Logo
শিরোনাম

বন্ধ হয়ে গেল গাজার বড় দুই হাসপাতাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার হৃদরোগ ওয়ার্ড ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। হামলা এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটের কারণে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭ শিশু। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিবেশী মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। পানি ও খাদ্য সংকটে তাদের বেঁচে থাকাও খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে আল শিফা হাসপাতাল বন্ধ হতে না হতে গাজা শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু এ দুটি নয়, এর আগে একই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার আরও ২৫ থেকে ৩০টি হাসপাতাল। এখন সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের জীবন বাঁচানো নিয়ে শুরু হয়েছে স্বজন ও চিকিৎসকদের আরেক যুদ্ধ। ইসরায়েল সরকারের দাবি, হাসপাতালের নিচে রয়েছে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ। আর সে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও হামাস হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের প্রধান হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখে হামলা চালাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলের অবরোধ আরোপ, জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া ও অব্যাহত হামলার কারণে শনিবার রাতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা বন্ধ হয়ে গেছে। হামলার কারণে হাসপাতালটির হৃদরোগ ওয়ার্ড সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া হামলার কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রটিও এখন অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভেতরে থাকা ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭টি শিশু রয়েছে। হাসপাতালের ভেতর যেসব রোগী আছেন, তারা এখনো সেখানে আটকে আছেন, সদ্যই জন্ম নেওয়া দুটি শিশু মারা গেছে এবং হাসপাতালের আশপাশে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দেড় হাজার মানুষ মারাত্মক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এই মুহূর্তে খাদ্য তো দূরের কথা, খাওয়ার পানি পর্যন্ত নেই তাদের।

আল শিফার এ ধরনের অবস্থার মধ্যে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের আল কুদস হাসপাতালে আর কোনো ধরনের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে পিআরসিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, খাদ্য ও পানির ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ না থাকার পরও হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চলমান ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে হাসপাতালটিতে আর কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। সেখানকার চিকিৎসা কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি আরও বেড়ে গেছে। রেড ক্রসের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সও পাঠাতে পারছেন না।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে হামলার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে বিবিসি। তিনি জানিয়েছেন, হামলার সময় মাটি যেন কেঁপে উঠেছিল। হামলায় আবাসিক ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগেও এ ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘ জানায়, গাজায় অবস্থিত তাদের একটি কার্যালয়ে রাতভর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক ছিটকে পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকা ধানবাহী ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চৌমাশিয়া ( নওহাটামোড়) বাজারের পার্শ্ববর্তী খোর্দ্দনারায়নপুর কল্পনা চাউল কল নামক স্থানে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক হলেন, নওগাঁর মান্দা থানাধীন প্রসাদপুর বাজারের মৃত ডাঃ ছয়ফুদ্দিন এর ছেলে সামসদ্দীন ওরফে ডিউ (৫৪)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সামসদ্দীন ওরফে ডিউ তার পরিবার তথা স্বজনদের সাথে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়ে) বাজারে আসেন। এক পর্যায়ে সে তার  পালসার মোটসাইকেল যোগে নওহাটামোড় থেকে নিজ বাড়ি প্রসাদপুর বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে দূর্ঘটনাস্থলে পৌছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী ট্রাক তার সোটরসাইকেল কে সজোরে ধাক্কাদিলে সে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন। এসময় পেছনে আসা তার স্বজনরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে জীবিত আছেন ভেবে দূর্ঘটনাস্থল থেকে তাকে ও তার মোটরসাইকেল টি নিয়ে প্রসাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এমন খবর পেয়ে স্থানিয় নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে মহাসড়কের উপর জড়ো হওয়া লোকজন কে  সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

প্রতিবেদক কে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর মান্দা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম।

অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান প্রতিবেদক কে বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার আগেই তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় সে মারা গেছে।


আরও খবর



৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :  প্রকৃতিতে শীতের আমেজ ও বছরের শেষ সময় পর্যটন মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমন নেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা কোলাহল মুখর ছিল, সেসব স্থান এখন নীরব।

গত অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। অলস সময় পার করছেন জেলার দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটগুলো হলো কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জল প্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ন দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সবুজ চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।

সাধারণত বন্ধের দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় থাকে। গতকাল শুক্রবার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট কোনো পর্যটক শূন্য দেখা গেছে। পর্যটন নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খালি, দেশী- বিদেশি কোনো পর্যটক নেই। অথচ গত এক মাস আগেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টাহাউসে শতভাগ অগ্রিম বুকিং থাকত। চলতি বছরেও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটনশিল্পে আবারও বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীমঙ্গল হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা জানান, নভেম্বর পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে চলতি মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগ ট্যুরিস্টও নাই।

আবুজার বাবলা বলেন, এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা ভাড়া সব কিছু দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে।

কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটক বলতেই নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে, সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচা-বিকি নাই। দুরবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। একই ধরনের কথা জানান কসমেটিক ও চা-পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ম্যানাজার শাহিন আহমেদ বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরের এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ট্যুরিস্ট আসতেন, তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হত ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এখন গড়ে ৮০-১২০ জন পর্যটক আসছেন সরকারের রাজস্ব আসছে ৩-৫ হাজার টাকা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই। মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না, তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো তা এখন হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক প্রবাণ সিনহা বলেন, নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে পৃথক ঘটনায় একরাতে গুলিতে তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উখিয়া ১৭ নম্বার মধুর ছড়া ও জামতলির ১৫ নম্বার ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/-এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭), ক্যাম্প-১৭-এর আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩০), ক্যাম্প- ইস্ট ব্লক-জি/১২-এর মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) এবং ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/-এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭)

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চারজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পের ব্লক জি৩ ও ব্লক-৭ এর খালি জায়গায় গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এ সময় দুজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হন। তবে সন্ত্রাসীদের আরসা বললেও নিহত ও আহতরা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) কিনা এ বিষয়ে কিছু বলেননি ওসি।

অন্যদিকে ১৭ নং ক্যাম্পে ঘটনা নিয়ে ওসি শামীম হোসাইন জানান, কথা আছে বলে ঘর থেকে কাশিমকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাকেও গুলি করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি শামীম হোসাইন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ৪নং ক্যাম্পে আরেকটি ঘটনায় গুলি করে হত্যা করা হয় এক যুবককে। তার নাম ইমাম হোসেন (৩০)। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা জি-১২ ব্লকের মনি উল্লাহর ছেলে।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকের মাধ্যমে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেছেন, আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। একেকজন ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু ও ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৩০০ জনকে এ পণ্য দেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে এ পণ্য বিক্রি হবে। এর ফলে নতুন করে ৯ হাজার পরিবার এ সুবিধায় যুক্ত হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসব কথা জানান সচিব।

তিনি আরো জানান, ট্রাকে প্রতি কেজি মুশুর ডাল ৬০ টাকা, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে। আপাতত চিনি দেওয়া হবে না। আমরা সব কর্মদিবসে কার্যক্রম চলমান রাখব। শুক্র-শনিবার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




আমেরিকা ক্যান্সার গবেষণা করতে নিয়োগপত্র পেলেন মাহমুদা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থী মোছা. মাহমুদা খাতুন চৈতী আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ক্যাম্পাসে ক্যান্সার গবেষণার জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। 

উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন এবং পাবলিক হেলথ এর অধীনে অনকোলজি বিভাগের ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে তিনি মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার নিয়ে একজন গবেষণা সহকারী হিসেবে গবেষণা করবেন । নিয়োগপত্রে, প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে মাহমুদা খাতুন সেখানে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাবেন বলেও জানা যায়।

মাহমুদা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের দত্তবাড়ী গ্রামে। তিনি সালেহা ইসহাক সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকে তৃতীয় ও স্নাতকোত্তরে প্রথমস্থান দখল করে সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের দি উইহারা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ পেয়ে সিমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি  বিভাগের অধিনে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কাঠামোগত প্রোটিনের গঠনকে কেন্দ্র করে কিভাবে করোনা ভাইরাসের ঔষধ তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ম্যাকআর্ডল গবেষণাগারে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার জন্য সহকারী গবেষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। 

তার অনূভুতির কথা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অনেক ত্যাগ ও ধৈর্যের ফলে আজকের এই প্রাপ্তি।  যে ল্যাবের পেপার পরতাম আর ভাবতাম একদিন যদি অমন ল্যাবে কাজ করতে পারতাম! সকলের দোয়ায় সেটা আজ সত্যি হবার পথে। বড় হবার প্রচন্ড ইচ্ছাই মানুষকে বড় করে তোলে এই কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমার এই প্রাপ্তির পিছনে প্রচন্ড কঠোর পরিশ্রম আর ডেডিকেশন রয়েছে। এই চলার পথে যে মানুষটি আমাকে সব সময় সাহস দিয়ে গেছে সে হল আমার স্বামী শরিফুল ইসলাম। আমি কৃতজ্ঞ আমার ফ্যামিলির প্রতি  আমার শ্বশুর বাড়ির সবার প্রতি,যারা সব সময় আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ আমার সকল শিক্ষকগনের প্রতি, যাদের শিক্ষা আর দেখানো স্বপ্ন দেখে আজ আমি এইখানে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার জাপানিজ সুপারভাইজারদের প্রতি যারা এতোটুকু কৃপনতা করেনি আমার রিকমেন্ডেশন লেটারে। সর্বশেষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রানপ্রিয় বন্ধুদের প্রতি যারা সব সময় আমাকে সাহস আর ভালো বুদ্ধি দিয়ে গেছে।


আরও খবর