Logo
শিরোনাম

চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

সম্প্রতি চালের ওপর শুল্ক কমানো হলেও আমদানিতে আগ্রহী নন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, চাল আমদানি করা হলে সেটি বর্তমানে দেশের বাজারে যে দাম তার চেয়েও বেশি দাম দিয়ে ক্রেতাদের কিনতে হবে। আর বেশি দামের কারণে দেশের ব্যবসায়ীদেরও মুনাফা হবে না। তারা মনে করেন, শুল্ক কমানো হলেও এই মুহূর্তে দেশে চালের দামে প্রভাব পড়বে না।

গত আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আমন চাষে প্রভাব পড়ার পর থেকেই খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়তি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের দাম যেন আরো না বেড়ে যায় তা ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত স্থানীয় মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

গত ২০ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে।

সংস্থাটি বলছে, ব্যাপক বন্যার কারণে শুল্ক কমানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম বেড়ে যেতে পারে।

রাজস্ব কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, শুল্ক কমানোর ফলে প্রতি কেজিতে আমদানি খরচ ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে।

তবে চাল কলের মালিকরা বলছেন, প্রতিবেশী ভারতে চালের দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে শুল্ক কমালেও সেখান থেকে আমদানি আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। তাছাড়াও, পরিবহন অন্য খরচের কারণে আমদানি করা চালের দাম দেশের বাজারের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

এক শীর্ষ চাল আমদানিকারক বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে আমদানির বিষয়টি কেউ বিবেচনা করবেন এমন সম্ভাবনা খুবই কম।

তাদের হিসাবে, আমদানি শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনলেও শুধু আমদানি খরচ হিসেব করলে চালের দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকা মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৭৬ টাকা হবে। এর বিপরীতে দেশের চিকন চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫ টাকায়। মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা। এরপর পরিবহন, শ্রমিকসহ আরো অন্য খরচ যোগ হবে।

এই আমদানিকারক মনে করেন, আমন বোরো ধান কাটার পর চালের দাম কমবে। তখন আমদানির প্রয়োজনীয়তা আরো কমে যাবে।

একই মত অপর শীর্ষ চাল আমদানিকারক জাকির হোসেন রনির  তিনি বলেন, এই দামে কেউ চাল আমদানি করবেন না। অদূর ভবিষ্যতে দেশে চালের দাম বাড়বে।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক বলেন, কেউ কেউ এক মাস পর চাল আমদানির কথা ভাবতে পারেন। আশা করা হচ্ছে, উৎপাদন বেশি হওয়ায় ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তখন চালের দাম আরো কমবে। বাজারে চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় চালের দাম বাড়তি।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে কয়েকটি এলাকায় ৫০ কেজি চালের বস্তায় দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিআর-২৮ বিআর-২৯ জাতের ৫০ কেজির বস্তা এখন তিন হাজার থেকে তিন হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ছিল হাজার ৮৫০ থেকে হাজার ৯৫০ টাকা।

রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ। গত মাসে বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ।

বার্ষিক হিসাবে চিকন চালের দাম বেড়েছে দশমিক ০৯ শতাংশ। মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মোটা চালের দাম বেড়েছে দশমিক ১৪ শতাংশ।

গত ২৩ অক্টোবর ভারত সরকার টনপ্রতি ন্যূনতম রপ্তানি দাম ৪৯০ ডলার তুলে দিয়ে বাসমতি ছাড়া অন্য চালের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে। ভারত সেদ্ধ চালের ওপর ১০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক তুলে নেওয়ার একদিন পর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসব উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে স্থানীয় আমদানিকারকরা বর্তমান দাম বিবেচনায় নিয়ে আমদানির কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ক্রয় সরবরাহ শাখার অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হোসাইনি বলেন, কয়েকজন আমদানিকারক খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে চাল আমদানির জন্য সরকারিভাবে আবেদন করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা আপাতত আমদানির জন্য আবেদন করবে বলে তিনি মনে করছেন না।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদনের পর বছর চালের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সেসময় দেশে চার কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদন হয়েছিল। ফলে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানির প্রয়োজনীয়তা ছিল না।

যা বলছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরাভারতের চাল রপ্তানিকারক চাল কলের মালিকরা রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিল করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তারা আসন্ন দীপাবলি, বড়দিন ইংরেজি নববর্ষের আগে দেশীয় আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবেন।

চাল রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বিভি কৃষ্ণ রাও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের চাহিদা বেশি। রপ্তানি বিধিনিষেধের কারণে হারানো অর্ডার ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেব গর্গ বলেন, সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়ায় ভারতীয় কৃষক রপ্তানিকারকরা বিশ্ববাজারে তুলনামূলক সস্তায় চাল বিক্রি করতে পারেননি।

