Logo
শিরোনাম

বশেমুরবিপ্রবি'তে চলবে মাসব্যাপি কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ ছিপু মোল্লা - বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা::


গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে মাসব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কক্ষে কর্মসূচি উদ্ধোধন করা হয়। কর্মসূচি উদ্ধোধন করেন জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদযাপন  কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান, আইন অনুষদের ডিন ড. মো. রাজিউর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. মুহাম্মদ মিনারুল ইসলাম, ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মিকাইল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন প্রমুখ।

ব্যাজ ধারণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

মাসব্যাপী কর্মসূচিতে রয়েছে, ১৫ আগস্ট সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার; টুঙ্গিপাড়ায় দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ ও জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন; বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিকেলে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা। 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ আগস্ট বেলা ১১টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং ২৯ আগস্ট সকাল ১০:৩০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বলে জানা যায়।



আরও খবর



১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে আরো ১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরা অঞ্চলের জেলা নওগাঁয় সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হওয়ায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পথ, ঘাট ও মাঠ। এই কুয়াশা ভেদ করে গত কয়েক দিন সূর্যের দেখা মিললেও সোমবার ৯ ডিসেম্বর সারাদিন সূর্যের দেখা যায়নি। সেই সাথে দুপুরের পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। 

ঘন কুয়াশার কারণে নওগাঁর সড়ক গুলোতে রাতে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি দূর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৮ পর্যন্ত গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে।

সোমবার সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শনিবার সকাল ৬টা ও ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা ছিল ঐ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রার একটু বেড়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপট জেলায় এখনো ততটা বৃদ্ধি না পেলেও দিন দিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে আরও কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নওগাঁর সদর হাসপাতালসহ ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর মধ্যে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।


আরও খবর



নভেম্বরে ডেঙ্গু কেড়ে নিলো ১৭৩ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কোনোভাবেই কমছে না দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসে (নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৫২ জন।

চলতি বছরের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে এক হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ৩৩৯ জন, মার্চে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৩১১ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে দুই জনের মৃত্যু এবং ৫০৪ জন হাসপাতালে, মে মাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৪ জন হাসপাতালে, জুনে আটজনের মৃত্যু এবং ৭৯৮ জন হাসপাতালে, জুলাইতে ১২ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে, আগস্টে ২৭ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে, সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৯৭ জন হাসপাতালে, অক্টোবরে ১৩৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯১ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৭৯ জন। মারা গেছেন ৪৮৮ জন। নিহতদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০৮ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮৯ জন মারা গেছেন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনা, ট্রাক চালক ও হেলপাড় সহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় খেড়বাহী ট্রাক উল্টে মহাসড়কের ধারে গর্তের পানিতে পড়ে ট্রাকের চালক সুমন হোসেন (৩৪) ও চালকের সহকারি (হেলপাড়) এর দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিকআপের ধাক্কায় আবুল কাশেম (৭৪) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর সকাল ৫ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের খামারবাড়ি নামক স্থানে খেড়বাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের ধারে গর্তের পানিতে পড়ে। এসড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে ট্রাকের চালক ও চালকের সহযোগী হেলপাড় দু'জনের মৃতদেহ পানি থেকে উদ্ধার করেন। স্থানিয়রা জানান, ভোর সকালে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটলেও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ প্রায় দু'ঘন্টা পর দূর্ঘটনাস্থলে এসে পরবর্তীতে জেলা পুলিশের রেকার এনে গর্তেপড়া ট্রাকটি উদ্ধার করে সড়কের উপর তোলেন। অপরদিকে একই দিন


সকাল ৯ টারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় পিকআপের ধাক্কায় আবুল কাশেম নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবুল কাশেম হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীগাছী দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কুদরত আলী প্রামাণিকের ছেলে এবং নিহত ট্রাক চালক সুমন মিয়া হলেন, গাইবান্ধা জেলা সদর উপজেলার পশ্চিম কামারনাই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তথ্য সংগ্রহকালে ট্রাক চালকের সহকারি নিহত (হেলপাড়) এর নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ট্রাক দূর্ঘটনায় চালক সহ দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়রা সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ দেওয়ার পর দূর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য দূর্ঘটনাস্থল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত দু'জনের মধ্যে এক জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেলেও অপর জনের নাম-পরিচয় এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

হেমন্তের বিদায় কালে ভোরের হালকা কুয়াশায় নিমজ্জিত সবুজ ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু আর ঝরে থাকা শিউলি ফুলের মিষ্টি সৌরভ যেন পৌঁছে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজেই পাওয়া যায় না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। শীতের আগমনী বার্তা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগাম খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার খেজুর গাছিরা।


কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য। কুড়িগ্রাম জেলার জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ খেজুর গাছ সংরক্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে এই অঞ্চলের খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়,ঝোলা গুড়,দানা গুর মুটা গুড়, বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেত। খেজুর রসের পায়েস রসে ভেজা পুলি  পিঠা সহ-বিভিন্ন সুস্বাদ খাবারের তো জুরিই ছিল না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার এই সব সুস্বাদু ঐতিহ্য খেজুরের রস,গুড়। কিছুদিন আগেও গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল রাস্তার দুই ধারে কিংবা অধিকাংশ বাড়ির পুকুর পাড়ে সারি সারি ভাবে অসংখ্য খেজুর গাছ ছিল। খেজুর গাছগুলো কোন রকম পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো। শীত মৌসুমে রস গুড় উৎপাদন করে কয়েক মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করেন গ্রামের অনেক খেজুর গাছির পরিবার। খেজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতিবছরের মতো এবছর চাহিদা অনুযায়ী রস ও গুড় পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন ফুলবাড়ীর গাছিরা।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা মেলে সকালের মিষ্টি রোদে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি, খেজুর গাছের বুকচিরে রস সংগ্রহের প্রান্তিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানান,আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ-অন্যের প্রায় ৬০টির মতো গাছ লিজ নিয়েছি, এক সময় খেজুর রস ও গুড়ের জন্য হামার ফুলবাড়ী উপজেলার খ্যাতি ছিল। শীত কালে শহর থেকে মানুষ দলে, দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য ওই সময় সন্ধ্যা কালীন গ্রামের পরিবেশটা খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠতো। শীতে খেজুর গুড় দিয়ে গ্রাম বাংলার সেই আলোচিত ভাপা পিঠা খাওয়ার যেন জুরি নেই।


সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা কালির হাট এলাকার খেজুর গাছ মালিক মিজানুর রহমান জানান,গাছিদের তিন/চার মাসের জন্য চার থেকে পাঁচ কেজি গুরের বিনিময়ে গাছগুলো আমরা ভাড়া দেই। অনেক পুরোনো গ্রামীণ ঐতিহ্য যাতে বিলীন না হয় অনেকটা স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছি,বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে একসময় গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুর গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের হাজার বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে চাইলে খেজুর গাছ সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