Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি: 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাদকের মামলায় যাবজ্জীবন সহ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীরা হলো বকশীগঞ্জ উপজেলার লাউচাপড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী রাশেদুজ্জামান রনি (৩৫) ও ঘাসিরপাড়া গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইদু মিয়া (৪৮)। 

বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার লাউচাপড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে রাশেদুজ্জামান রনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ঢাকার সবুজবাগ থানায় একটি ও ২০১৫ সালে যাত্রবাড়ি থানায় একটি মাদক মামলা হয়। দুই মামলায় রনির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন থেকেই রনি পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপরদিকে উপজেলার ঘাসিরপাড়া গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে ইদু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে বকশীগঞ্জ থানায় মাদকের মামলা হয়। মামলায় ইদু সরকারকে দুই বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনিও পলাতক ছিলেন। 

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহেল রানা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সোমবার রাতে বকশীগঞ্জ থানার এ এস আই মাহফুজের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় নিয়ম-নীতি অমান্য করে সরকারী প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে কাদা-মাটি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে নিয়ম-নীতি অমান্য করে সরকারী প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে কাদা-মাটি। এমনকি

সরকারী স্থাপনার ক্ষতি করেই সরকারী প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে কাদা-মাটি। ফলে এক দিকে যেমন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে সরকারী স্থাপনা দূর্বল হচ্ছে অপরদিকে চরম দূর্দশার সম্মুখিন হচ্ছেন সর্ব-সাধারণ।প্রকল্পও হচ্ছে দূর্বল বা হালকা। সংশ্লিষ্টরা সরকারী প্রকল্পে মাটি দেয়ার নাম করে আইন ভেঙ্গে সে মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও আইন ভেঙ্গে মাটি কাটায় উৎসাহিত হচ্ছেন। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলে আসলেও এর সমাধানে এগিয়ে আসছে না কেউ। প্রশাসন বলছেন সরকারি প্রকল্পের স্বার্থে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা।

সরকারি প্রকল্পের নাম করে উপজেলার ৩ ফসলী জমি কেটে, মজা-পুকুরের গলামাটি তুলে, সরকারি পাকা রাস্তা ঘেঁষে, এমনকি সদ্য নির্মিত সরকারী ব্রিজের বেজমেন্ট কেটে এবং সরকারী নদী ও খাড়ি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাঁটায় বিক্রি করছেন একটি চিহ্নিত চক্র। দিন-রাত মাটিবাহী ট্রাক্টর ও ট্রাক চলাচল করায় পাকা রাস্তাগুলোর উপর ঘন ধূলার স্তর পরে গেছে। একটু পানি পড়লেই কাদা-মাটিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। এছাড়া প্রকল্পে কাদা-মাটি দেয়ায় জনসাধারণের চলাচল ও দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন দূরুহ হয়ে পড়ছে।

গত ১ মার্চ বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন এর সুলতানপুর গ্রামের একটি মজা-পুকুর থেকে গলা মাটি ভ্যেকু মেশিন দিয়ে তুলে খোলা ট্রাক্টরে করে পরিবহণ করছিলেন কালু ও তার সঙ্গীরা। তারা জানান, উপজেলা সদরের গরু হাটিতে মাটি ভরাটের সরকারী প্রকল্পে মাটি দেয়া হচ্ছে। ঐসময় স্থানিয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিক কে জানালে তিনি ও মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুকুর মালিক ও ভ্যেকু মালিকের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে এবং ৪ জন ট্রাক্টর মালিকের প্রত্যেকের ১৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু পরে ঐ প্রকল্পের পুরোটাই কাদামাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, এখন বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া খরচ বেশি হওয়ায় বালুর পরিবর্তে মাটি দেয়া হচ্ছে।

