Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল :  টানা বর্ষণ ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। এরই মধ্যে সিলেট নগরী ও অনেক উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেছে। গতকাল শনিবারও টানা বর্ষণে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগরীর বাকি এলাকা। পুরো সিলেট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে ট্রেন যোগাযোগ।

এ ছাড়া গতকাল সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, সদর উপজেলাসহ আরো অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌবাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।

গতকাল শসকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ জন সদস্য দুটি টিমে বিভক্ত হয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নৌবাহিনীর সদস্যরা নিজস্ব ক্রুজ ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। বিকালে ৬০ জনের আরেকটি দল এবং আরো ক্রুজ ও হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়েছে।

বন্যার পানি ওঠায় পানিতে তলিয়ে গেছে কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। ফলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্কও পাচ্ছেন না বন্যাদুর্গতরা। এদিকে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে সিলেটের জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলায়। প্রথম দফা বন্যায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অন্তত ১৫ স্থানে ভেঙে যাওয়া ডাইক মেরামত না করায় ফের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। গত শুক্রবার সকাল থেকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অন্তত ৫টি স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে। গতকাল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে অনেক এলাকা।

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো সিলেট : সিলেট কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পানি উঠে যাওয়ায় আপাতত সাবস্টেশনটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি পানি সেচে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি আবার চালু করতে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই সাবস্টেশনে পানি উঠতে শুরু করে। গত শুক্রবার দুপুর থেকে এই কেন্দ্র সচল রাখতে যৌথভাবে কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করেন তারা। তবে পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় বন্ধ করে দিতে হলো উপকেন্দ্রটি।

ভাঙা ডাইক এখন মরণফাঁদ : জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলায় ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে। প্রথম দফা বন্যায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অন্তত ১৫ স্থানে ভেঙে যাওয়া ডাইক মেরামত না করায় ফের ভাঙা ডাইক দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। গত শুক্রবার সকাল থেকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অন্তত ৫টি স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে অনেক এলাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সুরমা নদীর আটগ্রাম এলাকার মরিচা, নালুহাটি ও বড়বন্দ গ্রামে প্রথম দফায় ভেঙে যাওয়া ডাইক দিয়ে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। শুক্রবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাত্র ১২ ঘণ্টায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।

সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে নৌবাহিনী : সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী। গতকাল সকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ জন সদস্য দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে। সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার কাজে নৌবাহিনী সদস্যরা নিজস্ব ক্রুজ ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। বিকালের মধ্যে ৬০ জনের আরেকটি দল এবং আরো ক্রুজ ও হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে যুক্ত হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্যের একটি দল শুক্রবার রাতেই সিলেট এসে পৌঁছায়। গতকাল সকাল থেকে ৩৫ সদস্যের দল কোস্টগার্ডের একটি ক্রুজ ও বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে একটি টিম সকাল থেকে কাজ শুরু করে। আরেকটি টিম কোম্পানীগঞ্জে কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, আরো দুটি ক্রুজ উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটি সিলেটে ও অন্যটি সুনামগঞ্জে উদ্ধার কাজে যুক্ত হবে। এদিকে, সেনাবাহিনীর ৯টি ইউনিট সিলেট ও সুনামগঞ্জে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার বিকাল থেকে তারা সিলেটের ৩টি উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ৫টি উপজেলায় উদ্ধার কাজ করছে।

