী রয়ে গেছে তখন চুলার আঁচ বাড়িয়ে পানি টানিয়ে নিতে হবে

 

পানি টেনে আসলে ধনেপাতা মিশিয়ে হাঁড়িটি চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখতে হবে অথবা এক চুলায় সবজির হাঁড়ি রেখে অন্য চুলায় ফোঁড়নের জন্যে প্যান বসাতে হবে। প্যানে তেল গরম করে বাকি অর্ধেক পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে ভেজে নিতে হবে। । পেঁয়াজ-রসুন হালকা বাদামি হলে তার মধ্যে আস্ত জিরা, শুকনো মরিচ আস্ত ৩-৪টি, অল্প গরম মসলার গুড়া ও তেজপাতা দিয়ে একসাথে একটু নেড়ে, এই মিশ্রণটি সবজির ওপর ঢেলে সাথে সাথে ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে। হয়ে গেলো হোটেলের স্বাদে সবজি রেসিপিটি


আরও খবর

শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার ১০০টি সুস্বাদু খাবারের তালিকা

বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪




দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিতর্ক। এবার ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা যাচাইয়ের পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আরও যাচাইয়ের পর নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ’ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেলেও নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পর্যায়ে এখনো নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবের সঙ্গে নদী কমিশনের হিসাব, আবার এই দুই সংস্থার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মেলে না।

দখল-দূষণে অনেক নদী এখন বিলীন; যেগুলো খাতা-কলমেও আর সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। যা নিয়ে নদী গবেষক ও নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা দীর্ঘদিন কথা বলে আসছেন; গণমাধ্যমেও উঠে আসছে নদী নিয়ে অবহেলার নানা তথ্য।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর দেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান দুই মাসের মধ্যে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো, বিআইডব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

সেমিনারে জানানো হয়, বিভাগীয় কমিশনারদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী নদ-নদীর সংখ্যা ১৪৮০টি। অধিকতর যাচাইয়ের পর সারা দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগ-ওয়ারী এক বা একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদী বিবেচনায় ৮টি বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৯৬টি। একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১৭৯।

সেমিনারে আরো জানানো হয়, ২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রস্তুত করা তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১০০৮টি। ওই তালিকা থেকে ২২৪টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। ২০১১ সালে বাপাউবো প্রকাশিত ৪০৫টি নদীর মধ্যে ১৮টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এক বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১১২৩টি। দুই বিভাগে ২৭টি, তিন বিভাগে ৪টি, চার বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা দুটি।


আরও খবর



নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার শক্তিশালী হয়, কারণ তাদের পেছনে জনগণ থাকে, তখন সংস্কার কাজ করা সহজ হয়। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের কথা বলে আসছে। তবে সেটা হতে হবে টেকসই। তাতে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে। 

ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত শীর্ষক এক নাগরিক ভাবনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরে জেলা বিএনপির আয়োজনে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যশোরের ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। 

আধা ঘন্টা বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছি। সেই ঐক্যকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার বিবেধ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভুমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ৭শ’ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন, পঙ্গু করা হয়েছে। গ্রামে গঞ্জে নেতা-কর্মীরা রাতে বাড়িতে থাকতে পারেনি, ধানক্ষেতে, গাছের ওপরে ঘুমিয়েছে। দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষে গোলটা ভালোভাবে করতে পেরেছে ছাত্ররা। সেজন্য তিনি ছাত্রদের স্যালুট জানান। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রিক দল না। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সময়, পরে ও গত ১৬ বছরে তারা সেটা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ স্বাধীনতার পর দেখলাম উল্টোটা। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের কথাই আমাদের বলে যেতে হচ্ছে। 


আরও খবর