Logo
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে আনসার বাহিনীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যুক্তফ্রন্ট, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবী ও অবশেষে স্বাধীনতা অর্জন সবকিছুর সঙ্গে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের ভূমিকা রয়েছে। 

মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে গ্রামের প্রতিটি আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাঝে অস্ত্র দিয়ে পাক-বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর লাল সবুজের বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনের পেছনে এই বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। তাই মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য বাংলাদেশের এক একটি গর্ব। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের অনেক ভূমিকা রাখতে হবে। তাই কোন প্রকারের গুজবে কান না দিয়ে সরকারের প্রদান করা প্রতিটি নির্দেশনাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার প্রতি তাগিদ দেন মহাপরিচালক।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নওগাঁ কর্তৃক জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল ইসলাম এনডিসি, এএফডবিøউসি, পিএসসি, পিএইচডি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এর আগে মহাপরিচালক বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন। 

শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন নিরাপত্তা সর্বত্র আমরা এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আয়োজিত সমাবেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নওগাঁর জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ রাফি উদ্দিন জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পরিচালক কামরুন নাহার। সমাবেশে নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার সকল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন। 

পরে মহাপরিচালক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল ও সেলাই মেশিন বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। 


আরও খবর



লালমনিরহাটের মেলা উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লালমনিরহাট সদরের কালেক্টরেট খেলার মাঠে স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি.র আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।  গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকেলে বাণিজ্য ও শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন।  এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কমিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এই মেলা ৯ মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেলা বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে একাধিক মানববন্ধন করে গোশালা বাজার ও গোশালা রোড  ব্যবসায়ীরা সহ খেলাপ্রমি মানুষজন। বিভিন্ন হাটে বাজারে খরচ করতে আসা একাধিক সাধারণ মানুষ জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু কিনতে পারছিনা,ভাত আছে তরকারির জন্য আলুর বলে বিকল্প নাই কিন্তু সেই আলু বাজারে ৪০-৬০ টাকা মূল্যে কিনতে হয়। অপরদিকে শত শত সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল প্রায় প্রতিদিন চুরি হওয়ায় অনেকের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেনা। তাই এমন সময় এই মেলার অনুমোদন না দিলেই পারতো। গত মেলার সময় থেকে এই মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত সদর সহ জেলায় কমপক্ষে ৭/৮ টি মোটরসাইকেল ও শতাধিক বসতবাড়ি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতার দরুন বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চোরকে আটক ও গ্রেপ্তার করলেও বিজ্ঞ আদালত থেকে কেউ কেউ জামিনে বেরিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।  চুরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ী ও গাড়ি।

আবার অনেকে বলছেন,এই মেলা ৭ দিনের বেশি চললে চুরি আরও বাড়তে পারে। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিংবা সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে চরা দমে আলু বিক্রি বন্ধ না হলে এ জেলার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতিরমুখে পরতে পারে।  অপরদিকে এখানকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলা চলায় শহরের দোকানে বেচা বিক্রি কমে যাবে, কর্মচারি, দোকানভাড়া দিতে না পারলে কারও কারও দোকান মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে পারে। তবে এখনকার সাধারণ মানুষ,ক্ষুদ্র বয়বসায়ীরা মেলা বন্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে সাগর উড়াও নামে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে একই গ্রামের মৎস্য চাষি একটি পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামে।

নিহত সাগর উড়াও মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর আদিবাসীপাড়া গ্রামের 

অনিল উড়াও এর ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টারদিকে চেরাগপুর মোড় থেকে পুকুরে মোটর সেট করে পানি সেচ দেওয়ার কথা বলে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যান চেরাগপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডল এর ছেলে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন (৩৮)। পরেদিন শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেরাগপুর গ্রামের মোড়ের পার্শ্বে অপর একটি পুকুরের পানিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানিয়রা। মহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুকুর পাড়ে লোকজন ভীর জমান। খবর দেওয়া হয় থানা পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্র মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহায়তায় পুকুরের পানি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর মৃতদেহটি সাগর উড়াও এর বলে সনাক্ত করেন স্বজনরা। ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানান ওসি। খবর পেয়ে মহাদেবপুর (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

স্থানিয়রা ও থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুঃ ৮ টারদিকে

মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন তার মাছ চাষের পুকুরের পানি বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে সেচ দিবেন জানিয়ে গ্রামের মোড় থেকে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরের দিন শুক্রবার মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন এর পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্দপুকুর নামক অপর একটি পুকুর থেকে পিঠের নিচে কোমরের কাছে বিশাল ক্ষত অবস্থায় সাগর উড়াও এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশকে স্থানিয়রা অবগত করলে সাথে সাথে পুলিশ প্রথমে বেলাল হোসেন এর মাছ চাষকৃত পুকুরে গিয়ে পানি সেচ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্থানিয়দের উপস্থিতিতে বেলাল হোসেন এর বাড়ি থেকে পুকুরে পানি সেচ কাজে ব্যবহারীত কাঁদা-মাটি মাখা বিদ্যুতের তার উদ্ধার করেন। পুকুরের পানি সেচ দিতে  অবৈধ্যভাবে নিজ বাড়ি থেকে তার টেনে পুকুরে নিয়ে মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় সেখানে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে সাগর উড়াও এর মৃত্যু হয়েছে এবং সু-চতুর মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন নিজেকে ঘটনার দায় থেকে রক্ষা করতে তার পুকুর পাড় থেকে মৃতদেহটি রাতের কোন এক সময় তুলে এনে পার্শ্বের অপর এক জনের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার পর সে ও তার পরিবারের লোকজন গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন বলেই স্থানিয় লোকজন বলাবলি করছেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। 


