Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে “রফিক ফাউন্ডেশন”

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে প্রতিবছরের ন্যায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “রফিক ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের টুপকারচর সর্দারপাড়া এলাকায় ইমামবাগ দরবার শরীফ মাঠে শীতার্ত সহস্রাধিক  মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। 

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রফিক ফাউন্ডেশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক-স্পাইন ও অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডা.মো. রেজাউল করিম রেজা। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ইমামবাগ দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব ক্বারী মো.ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাওলানা এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী,বিএনপি নেতা আবদুল হামিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আফছার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, প্রভাষক বজলুর রশীদ,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সাজ্জাদ হোসাইন, এনায়েতপুর দরবার শরীফের খতিব ও পেশ ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা মো.আবদুল আউয়াল,ডাক্তার জয়নাল আবেদীন,এভারেস্ট ফার্মা সিউটিক্যালের ম্যানেজার গোলাম সারোয়ার, কথা সাহিত্যিক সুলতানুল আরেফীন আদিত্য,বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহীন আল আমীন ও জা.বি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রফিক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ব্যাংক ত্রিশাল শাখা ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন ফুয়াদ।

জানা যায়,মানুষ মানুষের জন্য,মানব সেবাই পরম ধর্ম এই স্লোগান নিয়ে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “রফিক ফাউন্ডেশন” । প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে আসছে রফিক ফাউন্ডেশন। এরমধ্যে অভাবী, দুর্ঘটনায় কবলিত আহত এবং অসুস্থ মানুষের পাশে দাড়াঁনো,বন্যার্তদের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা সেবা,ত্রান সহায়তা, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন,বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরন,বেকারত্ব দূরীকরনসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে আসছে। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যাংক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ফুয়াদের নিজস্ব অর্থায়নে ২০০৪ সাল থেকে ঢাকায় একটি মাদ্রাসা, সর্দারপাড়া একটি মাদ্রাাসা ও টুপকারচর একটি মাদ্রাসাসহ একটি মসজিদ পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়াও কোভিড-১৯ কালীন বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও খাবার সরবরাহ, পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ,বিনামূল্যে হেলথ ক্যাম্প ও ওষুধ সরবরাহ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছে ফাউন্ডেশনটি।


আরও খবর



রাজাপুরে জুলাই গণহত্যা বিচার ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে ‘জুলাই এর প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা’ এই শ্লোগানে জুলাই গণহত্যা বিচার ও 

ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা উপজেলা শহীদ মিনার চত্তর থেকে কার্যক্রম শুরু করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা লিফলেট, গণসংযোগ ও বিক্ষোভ করেছে। লিফলেট বিতরণে তারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামুল্যে সুচিকৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। লিফলেট বিতরণের সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শরীফ ওসমান হাদি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনোদলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি তাইমুর হায়দার সজীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী খালিদ সাইফুল্লাহ, রাইয়ান বিন কামাল, ইয়াসিন বিন ইফতি, তামজিত খান, ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করাসহ ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শরীফ ওসমান হাদি।


আরও খবর



৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।

(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা ।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সাত হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছিলেন, দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে এসেই তিনি অবৈধ অভিবাসী তাড়ানো শুরু করবেন। আদতে তিনি করছেনও তাই।

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৭ হাজার ২৬০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমসবিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

এদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে কারাগারে রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইসিই।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে শনিবারের এক্সবার্তায় জানিয়েছে আইসিই।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




তিনদিনে সিরিয়ায় ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত তিনদিনে সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থি নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যোদ্ধারা ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার পলাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদ আল-বাশারের আমলের কর্মকর্তা।যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী বাহিনী নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পশ্চিম হোমস অঞ্চলে অনির্দিষ্ট ‘লঙ্ঘন’র জন্য বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।

সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ শুক্রবার একটি ‘ক্রাইম গ্রুপের’ সদস্যদের অভিযুক্ত করেছে যারা ‘নিরাপত্তা পরিষেবা’র সদস্য হিসেবে বাসিন্দাদের ওপর নির্যাতন চালাতো।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মনিটর জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় (তিন দিন) ৩৫ জনের প্রাণহানির গুরুতর লঙ্ঘন এবং সংক্ষিপ্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে এসব গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই পলাতক আসাদ সরকারের সাবেক কর্মকর্তা।

অবজারভেটরি জানিয়েছে, ‘হোমস এলাকায় নিরাপত্তা অভিযানে অংশগ্রহণকারী ক্ষমতাসীন নতুন সুন্নি ইসলামপন্থী জোটের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর কয়েক ডজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, অস্ত্রের বিস্তার এবং নতুন কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে বাশার আল-আসাদের গোত্রের আলাউই সংখ্যালঘুদের ওপর পুরানো নির্যাতনের প্রতিশোধ নিয়েছে।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরে বা জুনে যখনই হউক; জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যে রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ আগস্টের পরেই জাতীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম দিয়েই সরকারকে দুর্বল করা হয়েছে। এখন সরকার ও রাজনৈতিক দল মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এখন এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে এই বিভাজনই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিবে।

আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড়বে না। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো ছাত্রকে আমরা শক্ত অবস্থানে দেখছি না। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালানোর দরকার ছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তারা কেনো আওয়ামী লীগের প্রশ্নে একটা সুবিধাবাদী অবস্থায় আছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে। তারা ধান্দা করার জন্যই টাকা খরচ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কারে যারা কাজ করছেন, তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধে কি কাজ করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নূন্যতম একটি শর্ত রাখতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকেই প্রার্থীর পোস্টারসহ নূন্যতম খরচ দিতে হবে। এ সময় তিনি উপদেষ্টাদের ভূমিদস্যু এবং লুটেরা দুইটি গ্রুপের বৈঠকের অভিযোগ তোলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, কেন উপদেষ্টারা বিএনপিকে বলছে, তারা কি ১/১১ চায়? বিএনপি তো ১/১১ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বরং শোনা যাচ্ছে এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আশপাশে এক-এগারোর কুশীলবরা ঘোরাফেরা করছে। বরং মানুষের মনে উদ্বেগ যে, এ সরকার ব্যর্থ হয়ে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করে কি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, ব্যর্থ হবেন না। সব রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকার গত সাড়ে ৫ মাসে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। বরং পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো কেনো শেখ পরিবার, আওয়ামী হাইকমান্ড ও তৃণমূল থেকে আওয়ামী পান্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কেনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না; শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেনো নিত্যপণ্যের দাম না কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলো? সরকারের এসব ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে উপদেষ্টারা।

এসময় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