Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

নানা অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আতাবুজ্জামান হেলালের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। বুধবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ ও সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ ছাত্রলীগ যৌথভাবে তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের করে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। মিছিলে এই মুহুর্তে প্রয়োজন হেলালের অপসারণ, হেলালের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’সহ নানা স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান,ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান লাল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া,কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফরহাদ রেজা, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাদ আহমেদ নয়ন,কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক প্রান্ত ও রাশেদুজ্জামান রনি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষক আতাবুজ্জামান হেলালের অপসারণ দাবি করেন। 

ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান তার বক্তব্যে বলেন, পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খন্দকার আতাবুজ্জামান হেলাল শিক্ষক জাতির কলঙ্ক। তিনি দুর্নীতিবাজ,চরিত্রহীন ও একজন চিহ্নিত দালাল। তার কারনে এই উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ধ্বংস হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে অপসারণ না করা হলে লাগাতার কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।  

সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সহকারী শিক্ষক আতাবুজ্জামান হেলাল বলেন, কেনো কি কারনে তার বিরুদ্ধে মিছিল সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ তা তিনি জানেন না।


আরও খবর



ভারতে মন্ত্রী পদমর্যাদার বাংলোতে শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির লোধি গার্ডেনের লুটেনস বাংলো জোনের একটি সুরক্ষিত বাড়িতে রয়েছেন। গত ২ মাস ধরে ভারত সরকারই সেখানে তার থাকার ব্যবস্থা করেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

শেখ হাসিনা ইজ ইন অ্যা লুটেনস দিল্লি বাংলো আন্ডার টাইট সিকিউরিটি রিং, লেফট হিডন বেস টু মান্থস অ্যাগো শিরোনামে দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার মর্যাদা অনুসারে তার থাকার জন্য বেশ বড়সড় বাংলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের বাংলো ভারতের মন্ত্রী, পার্লামেন্ট সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে শেখ হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্য প্রিন্ট ওই বাংলোর বিস্তারিত ঠিকানা বা সড়ক নম্বর প্রকাশ করেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে, নিরাপত্তার খাতিরে যথার্থ প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে বের হন। একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাদা পোশাকে ২৪ ঘণ্টা তার চারপাশে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবে তিনি এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

সূত্র আরো জানায়, তিনি এই বাড়িতে ২ মাসের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। সেখানে তার থাকার সব ব্যবস্থাই রয়েছে। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে বাংলাদেশ থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান। সেদিন তার সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বিমান ঘাঁটিতে দেখা করেন। এরপর ২ দিনের মধ্যে তিনি ওই বিমান ঘাঁটি ছেড়ে যান।

দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানায়, ওই বিমান ঘাঁটিতে তিনি দীর্ঘ সময় থাকতে পারতেন না। কারণ, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই কয়েক দিনের মধ্যে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত লুটেনস এলাকায় তার জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা ওই এলাকায় অনেক সাবেক ও বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্যের বাড়ি রয়েছে। শেখ হাসিনা বাড়ির বাইরে চলাফেরা করেন কিনা জানতে চাইলে সূত্র জানায়, কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে মূল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দলকে জানানো হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।

শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে আগস্টে ভারতের লোকসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে ভারতে আসার অনুমতি চেয়েছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে একই ফ্লাইটে ভারতে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ রেহানা এখনো শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে আছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।


আরও খবর

ঝুঁকির মুখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪




লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে অনেক দিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। তার চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, বিমানে যাত্রা করার মতো পরিস্থিতি হলেই তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া চলমান আছে। সেটি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ওপর

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে একটি চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। সেখানে তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাওয়ার জন্যও তালিকা দেওয়া হয়েছে

তবে, কবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা জন্য লন্ডনে নেওয়া হবে তা এখনো জানা যায়নি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। সবশেষ গত মাসে ছয়দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় তখনকার সরকার। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এমন শর্তে সাজা স্থগিত করে শেখ হাসিনা সরকার। সেই থেকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। শরীর বেশি খারাপ হলে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। এখন তিনি মুক্ত। বিদেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের রেমিট্যান্সের জোয়ার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

মালয়েশিয়ায় দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বাংলাদেশ। এই শ্রমিকরা স্বল্প খরচে মালয়েশিয়া যেতে পারলে সেখানকার শ্রমিক সংকট নিরসন ও তাদের অর্থনীতিতে যেমন অবদান রাখতে পারবে তেমনি বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবে। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২২ মাসে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ শ্রমিক মালশিয়ায় গিয়েছে। এই অভিবাসী শ্রমিকরা দেশের জন্য গত  ৩ বছরে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের অদূরদর্শীতায় মালয়েশিয়া সরকারের  সমঝোতা স্মারক প্রস্তাবে রাজী হয়ে সীমিত এজন্সি দিয়ে কর্মী পাঠিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতি দায়ভার নিতে হচ্ছে এখন রিক্রুটিং এজেন্সিদের। বায়রা সদস্যদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। এর পুরোটার জন্য দায়ী দুই সরকারের তথকালীন মন্ত্রী এবং সচিব। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ বায়রা সদস্যরা

সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন, বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকের আওতায় ২০২২ সালের ৮ই আগষ্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ২২ মাসে পৌনে ৫ লাখ বাংলাদেশী কর্মী মালয়েশিয়ায় গমন করেছে। বিশাল এই অভিবাসন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে অনলাইন ভিত্তিক ও স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার পদ্ধতি হওয়া কোন কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারিত হননি। 