নয়াদিল্লিভিত্তিক রপ্তানিকারক রাজেশ পাহাড়িয়া জৈনের মতে, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে চাল রপ্তানি বাড়বে। আগামী মার্চের মধ্যে চালান কোটি ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




১১টি দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপি সহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে মামলা করা হয়েছে।

এই বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম সহ তিনজন আবেদনকারী হয়ে রিটটি দাখিল করেছেন। অন্য দুজন হলেন মো. আবুল হাসনাত এবং মো. হাসিবুল ইসলাম।

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা সম্পর্কিত একটি আলাদা রিটও করেছেন তারা। রিটের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

১১টি দলের বিষয়ে দাখিলকৃত রিটে জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিষ্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশকে উদ্দেষ্য করে থাকলে।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

দুটি রিট করার কথা জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।


আরও খবর



৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। মাছ-মাংস-ডিম এখন আশাও করি না। শেষ ভরসা সবজি, সেটাতেও আগুন। ডাল-আলু দিয়ে ভাত খেতেও এখন কষ্ট হয়ে যায়।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এ ভাবেই নিজের কষ্টের কথা জানাচ্ছিলেন রাজধানীর শনির আখরা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মো. রাকিব হোসেন।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজার অস্বস্তিতে ভোগান্তির অন্ত নেই। বিভিন্ন সময় নানান পণ্যের দাম কিছুটা ওঠা-নামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। মাছ, মাংস, ডিম কিংবা সবজি, কোনোটিরই দাম নাগালে নেই। এতে নাজেহাল সাধারণ ক্রেতারা।

এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। শুধুমাত্র আলু ও পেঁপে বাদে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

এসব বাজারে প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বরবটি ১৩০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লতি ১০০ টাকা, সিসিঙ্গা ১০০ টাকা ও পটোল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি শিম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৮০০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা। আর প্রতি পিস লাউ ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপির জন্য ৮০-১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

শাকের বাজারে প্রতি আঁটি লাউশাক ৪০ টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা ও কলমিশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজির সরবরাহ কমেছে। সেই সঙ্গে মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় উৎপাদনও কমেছে। ফলে বাড়তি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তবে, শীত মৌসুমের সবজি বাজারে আসা শুরু হলে সবজির দাম কমবে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, পাইকারি সবজিই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই ৮০ টাকার নিচে নেই। বেশির ভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে। ফলে বেচাবিক্রি কমে গেছে।

এদিকে, বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

তবে ইলিশের দাম স্থির আছে। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি হারে ২২০০-২৩০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকায়। আর ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে ১৫০০-১৬০০ টাকা ও ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে বেড়েছে মাছের দাম। বন্যার পানিতে শত শত একর মাছের ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ জন্য বেড়েছে মাছের দাম।

মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণহীন। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। আর সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। বন্যায় ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে ফলে মুরগির দাম চড়া।

এদিকে খুচরা ও পাইকারি উভয় ক্ষেত্রে ঝাঁঝ বেড়েছে পেঁয়াজের। খুচরায় প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এ ছাড়া, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকায়। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।

ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার যেন প্রতিফলন নেই বাজারে। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার বদলেছে, তবে বাজার সিন্ডিকেট একই আছে। আর সিন্ডিকেটের কবলেই জিম্মি ভোক্তার পকেট। এ অবস্থা থেকে যেন আর পরিত্রাণ নেই!

টাস্কফোর্স গঠন নিয়ে ভোক্তরা বলছেন, বাজারে নেই টাস্কফোর্সের তদারকি কার্যক্রম। এতে বাজার অস্থির করে ভোক্তার পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। শুধু পদক্ষেপ নিলেই হবে না, বাজার নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকর প্রয়োগ করতে হবে।


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনবেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আমাদের মন ভালো থাকে না। দীর্ঘক্ষণ মন খারাপ থাকে। আর যার প্রভাব গিয়ে পড়ে আপনার জীবনে কিংবা পড়াশোনায়। মোট কথা কোনো কিছুতেই যেন মনোযোগ আসে না মন খারাপের সময়ে।তবে কিছু কাজ আপনার মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে মুহূর্তেই। 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন বলছে, গবেষকরা কয়েক দশক ধরে গবেষণা করে জেনেছেন কিছু কাজ আমাদের মন খুব দ্রুত ভালো করে দেয়। নেচার জার্নালের প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় কিছু কাজ আমাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়। এই কাজগুলো হচ্ছে-

যে বিষয়গুলোর জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবেন লিখুন: যখন মন খারাপ থাকে তখন খাতা কলম নিয়ে বসে লিখে ফেলুন যেসব বিষয়ের জন্য আপনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। এই বিষয়টা আপনাকে কিছুক্ষণ সময়েই প্রশান্তি দেবে। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে মনস্তাত্ত্বিকরা এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন

কফি পান করুন: মন খারাপের সময় কফি আপনাকে প্রশান্তি দেবে। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। কফিতে থাকা ক্যাফিন এবল আমাদের চাঙ্গা রাখে না এটা মন মেজাজ ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে  ক্যাফেইন বিষণ্নতার হ্রাসের পাশাপাশি আত্মহত্যার ঝুঁকিও কমায়। 

মেডিটেশন: নিজের প্রিয় কাজের পাশাপাশি কিছু সময় মেডিটেশন করতে পারেন। মেডিটেশন হলো দেহ মন এবং মস্তিষ্ককে শিথিল করার সহজ প্রক্রিয়া। মেডিটেশনের  আমাদের শরীরকে শিথিল এবং মন ও মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে। একাধিক গবেষণায় বলছে মেডিটেশন আমাদের মনোযোগ বাড়াতেও অবদান রাখে

একটু বেরিয়ে আসুন: মন খারাপ করে ঘরে না বসে থেকে কিছু সময়ের জন্য বাইরে যান। বিভিন্ন গবেষণা বলছে কোনো বিষয়ে যদি মন খারাপ থাকে তাহলে সে বিষয়টা থেকে বের হয়ে আসতে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে কিছুক্ষণ ঘরের বাইরে যেতে পারেন। বাসার কাছে পার্কে যেতে পারেন কিংবা মেঘলা দিনে রিকশায় ঘুরতে পারেন। আবার চাইলে নিজের খুব প্রিয় জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। 

বন্ধুদের সঙ্গে থাকুন: মন খারাপ ভালো করার সেরা ওষুধ বন্ধু। মনের চাপা কষ্টগুলো বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন, তার সঙ্গে সময় কাটান এতে করে মানসিক চাপ কমে যাবে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, মন খারাপের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে মন দ্রুত ভালো হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সে ক্ষেত্রে সেই সদস্যের সঙ্গে সময় কাটান এতে মানসিক প্রশান্তি আসবে


আরও খবর

শীতপূর্ব ঘুরে বেড়ানোর পোশাক

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

লবঙ্গ চা খেলে যেসব উপকার পাবেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় মহানবী -কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে নওগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ছাত্র সমাজ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

এসময় ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার, নবীর দুশমনের গালে গালে, ‘জুতা মারো তালে তালে’ বিশ্বনবীর অপমান, ‘সইবে না রে মুসলমানসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বিশ্বনবী আমার প্রাণ, তাইতো আমি মুসলমান‘ আল্লাহর এই দুনিয়ায়, ‘শাতিমে রাসুলের (সা) ঠাঁই নাই,’ ‘নবীর আদেশে চলবো, সব জুলুমাত রুখবো,’ বিশ্বনবীর অপমানে যদি না কাঁদে তোমার মন, মুসলিম নয়, মুনাফিক তুমি নবীজীর দুশমনসহ বিভিন্ন পোস্টার দেখা যায়।

মো. সজ্জাত হোসেন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে মো. আব্দুল্লাহ, মো. আতিকুর রহমান বলেন, মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স.) কে অপমান করার মধ্যে দিয়ে মানবতার আদর্শকে অপমান করা হয়। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে শেখায় না। যারা এসব করে তারা উগ্র। রাসুলুল্লাহ (স:) পৃথিবীর ১৭০ কোটি মুসলিমের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার পাত্র। তাঁর অবমাননায় আমরা ব্যথিত হই। তাই যতবারই আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করা হবে আমরা এর প্রতিবাদ জানাবো।

বক্তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ম বিদ্বেষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



শান্তিচুক্তির বার্তা দিলেন যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় ১৩ মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমন অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল। গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ হলে এই চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার বলেছেন, ইরানের প্রক্সি হামাস এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হলে আরও আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি

পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, যেদিন হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং হিজবুল্লাহ আর আমাদের উত্তর সীমান্তে থাকবে না, আমরা তেমন দিনের জন্য এই দুটি ফ্রন্টকে স্থিতিশীল করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে

তিনি বলেন, আমি ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক বছর আগে যে প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব দিয়েছিলাম তা চালিয়ে যেতে এবং আরও কিছু আরব দেশের সাথে (চুক্তির মাধ্যমে) শান্তি অর্জন করার আকাঙ্ক্ষা করছি

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে হওয়া চুক্তির অধীনে ইসরায়েল চারটি আরব দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। দেশগুলো হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান

তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল অন্যান্য দেশগুলোকেও বিশেষ করে সৌদি আরবকেও এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে। যদিও রিয়াদ বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না

নেতানিয়াহু আরও বলেন, এই দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশ স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছে, যারা আমাদের ওপর হামলা চালায় ইরানের অশুভ অক্ষ আমরা তাদের ওপর আঘাত হানছি। এসব দেশ আমাদেরই মতো একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে


আরও খবর