Logo
শিরোনাম

বুয়েট-এর ছাত্র আবরার স্বরণে সাঘাটায় ছাত্রদলের মৌনমিছিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সাঘাটা, গাইবান্ধা প্রতিনিধি::

গাইবান্ধার সাঘাটায় বোনারপাড়ার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আবরার ফাহাদ স্বরণে ছাত্র দলের মৌনমিছিল ও স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিরাপদ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাসের দাবি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনমলে বর্বর ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ-এর পঞ্চম শাহাদৎকার্ষিকী উপলক্ষে (৭ অক্টোবর) সোমবার দেশব্যাপী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বোনারপাড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল মৌনমিছিল শেষে স্বরণ সভা করে।

কলেজ ক্যাম্পাসে মৌনমিছিল শেষে কলেজ হলরুমে অনুষ্ঠিত স্বরণ সভায় বোনারপাড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক সৃজন আহম্মেদ শিপন-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব সোহেল রানা, ছাত্র নেতা আতিকুর রহমান ,অশীম, রিপন প্রমুখ।




আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় কারাগারে কণ্ঠশিল্পী নোবেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সারেগামাপা খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১১টায় ডেমরার আমতলার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার (১৯ মে) তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজছাত্রী।

তিনি জানান, মামলা দায়েরকারী মেয়েটি ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

মেয়েটির বাড়ি টাঙ্গাইলে, থাকতেন মোহাম্মদপুরে। সাত মাস ধরে নোবেল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, গত নভেম্বরে নোবেল ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে আসেন। তিনি গত ৭ মাস ধরে ওই মেয়েকে বিয়ে না করে ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনা তিনি ফোনেও রেকর্ড করেছেন। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর ওই মেয়ে ৯৯৯-এ সহায়তা চান। পরে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করি। এরপর একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। তখন থেকে নোবেল পলাতক ছিলেন। অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন প্রেম, প্রকৃতি আর প্রশান্তির অনন্য প্রতীক

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গ্রীষ্মকাল মানেই বাংলার প্রকৃতিতে রঙের বিস্ফোরণ। সেই রঙিন উৎসবের প্রাণভোমরা যেন কৃষ্ণচূড়া ফুল। আর এই কৃষ্ণচূড়ার জাদুতে মোড়ানো একটি পথ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ নামে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স থেকে দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের দিকে যেতে যে পথ ধরে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর কর্মচারী চলাচল করেন, সেই পথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জীবন্ত গহনা। লেনটির পাশে বয়ে গেছে শান্ত এক খাল, যার জলে প্রতিবিম্বিত হয় চারপাশের সবুজ আর ফুলের রঙিন ছটা।এখন গ্রীষ্মে গাছগুলোর ডালপালায় লাল-কমলালার এক অভাবনীয় দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে। মনে হয়, আকাশ ভেঙে যেন আগুনরাঙা ফুলের বৃষ্টি নেমেছে।

এই রাস্তাটির নাম ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ হলেও এর পেছনের গল্প আরও গভীর এবং আবেগঘন। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে ও অর্থায়নে রোপণ করেন কৃষ্ণচূড়ার চারা। সময়ের সঙ্গে সেই চারাগুলো বড় হতে থাকে, শাখা ছড়ায়, আর গ্রীষ্মকালের আগমনে ফুটে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার ঝাঁকড়া রূপ। ধীরে ধীরে সেই রাস্তাটি রূপ নেয় এক অনন্য প্রাকৃতিক লেনে। শিক্ষার্থীরাই ভালোবেসে রঙিন অক্ষরে লেখেন ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ নামটি, যা আজ মাভাবিপ্রবির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই পথে হেঁটে যান, কিন্তু হাঁটার অভিজ্ঞতা কখনও একঘেয়ে নয়। প্রতিটি পদক্ষেপ যেন নতুন এক আবিষ্কার। পাতার ফাঁক গলে সূর্যের সোনালি রশ্মি ঝরে পড়ে ফুলে, রঙিন ছায়ায় ভেসে যায় পথ। এখন গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ওপরে তাকালে মনে হয়, লাল ফুলে মোড়া এক বিশাল তোড়া মাথার ওপর ঝুলে আছে।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, এই পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, প্রকৃতি তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলছে। এই রঙিন দোল খাওয়া ফুলগুলোর সৌন্দর্য হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেয়।

শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, মাভাবিপ্রবির এই কৃষ্ণচূড়া লেন পর্যটকদের কাছেও এক বিশেষ আকর্ষণ। অনেকেই পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে। ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা পর্যটক ঊর্মি আক্তার বলেন, আমি যখন প্রথম এই লেন দিয়ে হেঁটে যাই, মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে এক জীবন্ত ক্যানভাসে রূপ দেয়। আমার কাছে এই ফুল ভালোবাসার প্রতীক, এক রকম আবেগেরও।

অর্থনীতি  বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল  বলেন, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে নানা ফুল ফুটলেও কৃষ্ণচূড়ার জন্য যে বিশেষ এক প্রতীক্ষা থাকে, তা মনে করিয়ে দেয়। এই গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস, আমার কাছে এখন মনে হয় উৎসব শুরু হয়েছে প্রকৃতির আপন ঘরে।”

