Logo
শিরোনাম

বন অধিদপ্তরে প্রজেক্ট থেকেই ক্যাডার!! বঞ্চিত মেধাবী চাকরীপ্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

এনামুল হক ফারুক, সংবাদকর্মী :

কোন সরকারী চাকরীর পরীক্ষা ব্যতীত সাবেক ক্ষমতাসীন দল, প্রভাবশালী আমলা ও অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সিনিয়র অফিসিয়ালদের প্রত্যক্ষ মদদে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত কতিপয় কর্মচারীকে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্যাডারভূক্তির জন্য নয়-ছয় চলছে বন অধিদপ্তরে।

বিগত সরকারের আমলে "স্ট্রেংদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন" শীর্ষক প্রকল্পে ১ম শ্রেণিতে ১২ জন- এর মধ্যে ১ জন পশু-চিকিৎসা কর্মকর্তা, ১ জন বাস্তসংস্থানবিদ, ১ জন মহামারী বিশেষজ্ঞ, ১ জন সর্পবিদ, ১ জন মৎস বিশেষজ্ঞ, ১ জন স্তন্যপায়ী প্রাণিবিদ, ১ জন পাখিবিদ ও ৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং ২য় শ্রেণিতে ৭ জন- এর মধ্যে ১ জন উর্ধ্বতন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ৬ জন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নেওয়া হয়। ২০১১ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প শুরু হয়। প্রকল্প শেষে তাদের শর্তানুযায়ী চলে যাওয়ার কথা থাকলেও কোন এক অদৃশ্য জাদুকরী শক্তির প্রভাবে তারা ২০১৭ সালে রাজস্বে স্থানান্তরিত হয়।

বিগত সরকারের আমলের আরেকটি প্রকল্পের নাম "জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন"। এই প্রকল্পের কর্মচারীরাও (মোট ৫৭ জন) নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে ঐ একই শক্তির প্রভাবে ২০১৬ সালে রাজস্বে স্থানান্তরিত হয়। ২৫ জন ১ম শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে ২৩ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা, ১ জন বন্যপ্রাণী ও গবেষণা কর্মকর্তা এবং ১ জন গণ-সংযোগ কর্মকর্তা বন অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আছে।


জুলাই বিপ্লব যখন তুঙ্গে, যখন ক্ষণে ক্ষণে রাজপথে ঝরে যাচ্ছিল একটা একটা করে তাজা প্রাণ, ঠিক তখনই সবার অলখ্যে ০১ আগস্ট ২০২৪ পিএসসির আলোচনাসভায় উঠে আসে উপযুক্ত প্রকল্প হতে রাজস্বে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের সরকারী চাকরীতে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণের বিষয়টি। সরকার পতনের আভাস পেয়ে ঐদিনই এটা পাস হয়। বিজয় পরবর্তী সময়ে যখন নতুন সরকার বিভিন্ন দাবী দাওয়া আর ভাঙ্গা আইন ব্যবস্থা পুনর্গঠণে ব্যস্ত, ঠিক তখনই মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তাদের চাকরী নিয়মিতকরণ হয়। এই কাজটি এতোটাই গোপনীয়তার সাথে করা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এর প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়নি। এরই মধ্যে আবার তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ফাইল বন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির গন্ডি পার হয়ে এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান করছে। এই ফাইল যেন চন্দ্র-সূর্যের চেয়েও গতিশীল। কোন বিপ্লব বা সরকার পতন- কিছুই এর গতি রোধ করতে পারেনি।

সম্প্রতি নেওয়া "বন অধিদপ্তর সংস্কার পরিকল্পনা" পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে এর ১৮ নম্বর প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে ২০ জন ক্যাডার বহির্ভূত সহকারী বন সংরক্ষকগণের বিসিএস বন ক্যাডারভূক্তি করতে হবে এবং ১৯ নম্বরে বলা হয়েছে যে সকল বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তাকে পদনাম পরিবর্তন করে বিসিএস বন ক্যাডারভূক্ত সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে পদয়ায়ন করতে হবে। উল্লেখ্য যে, সহকারী বন সংরক্ষক পদটি সরাসরি বিসিএস বন ক্যাডার দ্বারা ৬৭% ও পদোন্নতির মাধ্যমে ফরেস্ট রেঞ্জার হতে ৩৩% পূর্ণ করার বিধান আছে। অন্য কোনভাবে এই পদে ক্যাডারভূক্তি সম্পূর্ণ বেআইনি।

জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে বৈষম্য দূরীকরণের চেতনা। সেখানে নতুন বিসিএস এর মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ না দিয়ে ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট প্রকল্প কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ ও ক্যাডারভূক্তি কি সিস্টেমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে যাওয়া পুরনো ভুতের অস্তিত্ব জানান দেয় না?কেন সত্যিকারের মেধাবীদের বঞ্চিত করে চাটুকারিতা ও মেধাহীন জাতি প্রাধান্য পাবে ?