রেকর্ড ভেঙেছে এবার বন্যা : সিলেটে বন্যা দেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। বাকি তিন জেলা শহরের কিছু উঁচু স্থান, পাহাড়ি এলাকা এবং ভবন ছাড়া সবখানে এখন পানি। আগামী দুই দিনে এই পানি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১৯৯৮ সালের জুন মাসে সিলেট বিভাগে অনেকটা এমন বন্যা হয়েছিল। কিন্তু এরপর বেশির ভাগ বন্যা মূলত হাওর ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ ও সিলেট শহরে দু-তিন দিনের জন্য হঠাৎ বন্যা হয়। কিন্তু পুরো সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ার মতো বন্যা হয়নি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া বলেন, দেশের একটি বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ ডুবে যাওয়ার মতো বন্যা এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। সিলেটে এর আগে যত বন্যা হয়েছে তা মূলত হাওর এলাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার গ্রাম, শহর ও উঁচু এলাকা হিসেবে বিবেচিত স্থানগুলোও পানির নিচে চলে গেছে। আর সোমবারের আগে এই পানি নামার সম্ভাবনা কম। কারণ উজানে আগামী দুই দিন অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূ-উপগ্রহভিত্তিক সংস্থা ইসিএমডব্লিউর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল বাংলাদেশের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে; যা ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি। আর গত তিন দিনে সেখানে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই অল্প কয়েক দিনে এত বৃষ্টির রেকর্ডও গত ১০০ বছরে নেই।

রানওয়েতে পানি, ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি উঠে যাওয়ার কারণে সিলেট-লন্ডন ফ্লাইটের শিডিউলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতকাল ও আজকের দুটি ফ্লাইট পিছিয়ে আগামী ২১ ও ২৩ তারিখে নেওয়া হয়েছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ। তিনি বলেন, শনিবার ও রবিবার সিলেট-লন্ডন রুটে বিমানের দুটি ফ্লাইট ছিল। কিন্তু ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি উঠে যাওয়ায় এসব ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৮ তারিখের ফ্লাইট ২১ তারিখ এবং ১৯ তারিখের ফ্লাইট ২৩ তারিখ যাবে। এর আগে শুক্রবার বিকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ ঘোষণা

বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বিমানবন্দরের পর এবার সিলেট রেলস্টেশনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলবে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলস্টেশন ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, এরই মধ্যে রেলস্টেশনের মূল প্ল্যাটফরমে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। স্টেশনে কোনো ট্রেন ঢুকতে পারছে না। তাই রেলস্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে মাইজগাঁও রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল করবে।

সিলেট-সুনামগঞ্জের পর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে। কালনী-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদণ্ডনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরই মধ্যে জেলার দুই উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজমিরীগঞ্জ-পাহারপুর ও আজমিরীগঞ্জ-কাকাইলছেও সড়ক ডুবে যাওয়ায় দুটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।



আরও খবর



গজারিয়ায় নকলা সংবাদদাতার কারাদন্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের  গজারিয়ায় দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা সফিউজ্জামান রানা’কে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে ও সাংবাদিকের মুক্তির দাবীতে সোমবার  বিকেলে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ও মোহাম্মদ আলী শপিং সেন্টারের সামনে  সমাবেশ করা হয়েছে।

দৈনিক দেশ রূপান্তরের গজারিয়া প্রতিনিধি আজিজুল হক পার্থের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন দৈনিক যুগান্তরের গজারিয়া প্রতিনিধি মোঃ জসিম উদ্দিন,  মুন্সীগঞ্জের খবর গজারিয়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন আহমেদ, দৈনিক আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি নেয়ামুল হক, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শামীম, বিজয় টিভি প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম নয়ন, আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি শেখ নজরুল, দৈনিক বর্তমান দেশ বাংলা জেলা প্রতিনিধি আবুল হোসেন, আলোকিত প্রতিদিনের প্রতিনিধি মাসুদ রানা, দৈনিক প্রভাত রাজু আহমেদ, গনকন্ঠ প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন, সময়ের কাগজ রাসেল সরকার, জবাবদিহির প্রতিনিধি সোলায়মান শিকদার, বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি ওসমান গনি, সভ্যতার আলো প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন, সকালের সময় প্রতিনিধি আরিফুল রহমান সাগর ও বাবু রাজু  উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালবেলার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সাঈদ আরফান, ও ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি গাজী পারভেজ প্রমুখ।

এ সময় সাংবাদিকগণ নকলা উপজেলা সংবাদদাতা’কে নিঃশর্ত মুক্তি এবং এ ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানায়।


