
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এক
সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত প্রায় ২৬
কোটি ডলার বেড়েছে। এরপরও মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের নিচে
রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন)
এই হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকটি। তাদের তথ্যানুযায়ী, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ১২
জুন দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৫২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থাৎ গত
বুধবার সেটি ২৬ কোটি ডলার বেড়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার হয়েছে।
একই সময়ে আন্তর্জাতিক
মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২
লাখ ডলার। চলতি মাসের শুরুতে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার।
১২ জুন সেটি বেড়ে হয় ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। গত বুধবার বিপিএম ৬ অনুযায়ী
রিজার্ভ বেড়ে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত মাসের শুরুতে মোট
রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সপ্তাহে আমদানি বিল পরিশোধ বাবদ
রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ১৬৩ কোটি ডলার দেওয়া হয়। তাতে গত ১৫
মে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারে নেমে যায়। তখন বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ
কমে হয় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ডলার। পরের পাঁচ সপ্তাহে অবশ্য মোট রিজার্ভ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ জুন মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৯১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে
১ বছরে রিজার্ভ কমেছে ৫১৩ কোটি ডলার।
ডলার-সংকটের মধ্যে
আর্থিক হিসাব ও চলতি হিসাবে ঘাটতি হওয়ায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চায় বাংলাদেশ। ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি সংস্থাটি
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এর তিন দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম
কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও গত ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ
ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা আগামী
সপ্তাহে। এই অর্থ এলে রিজার্ভ আরও বাড়বে।