Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ও নৈশ্য প্রহরী রফিকুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে এই মামলা করেন তারা। এছাড়াও গত শনিবার বিদ্যালয় মাঠে তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ঝাড়– মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এই নিয়ে মাদ্রাসায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দারুণ বিঘ্ন ঘটছে। 

অভিযোগে জানা যায়,১৯৯৩ সালে মালিরচর মৌলভীপাড়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসায় যোগদান করেন আবদুস সাত্তার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক যেনো তাকে পিছু ছাড়ছে না। নিয়োগ বাণিজ্য ও শিক্ষকদের সাথে অসাদাচরনসহ নানা কারনে সব সময় সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন তিনি। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। নিয়োগের বিষয়টি গোপন রেখে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের কৌশলে আবেদন করান সুপার। চাকুরী দেওয়ার কথা বলে দুই পদের জন্য চারজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন সুপার আবদুস সাত্তার ও সভাপতি আবদুল হামিদ এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। সুপারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আরবি বিভাগের সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ও নৈশ্য প্রহরী রফিকুল ইসলামের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন সুপার। গত ৪ মাস যাবত তারা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই অনিয়মের অভিযোগ ও নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার সুপার আবদুস সাত্তার,সভাপতি আঃ হামিদ,চাকুরী প্রত্যাশী সোহেল আহম্মেদ,শফিক মিয়া ওরফে বাবুল, আজমনী আক্তার ও সুফিয়া আক্তার সুমীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ও নৈশ্য প্রহরী রফিকুল ইসলাম। এছাড়া নিয়োগ বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন তারা। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন ইউএনও। ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন সুপার আবদুস সাত্তার। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,আবেদনকারী ও ডিজি প্রতিনিধি মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে স্থানীয় এলাকাবাসী নিয়োগ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল করেন তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে মাদ্রাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সুপার আবদুস সাত্তার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।  

মামলার বাদী সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার বলেন,মাদ্রাসায় এমন কোন নিয়োগ নাই যে নিয়োগে সুপার অনিয়ম ও বাণিজ্য করেন নাই। তার ইচ্ছেমত তিনি মাদ্রাসায় আসেন আবার ইচ্ছে হলেই বের হয়ে যান। মাদ্রাসার সভাপতির ইন্দনে কারো তোয়াক্কা করেন না তিনি। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বেতন ভাতা বন্ধ করে হয়রানি করেন। আমার বেতনও বন্ধ করেছেন ৪ মাস হলো। তাই আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছি। এর প্রতিকার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে রোববার বেলা ১১ টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে সুপার আবদুস সাত্তারকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অফিসিয়াল কাজে বাইরে আছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম হয়নি। সহকারী শিক্ষক ও নৈশ্য প্রহরীর বেতন বন্ধের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম,সাইদুর রহমান ও আসাদুল্লাহ বলেন,এর আগেও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সুপার আবদুস সাত্তার ও সভাপতি আবদুল হামিদ। সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ বন্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও ঝাড়– মিছিল করেছে। মাদ্রাসার স্বার্থে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি আমাদের।  

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ বলেন,কোন অনিয়ম হয়নি। একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তাদের উস্কানিতেই আমাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। 

এ ব্যাপারে নিয়োগ পরীক্ষার ডিজি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মৌলভীপাড়া মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর নিয়োগ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কাজ না করেই চলে আসি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কতৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, নিয়োগ বন্ধের দাবিতে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী । সে সময় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিবেশ ছিলো না। তাই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি উধর্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন, নিয়োগ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। শনিবার নিয়োগ পরীক্ষার শুরুর আগে এলাকাবাসী পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ফলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেয়ায় ভূমি কর্মকর্তার উপর হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার উপর হামলা ও  পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের বিনোদেরচর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রাতে নামীয় ৩ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি। এই ঘটনায় বালু উত্তোলনের পাইপ ও ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বী। 

অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ফসলি জমি ও পুকুরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো জিগাতলা গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে হাসান আলী,কারন আলী ও জানকিপুর ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত চন্ডিয়া শেখের ছেলে আবদুল কুদ্দুছ। তারা গোমের চর এলাকায় বালু মজুদ করছিলো । বৃহস্পতিবার বিকালে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি অফিস সহায়ক হানিফ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বিনোদেরচর এলাকায় ঘটনাস্থলে যান এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেন। এ সময় হাসান আলী,কারন আলী ও আবদুল কুদ্দুছ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

এ ব্যাপারে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন,কোন কারন ছাড়াই তারা আমার উপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে হাত-পা-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা বলেন,খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বাী বলেন, ড্রেজার মেশিন ও পাইপ জব্দ করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধাঁ ও হামলার ঘটনায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনার সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পৌরসভার সামনের সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


প্রেসক্লাবের বাইরে থাকা নানা অপকর্মে অভিযুক্ত নামধারী সংবাদকর্মীরা মামলা করায়। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে প্রথম দিন অনিদির্ষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হয়। প্রথম দিনের ন্যায় আজ দ্বিতীয় দিনেও সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা পালন করছেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।


জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পালের সভাপতিত্বে প্রহসনের রায় দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারকের অপসারণ দাবী করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, আদালত থেকে রায় ঘোষণা হবার আগে থেকেই নির্বাচন স্থগিতাদেশ হবার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায় এতে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় এটা ষড়যন্ত্রমূলক ও পূর্ব পরিকল্পিত। যে কারণে সাংবাদিকরা এই রায়কে প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করেন।


কাজেই এই প্রহসনের রায়কে অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে দ্রুত সময়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়। তারা আরও বলেন প্রেসক্লাবের সদস্যও নয় এমন ব্যক্তি আবার সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মামলা করার এখতিয়ার বহির্ভূত মামলায় কি করে এমন রায় দেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকসহ সূধী সমাজে। এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য রাখার পাশাপাশি আগামী দিনে পুরো শহর অচল করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।


উল্লেখ্য, মামলা দায়ের কারি ব্যক্তি নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলেও গঠনতন্ত্র মোতাবেক যোগ্যতা না থাকায় তার সদস্যপদ প্রদান করা হয়নি। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বাহিরে কখন কোনো সদস্য পদ দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ম অনুসারে ওই ব্যক্তি সদস্য পায়নি।


যে কারণে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করলে ২২ মার্চ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আরিফুল ইসলাম নির্বাচনের আগেরদিন ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায় এই প্রহসনের রায় প্রদান করেন।


আরও খবর



নিষিদ্ধ হচ্ছে ইমরানের দল!

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানে আর্থিক সংকটের সঙ্গে রাজনৈতিক সংকটও চরমে। ক্ষমতার লড়াইয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। এরমধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার।

রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানিয়েছে। আগেরদিন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে কোনো দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে আইনি দলের সাথে পরামর্শ করা হবে। মূলত লাহোরে ইমরানের বাসভবন থেকে অস্ত্র ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের দাবির পর একথা বলেন তিনি। এছাড়া, পিটিআইকে জঙ্গি সংগঠন বলেছেন পিএমএলএন-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ। তাতে একমত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফক। শাহবাজ বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যানের গত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ড তার ফ্যাসিবাদী এবং জঙ্গি প্রবণতাকে প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল জার্মানি

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় মাদকসেবী ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা-মা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় মারপিট ও অত্যাচারে অতিষ্ট মা-বাবার অভিযোগে মাদকসেবী ছেলে শ্রীঘরে।

বৃহস্পতিবার মা-বাবার অভিযোগ এর ভিত্তি তে মাদকসেবী ছেলে ফিরোজ (৩৬)কে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসেইন এ দন্ড আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল গ্রামের সুজন সরদারের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন জানান, ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সেবন করে আসছিল। মাদক সেবন করে মাঝের মধ্যেই তার মাকে মারধর করাসহ পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচারও করতো। তার মা-বাবার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ফিরোজের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাদক সেবন ও মাসহ পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার করার বিষয়ে সত্যতা পাওয়ায় ফিরোজকে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা সহ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

রাণীনগর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত ফিরোজকে বৃহস্পতিবার দুপুরেই নওগাঁ জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ডিবি গুলশানের তৎপরতায় ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো আল ইমরান :ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৩ মার্চ) ঢাকার মিরপুর, গাবতলী ও সাভার থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন ফখরুল কবির শান্ত (২৯), মো. মনির হোসেন (৩০), মো. ইমরান (২২), মো. মুজাহিদ বাবু (২৮), মো. রাজিব (২১) ও মো. সানি (২৬)। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় আসে। ট্রিপ শেষে রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন পর্বত সিনেমা হলের পাশের রাস্তায় বাসটি রেখে ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন চালক ও দুই সহযোগী। এরপর ৮-১০ জনের একটি দল গাড়িতে ঢুকে ঘটনাস্থলে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণ জানতে চায়। একপর্যায়ে রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁদের মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁদের হাত-পা বেঁধে বাসের পেছনের সিটে ফেলে রাখে আসামিরা।

তিনি আরও জানান, ডাকাত দলের নেতা শান্ত গাড়ি চালিয়ে কিছুদূর এসে তার সহযোগী ইমরানকে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেয়। এরপর নিজেরাই চালক, সহযোগী ও যাত্রী বেশে গাবতলী থেকে কাঁচপুর এবং সেখান থেকে সাভার ও চন্দ্রা পর্যন্ত ট্রিপ মারে। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বাসে তুলে মারধরের পর সর্বস্ব ছিনিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখে। সারা রাত ডাকাতি করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সাভার থানাধীন কবিরপুর এলাকায় বাসটি রেখে চলে যায় ডাকাতেরা।

অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ঢাকার মিরপুর, গাবতলী ও সাভার থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। যাত্রী বেশে বাসে চড়ে চালক ও সহযোগীকে জিম্মি করে ডাকাতি করত তারা।

আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর