Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ও নৈশ্য প্রহরী রফিকুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে এই মামলা করেন তারা। এছাড়াও গত শনিবার বিদ্যালয় মাঠে তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ঝাড়– মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এই নিয়ে মাদ্রাসায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দারুণ বিঘ্ন ঘটছে। 

অভিযোগে জানা যায়,১৯৯৩ সালে মালিরচর মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসায় যোগদান করেন আবদুস সাত্তার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক যেনো তাকে পিছু ছাড়ছে না। নিয়োগ বাণিজ্য ও শিক্ষকদের সাথে অসাদাচরনসহ নানা কারনে সব সময় সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন তিনি। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। নিয়োগের বিষয়টি গোপন রেখে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের কৌশলে আবেদন করান সুপার। চাকুরী দেওয়ার কথা বলে দুই পদের জন্য চারজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন সুপার আবদুস সাত্তার ও সভাপতি আবদুল হামিদ এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। সুপারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আরবি বিভাগের সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ও নৈশ্য প্রহরী রফিকুল ইসলামের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন সুপার। গত ৪ মাস যাবত তারা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই অনিয়মের অভিযোগ ও নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার সুপার আবদুস সাত্তার,সভাপতি আঃ হামিদ,চাকুরী প্রত্যাশী সোহেল আহম্মেদ,শফিক মিয়া ওরফে বাবুল, আজমনী আক্তার ও সুফিয়া আক্তার সুমীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ও নৈশ্য প্রহরী রফিকুল ইসলাম। এছাড়া নিয়োগ বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন তারা। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন ইউএনও। ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন সুপার আবদুস সাত্তার। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,আবেদনকারী ও ডিজি প্রতিনিধি মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে স্থানীয় এলাকাবাসী নিয়োগ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল করেন তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে মাদ্রাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সুপার আবদুস সাত্তার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।  

মামলার বাদী সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার বলেন,মাদ্রাসায় এমন কোন নিয়োগ নাই যে নিয়োগে সুপার অনিয়ম ও বাণিজ্য করেন নাই। তার ইচ্ছেমত তিনি মাদ্রাসায় আসেন আবার ইচ্ছে হলেই বের হয়ে যান। মাদ্রাসার সভাপতির ইন্দনে কারো তোয়াক্কা করেন না তিনি। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বেতন ভাতা বন্ধ করে হয়রানি করেন। আমার বেতনও বন্ধ করেছেন ৪ মাস হলো। তাই আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছি। এর প্রতিকার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে রোববার বেলা ১১ টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে সুপার আবদুস সাত্তারকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অফিসিয়াল কাজে বাইরে আছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম হয়নি। সহকারী শিক্ষক ও নৈশ্য প্রহরীর বেতন বন্ধের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম,সাইদুর রহমান ও আসাদুল্লাহ বলেন,এর আগেও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সুপার আবদুস সাত্তার ও সভাপতি আবদুল হামিদ। সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ বন্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও ঝাড়– মিছিল করেছে। মাদ্রাসার স্বার্থে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি আমাদের।  

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ বলেন,কোন অনিয়ম হয়নি। একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তাদের উস্কানিতেই আমাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। 

এ ব্যাপারে নিয়োগ পরীক্ষার ডিজি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মৌলভীপাড়া মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর নিয়োগ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কাজ না করেই চলে আসি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কতৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, নিয়োগ বন্ধের দাবিতে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী । সে সময় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিবেশ ছিলো না। তাই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি উধর্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন, নিয়োগ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। শনিবার নিয়োগ পরীক্ষার শুরুর আগে এলাকাবাসী পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ফলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। শুক্রবার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইউরোপের তিন দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে বসেছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদ্রিদ ফিলিস্তিনকে যত শিগগির সম্ভব স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসলোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

আর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাবলিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে চায় এবং সেই সঙ্গে আশা করে, ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও এই পথ অনুসরণ করবে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আয়ার‌ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য।

আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে) স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে এক্ষেত্রে তারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে চান না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তারা।

প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এর আগে ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস।

সেই জিম্মিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৮ জন এখনও রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের মুক্তির জন্য গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানে আলোচনা চলছে।

যদিও এই আটক জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কতজন বেঁচে আছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিষয়টি আরও গতিশীল হয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানে থমথমে পরিস্থিতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বান্দরবানে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কেএনএফের সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাংক লুটের পর সেনা-পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে আক্রমণের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি। এ মামলাগুলোতে পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। থানচি বাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দোকানপাট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ রয়েছে। রুমার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও জনমনে আতঙ্ক এখনো কাটছে না।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পুলিশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট, সেই সাথে ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ এবং পরপর থানচি উপজেলায় আরো বেশ কয়েকটি হামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে রুমা উপজেলার ব্যাথেলপাড়া থেকে অপহৃত ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের একটি সশস্ত্র দল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা করে। সেখান থেকে ১৪টি অস্ত্র গোলাবারুদ লুটের পর ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন সকালে থানচি উপজেলায় হানা দিয়ে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে থানচি বাজারে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় আবার হামলা করে কেএনএফ। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময় হয়। এছাড়া গভীর রাতে থানচি-আলীকদম ডিম পাহাড় সড়কে সেনা-পুলিশের একটি যৌথ চেকপোস্টে গুলিবর্ষণ করে তারা। তবে এসব হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আবার হামলা হতে পারে এ আশঙ্কায় অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে।


যৌথ অভিযান শুরু : এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজামউদ্দিনের উদ্ধার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে র্যাব। এ সময় পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার থেকেই যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরুর কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ এই অভিযান কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে। সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান, র্যাবের কৌশল ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে অপহৃত ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে কেএনএফ আগামীতে আরো বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা অপহৃত ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সাইবার হামলা চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তারা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা। এ সময় পরিচালক জানান, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ পায়ে হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র্যাব।

