মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
বন্যার্তদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দেশের পূর্বাঞ্চলে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যায় জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেশের ১২ জেলা।এই সংকটময় পরিস্থিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(মাভাবিপ্রবি) বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।
বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২৯শে আগস্ট (বুধবার) দিবাগত রাত ১২ টার পর প্রায় ১৬ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ২টি ট্রাক ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জানান,আমরা ৪ দলে ভাগ হয়ে ১০৭০ টি পরিবারের জন্য প্যাকেট করা উপহার সামগ্রীর
৪৮০টি ফেনী, ৪০০টি লক্ষীপুর, ১২০টি নোয়াখালী ও ৭০টি কুমিল্লা জেলায় নিয়ে যাবো। একটি বাস ও ট্রাক ফেনী ও কুমিল্লার উদ্দেশ্যে আরেকটি বাস ও ট্রাক নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাদত আলী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কবলিত মানুষের সহায়তায় দেশজুড়ে গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। আর্ত-মানবতার সেবায় আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সামাজিক সংগঠনসমূহ এগিয়ে এসেছি ।তিনি আরো জানান, আমাদের দেওয়া প্রতিটি প্যাকেজে থাকছে চাল,ডাল, শুকনা খাবার, শুকনা কাপড়, বাচ্চাদের খাবার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রায় ২৫ প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।
ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলামিন ফকির জানান মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন, আঞ্চলিক ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারীসহ আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বী বলেন, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বেশকিছু অঞ্চলে বন্যার পানি পুরোপুরি শুকায়নি। ফলে তাদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য আমরা শুকনা খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি প্যাকেটে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ও খেজুর রেখেছি। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, সাবান, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও জরুরী ওষুধপত্র দিয়েছি। আশা করি একটা পরিবারের কয়েকদিনের শুকনো খাবারের যে প্রয়োজনীয়তা, এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পূরণ হবে।
বিগত ৭ দিন যাবৎ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জামা-কাপড় ও প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।