Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

বুমেরাং শব্দটির কথা মনে পড়ে গেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঃ

 ইতিহাস থেকে জানা যায় বুমেরাং শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের একটি আঞ্চলিক ভাষা থেকে এসেছে। বুমেরাং একখণ্ড বক্রাকৃতি কাঠ, যা অস্ত্র হিসেবে বা খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। কোনো একটি লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ্য করে এটি ছুড়ে মারলে সেটি আবার নিজের কাছে ফিরে আসে।

এটি কোনো জাদুবিদ্যা নয়। পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক নীতি মেনে এটি কাজ করে। তবে বুমেরাংয়ের সঙ্গে মানুষের কর্মের ফলাফলের একটা যোগসূত্র থাকতে পারে। যেটি মটিভেশনের একটি থিওরির সঙ্গে মেলানো যেতে পারে। বি এফ স্কেনার তাঁর বিহেভিয়ার মডিফিকেশন থিওরিতে বলেছেন, ভালো কাজের ফলাফল ভালো হয়, মন্দ কাজের ফলাফল মন্দ হয়। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, মানুষ মন্দ কিছু করলে সেটা বুমেরাং হয়ে তার কাছে ফিরে আসে। ভালো কাজের ফলাফলও বুমেরাং হয়ে ভালো ফলাফলের জন্ম দেয়। আপাতদৃষ্টিতে যে মানুষ অবৈধভাবে অর্থ-সম্পদ গড়ে তুলছে তাকে সুখী মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সে সুখী নয়। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ও সহলেখক মাইকেল নরটনও ‘হ্যাপি মানি : দ্য সায়েন্স অব স্মার্টার স্পেনডিং’ বইয়ের ভাবনাটা অনেকটা একই রকম। বইটির এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘আসলে সুখকে পাশে রেখে আমরা অর্থ দিয়ে কিছু কিনি না। বরং আমরা আমাদের সুখকে পণ্যের মধ্যে স্থানান্তর করতেই অর্থ ব্যয় করি। যেটি আসলে মূল্যহীন। ড. ম্যাডিলিন লিভিনের দ্য প্রাইস অব প্রিভিলেজে দেখানো হয়েছে কিভাবে সময়ের সঙ্গে মূল্যবোধের পরিবর্তনের কারণে মানুষ ক্রমেই অর্থের দিকে ঝুঁকেছে। 

উনিশ শ ষাটের দশক ও সত্তরের দশকের প্রারম্ভে কেন ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে যায়, এ প্রশ্ন করা হলে তাদের বেশির ভাগই উত্তর দিত শিক্ষিত হয়ে ওঠা ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্যই তারা কলেজে যায়। খুব কমসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বলত, অনেক অর্থ উপার্জন করার জন্য তারা কলেজে যায়। কিন্তু উনিশ শ নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন লক্ষণীয়। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কেন তারা কলেজে যায়, এই প্রশ্ন করা হলে বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই উত্তর দিত অনেক অর্থ উপার্জন করার জন্য তারা কলেজে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ইতিবাচক মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে নেতিবাচক মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। নেতিবাচক ভাবনা কখনো ইতিবাচক ফলাফলের জন্ম দিতে পারে না। এ কারণে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই মূল্যবোধের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অবসাদ, আত্মহত্যা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার হার হঠাৎ করে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। মূল্যবোধের কেন এমন পরিবর্তন ঘটল? আমাদের লোভ? মানবিক শক্তির চেয়ে টাকার শক্তির আধিপত্য? সৃজনশীল ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির বদলে সংকীর্ণ ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি? দেশপ্রেম ও দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজ স্বার্থ ও গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য? বিশ্বাসঘাতকতা? মুখ ও মুখোশ? দীনতা? দৃশ্যমান শক্তি? দৃশ্যমানের ভেতরের অদৃশ্যমান শক্তি? চেনা শক্তির অচেনা সম্পর্ক? দেয়ালের পর দেয়াল? মানুষের অভিনয়? মানুষ যা না সেটা প্রমাণের চেষ্টা? খেলার পেছনের খেলা? প্রকৃতির প্রতি অনাচার? পেশিশক্তি? হয়তো কোনোটাই না কিংবা সবগুলো? হয়তো জানা-অজানা অনেক কিছু। যা আমরা জানি-বুঝি কিন্তু বলতে গেলেই থমকে যায়। 

এই প্রতিবন্ধকতাগুলো যদি মানবিক মূল্যবোধের উৎকর্ষের পথে প্রতিবন্ধকতা বা দেয়াল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে সে দেয়াল ভাঙতে হবে। এক দিন বা দুই দিনে হয়তো তা হবে না। তবে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা ও মানবিক আচরণের নানা দিক বিশ্লেষণ করে এই প্রাচীর ভাঙতেই হবে? সে ভাবনা হোক আমাদের সবার। শিক্ষাক্ষেত্রে মানবিক আচরণ উন্নয়নের বিষয়টিকে যুক্ত করলে ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে। তবে সেটি হতে হবে ধারাবাহিক ও মানুষের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

অসততা ও অন্যায়ের ফলাফল যে ভালো হয় না ফেসবুক থেকে সংগৃহীত গল্পটি থেকে সে শিক্ষা আমরা গ্রহণ করতে পারি। ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ভারী গলায় বললেন—বাহ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না। ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও। তারপর তোমার নিয়োগ হবে। ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানাল, পাঁচ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না। গ্রামের সহজ-সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটাবাড়ি বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করলেন। তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেল। আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন। বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। 

তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন। ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার ‘হ্যাপি বার্থডে মাই সান’ বলতে বলতে ছেলের হাতে পাঁচ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন। বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বলল, আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক। হঠাৎ ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা—সব কিছু থেমে গেল। বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন, আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে। হাসপাতালের কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন। বড় স্যার কোনো উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্য ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন। 

বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি। তিন-চার লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ। খুশিতে তিনি তাঁর একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন। বাসায় ঢুকেই তিনি তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে মামণি মামণি বলে ডাকতে শুরু করলেন। ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাঁদের মেয়ে এখনো বাসায় ফেরেনি। বড় ডাক্তার সাহেব তাঁর মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশাহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন এলো। ফোনেও ওই প্রান্ত থেকে জানাল, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন। 

এ ঘটনা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার তা হলো মানুষকে তার কর্মের ফল ভোগ করতেই হয়। কাজেই যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষকে তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। মানুষকে তার মানবিক আচরণ দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। দানবিক আচরণ বা অন্য কোনো নেতিবাচক শক্তির আচরণ দ্বারা মানুষ প্রভাবিত হলে তার ফলাফল কখনো শুভকর হয় না। মানুষ তার বিবেক দ্বারা তাড়িত হোক, ভেতরের ঘুমন্ত সত্তাকে জাগিয়ে তুলুক, তবেই মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে নিজে যেমন সমৃদ্ধ হবে, সমাজও তেমনি মানুষের দ্বারা সমৃদ্ধ হবে।


আরও খবর

একজন শুভ্রদেব ও একুশে পদক প্রাপ্তি

মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




নেত্রকোনায় প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) শহরের কাটলি এলাকায় পিবি আই কার্যালয়ের হলরুমে এ সংক্রান্ত মূল আলোচনা করেন সময় টিভির রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক আলপনা বেগম।

কর্মশালায় ভিডিও বিষয়ে ধারণা দেন সময়ের চিত্র সাংবাদিক আবু সুফিয়ান।

কর্মশালায় পিবিআই নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবিরের সঞ্চালনায় পিবি আই ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরসহ ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় পিবি আইয়ের সদস্যরা নারী ইস্যুতে ধর্ষণ খুন সহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিকটিমদের প্রকাশসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। 

এসকল ঘটনাসহ ভিডিও ধারণ সংক্রান্ত ধারণাও দেয়া হয়। 

বিশেষ করে এসকল তথ্য নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুল হক, ইমদাদুল হক বাশার, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: আশরাফুল হাসান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান সহ অন্যরা তথ্য পরিবেশন ও ভুল বা সঠিক তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করেন।  


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি  :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( মাভাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ ১৭ মার্চ (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ডাইনিং এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজকের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ডঃ মো: ইদ্রিস আলী, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: শাহিন উদ্দিন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মো: ইকবাল মাহমুদ ও শেখ রাসেল হলের হাউজ টিউটরবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

এছাড়াও এইসময়  উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ। 

উল্লেখ্য, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। l


আরও খবর



৩৮ টাকা দরে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে বাংলাদেশের জন্য। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল । ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ।

রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় কাল এখনও জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে ভারতের বেরসরকারি পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, একদিকে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে রমজান মাসের জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের পুরোনো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে প্রতিদিন পেঁয়াজ পাচার হচ্ছে ভারত থেকে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ইস্যুতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। সেই চিঠিতে তারা বলেছেন, গত ৮ ডিসেম্বরের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে যত পেঁয়াজ ছিল, তার প্রায় ৫০ শতাংশই চোরা পথে দেশের বাইরে গিয়েছে।

এই অভিযোগের যথার্থতা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কারণ পেঁয়াজের রাজধানী বলে পরিচিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭ রুপি থেকে সর্বোচ্চ ১৬ রুপি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে ১০ থেকে ২০ রুপির মধ্যে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েকদিন আগে অবশ্য এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

মহারাষ্ট্রের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকেম খেদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের এত দাম, কিন্তু ভারতের কৃষক কিংবা ব্যবসায়ীদের তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না।

এনসিইএলের অধীন সংস্থা হর্টিকালচার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (হেপা) প্রেসিডেন্ট অজিত শাহ ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছরেই মার্চ-এপ্রিল মাসে (আন্তর্জাতিক) বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ এই ঘাটতি সামাল দিতো। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছরের তিন মাসে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি, সেজন্যই এ ঘাটতি।

তবে মে মাসে মিসর-তুরস্ক থেকে পেঁয়াজের চালান আসা শুরু হবে। সেসময় দামও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।

 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বেইলি রোডে আগুন : পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠান বাতিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।


আইজিপি অগ্নিকাণ্ডের পরপরই রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহের চলমান অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন। পুলিশ প্রধান হতাহতদের দেখতে গভীর রাতে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে যান।

এ মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর শুক্রবারের মতবিনিময় সভা বাতিল করা হয়েছে। সাধারণত এ মতবিনিময় সভার পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গেট টুগেদার হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের একজন অতিরিক্ত ডিআইজির বুয়েটে পড়ুয়া মেয়েও অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আইজিপি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি আহত ও চিকিৎসাধীনদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।


আরও খবর



ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেনি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে সিটমহল বিনিময়, ৬৮ বছরের যে সমস্যা তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন, ভারত বিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারের একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক এর সূত্র খুঁজতে হবে। প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের।

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল, ভেঙে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে। কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সব ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু, দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন পাশে আছে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্তসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতারা।


আরও খবর