Logo
শিরোনাম

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সরকার চাল সরবরাহ বৃদ্ধি করে দেশের বাজারে এর মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে সরকার। আর মোট শুল্ক-কর মাত্র দুই শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এনবিআর থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ২০ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা এবং রেগুলেটরি শুল্ক বা আরডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার ওই শুল্কও প্রত্যাহার করা হলো।

এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক সৈয়দ এ মুমেন বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চালের ওপর সমুদয় আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তিনি আরও বলেন, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৯.৬০ টাকা কমবে। সমুদয় আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রাম। পিতাঃ শ্রী চণ্ডীচরণ শীল। বঙ্গের কবিগানের ভূবনে কিংবদন্তির নায়ক, মরমী গানের ধারায় মাইজভাণ্ডারী গানের সফল সংযোজক, একুশে পদকে ভূষিত, কবিয়াল রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকারই ছিলেননা; তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তিন শতাধিক মাইজভাণ্ডারী গান রচনা করে তিনি এই জগৎকে আশ্চর্যরকম ভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। শুধু সংখ্যার বিচারে নয়; গুণগত বিচারেও এগুলো উচ্চমার্গীয়, অনেকগুলোই কালোত্তীর্ণ। এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মূলত সাধনসঙ্গীত। রমেশ শীল তাঁর ব্যাপক কবিয়াল পরিচিতি এবং সৃজনশীল প্রতিভার পরশে মাইজভাণ্ডারী গানে এক নতুন ভাব-জোয়ারের সৃষ্টি করে সাধনসঙ্গীতকে নিয়ে আসেন লোকসঙ্গীতের কাতারে; জনপ্রিয় করে তোলেন যুগপৎ দরবারে ও সুধীমহলে। এ ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের অবদানের সাথে তাঁর অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলার লোক সঙ্গীতকে পল্লী ও শহর অঞ্চলে সমান তালে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের (১৯০১-১৯৫৯) যে অবদান, মাইজভাণ্ডারী গানকে মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলের পাশাপাশি সুধী-সমাজে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে রমেশ শীলের অবদান প্রায় অনুরূপ। এ প্রসঙ্গে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ ডক্টর ওয়াকিল আহমদের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য-

আধ্যাত্মিক ভাবধারায় রচিত মাইজভাণ্ডারের গান বাংলা লোক সংগীতের সখা-চারণকবি রমেশ শীল ছিলেন এ ধারার প্রধান রূপকার ও প্রচারক। মাইজভাণ্ডারের গান মূলত আধ্যাত্মিক হলেও এতে সমাজচেতনা অনুপস্থিত নয়: প্রতীক ও রূপকের ভাষায় সমাজের সমালোচনাও প্রকাশ পায়। আমার মনে হয়, এই কারণে মাইজভাণ্ডারের গান বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে স্থায়ী আসন লাভ করবে।১

আমাদের ধারণা, রমেশ শীলের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ রেখেই শেষোক্ত মন্তব্যটুকু সংযুক্ত করা হয়েছে।

এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মাইজভাণ্ডার দরবার ভিত্তিক। রমেশ শীল একে দরবারি মজলিস থেকে বের করে এনে সাধারণ শ্রোতার কাছেও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে লালন সঙ্গীত-সাধক অমূল্য শাহের সাথেও তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অমূল্য শাহ লালন সঙ্গীতকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন, রমেশ শীলও অনুরূপ মাইজভাণ্ডারী গানকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। রমেশ শীলের মাইজভাণ্ডারী গানগুলো উচ্চমার্গীয় সাধন সঙ্গীত হিসেবে রচিত হয়েও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। রমেশ শীলের মাইজভান্ডারী গানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজ জীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দ্বন্দ্বের একটি প্রবহমান গতিধারার যথার্থ চিত্রও খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা।

মাইজভাণ্ডারী তরিকার উদার, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে আকর্ষিত হয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে এরকম উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- খ্রিষ্টান মাইকেল পেনারু, বৌদ্ধ ধনঞ্জয় বড়ুয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুদাস ঠাকুর ও কবিয়াল রমেশ শীল। রমেশ শীল শুধু ঝুঁকে পড়েননি, মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও পীরমাহাত্ম্য বর্ণনা করে আধ্যাত্মিক উচ্চমার্গীয় সঙ্গীতও রচনা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন, তাঁর গানসমূহ দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু সাধারণভাবে অনেকে এটি সহজভাবে নিতে পারেনি। 

চট্টগ্রামের অভিজাত মুসলমান সম্প্রদায়েরই একটা অংশ রমেশ শীলকে, এমনকি রমেশ শীলের কারণে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকাকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে-


নয়া সুন্নি


নয়া এক ফেরকায়ে বাতেল হায় জাহের


বানাতে হোঁ মুসলমানো-কো কাফের।


নয়া সুন্নি নয়া উনকো আকিদা


আজব সুন্নি সুনিদা হাম নাদিদা।


পুরানে সুন্নিও ছে হেঁ ওয়ো বেজার


কমিউনিষ্ট আওর সেকুলারকা মদদগার।


আজব সুন্নি গজব উনকা তরিকা


রমেশ শীল ভি হায় উনকো এক খলিফা।


শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ নয়, রমেশ শীল স্ব-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও বিদ্রূপাত্মক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। মাইজভাণ্ডার যাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে 'একঘরে' করে রাখা হয়েছিল। তীব্র মনোদুঃখে রমেশ শীল রচনা করেন নিম্নোক্ত গানটি-