এ যেন শুধুই ফুল নয়, একটি আবেগ, একটি গল্প, এবং প্রকৃতিপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। কেউ কেউ বলেন, কৃষ্ণচূড়া লেন হলো ‘ক্যাম্পাসের হৃদস্পন্দন’। বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসেছে আগমনী বার্তা নিয়ে, কৃষ্ণচূড়া লেন হয়ে উঠেছে ভালোবাসার বার্তাবাহক। এখানে প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা হয়, বন্ধুরা বসে আড্ডায় মেতে ওঠে, কেউ হয়তো একা হেঁটে নিজের ভেতরের ক্লান্তিকে প্রকৃতির কোলে রেখে আসে।

পর্যটক ইউসুফ সরকার বলেন, “এই ক্যাম্পাসে আমি মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি, শুধু এই কৃষ্ণচূড়ার রঙ দেখার জন্য। আমার কাছে এটি শুধু একটা রাস্তা নয়, বরং এটি পুরো মাভাবিপ্রবির সবচেয়ে মুগ্ধকর জায়গা।”

জীবনের ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর যান্ত্রিকতার মাঝেও এই পথটি যেন এক নীরব আশ্রয়। কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় হাঁটা মানে প্রকৃতির সঙ্গে আত্মার এক নিবিড় সংযোগ। অনেক শিক্ষার্থীরই প্রিয় স্মৃতি গাঁথা এই লেনকে ঘিরে—ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটা, কবিতা লেখা, কিংবা নীরবে কারও অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা।

মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন আজ আর কেবল কিছু গাছের সমষ্টি নয়, এটি হয়ে উঠেছে একটি  সৌন্দর্যের প্রতীক, যেখানে প্রকৃতি তার শিল্পশৈলীর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ গড়ে তুলেছে। ফুলে ফুলে গড়ে ওঠা এই লেন যেন জানিয়ে দেয়—প্রকৃতির কোলে এখনও রয়ে গেছে ভালোবাসা, প্রশান্তি আর কিছুটা স্বপ্নময়তা। আর তাই, মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন এখন শুধু একটি রাস্তার নাম নয়, এটি হয়ে উঠেছে সৌন্দর্যের এক জীবন্ত নিদর্শন।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি হলেও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কয়েকদিনের প্রাণঘাতী লড়াইয়ের পর অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও দুই দেশের পানি ভাগাভাগির গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্থগিতই থাকছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ন্ত্রণ করে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর এর পেছনে ইসলামাবাদ আছে বলে অভিযোগ করে নয়া দিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে।

পাকিস্তান পেহেলগামের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দারস্থ হবে।

পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ পানি নিশ্চিত হয়েছে এই চুক্তির মাধ্যমে। পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) আলোচনার কোনো অংশ না।

ভারতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকার কর্মকর্তাও রয়টার্সকে জানান, এই চুক্তির বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি আর পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি।

কাশ্মীর হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তার অন্যতম এই পানি বণ্টন চুক্তি।

ভারত সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, দুই দেশের সংঘাতের ক্ষেত্রে বিরতি দেওয়া হলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা স্থগিতের মতো যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো সব বহাল আছে।


আরও খবর



ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙল রেমিট্যান্স প্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি মে মাসেও। এই মাসের প্রথম সাত দিনেই দেশে ৭৩৫ মিলিয়ন বা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারে।

সূত্র জানায়, মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ছেয়ে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছ, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।


আরও খবর



জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

প্রায় ৪০ বছর পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।

২০২৬ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনের জন্য কূটনৈতিক কৌশল ও প্রচারণার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচিত হলে তৌহিদ হোসেন ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এই পদে নির্বাচিত হলে তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশি হবেন, যিনি সাধারণ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে ১৯৮০-এর দশকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রচারণা শুরু করেছি। এটি বিভিন্ন পর্যায়ে পরিচালিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা, শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ এবং প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতার কারণে আমরা আশাবাদী, এই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবো।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশগ্রহণ কেন : এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নয়, বরং এটি পূর্ববর্তী সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা। ২০২০ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির পদে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ২০২৬ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘে জানানো হয়।

জাতিসংঘে মোট পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়। বর্তমানে এই পদে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান অঞ্চলভুক্ত একজন প্রতিনিধি।

তৌহিদ হোসেন কে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৮২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর তিনি প্রশাসন, প্রটোকল ও ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশে তিনি দিল্লি, কলকাতা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী তৌহিদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

তিন প্রতিদ্বন্দ্বী : বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও এই পদে প্রার্থী হয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সাইপ্রাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি। যদিও সাইপ্রাস ইউরোপের দেশ, তবে এটি এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের অংশ হিসেবেই গণ্য হয়।

সাধারণত এই পদে কনসেনসাসের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলেও এবার তিন জন প্রার্থী থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব : ১৯৮০-এর দশকে যখন হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এ পদে ছিলেন, তখন বছরের কয়েক মাস নিউ ইয়র্কে অবস্থান করেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই পদ এখন ফুল-টাইম দায়িত্বে পরিণত হয়েছে।

সাবেক একজন কূটনীতিক জানান, বর্তমানে কাজের পরিধি, জটিলতা ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই দায়িত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই প্রেসিডেন্টকে বছরের পুরো সময় নিউ ইয়র্কে থাকতে হয়।

তিনি আরও বলেন, যদি বাংলাদেশি প্রার্থী নির্বাচিত হন, তাহলে জাতিসংঘে দেশের অবস্থান আরও জোরদার হবে এবং এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন হবে।


আরও খবর