Logo
শিরোনাম

বুমেরাং

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৩৬জন দেখেছেন

Image

বুমেরাং শব্দটির কথা মনে পড়ে গেল। ইতিহাস থেকে জানা যায় বুমেরাং শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের একটি আঞ্চলিক ভাষা থেকে এসেছে। বুমেরাং একখণ্ড বক্রাকৃতি কাঠ, যা অস্ত্র হিসেবে বা খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। কোনো একটি লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ্য করে এটি ছুড়ে মারলে সেটি আবার নিজের কাছে ফিরে আসে।

এটি কোনো জাদুবিদ্যা নয়। পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক নীতি মেনে এটি কাজ করে। তবে বুমেরাংয়ের সঙ্গে মানুষের কর্মের ফলাফলের একটা যোগসূত্র থাকতে পারে। যেটি মটিভেশনের একটি থিওরির সঙ্গে মেলানো যেতে পারে। বি এফ স্কেনার তাঁর বিহেভিয়ার মডিফিকেশন থিওরিতে বলেছেন, ভালো কাজের ফলাফল ভালো হয়, মন্দ কাজের ফলাফল মন্দ হয়। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, মানুষ মন্দ কিছু করলে সেটা বুমেরাং হয়ে তার কাছে ফিরে আসে। ভালো কাজের ফলাফলও বুমেরাং হয়ে ভালো ফলাফলের জন্ম দেয়। আপাতদৃষ্টিতে যে মানুষ অবৈধভাবে অর্থ-সম্পদ গড়ে তুলছে তাকে সুখী মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সে সুখী নয়। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ও সহলেখক মাইকেল নরটনও ‘হ্যাপি মানি : দ্য সায়েন্স অব স্মার্টার স্পেনডিং’ বইয়ের ভাবনাটা অনেকটা একই রকম।

 বইটির এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘আসলে সুখকে পাশে রেখে আমরা অর্থ দিয়ে কিছু কিনি না। বরং আমরা আমাদের সুখকে পণ্যের মধ্যে স্থানান্তর করতেই অর্থ ব্যয় করি। যেটি আসলে মূল্যহীন। ড. ম্যাডিলিন লিভিনের দ্য প্রাইস অব প্রিভিলেজে দেখানো হয়েছে কিভাবে সময়ের সঙ্গে মূল্যবোধের পরিবর্তনের কারণে মানুষ ক্রমেই অর্থের দিকে ঝুঁকেছে। উনিশ শ ষাটের দশক ও সত্তরের দশকের প্রারম্ভে কেন ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে যায়, এ প্রশ্ন করা হলে তাদের বেশির ভাগই উত্তর দিত শিক্ষিত হয়ে ওঠা ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্যই তারা কলেজে যায়। খুব কমসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বলত, অনেক অর্থ উপার্জন করার জন্য তারা কলেজে যায়। কিন্তু উনিশ শ নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন লক্ষণীয়। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কেন তারা কলেজে যায়, এই প্রশ্ন করা হলে বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই উত্তর দিত অনেক অর্থ উপার্জন করার জন্য তারা কলেজে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ইতিবাচক মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে নেতিবাচক মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। নেতিবাচক ভাবনা কখনো ইতিবাচক ফলাফলের জন্ম দিতে পারে না। 

এ কারণে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই মূল্যবোধের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অবসাদ, আত্মহত্যা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার হার হঠাৎ করে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। মূল্যবোধের কেন এমন পরিবর্তন ঘটল? আমাদের লোভ? মানবিক শক্তির চেয়ে টাকার শক্তির আধিপত্য? সৃজনশীল ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির বদলে সংকীর্ণ ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি? দেশপ্রেম ও দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজ স্বার্থ ও গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য? বিশ্বাসঘাতকতা? মুখ ও মুখোশ? দীনতা? দৃশ্যমান শক্তি? দৃশ্যমানের ভেতরের অদৃশ্যমান শক্তি? চেনা শক্তির অচেনা সম্পর্ক? দেয়ালের পর দেয়াল? মানুষের অভিনয়? মানুষ যা না সেটা প্রমাণের চেষ্টা? খেলার পেছনের খেলা? প্রকৃতির প্রতি অনাচার? পেশিশক্তি? হয়তো কোনোটাই না কিংবা সবগুলো? হয়তো জানা-অজানা অনেক কিছু।

 যা আমরা জানি-বুঝি কিন্তু বলতে গেলেই থমকে যায়। এই প্রতিবন্ধকতাগুলো যদি মানবিক মূল্যবোধের উৎকর্ষের পথে প্রতিবন্ধকতা বা দেয়াল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে সে দেয়াল ভাঙতে হবে। এক দিন বা দুই দিনে হয়তো তা হবে না। তবে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা ও মানবিক আচরণের নানা দিক বিশ্লেষণ করে এই প্রাচীর ভাঙতেই হবে? সে ভাবনা হোক আমাদের সবার। শিক্ষাক্ষেত্রে মানবিক আচরণ উন্নয়নের বিষয়টিকে যুক্ত করলে ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে। তবে সেটি হতে হবে ধারাবাহিক ও মানুষের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

