Logo
শিরোনাম

চাল আমদানির সময় বাড়ল আরো এক মাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে এই চাল আমদানি করা হয়। দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় এ চাল আমদানি করে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে দামের উপর কোন প্রভাব পড়ছে না।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৫০ টন চাল আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ এ নিয়ে গেল চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল ও ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, আটটি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি করেছে। সারাদেশে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯২ প্রতিষ্ঠানকে। দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাদের। অনেক প্রতিষ্ঠান এই সময়ের মধ্যে আমদানি করতে পারেনি। তারপরও সরকার ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয় আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার জন্য। আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় প্রথম দফায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় সরকার। তারপরও আমদানি ধীরগতির কারনে আবারও সময় বাড়ায় সরকার। এভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি না হওয়ায় এবারও চতুর্থবারের মতো আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে সব চাল আমদানি হলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে চাল আমদানি অব্যহত থাকলেও বাজারে দামের উপর এর কোন প্রভাব পড়ছে না। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। রোজার শুরু থেকেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। অব্যহতভাবে চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, চালের দাম কমানোর জন্য সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও সুফল মিলছে না। ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও দেশীয় চালের দামের উপর তার কোন প্রভাব পড়ছে না। রোজার শুরুতেই সব ধরনরে চালের দাম বেড়েছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রোজায় সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারলেও চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বেনাপোল বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, রোজার শুরুতেই চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। রোজার আগের ৬৪ টাকা কেজি দরের ২৮ জাতের চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৬৯ টাকা, ৭২ টাকার মিনিকেট ৭৬ টাকা, ৫২ টাকার মোটা চাল ৫৬ টাকা, ৮৪ টাকার বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকা কেজি। আমদানিকৃত ভারতীয় একটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় চালের চাহিদা কম।

তিনি বলেন, রোজার মধ্যে চালের দাম কমার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় চাল আমদানি অবহ্যত থাকলেও বাজারে দামের উপর কোন প্রভাব পড়ছেনা। তবে সামনে নতুন চাল বাজারে উঠলে সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ভারত থেকে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। চাল আমদানির জন্য সরকার আবারও একমাস সময় বৃদ্ধি করেছে। ভারত থেকে আসা আমদানিকৃত চালের ট্রাক স্থলবন্দর অভ্যন্তরে ঢুকলেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তা দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। যাতে আমদানিকৃত চাল দেশের বাজারে দ্রুত সরবরাহ হতে পারে।



আরও খবর



মুরগির বাচ্চা সিন্ডিকেটের কোটি কোটি টাকার লুটপাট

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাতের প্রান্তিক খামারিরা এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। ঈদকে কেন্দ্র করে অধিক দামে মুরগির বাচ্চা কিনতে বাধ্য হলেও এখন সেই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে ব্রয়লারের দাম নেমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না তারা। অথচ বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলো ঈদের আগে বাচ্চার দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা খামারিদের দুর্দশাকে আরও গভীর করেছে।

প্রান্তিক খামারিরা বর্তমানে মুরগি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, অথচ তাদের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি মুরগিতে তারা ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লোকসান দিচ্ছেন। এই ক্ষতি কতদিন বহন করা সম্ভব? সরকার কেন এখনো প্রান্তিক খামারিদের দুঃখ দুর্দশা পরিস্থিতির দিকে নজর দিচ্ছে না?

এই অন্যায্য পরিস্থিতির মধ্যে আরও এক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে—খামারে খামারে ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব। নিম্নমানের, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা বাচ্চাগুলো সহজেই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে, ফলে মৃত্যুহার বাড়ছে। অধিকাংশ খামারির মুরগি মারা যাচ্ছে, যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।

একদিকে খামারিরা উৎপাদন খরচের বিপরীতে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভাইরাসের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে তারা প্রতিটি দিক থেকে লোকসানের মুখে পড়ছেন। একদিকে কোম্পানির সিন্ডিকেট, অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট, সব মিলিয়ে প্রান্তিক খামারিরা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন।

এভাবে চলতে থাকলে তারা ধীরে ধীরে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন। দেশের পোল্ট্রি খাত সম্পূর্ণভাবে কর্পোরেট গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যার ফলে সাধারণ জনগণ উচ্চমূল্যে মাংস ও ডিম কিনতে বাধ্য হবে।

সরকারের উচিত দ্রুত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, প্রান্তিক খামারিদের জন্য ভর্তুকি ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এবং নীতিমালার মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অযৌক্তিক মুনাফা নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যথায়, পোল্ট্রি খাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের বিদায় নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং এর ফলাফল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।


আরও খবর



সবজির দাম বাড়তি, সংকট সয়াবিনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের পর থেকে বাজারের প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কম-বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বেশি। আগে ছিল ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তবে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনো বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে গিয়েও সবজির বাজার বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বেসরকারি চাকরি করা মো. বুলবুল জানান, ১০০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও করলা কিনেছেন তিনি। বলেন, ঈদের আগে সব সবজি ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। ঈদের পরে দাম প্রায় ২০ টাকার মতো বেড়ে গেছে।

এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন, চাল ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা রাজীব আহসান বলেন, কোম্পানি তেল দেয় না। ঈদের পর থেকে অর্ডার নিচ্ছে না। যে কারণে ৫ টাকা বেশি দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কাটন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে তেল পাবেন।


আরও খবর



সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়াই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

দূর দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্তজনতার অংশগ্রহণে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আ’যম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারীর (ক.) ৮৯তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহে উদযাপিত হচ্ছে। তিনদিনব্যাপী ওরশ শরীফ উপলক্ষে শুক্রবার ৪ এপ্রিল আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র‍্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। শনিবার সমাপনী দিনে বাবাভান্ডারীর কেবলার জীবনী আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও ২য় দিনের কর্মসূচিতে বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা ও মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান, রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্ হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যাজনের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন। আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি–হানাহানির মূল কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে। গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী’র শিক্ষা। তিনি আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রাখেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্–হাসানী

(মাজিআ) উল্লেখ করেন। বিএসপি চেয়ারম্যানের ইমামতিত্বে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আগত লাখো মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল্ হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী,আনজুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আলহাজ বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো: শহীদুল্লাহ্ প্রমুখ।


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এ সময় জেলেদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১) এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলে ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময় তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ব্যবসা দখলে মিথ্যা ছড়িয়ে ভাইকে ‘হত্যাচেষ্টা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাত-দিন ডুকরে কাঁদছেন রাজধানীর রামপুরার বিখ্যাত আল কাদির রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্ররা আশ্রয় নিয়েছিলেন তার রেস্টুরেন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রদের তিনবেলা নিজের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ান সুমন। কিন্তু অপতথ্য ছড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে উত্তপ্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তারই আপন ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার চালিয়ে ছাত্রদের দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই বড় ভাই। তবে অভিযুক্তরা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এই বড় ভাইয়ের নাম ফিরোজ আলম সুমন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে তার। আল কাদেরিয়া নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নানা পুরস্কার পেয়েছেন। সুমন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব।

১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় নিজের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন প্রায় ১৪ মাস ধরে সুমনকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা চালান।

প্রায় ১৫ বছর আগে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন তিনি। খাবারের মানের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়, ব্যবসাও প্রসারিত হয়। রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রেস্টুরেন্টটির শাখা গড়ে ওঠে। কিন্তু করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। করোনা শেষে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় আরও ভালো করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তে ছোট দুই ভাই ইফাতিখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে আনেন।

তিনি জানান, দুই ভাইকে ব্যবসায় যুক্ত করার পর হঠাৎ করেই দেখেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮/১০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তখন তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ক্যামেরা বসান। এরপর খেয়াল করেন যে, তার আপন দুই ভাই ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলম সুমন তার ছোট ভাই হাসনাইন আমিনকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেললে ভাই-ভাইয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

সুমন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাইদের ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আমি প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ করেছি ওই সময়। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, আসিফ নামে এক যুবককে টাকা দিয়ে ভাড়া করে তারা। আমার বিরুদ্ধে তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে বলে, যাতে করে ওই পোস্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে লোকজন আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে তারা দ্বায়মুক্ত থাকে। এমন ষড়যন্ত্র তারা করেছিল। এছাড়া আমাকে অসংখ্যবার নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেগুলোও প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নেওয়াজকে তারা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে বলেছে। কিন্তু তারা আসিফকে বলেনি যে, আমি তাদের আপন ভাই। এসব বিষয়ে রামপুরা ও বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছি। সেগুলোর তদন্তও হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নাও জারি রয়েছে।

ফেসবুকে পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজ বলেন, ইফতিখারুলের উদ্দেশ্য ছিল এই পোস্টের কারণে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করবে। আমাকে সে বলেনি সুমন তার ভাই হন। এছাড়া প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকেসহ আরও অনেককে ব্যবহার করে সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি ইফতেখারুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে।

ভাইদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগরে সুমনদের বাসায় গেলে তাদের বাবা নুরুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন, আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টটি সুমন সাহেবের। তিনি তার ভাইদের বসিয়েছিলেন। পরে শুনলাম, তার ভাই টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েও তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।  ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় তাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বছর খানেক ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো না। নানা দ্বন্দ্ব হচ্ছে শুনেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কার দোষ এটা আমরা ওইভাবে বলতে পারবো না। যেহেতু এটি থানা পুলিশ ও আদালতে গেছে সেখানে গিয়ে সব বলবো।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, সুমন একজন ভালো ব্যবসায়ী। আমাদের সংগঠনের নেতাও। তার ভাইদের কাছে হেনস্থার শিকার তিনি। আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