৭ মার্চ এই চক্র উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের দোহালী-চকজোথহরি পাকা সড়কের চকশিবরামপুরে চকদোরাই সরকারি খাড়ির উপর সদ্য নির্মিত ৪৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের বেজমেন্ট কেটে ও ব্রিজের গা ঘেঁষে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে ৩০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে অসংখ্য ট্রাক্টর যোগে পরিবহণ করে নিয়ে যায়। তারা ওই খাড়ির উঁচু পাড় কেটে ফেলে। কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে এই খাড়ির মাটি কেটে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। জানতে চাইলে মাটি ব্যবসায়ী কালু জানায়, গরু হাটির সরকারী প্রকল্পে এই মাটি দেয়া হচ্ছে। এখানে মাটি ভরাটের জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও সরকারী খাড়ি থেকে কেনো মাটি চুরি করতে দেয়া হবে, অথবা কেনো বালির পরিবর্তে কাদামাটি দেয়া হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের চাঁন্দাশ গ্রামে সরকারী পাকা সড়ক সংলগ্ন একটি পুকুরের বিশাল পাড়ের গাছপালা কেটে ফেলে পুকুর সম্প্রসারণ করে মাটি কেটে ট্রাক্টর যোগে পরিবহণ করছিলেন এই এলাকার নান্নু নামে এক মাটি ব্যবসায়ী। এই পুকুরের কাদামাটি তুলে পুকুর পূণ:খনন করে সেগুলো দিনরাত পরিবহণ করায় মহাদেবপুর-ছাতড়া-রহনপুর আঞ্চলিক পাকা সড়ক কাদায় সয়লাব হয়ে যায়। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় সরকারী পাকা রাস্তা রক্ষার জন্য ইতিপূর্বে সরকারী টাকা ব্যয় করে পাকা গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেয়া হয়। কিন্তু পূণ:খনন করায় সে গাইড ওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফত আরাকে জানানো হলে তিনি সেখানে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে পাঠান। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জানান, ঐ মাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকল্পের নাম করে এখান থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাঁটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় দু'শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে আত্রাই নদী ড্রেজিং ও বাঁধ পূণ:নির্মানের কাজ করছে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার অন্যস্থান থেকে মাটি এনে বাঁধ পূণ:নির্মাণ করবেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন প্রচলিত আইন না মেনে বা আইন অমান্য করে একের পর এক স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে প্রকল্পের কাজ করছেন। এর আগে এই প্রকল্পের জন্য মহিষবাথানে পাকা সড়ক সংলগ্ন, দেবীপুর, আদ্যাবাড়ি, পন্ডিতপুর প্রভৃতি স্থানে ৩ ফসলী জমি গভীর করে কেটে ও পুকুর খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এমন কি নদীর ড্রেজিং করা লাল কাদামাটি তুলেও এই বাঁধে দেয়া হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো বাঁধ কাদায় কাদাময় হয়ে থাকে। ফলে বাঁধের উপর দিয়ে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি পাড়ের আশে-পাশের এলাকায় বসবাসরত লোকজন বাঁধের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারেন না। বর্ষার সময় তারা এক রকম গৃহবন্দী অবস্থায় দিন যাপন করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারী প্রকল্পে ঠিকাদার বৈধভাবে মাটি দিতে বাধ্য। এজন্য তিনি উপযুক্ত দাম পাবেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আইনগত ভাবে মাটি কাটার অনুমতিও নিতে পারেন। কিন্তু তা না করে বে-আইনীভাবে সরকারী প্রকল্প কেন পরিচালিত হবে তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না কেউ। এনিয়ে জনমনে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী প্রকল্পে সরকারী আইন ভেঙ্গে কাজ হওয়াকে সরকারী যন্ত্রের চরম ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূলে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলোর মাঠে বাস্তবায়ন একেবারেই কম। 

বিশেষ করে মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল সেটি বাস্তবায়নের প্রবণতা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। 

প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ শেষ দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, একমাত্র নাটোরের সিংড়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে ২৫ জনের মতো। এর মধ্যে ১৫ জন আছেন প্রথম পর্বে। বাকিরা অন্য পর্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এই ১৫ জনের মধ্যে একমাত্র রুবেল ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন এবং নানা রকম টালবাহানা করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল ধরবাড়ি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তার খালাতো ভাই হারুনুর রশীদ হীরা। 

এখন বলা হচ্ছে যে, হিরা রাজনীতিতে ড. রাজ্জাকের চেয়ে প্রবীণ এবং তিনি ভাইয়ের পরিচয়ের রাজনীতি করেন না।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলে কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। 

নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপু প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়। সেখানেও তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেই স্থানীয় এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলে দিয়েছিলেন যে, ছেলে সাবালক হলে কি করার আছে? তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও এমপির স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচনে উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মোঃ সফিকুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রার্থী হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন থেকে সরে যাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হতে প্রার্থি হয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দূর্জয়।তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক।

এভাবে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন উপজেলায় যারা স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নানারকম টালবাহানা করছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে আরেকটি বড় নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়। মন্ত্রী- এমপিরা যেন তাদের নিজস্ব প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন না দেন। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। 

বরং অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতারাও প্রার্থী দিচ্ছেন এবং কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে। 

বরিশাল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদীর আসনে ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এখানে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। 

ফলে সেখানে কোন ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিদের প্রভাবের কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

কুমিল্লা সদর, চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া এই  ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোথাও কোথাও একক প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্য প্রার্থীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা মাঠে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে।

 এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে।


আরও খবর



ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধে উত্তাল বুয়েট

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রাজনীতি আবার ফের শুরু করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নেয়। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা বলছেন তাদের সকল দাবিই মানতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আমরা বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল; উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কেন, কিভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে সকল ডিএসডাবলুর পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়াত এর প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান।

তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরুপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

 


আরও খবর



দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর



২৩ নাবিকের মুক্তি যেকোনো সময়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২৩ নাবিক ও জাহাজের মুক্তিপণের দরকষাকষি শেষ পর্যায়ে। যে কোনও সময় মুক্তি মিলতে পারে।

ঈদের আগে নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের দেশে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

এমন তথ্য জানিয়েছেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তি বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় হয়তো ভালো খবর আসতে পারে।

জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জিম্মিদশার অবসান হতে পারে কয়েক দিনের মধ্যে। ঈদের আগেই নাবিকরা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর ৫ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে নাবিকদের দেশে ফিরতে। কেননা তারা মুক্তি পাওয়ার পর তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে দেশে ফিরবেন।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে আলোচনা চলছে মুক্তিপণ নির্ধারণ ও প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে। অতঃপর মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পরিবহন সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। ওই পরিবহন সংস্থা নগদ ডলার কিংবা জলদস্যুদের চাহিদামতো মুদ্রায় পৌঁছে মুক্তিপণ পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে।


আরও খবর