আমার প্রাণে খোঁজে মাইজভাণ্ডার।

নিন্দা করলে কি ক্ষতি আমার।


নিন্দুকেরা নিন্দা করুক, 

নিন্দা করা স্বভাব তার।।

কিসে হারাম হল তাল,

তালে লোহা পিটে বানায় দা ছুরি কোদাল,

তালে মাটি পিটে কুলাল ভাণ্ড বাসন হয় তৈয়ার।।

দেখ খোদার তৈয়ার ঢোল, 

দুনিয়াময় চামড়া ছানি ভিতরে তার খোল, 

নানা শব্দে বাদ্য বাজে শুনতে লাগে চমৎকার।।

শুন যত বন্ধুগণ, 

নিন্দুকেরে তোমরা কভু ভেবনা দুশমণ, 

তারা ত্বরিকতের ধোপার মতন ধুয়ে করুক পরিষ্কার।।

খাদেম রমেশের বাণী, 

প্রাণ দিয়েছি পীর কদমে যা করেন তিনি,

ঐসব নিয়ে টানাটানি করা আমার কি দরকার।। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীই ছিলেন না, মাইজভাণ্ডার পরিমণ্ডলের অনেকের বিশ্বাস, রমেশ শীল ছিলেন মাইজভাণ্ডারের ফয়েজপ্রাপ্ত একজন খলিফাও। 


আরও খবর

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, লাইভে বলা কথা, হত্যার শিকার.!

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বিলছাড়া এলাকা থেকে সুমন হোসেন নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর পূর্বে সুমন হোসেন তার ফেসবুক আউডিতে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে থেকে লাইভ ভিডিওতে এসে সে বাঁচার জন্য বন্ধু ও পরিচিত জনদের সহযোগীতা চেয়ে আকুতি জানায়, এমনকি তার বাবা নেই পরিবারে তার মা ও বোন রয়েছে। তার মা ও বোন কে দেখবে সহ তাকে ভ্যান চালকের ছেলে নব্য অনেক টাকার মালিক বুলবুল ও তার লোকজন বাঁচতে দিবে না মেরে ফেলবে এমন নানা কথা ও বলেছেন সেই কথাগুলো ইতি মধ্যেই জন-সাধারনের মাঝে ভাইরাল হয়েছে।

যুবক সুমন হোসেন হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্টান্ড এলাকার কম্পিউটার ব্যবসায়ী এবং বিলছাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিন এর ছেলে। এছাড়াও তিনি নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) পত্নীতলা উপজেলা শাখার একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন। সুমন হোসেন এর মৃত্যুর ঘটনায় তার গ্রাম সহ নজিপুর বাজারের ব্যবসায়ী মহলসহ সর্ব সাধারনের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। সুমনকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সুমন হোসেন হত্যায় জড়ীতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সোমবার ১৮ নভেম্বর দুপুর ১২টায় নজিপুরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। 

যুবক সুমন হোসেন এর মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ

এনায়েতুর রহমান জানান, সোমবার ১৮ নভেম্বর সকালের দিকে স্থানীয়রা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবক সুমনের মৃতদেহ দেখতে পান। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, যুবক সুমন হোসেন ডিজিটাল মার্কেটে কিছু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টা আগে ''সুমন হোসেন'' নামে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক আইডি থেকে করা লাইভে 'অন্ধকারে' কিছু কথা বলতে শোনা যায়। ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড অন্ধকারে করা ঐ লাইভে অভিযোগ করা হয়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ধার গ্রহন করেন সুমন। টাকা ধার গ্রহনের সময় বুলবুল নামের ব্যক্তি সুমন হোসেন এর কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। টাকা গ্রহনের পর কয়েক ধাপে বুলবুল কে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয় সুমন হোসেন। কিন্তু পরে বুলবুল সুমন হোসেন এর কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুমন হোসেন কে ধাওয়া করা হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে করা ঐ ভিডিও রেকর্ডে আরো দাবি করা হয়, অন্ধকারে তাকে যারা ধরতে খুজছেন তারা বুলবুল লোকজন এমটায় নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে জানিয়ে তার মৃত্যু হলে মৃত্যুর জন্য বুলবুল-ই দায়ী।

এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, ঐ ফেসবুক আইডিটি আসলেই সুমনের কিনা কিংবা লাইভের অডিও’র ঐ ব্যক্তিটি কি সুমন হোসেন না অন্য কেউ তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বুলবুল নামে কোনো ব্যক্তির সাথে সুমন হোসেন এর আসলেই কোনো আর্থিক লেনদেন ছিলো কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসবের সত্যতা বের হলেই আসল রহস্য উন্মোচন হবে বলেও মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তা। অপরদিকে উদ্ধারকৃত সুমন হোসেন এর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ। 


