Logo
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাসহ দুই ছেলের গলাকা'টা লা'শ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সৌদি আরবে প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার (৩৫), তাঁর বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)। 

স্বজনদের দাবি যারা আমার দুই নাতি কে জবাই করে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। নিহত সেজির বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমার মিয়ে বিয়ে হয়েছে। কারো সাথে ঝগড়া করেছে আমরা দেখি নাই।যারা এই ঘর্টনার সাথে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় আনা জরুরি। আমার মেয়ে ও ২ নাতি  হত্যার বিচার চাই।

প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে যে খুন হয়েছে। এমন ঘট্না দোসীদের শাস্তির আওতায় আনে বিচার করা হোক।এটা নজিরবিহীন ঘর্টনা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম জানান, বাড়ির মালিক শাহ আলম সৌদি আরবে প্রবাসী। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে থাকতেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কাজের লোক এসে দেখেন বিল্ডিংয়ের গেট লাগানো। অনেক ডাকাডাকি করলেও গেট খুলছিল না কেউ। পরে বাড়ির অন্য লোকদের নিয়ে চেষ্টা করে গেট খুলে সবাই ভেতরে ঢোকেন। ভেতরে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে ও বাথরুমে শাহ আলমের স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। তবে ঘটনা কখন ঘটেছে,সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ। 

তিনি আরও জানান, পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



ছয় মাস নিষিদ্ধ ফুটবলার সাদ উদ্দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে অসদাচারণের অভিযোগে বাংলাদেশ দলে খেলা বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার সাদ উদ্দিনকে আগামী ৬ মাস বাফুফে আয়োজিত সব রকমের প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে তাকে। গতকাল মধ্যরাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

গত ২ মে কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ার পর নিয়ম বহির্ভূতভাবে ম্যাচের পর ডাগআউটে উপস্থিত হয়ে ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে অসদাচরণ করেছিলেন সাদ। লাল কার্ড পাওয়ার পর দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। পরে তাকে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় শোকজ করা হয়। অপরাধ স্বীকার করে ফিরতি চিঠি দিয়েছিলেন সাদ। এরপরই তার অপরাধ ও ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেন।

নিষেধাজ্ঞা ৬ মাস হলেও মাঠের বাইরে খুব একটা থাকতে হবে না সাদকে। চলতি মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের আর মাত্র ৪টি ম্যাচ আছে। এই ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না তিনি। নতুন মৌসুমের দলবদল জুলাই থেকে। আর নতুন মৌসুম অক্টোবর বা নভেম্বরে শুরু হতে পারে। তাই বেশি ভুগতে হচ্ছে না তাকে। এছাড়া আপিল করার সুযোগও আছে সাদের সামনে। যদিও আগামী ১০ জুন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলতে বাধা নেই সাদের।


আরও খবর



পাঁচতলা বাড়ির মালিকও পেয়েছিলেন টিসিবির কার্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

পাঁচতলা বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছিলেন বলে জানালেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে টিসিবি আয়োজিত টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আগস্ট বিপ্লবের আগে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি টিসিবি। এক কোটি পরিবারের জন্য নির্ধারিত টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রায় ৪০ লাখ কার্ডধারী কমানো হয়েছে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের ওপর আস্থা কখনোই আসবে না, যখন মানুষ দেখবে যে সবকিছুতে আছে দুর্বৃত্তায়ন। সে জন্য আমরা টিসিবিকে দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের করে সঠিক পর্যায়ে আনতে চাই।

তিনি বলেন, বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার যে কেনাকাটা করে টিসিবি তাতে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। একটা দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা অনেক দুর্বৃত্ত তৈরি করেছে। এ ব্যবস্থা থেকে আমরা সরে আসতে চাই। এখন থেকে নিম্ন আয়ের উপযুক্ত পরিবারগুলোই কার্ড পাবে।

কোটি মানুষের পাশে শীর্ষক এই সংলাপে আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির দুই পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ ও আবেদ আলী এবং যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, সমাপনী বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী। 


আরও খবর



শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতের কারণে স্থগিত ছিল আইপিএল। তবে এখন পরিস্থিতি সাধারণ হওয়ায় আগামী শনিবার (১৭ মে) থেকে পুরনায় শুরু হচ্ছে আইপিএল। ১২ মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত শুক্রবার (৯ মে) আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কারণ দুদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক উত্তেজনা চলছিল।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের ভিত্তিতে বোর্ড মৌসুমের বাকি অংশ চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোট ১৭টি ম্যাচ ছয়টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে, যার শুরু ১৭ মে ২০২৫ থেকে এবং ফাইনাল ৩ জুন ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত সময়সূচিতে রবিবার (১৮ মে) দুটি ম্যাচ থাকবে।


আরও খবর



আট মাসে পাচার হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বললেন, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ নেই। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে– এটি সত্য। অন্তর্বর্তী সরকারের গত আট মাসেও দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। সরকারের লোকজনই চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কুমিল্লা নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, ‘আগে বিএনপির শত্রু ছিল আওয়ামী লীগ। এখন আমাদের অনেক শত্রু হয়ে গেছে। তবে এসব শত্রুকে আমরা কেয়ার করি না।’ নেতাকর্মীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন– এখন বিএনপির সুদিন। কিন্তু এখন বিএনপির সুদিন না। আমাদের দল এখনও ক্ষমতায় আসেনি; ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশেই রয়েছেন। তাই কেউ উল্টাপাল্টা করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবেন না।

তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন– তারেক রহমান দেশে আসেন না কেন? আমি তাদের বলব, তারেক রহমান অবশ্যই আসবেন। সময়মতো দেশে আসবেন। মাথায় রাখতে হবে– আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই তারেক রহমানকে ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। তিনি বিদেশে বসেই বিএনপিকে অনেক শক্তিশালী করেছেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক করে সুবিধাভোগীরা চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে, যার বদনাম বিএনপির ঘাড়ে আসছে। নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। কোনোভাবেই চাঁদাবাজ-দখলবাজদের অপকর্ম করতে দেওয়া যাবে না। দলের নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করলে তাদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে মিডিয়ার কোনো স্বাধীনতা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলেও একই অবস্থা। মিডিয়া সত্য বলতে পারছে না। সারাক্ষণ শুধু সরকারের গুণগান গাইছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপি সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

এরআগে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পার্শ্ববর্তী সড়কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব।

তিনি আরও বলেন, ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

এর আগে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার সকালে এবং এখনো এনসিপির নেতাকর্মীদের যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।


আরও খবর