আরও খবর



ধামরাইয়ে স্কুল শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার): 

ঢাকার ধামরাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ধামরাই উপজেলার আয়োজনে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফুটবল ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর -২৩) সকাল দশটার দিকে ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ফুটবল ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধন ও খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,ঢাকা -২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

এ’সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এনামুল হক আইয়ুব, ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা,ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শ্রী নির্মল কুমার দাস , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আশরাফী প্রমূখ।


উপজেলার ৩২ দল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল দল টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করেন এর মধ্যে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন দুটি দল। ফাইনালে অংশগ্রহণ কারী দুটি দল হচ্ছে কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় বনাম বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়।


খেলায় কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১ -০ গোলে বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে

জয়লাভ করে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাজার সিন্ডিকেটে বন্দি সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লাগামহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হলেও বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি মূল্যে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন এসব পণ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে কঠোরভাবে এদের দমন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। মাঝেমধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীরা জরিমানা করা হলে পরে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তিনটি পণ্য ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয় সরকার।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্য তিনটির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা আর ডিমের পিস সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। জরুরি এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। সরকারের ঘোষণার আগেও এই দামে বিক্রি হয়েছিল এসব পণ্য।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দাম ঘোষণা করলেও পাইকারি বাজারে সেই দামে কিনতে পারছেন না তারা।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে আগে যে দাম ছিল এখনও সেই দামই আছে। আমরা কমে কিনতে পারলে তো বিক্রি করতে সমস্যা নাই। প্রতি কেজি আলুতে চার টাকা লাভ করতে পারলেই আমাদের আর লাগে না। কিন্তু সেটাও তো পারছি না।

একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বেশি হওয়ায় আমাদের কাস্টমারও কমে গেছে। যেই লোক আগে আলু কিনত দুই কেজি, সে এখন এক কেজি কিনে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা আলু বেচতাম। এখন এক বস্তাই বিক্রি হয় না। আবার লাভও কম হচ্ছে। সরকার যেই জায়গায় ধরার দরকার সেই জায়গায় ধরলেই তো হয়।

ডিমের বাজারেও সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের প্রভাব নেই। বেঁধে দেওয়া দামে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে।

মুগদা এলাকার মুদি দোকানদার মিঠু বলেন, ডিমে তো লাভ হয় না। এক খাঁচা ডিম বিক্রি কইরা ২০-৩০ টাকাও লাভ করতে পারি না। রাখছি শুধু কাস্টমার ধরার লাইগা।

৭৫ টাকার নিচে নেই দেশি পেঁয়াজ। তবে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। কিছু আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতাদেরও একই কথা। আড়তে দাম কমেনি। তাই তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার তো সব কিছু বিবেচনা করে হিসাব নিকাশ করেই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে স্বাভাবিক মুনাফা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তো স্বাভাবিক লাভে আগ্রহী না। বেশি লাভ করতে চায়। এখন ব্যবসায়ীদের এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয়, তবে যেখানে থেকে উৎপাদন হয় অথবা যেখান থেকে পণ্য ছাড় হয় সেখানে মূল্যটা প্রথম ঠিক করতে হবে। সাপ্লাই চেইন যদি ঠিক রাখা যায়, তবে পাইকারে খুচরা পর্যায়ে একটু তত্ত্বাবধায়ন করলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। কড়াভাবে বলছে, শুধু বললেই হবে না। কড়াভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাজার শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখতেছেন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ডিজি স্যার নিজেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানে যাচ্ছেন, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




মরক্কোর কাছে হারল ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলে মরক্কো রূপকথা চলছেই। কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল হাকিমি-ইয়াসিন বুনোরা। এরপর গেল মার্চে মুখোমুখি দেখায় ব্রাজিলকে হারিয়েছিল দেশটি। সর্বশেষ নারী বিশ্বকাপেও চমক দেখিয়েছেন মরক্কোর মেয়েরা। 

আবারো ব্রাজিলকে হারাল আফ্রিকান দেশটি। তবে এবার জাতীয় দল নয়, বয়সভিত্তিক টিমে। শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মরক্কোর যুবারা।

প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ সালের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আফ্রিকান দেশটিতে দুটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়েছে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মরক্কোর ফেজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে হেরে সিরিজ শুরু করেছে জুনিয়র সেলেসাওরা।

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন জোরালো আক্রমণ শানাতে পারেনি দুই দলের কেউই। ফলে গোলের গেরোও খোলা যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। ফের ম্যাচ শুরু হলে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ব্রাজিল। 

 ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণের মুখে পাল্টা অ্যাটাকে লিড নেয় স্বাগতিকরা। ৭৩ তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জাকারিয়া এল ওউহাদি বল জালে জড়ান। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো মরক্কো। তবে বরাত মন্দ। ম্যাচের ৮১ মিনিটে সালিম এল জাবেরির গোলটা অফসাইড ঘোষণা করে রেফারি। 

শেষদিকে খেলায় ফেরার বেশ চেষ্টা করেও সমতা আনতে পারেনি ব্রাজিল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে মরক্কো এবং ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২৩ দল।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