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত। এই শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে খাওয়া নিম্ম আয়ের মানুষরা। এমন শীতার্ত মানুষদের শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। চলতি শীত মৌমুসে দেশের শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও ফকির গ্রুপের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) ও ফকির মাশরিকুজ্জামান। ইতিমধ্যেই দেশের শীত প্রবণ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। স্যারদের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো দেশের যে সব অঞ্চলে শীত বেশি হয় সেই সব জেলায় ধারাবাহিক ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে ফকির গ্রুপের আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন। দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের অংশ হিসেবে উত্তরের জেলা নওগাঁর রাণীনগরে সহস্রাধিক শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, ফকির গ্রুপের হিসাব শাখার সিনিয়র অফিসার আশরাফুজ্জামান। এই বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় ভাবে সহযোগীতা করেন রিপন নীল, আবু হাসান আকাশ প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, আগামীতে যদি এই অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে সরকারের পাশাপাশি ফকির গ্রুপের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো বেশি সংখ্যক শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হবে ফকির গ্রুপ। শুধুমাত্র নিশ্চিত করতে হবে যেন শীতবস্ত্রগুলো প্রকৃত শীতার্ত মানুষরা পান। এই উপজেলায় আগামীতে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আশ্বাস প্রদান করেন আয়োজকরা।  


আরও খবর



রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জমি দখল ও ঘর নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মান করে দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ওফাজ উদ্দিন ফরাজির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, বড় কৈবর্তখালী গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে সোহরাফ হোসেন খোকন কিছুদিন পূর্বে তাদের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে গোপনে বড় কৈবর্তখালী মৌজায় বিএস ৭৬৯ নং খতিয়ানের ২২৭০ ও ২০৯২ দাগে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহসড়কের পূর্ব পাশে ২২৭০ দাগ থেকে প্রায় ৬.৫৩ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু সোহরাফ হোসেন খোকন তার কবলাকৃত সম্পূর্ণ সম্পত্তির চেয়েও বেশি জমি রাস্তার পার্শ্বের দামী পজিশন থেকে আপোষ মিমাংসা না করে জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে বেড়ি বাধ দেয়। মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, তার পিতা ওফাজ উদ্দিন ফরাজী এর ওয়ারিশ ও রাশিদা আক্তারের কাছ থেকে একই তফসিলভূক্ত জমি সাব কবলা সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। ওই বিরোধীয় জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক তারিকুল ইসলাম ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হয়ে ঝালকাঠি আদালতে ঝালকাঠিতে প্রিয়েমশন (জমি অগ্রক্রয়) আইনে মামলা নং ১১/২০২৪ এবং ১৬/২০২৪ দায়ের করলে আদালত গত ১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই মাহাবুবুর রহমান ওই জমি নিয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা নং ১১২/২০২৪ দায়ের করেন। যা শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষকে নির্মান কাজ পরিচালনা করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রাজাপুর থানার পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মানের লক্ষ্যে পিলার তৈরী করে এবং পরবর্তীতে তাদের হয়রানী ও ফাসানোর জন্য জমির এক পার্শ্বে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পূর্বে নির্মিত একটি ছোট কুঁড়েঘর নিজে ভাংচুর করে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মান ও পিলার তৈরি কাজ বন্ধ পূর্বক আইন আমান্যকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাফ হোসেন খোকন জানান, তিনি দলিলমূলে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে ৬.১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তারা তো পুরো জমির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না। আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিতে তো আমরা বাধ্য। তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্য অংশে কাজ শুরু করলে তারা কিছু পোলাপান নিয়ে সবকিছু মেচাকার করে ফেলছে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে জমিতে প্রবেশে বারন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টাই আদালতের তাই আদালতের নির্দেশনা কোন পক্ষ উপেক্ষা করলেও তা ওই আদালতে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



বার্ড ফ্লু আতঙ্কে জরুরি অবস্থা জারি ক্যালিফোর্নিয়ায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বার্ড ফ্লু ভাইরাসের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এক বিবৃতিতে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। খবর সিবিএস নিউজের।

গভর্নর গ্যাভিন নিউজম বিবৃতিতে জানান, সরকারি সংস্থাগুলো যাতে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে সেজন্য রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন লুইসিয়ানায় প্রথম একজন গুরুতর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির খবর জানিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার কোনো ঘটনা পায়নি বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৬১ জনের দেহে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের ঘটনা রেকর্ড করেছে-যার ৩৪টিই ক্যালিফোর্নিয়ায়।


আরও খবর



ঢাকার আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টির বার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের মধ্যেই ঢাকার আকাশে কালো মেঘ জমেছে। ভোর থেকে আকাশ মেঘলা হয়ে উঠে। যদিও তেমন ঘন মেঘ নয়। অনেক সময়জুড়েই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর সর্বশেষ যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে আজ ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

তার পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক-১) জানানো হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৩.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। বর্তমানে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চাঁদাবাজির কারণেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ঢাকা শহরে এই চাঁদাবাজি দমনে দ্রুতই চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে অভিযান শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দুই-তিনদিনের মধ্যেই তালিকা ধরে গ্রেপ্তার শুরু হবে। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

চাঁদাবাজির সঙ্গে রাজধানীতে ছিনতাইও বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোবাইল ছিনতাই বেড়েছে। রাস্তাঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচল করতে হবে।

ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে, হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এ জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। সেইসঙ্গে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন, অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। এছাড়া যানজটের মধ্যে গাড়িচালকরা অনবরত হর্ন বাজাতে থাকেন। কিন্তু যানজটের মধ্যে হর্ন বাজালে সমাধান কি? যারা বারংবার হর্ন বাজাবে তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