 

একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র্যাব তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় তিনি আরো বলেন ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ডলাইনে যাইনি তবে আজ থেকে আমরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়। কারণ কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরো বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবে না সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


যৌথ তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ, থানচিতে গোলাগুলি : আলীকদম থেকে আমাদের সংবাদদাতা মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আলীকদম-থানচি সড়কের ২৬ কিলোমিটার এলাকায় আলীকদম জোনের আওতাধীন একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রাত পৌনে ১টার দিকে ২৬ কিলোমিটার এলাকার এ যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা গাড়িতে করে এসে চৌকি ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা গুলি চালায়। এ সময় চৌকিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। পরে হামলাকারীরা পিছু হটে।

এছাড়া যৌথ চেকপোস্টে হামলার আগে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সাথে সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টার বেশি এ গোলাগুলি চলে। স্থানীয় সাংবাদিক অনুপম মার্মা ও শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ভালো নেই। স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে অনেকটা গৃহবন্দীর মতো অবস্থায় রয়েছেন।


অস্ত্রধারীরা এখনো দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে : বান্দরবানের থানচি থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটারে মধ্যে এখনো বিভিন্ন পাড়ায় কেনএনএফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ কথা জানান থানচি থানার ওসি জসীম উদ্দিন।

গতকাল দুপুরে সরেজমিন থানচি থানা ঘুরে দেখা গেছে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। থানার প্রবেশমুখে ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন পুলিশ সদস্যরা। জানতে চাইলে ওসি জসীম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের ধারণা, পুলিশের ওপর হামলা করে তারা নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরো ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চার পাশে সতর্ক অবস্থানে আছে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আল্লামা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদি বলেছেন, রমজানকে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরিফে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি বলেন, হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)'র ওপর কোরআর নাজিলের পাশাপাশি রেসালত ঘোষণা হয়েছে রমজানে। ‘লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুল্লাহ’ পর্যন্ত রেসালতের এই বাণিও রমজানে হয়েছে। কোরআন শরিফ মক্কার জমিনে জবলে নূরে, গারে হেরায় রাসুলের ওপর নাজিল হয়েছে; যেটি উম্মুল কিতাব, সেই কারণে মক্কার নাম হয়েছে উম্মুল কোরা। হজরত জিব্রাইলকে (আ.) ফেরেশতাদের সর্দার বলা হয়; তিনি সব ফেরেশতার সরদার হয়েছেন রাসূলের কাছে আসার কারণে। চট্টগ্রামকে ‘মদিনাতুল আউলিয়া’ সম্বোধন করে বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ জেয়ারত ও আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর ওরসে হাজির হতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া শুকরিয়া। তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত ভাগ্যবান; কারণ আপনারা অলি আল্লাহর শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। অলিদের আশপাশে আছেন। এ সময় তিনি মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যিয়ারতকালে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী'র আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান মন্তব্য করে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ১৫৭১ সালে আব্দুল কাদের জিলানির বংশধর সৈয়দ হামিদুদ্দিন আল কাদেরি গৌরী তিনি সে সময় বাগদাদে বিচারক ছিলেন। বাংলাদেশের তখনকার সুলতান তাকে গৌরে নিয়ে আসেন বিচারের কাজ করার জন্য। সে থেকেই তারা এ দেশেই রয়ে গেছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। আমাদের পূর্বপুরুষরা চট্টগ্রামে ইসলামের অনেক খেদমত করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে আমাদের পূর্বপুরুষরা অবস্থান করেন। তিনি আরো বলেন, হজরত গাউছুল আজম সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানির (রা.) বংশধর মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ জেয়ারত করেছেন। তাসাউফ তরিকত সহ সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে। এতে কাদেরিয়া তরিকার সাথে মাইজভান্ডারী তরিকার সেতুবন্ধন আরও মজবুত হয়েছে। আমরা একসঙ্গে সারা বিশ্বে ইসলাম ও কাদেরিয়া তরিকার জন্য কাজ করবো। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে। তারা সেহেরি ও ইফতার পর্যন্ত করতে পারছে না। আমরা দোয়া করছি, ইহুদি-নাসারাদের নির্যাতন মোকাবেলায় আল্লাহ পাক মজলুম ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদেরকে শক্তি দান করুক। প্রধান আলোচক আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করি মানুষকে আলোকিত করার। কারণ একজনকে আলোকিত করলে তার মাধ্যমে ১০০ মানুষ আলোকিত হবে। এ ১০০ মানুষের সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখবে তারাও আলোকিত হবে। এভাবে হাজার হাজার মানুষ আলোকিত হবে। সুফিবাদের মাধ্যমে ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়াই মাইজভাণ্ডার শরিফসহ সুফি দরবারগুলোর মূল উদ্দেশ্য। সুফিজমই হচ্ছে আসল ইসলাম যারা মানুষের ক্ষতি করে না। সব সময়ই কল্যাণ চিন্তা করে। কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তি, কল্যাণ ও সম্প্রীতির ধর্ম। সে ধারাতেই মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ যুগ যুগ ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

৪০ তম এই ওরস মাহফিলে শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানির শাহজাদা শেখ সৈয়দ আবদুর রহমান আল জিলানি আল বাগদাদি, শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ সফিউল আজম, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমানুল্লাহ আহসান, সৈয়দ এহসানুল করিম, সৈয়দ ফয়জুল আজিম ও সৈয়দ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠেয় সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

গত ২৫ মার্চের পর সোমবারই প্রথম বৈঠক করে স্থায়ী কমিটি। এতে উপজেলা নির্বাচন, ঢাকায় ইসরায়েল থেকে বিমান আসাসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন বিএনপির নেতারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না বলে মনে করে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


আরও খবর