আরও খবর



বিপজ্জনক অ্যাপ সরিয়ে নিলো গুগল

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

গুগলে আসল অ্যাপের রূপে ঘাপটি মেরে থাকে অনেক নকল ও বিপজ্জনক অ্যাপ। যা ব্যবহারকারীদের ফোনের তথ্য চুরি করে। এসব তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে আবার কখনো সরাসরি ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এবার আরও ১০ অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে নিলো গুগল।

গাইডলাইন অমান্য করেছে। এমন অভিযোগেই জনপ্রিয় ১০টি অ্যাপকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল।গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০টি অ্যাপের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তোলে গুগল। প্লে স্টোরের পরিষেবার জন্য এই ডেভেলপাররা গুগলকে কোনোরকম অর্থ দেয়নি। বকেয়া মেটানোর জন্য তাদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও পর কোনো সাড়া দেয়নি অ্যাপগুলো। আর সেকারণেই এবার নাকি চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা।

গুগল একটি পোস্ট করে জানিয়েছে, বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরের সঙ্গে যুক্ত দুই লাখেরও বেশি ভারতীয় ডেভেলপার। তারা প্রত্যেকেই আমাদের পলিসি মেনে চলে। আমরা যে একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম, সেই সত্যতা বজায় রাখতেই এই পলিসি মেনে চলতে বলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরও ১০টি কোম্পানি প্লে স্টোরকে কোনো বকেয়া অর্থ দেয়নি। যদিও অন্য অ্যাপ স্টোরের পেমেন্ট পলিসি মেনেই কাজ করেছে তারা।

এরপরই গুগল জানায়, এই ডেভেলেপারদের তিন বছরেরও বেশি সময় দেওয়া হয়েছে যাতে তারা গাইডলাইন মেনে চলে। তা সত্ত্বেও নিয়ম মানেনি তারা। সেই কারণেই এধরনের সিদ্ধান্তের পথে এগোতে হচ্ছে।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৪৭ দিন ধরে চলবে এ নির্বাচন।

ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৫৪৩ আসনের এ নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।

প্রথম দফায় ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোট নেয়া হবে ১ জুন।

কোন রাজ্যে কোন দফায় নির্বাচন?


প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল)
পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মির, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ।

দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল) কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মির, আসাম, মণিপুর, ত্রিপুরা।

তৃতীয় দফা (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মির, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ছত্তিশগড়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলী ও দমন-দিউ।

চতুর্থ দফা (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মির, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড।

পঞ্চম দফা (২০ মে) লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মির, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র।

ষষ্ঠ দফা (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িষ্যা।

সপ্তম দফা (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, চণ্ডিগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িষ্যা।

চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন


সিকিম, ওড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ
চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও হবে লোকসভার সাথে। পাশাপাশি, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে উপনির্বাচন লোকসভার সাথেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, সিকিমে বিধানসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ১৩ মে এবং ওড়িষ্যায় বিধানসভা নির্বাচন হবে চার দফায়, যথাক্রমে ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন।

চার রাজ্যেই গণনা ৪ জুন।

এক দশক পরেও বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না জম্মু ও কাশ্মিরে। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার লোকসভা নির্বাচনের সাথে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও বাদ থেকে গেল ভারতের বৃহত্তম (আয়তনের হিসাবে) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর



বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দর ঘিরে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। মাঝেমধ্যে এসব চক্রের দুয়েকজন পাচারকারী ধরা পড়লেও বরাবরই অধরা রয়ে যাচ্ছে চক্রের সঙ্গে জড়িত হোতারা। অভিযোগ উঠেছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আড়ালে স্বর্ণ পাচার করছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস গলায় ঝুলিয়ে পেশাদার চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত। ফলে মামলা তদন্তে কাস্টমস ও এপিবিএনের দেওয়া আসামির বাইরে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। এতেও বরাবরের মতো আড়ালেই থাকছে হোতারা।

জানা যায়, গত শনিবার বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০টি স্বর্ণবারসহ নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএনের সদস্যরা। এ ঘটনায় এপিবিএন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা করে। এ ছাড়া একই দিন বিমানবন্দরে চোরাচালান চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের পাউডার, স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

