Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মাসুদ উল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বামী মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তি বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৮ সালে উপজেলার ঘাসিরপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের কন্যা সাবিনা ইয়াছমিনকে রেজিষ্টি কাবিন মুলে ২য় বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ভরণপোষন ও বকশীগঞ্জ পৌর শহরে ৫ শতক জমি কিনে বাড়ি এবং ময়মনসিংহ শহরে ৩ শতক জমি কিনে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে ব্ল্যাক মেইল ও নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে। কোন কারন ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সে। আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক ও আমার সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সম্মানের ভয়ে সব কিছু মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকি। গত ছয়মাস আগে তার গর্ভে আমার কন্যা সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় সে আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি,মামলার হুমকি দিতে থাকে এবং আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে গত ৮ মে সোমবার আমি তাকে আইনগত ভাবে তালাক দিয়েছি। এরপর সে আমার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাজানো মামলা ও আদালতে একটি মামলা করে। এমনকি বিভিন্ন জনকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট করে সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করে আসছে। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের আইনে আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আইন মোতাবেক তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা করেছে আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নিব। তার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। তবে শিশু সন্তানটি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান। আমার মেয়েকে আমি চাই। তার বিষয়েও আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।  

উল্লেখ্য,গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন। তার দাবি স্বামীর অধিকার চাওয়ায় নির্যাতন করা হয়েছে তাকে।


আরও খবর



৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ গজারিয়ার মাদক কারবারি মোয়াজ্জেমের ভাই আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মামুন মিয়া (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে চেকপোস্টে ঢাকাগামী লেনে মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মো. মামুন মিয়া (৩০)। সে মুন্সীরগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে। এবং গজারিয়ার শীর্ষ মাদক কারবারি মোয়াজ্জে হোসেনের ছোট ভাই। 

বিষয়টি সম্পর্কে সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ঢাকাগামী লেনে একটি মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭% শুল্ক আরোপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, যাকে বাণিজ্য যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে আমেরিকান পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এখন থেকে বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা দেশটি প্রধানত রফতানি নির্ভর, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য। 

হোয়াইট হাউস জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীনের মতো সবচেয়ে বেশি অপরাধী দেশগুলোর পণ্যের ওপর আরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, এটি দেশের দেশের অন্যায্য বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মুক্ত বাণিজ্যনীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। দেশটির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়তে পারে।

হোয়াইট হাউস জানায়, ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ শুরু হবে ৫ এপ্রিল থেকে। এরচেয়েও বেশি হারে শুল্ক কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে।  

চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সিএনবিসিকে জানায়, চীনের ওপর নতুন পাল্টা শুল্ক আগের ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে, যার ফলে ট্রাম্পের এই মেয়াদে বেইজিংয়ের ওপর প্রকৃত শুল্ক হার দাঁড়াবে ৫৪ শতাংশ। আর জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ হারে শুল্ক বসবে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বসছে ৩৭ শতাংশ।

কিছু ছোট দেশের ওপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে। যেমন; দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ লেসোথোর পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, আর ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ শুল্ক বসবে।

হোয়াইট হাউসের একটি তথ্যপত্র অনুযায়ী, বেসলাইন (মূল মান) শুল্ক ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যকর হবে, এর মধ্যে প্রায় ৬০টি দেশ উচ্চমাত্রার পাল্টা শুল্কের আওতায় পড়বে। 


আরও খবর



শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনামুখি বিলের পদ্মফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

যশোরের শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হরিনাপোতা গ্রামের সোনামুখি বিলের গোলাপি রঙের পদ্মফুল। ফলে সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে।

দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর থেকে শুধু দুপা ফেলিয়া। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক ভালোবাসার প্রতীক ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়ায় মুশকিল। তাই বাড়ির পাশে ফোঁটা গোলাপি পদ্মের সৌন্দর্য উপ়ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাশু মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোনামুখি বিলের গোলাপি পদ্মের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে আসছে ভ্রমন পিপাশু মানুষও।

এখন বৈশাখ মাস তাই সোনামুখি বিলে পানি নেই, অথচ কাদামাটিতে ফুটে আছে লাখো লাখো পদ্মফুল। দেশীয় পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চারি দিক।এমন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যাস্ত এই বিলে বেড়াতে আসা প্রতিটি মানুষ,কেউ মোবাইল দিয়ে আবার কেউবা দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। কেউ কেউ টিকটকও করছেন। অনেক মুখ পরিচিতি ইউটিবারও আসেছেন এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কন্টেন্ট তৈরি করতে।

পদ্মফুল দেখতে আসা শার্শার জামতলার নুরে হাবীব জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

ইউটিবার রানা আহমেদ বলেন, আমি গোলাপি পদ্মের সংবাদ পেয়ে এই প্রাথম বার এখানে এলাম, আসার পরে দেখি যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পদ্ম। একটা বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে, পানি ছাড়া এমন লাখো পদ্ম কিভাবে ফুটলো? জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি এতটাই সুন্দর আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে মানুষের বিরুপ আচারণের ফলে অপরুপ গ্রাম বাংলার রুপ হারাতে বসেছি আমরা। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বিরুপ আচরণে বিলুপ্ত হয়ে না যায়।


আরও খবর



লাখো ভক্ত জনতার অংশগ্রহণে শেষ হল বাবাভাণ্ডারীর ৮৯তম ওরশ শরীফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়াই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন’

-বাবাভাণ্ডারী’র প্রপৌত্র ও বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী :

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও বাবাভান্ডারীর প্রপৌত্র রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরিকত হজরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হজরত বাবা ভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিন দিনব্যাপী ওরশ শরীফের সমাপনী দিবসে শনিবার (০৫ এপ্রিল) আন্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র‍্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্ত-জনতার অংশগ্রহণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আজম শাহ্সুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) ৮৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহ উদযাপিত হয়েছে। রাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আশেকানদের উদ্দেশে বিশেষ নসিহত ও বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান, বাবাভান্ডারীর প্রপৌত্র রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ-সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিনি আরো বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি-হানাহানির মূল কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে।

গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবা ভাণ্ডারীর শিক্ষা। হজরত গাউছুল আজম বাবা ভান্ডারী (ক.) আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রেখে পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মাজিআ) উল্লেখ করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজ ভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়ার মহাসচিব আলহাজ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজ ভাণ্ডারী, বিএসপির ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মাওলানা মুফতি বাকিবিল্লাহ আজহারী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী, আনজুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আলহাজ বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।


আরও খবর



মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০০

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০-তে। ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানেই। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩০০ জন।

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভূমিকম্পটি মিয়ানমারসহ অন্তত আটটি দেশকে কাঁপিয়ে দেয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেখানে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশে হাজারো ভবন ধসে পড়েছে, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

দুর্যোগের তিন দিন পার হলেও উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দলবেঁধে জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালালেও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা মিয়ানমারের নেই।

বিদেশি সাহায্যকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, তবে অবকাঠামোগত বিপর্যয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারে ৫.১ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যাতেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে নতুন এই কম্পনে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। মান্দালয়ের ২৫ বছর বয়সী হতেত মিন রয়টার্সকে জানান, তার স্বজনেরা ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়নি।


আরও খবর