অসততা ও অন্যায়ের ফলাফল যে ভালো হয় না ফেসবুক থেকে সংগৃহীত গল্পটি থেকে সে শিক্ষা আমরা গ্রহণ করতে পারি। ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ভারী গলায় বললেন—বাহ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না। ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও। তারপর তোমার নিয়োগ হবে। ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানাল, পাঁচ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না। গ্রামের সহজ-সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটাবাড়ি বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করলেন। তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেল।

 আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন। বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন। ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার ‘হ্যাপি বার্থডে মাই সান’ বলতে বলতে ছেলের হাতে পাঁচ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন। বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বলল, আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক। হঠাৎ ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা—সব কিছু থেমে গেল। 

বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন, আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে। হাসপাতালের কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন। বড় স্যার কোনো উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্য ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন। বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি। তিন-চার লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ। খুশিতে তিনি তাঁর একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন। বাসায় ঢুকেই তিনি তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে মামণি মামণি বলে ডাকতে শুরু করলেন। 

ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাঁদের মেয়ে এখনো বাসায় ফেরেনি। বড় ডাক্তার সাহেব তাঁর মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশাহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন এলো। ফোনেও ওই প্রান্ত থেকে জানাল, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন। এ ঘটনা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার তা হলো মানুষকে তার কর্মের ফল ভোগ করতেই হয়। কাজেই যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষকে তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। 

মানুষকে তার মানবিক আচরণ দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। দানবিক আচরণ বা অন্য কোনো নেতিবাচক শক্তির আচরণ দ্বারা মানুষ প্রভাবিত হলে তার ফলাফল কখনো শুভকর হয় না। মানুষ তার বিবেক দ্বারা তাড়িত হোক, ভেতরের ঘুমন্ত সত্তাকে জাগিয়ে তুলুক, তবেই মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে নিজে যেমন সমৃদ্ধ হবে, সমাজও তেমনি মানুষের দ্বারা সমৃদ্ধ হবে।

---শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরীর ফেসবুক থেকে 


আরও খবর

রবীন্দ্র তীর্থস্থানে এক বিকেল

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩




নওগাঁয় দুদকের দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

“রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ হবে সোনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতার উন্নয়ন ও উত্তম চর্চার বিকাশের প্রয়াসে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি মান্দা এবং নিয়ামতপুর কর্তৃক পৃথকভাবে আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার মান্দা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে কাঞ্চন উচ্চ বিদ্যালয় ও মান্দা থানা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এতে কাঞ্চন উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও মান্দা থানা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রানারআপ নির্বাচিত হয়। 

প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুলতান জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন  কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ আলম সেখ প্রমুখ।

অপরদিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে পিএলবি উচ্চ বিদ্যালয় ও নিয়ামতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় পিএলবি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও নিয়ামতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ নির্বাচিত হয়। 

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা  কার্যালয় নওগাঁর সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম প্রমুখ।


আরও খবর



নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অ-ব্যাস্থাপনায় আমি লজ্জিত...জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব এর উদ্বোধনী দিনে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ-ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলার সাংবাদিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময়  জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ-সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান। 

রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অ-সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিলো। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারনে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ি করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মান জনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব। তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ঝুলন্ত অবস্থায় নববিবাহিত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :নওগাঁয় উজ্জল হোসেন  (৩৬) নামে এক নব-বিবাহিত যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের একটি আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় ।

নিহত উজ্জল হোসেন মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোটগাড়ি গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, নিহত উজ্জল হোসেন এর প্রথম স্ত্রী শারিরীক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করার পরে পূনরায় সে গত শুক্রবারে একই উপজেলার খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এরপর শনিবার বিকেলে সে, তার স্ত্রী এবং কোলদারাসহ নতুন শশুড় বাড়িতে আসেন। শ্বশুর বাড়িতে রাত্রী যাপনকালে রাতের কোন এক সময় সেখান কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হোন। জামাইকে বাড়িতে না পেয়ে রাতেই খোঁজাখুজি করেন।এক পর্যায়ে রবিবার সকাল ৬ টারদিকে গ্রামের বাড়ির পাশে একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয় স্থানিয়রা।

সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এছাড়া অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর



২ দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার চুলা, শিল্পকারখানায় সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর আগামী দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দুই দিন ধরে চুলা জ্বালাতে সমস্যায় পড়ছেন ভোক্তারা। গ্যাসসংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের একটি বড় অঞ্চলে লোডশেডিং চলছে। শনিবার রাজধানীতে একেক এলাকায় গড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে। রবিবারও লোডশেডিং ছিল ঢাকায়।

নসরুল হামিদ বলেন, দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেটি থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। আর যেটি কাছাকাছি আছে, তা থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।

বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাবটা থাকবে, তবে খুব বেশি নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যে তৈরি হয়েছিল, এই সমস্যাটা আর থাকবে না। আগামী দুই দিনের মধ্যেই লোডশেডিং পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।

 গত শুক্রবারও এখান থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় শুক্রবার রাত ১১টায় দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। এতে সব সময়ই সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসে ২১৫ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধ হওয়ায় গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি বেড়ে গেছে।


আরও খবর



উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে মোখা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে।

সকাল ৬টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিপ-পূর্বে এবং মোংলা বন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর-উত্তপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল নাগাদ মোখা মিয়ানমারের সিত্তের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম শেষ করে পুরাপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


আরও খবর