তারা যথাযথ নিয়মে নিয়োগকারী কোম্পানিতে কাজ পেয়েছেন। এসব শ্রমিকরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন এবং সেটা রেমিটেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। ওই  ২২ মাসে যাওয়া শ্রমিকরা ন্যূনতম ১৫শ রিঙ্গিত মূল বেতন এবং ওভারটাইমসহ মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেতন- ভাতা পাচ্ছেন। 

এই হিসেবে তারা মাসে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। যদি আরো ৫০০ এজেন্সি এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারতো তাহলে কোন বিতর্কই থাকতোনা। তবে ১১০০ সহযোগি এজন্সি এই প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা  জানান

পুরানা পল্টনের একটি জনশক্তিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক রবিউল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়া যাওয়া শ্রমকিরা সেখানকার কাজের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কর্মীদের প্রায় সবাই ভালো আছেন। অধিকন্তু মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্মীদের চুক্তি মোতাবেক সকল প্রকার অধিকার ও কল্যাণ আন্ত:রিকতার সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। ওই ২২ মাসে বড় সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজে যোগদানের পর বাংলাদেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। 

বর্তমানে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া ৮ম থেকে ৪র্থ স্থানে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে মালয়েশিয়া হতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫১ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

জানা গেছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে ৩৫৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের নিয়োগকারী কোম্পানি সকল অভিবাসন ব্যয় বহন করেছে এবং আমাদের এজেন্সিকেও ব্যাংকিং চ্যানেলে মালয়েশিয়া হতে রিক্রুটিং চার্জ পরিশোধ করেছে। 

বর্তমান ধাপে মালয়েশিয়ায় গমনকারী পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী ও পরিবার-পরিজন মিলে অন্তত: ২৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। তারা আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০১টি এজেন্সিসহ সহযোগী এজেন্সি এবং নিয়োগকারীর পাওয়ার অব অ্যাটর্নীর মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রায় ১১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি বর্তমান ধাপের মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে। 

একজন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক বলেস, কোন একটি দেশে কর্মী প্রেরণকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে দুদক বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দফায় দফায় তদন্ত অথবা গণমাধ্যমে অপপ্রচার নিয়োগকারী দেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে ওই দেশে কর্মীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়

সরকারের এ্যালোকেশন অব বিজনেস মোতাবেক জনশক্তি রপ্তানি খাতের সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন তদন্তে যারা ভালো ব্যবাসায়ী তাদেরকে সহযোগিতা ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ, তদন্ত করা উচিত। বিদ্যমান আইনের আওতায় তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়ে এই সেক্টরে বর্তমানে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা দূর হবে এবং দ্রুতই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য শীঘ্রই পুনরায় উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। 

বায়রার সাবেক সাধারণ সম্পদক আলী হায়দার চৌধুরী জানান, মালয়েশিয়া প্লান্টেশন ও কৃষি খাতে বিদেশি কর্মীর চাহিদা প্রচুর। মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সে দেশের শ্রমিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিষয় সবসময় আন্তরিক। আমরা ওই দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো। 

 


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো জায়গা হবে না

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো জায়গা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বুধবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে

তিনি বলেন, তারা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা (রাজনৈতিক) মেকানিজম তৈরি করেছে, তারা নিজ স্বার্থে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করেছে। নিশ্চিতভাবেই স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তার (শেখ হাসিনা) কোনো জায়গা হবে না, আওয়ামী লীগের কোনো জায়গা হবে না

ড. ইউনূস বলেছেন, এখনি ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে না সরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তার বড় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আমি মনে করি না যে, রায় হওয়ার আগে এটা করার দরকার আছে

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সম্ভবত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে, তবে অন্তর্বর্তী সরকার দলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে না, কারণ এটি কোনো রাজনৈতিক সরকার নয়। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতেই নেওয়া হবে

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদেরকেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্থান নির্ধারণ করতে হবে

এ সময় ড. ইউনূস জানান, আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই। সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের রূপরেখাও চূড়ান্ত করেনি। আমাদের কাজ সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করব

শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর সরকার হাসিনাকে ফেরত চাইবে বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূস

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আমি মনে করি না যে, রায় হওয়ার আগে এটা করার দরকার আছে

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. ইউনূসের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতা নিয়ে ভারত যে অভিযোগ করছে, তার কোনো সত্যতা নিশ্চিত করেনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো

ড. ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং খুব অল্প সংখ্যক প্রাণহানি হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, তাদের ধর্মের ভিত্তিতে নয়, আওয়ামী লীগের অনুসারী হিসেবে টার্গেট করা হয়েছে

তিনি বলেন, (আগস্টে হামলার শিকার) অধিকাংশ হিন্দু আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। এটাকে ভিন্ন রূপ দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিবেশী। আমাদের একে অন্যের প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে, যেমনটি দুই প্রতিবেশীর থাকা উচিত

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সরকার জানিয়েছে, তিনি এখন দিল্লিতেই অবস্থা করছেন


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪




জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। সব বোর্ডের ফলাফলের ভিত্তিতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তৈরিকৃত সারসংক্ষেপ থেকে জানা গেছে এ তথ্য

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দমশিক ৯৫ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ

জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়েও এগিয়ে আছে মেয়েরা। মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন। আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন

এ নিয়ে টানা চার বছর ধরে সাফল্যের এ ধারা বজায় রাখল দেশের মেয়েরা। শুধু পাসের হারের বিচারে বিগত ১৫ বছর ধরে এগিয়ে তারা

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে থাকছে মেয়েরা

২০০৯ সালে শেষবারের মতো পাসের হারে মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে ছিল ছেলেরা। সে বছর মোট পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের বেশি। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। হয়নি ব্যবহারিক পরীক্ষাও

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা পিছিয়ে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ

যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে


আরও খবর