দুই মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি হলো নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের গাড়িচালক মো. হেলাল, রিসিভার কামাল হোসেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত রবিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের তোলা হয়। এ সময় শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। স্বর্ণ পাচারে বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্য দিনের মতো ডিউটিতে আসেন। এরপর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে তাদের গতিরোধ করেন এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা। এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে কতটি চালান ধরা পড়ে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটা সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে মাসে গড়ে ৫-৬টি চালান ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ দুবাইফেরত যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। রাত পৌনে ১১টায় দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ওই যাত্রীকে ১০ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার পর বিমান থেকে আটক করা হয়। জব্দ স্বর্ণগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। গত ২০ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী যাত্রীর ব্যাগ থেকে স্বর্ণের ৬৯টি বার ও ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে ৮ ডিসেম্বর শাহজালালে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি স্বর্ণের বারসহ এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই যাত্রীর নাম ফজলে রাব্বী। তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। এর আগে স্বর্ণের বড় একটি চালান ধরা হয় গত বছরের জুলাই মাসে। সেই সময় বিমানের সিটের নিচ থেকে প্রায় ২৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটে অভিযান চালানো হয়। ফ্লাইটটির ১১টি আসনের নিচে নীল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯৮টি ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট পাওয়া যায়। সেই সময় জব্ধ করা স্বর্ণের মালিক পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দুই ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দুজনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশে একটি প্রাইভেট কারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেট কার নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টমস হাউস, বিজিবি ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন। গত বছরের ১২ জুন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডাস্টবিন থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। আটক করা হয় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসা বারগুলো প্রধানত শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। যেসব বাংলাদেশি স্বর্ণ বহন করেন দুবাই থেকেই তাদের ও তাদের একজন স্বজনের ফোন নম্বর, পাসপোর্টের কপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, এনআইডির ফটোকপি রেখে দেওয়া হয়। প্রবাসীরা প্লেন থেকে নামার পর প্রথমে যান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে বারের ট্যাক্স দিয়ে রসিদ নেন। বার বৈধ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশি ডিলারের প্রতিনিধি বিমানবন্দরের আশপাশ থেকে রসিদসহ স্বর্ণ বুঝে নেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মতে, বিদেশ থেকে স্বর্ণ দেশে আসার পর মূলত দুটি জায়গায় যায়। প্রথমত, বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এটা কিনে নেন। দ্বিতীয়ত, ভারতে পাচার করা হয়। বিশ্বে স্বর্ণের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চোরাচালান আটক করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের কার্গো হোল্ড থেকে ১২৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১০ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসামিরাও জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালেও বিমানের এক ফ্লাইটের টয়লেটে লুকিয়ে রাখা ১০৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এটা ছিল জব্দ হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণের চালান। এ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ডিবি। তবে এখনো শাস্তি হয়নি কারো। শুধু এ দুটি নয়, নিম্ন আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় ১৮৭ মামলা আদালতে বিচারাধীন।

চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে। এ চালানে প্রায় ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা। জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রী বহন করে। কিন্তু স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হলে যারা চেকিং করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। এয়ারলাইন্সে কাজ করা কর্মীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৩০টি সংস্থা কাজ করে। এখানে যে চুরি করে, সে চুরিই করবে। তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে যুবলীগ নেতার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী শিকদারের স্ত্রী ও  ঢাকা আদাবর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো.জহিরুল ইসলাম মধু'র মা মোসা. রওশন আরা বেগমের ৫ ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩য় রমজান বৃহস্পতিবার মোরেলগঞ্জ ১৫ নং সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের নিজ বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন শিকদার, সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেনা সদস্য মো.ফরহাদ হোসেন শিকদার, যুবলীগ নেতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো.জহিরুল ইসলাম মধু, তাতীলীগের সাবেক নেতা শহিদুল ইসলাম খান, এ্যাড. খান আমজাদ হোসেন, শ্রমীক লীগ নেতা মো.জালাল  তালুকদার, সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হৃদয়, রাশেদুজ্জামান শান্ত, মো. মাইনুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো.শফিকুল ইসলাম। 


আরও খবর