আরও খবর



নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে আনুমানিক ২৪-২৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জানাজানি হওয়ার পর এক নজর দেখার জন্য সেখানে মানুষ ভীড় জমান। মৃতদেহ পড়ে থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানানোর পরই মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র দেড়-দুই'শ গজ পশ্চিমে দক্ষিণ সাইডে ওড়া নামক স্থানে মহাদেবপুর টু শিবপুর রাস্তার পাশে ছোটো একটি ঝোপের ভেতর অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে তারা থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে  প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত  মৃত নারীর নাম-পরিচয় সনাক্ত হয়নি।


আরও খবর



আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব আগেই দিয়েছেন। এবার জবাব দিলেন কলকাতা ও বাংলা দখল বিষয়ে বক্তব্যের।

এরআগে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা চারদিনে কলকাতা দখল নিতে পারবেন বলেন মন্তব্য করেন। আবার বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী সম্প্রতি বাংলা- বিহার- উড়িষ্যা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। আজ সোমবার বিধানসভায় দুটি বক্তব্যের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে ললিপপ খাব না।’

এদিন বিধানসভায় স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে ওই কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। যারা বলছেন, বাংলা-বিহার-উওড়িষ্যা দখল করবেন, তারা ভাল থাকবেন। তবে আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আর ভাববার কোনো কারণ নেই যে, আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দেই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।’

মমতা বলেন, ‘আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষের। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, 'গোটা বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনো পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) গেছেন। দেখা যাক, কী হয়। আমাদের নীতি হল, আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।’

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কদের মন্তব্য করা থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘কোনো অতিরিক্ত মন্তব্য করবেন না, যাতে প্ররোচণার পরিস্থিতি তৈরি হয়। একই বার্তা রাজ্যবাসীকেও।’

পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘কয়েকটা মিডিয়া যা করছে, তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু আবেদন করছি, যথাযথ থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে।’

বাংলাদেশে অশান্তি বাড়লে শরণার্থী সমস্যা বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে- বিজেপির এমন আশঙ্কার জবাবে মমতা এদিন আবার কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে এখানে আসতে চাইছেন ওপার থেকে। কিন্তু সেটা বিএসএফ দেখছে। আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।


আরও খবর

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




মাভাবিপ্রবির ঐতিহ্যবাহী ভাসানী মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সাগর ঘোষ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

গত রবিবার মেলার ৭ম দিনেও উপচে মানুষের পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলা ঘুরে শিক্ষার্থীদেরও  কয়েকটি স্টল দেখা যায়। সেখানে তারা নানা মুখরোচক খাবার যেমন: আচার, বার্গার, কফি (হট ও কোল্ড), পিৎজা, স্যান্ডুইচ ইত্যাদি বিক্রয় করছেন। এছাড়াও মেলাতে বহিরাগত বিক্রেতারা চুরি, ফুলদানি, ক্লিপসহ নানা দ্রবাদি নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। মেলাতে কেউবা হাতে নকশা করছেন,  কেউবা প্রিয় মানুষকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন। এছাড়াও মেলায় টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপিসহ নানা মিষ্টি বিক্রয় করছেন। মেলায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের আনোগনায় প্রাণচ্ছোল পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে। মেলায় ছোট-বড় সকলের জন্য নানা রাইড যেমন: দোলনা, স্লাইড, নাগরদোলা, মিনি ড্রাগন ট্রেন, বাউন্সি ক্যাসল,  নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড রয়েছে। মেলার অন্যদিকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসস্থ বিজয়াঙ্গণে মাওলানা ভাসানীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতেও নানা বয়সীদের লক্ষ্য করা যায়। এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো তালের তৈরী টুপি। যা প্রায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। এই টুপির নাম হচ্ছে ভাসানী টুপি। 

মেলায় টাঙ্গাইল শহর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আদিতি আরিয়ান প্রান্তি বলেন, আমার দেখা টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় মেলা এই ভাসানী মেলা।  আমরা সপরিবার এই মেলাতে এসেছি। মেলা থেকে কাঁচের চুড়ি কিনেছি দুই ডজন, ছোট ভাইয়ের জন্য খেলনা বন্দুক কিনেছি, নাগরদোলায় উঠেছি। সব চেয়ে ভালো লেগেছে এউ মেলায়  কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। ফটকের চারপাশে শোভা পাচ্ছে নানা রং-বেরঙের আলোকসজ্জা। চারপাশে কোলাহল। ছোট-বড় নানা খাবার-খেলনার দোকান, গহনা, প্রসাধনীর দোকান সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত।

মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান বলেন, সব মিলে এক অসাধারণ এক সময় কাটিয়েছি এই ভাসানী মেলায়। আমরা চাই প্রতি বছর এভাবেই মেলা হোক। সারাদেশ থেকে সবাই ভাসানী মেলা সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নানা রকমের স্টল দিয়েছে, দেখে আরও ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ থেকে এতো বড়ভাবে ভাসানী মেলার আয়োজন হয়নি। মেলা আয়োজনে যারা আছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর