Logo
শিরোনাম

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সরকার চাল সরবরাহ বৃদ্ধি করে দেশের বাজারে এর মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে সরকার। আর মোট শুল্ক-কর মাত্র দুই শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এনবিআর থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ২০ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা এবং রেগুলেটরি শুল্ক বা আরডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার ওই শুল্কও প্রত্যাহার করা হলো।

এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক সৈয়দ এ মুমেন বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চালের ওপর সমুদয় আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তিনি আরও বলেন, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৯.৬০ টাকা কমবে। সমুদয় আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




রাণীনগরে পুলিশের অভিযানে দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে তাদের নিকট থেকে মোট ১৫০গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় শনিবার রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করে রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান,শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপজেলার কুনুজ গ্রামের নোয়াই ফকিরের ছেলে শফিকুল ফকির (৪৩) কে ৫০গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। এছাড়া একই রাতে উপজেলার হরিপুর গ্রামের নিরেন্দ্রনাথের ছেলে নবীন চন্দ্র (৩০) কে ১০০গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুরেদ্ধ রাতেই মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করে রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করলে মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। এমনকি কোনো ধরনের চিন্তা করার বিষয়েও।

ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থা রিয়াবকভকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রাশিয়া ইসরায়েলকে এই ধরনের সহায়তা প্রদানের বিরুদ্ধে, এমনকি বিবেচনা করার বিরুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছে। তিনি বলেছেন, মস্কো ইসরায়েল এবং ইরান উভয়ের সাথেই যোগাযোগ রাখছে।

এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইসরায়েল-ইরান সংকট নিয়ে আমিরাতের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। উভয় নেতাই সংঘাত নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা চাই না ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা হোক। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।


আরও খবর



সৃষ্ট সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠকের ভেতর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বের অবসান ঘটেছে। এ ছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্রে ফেরার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কোনো অবস্থায় হাতছাড়া করতে চায় না দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে যায় বা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়- এমন কোনো কার্যক্রম না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকে গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একান্ত বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের একান্ত আলোচনায় কী কী বিষয় স্থান পেয়েছে,

তা তারেক রহমানের কাছে দুই নেতা জানতে চান। কিন্তু লন্ডন বৈঠকের আগে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল তারেক রহমান যেন একান্ত বৈঠকের বিষয়ে শেয়ার না করেন তা অন্য নেতারা উল্লেখ করেন। এই অবস্থায় তারেক রহমান বলেছেন, লন্ডনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না। তখন বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লন্ডন বৈঠককে আমরা এখনও ইতিবাচক মনে করছি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, সাংগঠনিক কর্মকা- আরও ত্বরান্বিত করা, নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজকে এগিয়ে নেওয়া- এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হওয়ায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে আস্থার সঞ্চার করেছেন বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা আরও মনে করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন লন্ডন বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ ইস্যুতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর ইশরাক হোসেনের এই আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিত, আন্দোলন বন্ধ করা উচিত। কারণ লন্ডন বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট ও অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি এক ধরনের স্বস্তিও ফিরে এসেছে জনমনে। একই সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কিছুদিন ধরে চলা বিএনপির টানাপড়েনেরও অবসান ঘটেছে। এমন অবস্থায় ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আন্দোলন চলতে থাকলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাই সব দিক বিবেচনায় আন্দোলন থেকে এখন ইশরাকের সরে যাওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা (শপথ ইস্যুতে আন্দোলন) বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত না। ইশরাক ঢাকাবাসীকে নিয়ে এটা করছে। বিএনপির মধ্যে এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখতে হবে। সরকার যদি নির্বাচন বিষয়ে তার কথা না রাখে তাহলে তো বহু আন্দোলন করা যাবে। আমরা শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থান ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বিদায় নিলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প; এ সময় মাস্কও উপস্থিত ছিলেন।

মাস্কের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ইলন এক কথায় দুর্দান্ত। তিনি প্রশাসনে আসার পর অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছেন এবং তিনি ছিলেন বলেই আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনে ব্যাপক ও ফলপ্রসূ পরিবর্তন আনতে পেরেছি। তিনি না থাকলে হয়তো এই পরিবর্তন আনতে কয়েক প্রজন্ম লেগে যেতো।”

“আজ তিনি বিদায় নিচ্ছেন; কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এটি সত্যিকারের বিদায় নয়। তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো না কোনোভাবে আমাদের সংস্পর্শে থাকবেন। এখনও তার অনেক কিছু করার আছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন মাস্ক। নির্বাচনে জয়ের পর মাস্ককে নিজের পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর মাস্ককে নবগঠিত সরকারি বিভাগ বা মন্ত্রণালয় ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ)-এর প্রধান করেন ট্রাম্প। এই বিভাগের প্রধান কাজ ছিল সরকারি ব্যয় সংকোচন এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি।

মাস্ক ডজের প্রধান নির্বাহী হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে সরকারি অর্থ অপচয় রোধের নামে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়, স্থগিত করা হয় প্রায় সব ধরনের বৈদেশি সহায়তা প্রদান, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থাতেও সরকারি ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এসব কারণে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একাধিক আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চাকরিচ্যুত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ সহায়তা প্রদান স্থগিত করায় দেশের ভেতরেও সমালোচনায় বিদ্ধ হতে থাকে ট্রাম্প প্রশাসন।

মাস্কের নিয়োগ নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের এমপিদের একাংশ এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা-কর্মীদের একাংশ অসন্তুষ্ট ছিলেন। কংগ্রেস এখনও ডজকে সরকারি বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মাস্কের। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বিল স্বাক্ষরকে ঘিরে নতুন তিক্ততা সৃষ্টির অবস্থা দেখা দেয়। মাস্ক প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেন।

নাগরিকদের কর মওকুফ এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত ওই বিলটি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যে তিনি একটি ‘বড় ও সুন্দর’ বিলে সাক্ষর করেছেন। কিন্তু এর পরের দিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক সেই বিলের সমালোচনা করে বলেন, “‘‘এটা একটা বিশাল খরচের বিল। আমরা সরকারের খরচ বাঁচাতে, অপ্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করতে এত দিন ধরে ডজ-এর আওতায় যা যা কাজ করলাম, এই বিল সেসব ব্যর্থ করে দেবে। আর আমার মনে হয়, একটা বিল হয় বড় হতে পারে, অথবা সুন্দর। দুটো একসঙ্গে হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।”

পরে পৃথক এক সাক্ষাৎকারে ওয়াশিংটন পোস্টকে মাস্ক বলেন, তিনি তার পুরোনো কাজে ফিরে যেতে চান এবং ব্যবসায় মন দিতে চান।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে মাস্ক বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির মালিক— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং নভোযান এবং মহাকাশ গবেষণা কাজে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি স্পেসএক্স।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক বলেন, “আমি মনে করি, ডজ টিম তার গত কয়েক মাসের কাজে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ক্ষোভে রাস্তায় চামড়া ফেলে গেলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী লোকসানে বিক্রির পাশাপাশি কেউ কেউ সড়কে-মহল্লায় কাঁচা চামড়া ফেলে গেছেন। মূলত সিন্ডিকেটের কারণে বর্ধিত দামের পরিবর্তে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন চামড়া সংগ্রহকারীরা। গরুর চামড়ার দামে দরপতনে ছাগলের চামড়া বিক্রিই হয়নি। চামড়া সংগ্রহে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবস্থাপনায় চামড়া নিয়ে এবারো লোকসান ও পচনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

ঈদুল আজহার দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাব ও পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় বেশির ভাগ গরুর কাঁচা চামড়া ৬৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ছোট চামড়ার দাম উঠেছে ৫৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। রাজধানীর চামড়ার দাম অনেকটা বিগত বছরের মতোই ছিল।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। চলতি বছর কোরবানির ঈদের মৌসুমে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিকরা।

গত ২৬ মে কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আড়তদাররা জানিয়েছেন, লবণযুক্ত চামড়ার যে দাম সরকার নির্ধারণ করেছে সেটি আড়ত থেকে ট্যানারি মালিকদের জন্য নির্ধারিত। সাধারণ মৌসুমি ক্রেতারা কাঁচা চামড়া কিনেই ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এক্ষেত্রে দরদাম করে তুলনামূলক কম দামে চামড়া কিনছেন তারা। প্রতিটি কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াকরণে আরো ৪০০ টাকার মতো খরচ হয়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শুরুতে দাম ধরে রাখায় পরবর্তী সময়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ কোরবানি হওয়া চট্টগ্রাম জেলায় চামড়া খাতে সবচেয়ে বড় ধস গেছে। চট্টগ্রামে প্রতিটি চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। তবে কোরবানি ঈদের দিন সন্ধ্যার পর থেকে চামড়ার দাম আরো কমে যায়। কেউ কেউ লোকসানে বিক্রি করলেও এক পর্যায়ে সড়কে চামড়া ফেলে গেছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর থেকে সিটি করপোরেশন অন্তত ১০ টন পচা চামড়া সড়ক থেকে অপসারণ করেছে।

জানতে চাইলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। একটি ২০ ফুটের চামড়ায় ৪০০-৫০০ টাকা খরচ হয় প্রক্রিয়াজাত করতে। ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয়ের সময় প্রতিটি চামড়ায় ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করেন। এ কারণে লবণ ছাড়া চামড়া বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই। তবে শুরুতে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করা হলেও ঈদের দিন রাতে সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হয়েছে।

চট্টগ্রামের পাঠানটুলী এলাকার মো. জাহিদ নামের এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি ৪০০ টাকা করে ১৮টি চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। পরিবহন ও শ্রমিক মজুরিসহ দাম ৪৫০ টাকার মতো। কিন্তু প্রতিটি চামড়া ৪০০ টাকা করে বিক্রি করে দিয়েছি।

নগরীর চৌমুহনী এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মো. মনজু মিয়া বলেন, ১১০টি চামড়া প্রতিটি গড়ে ৪৮০ টাকা করে সংগ্রহ করেছি। কিন্তু ব্যাপারীরা বাড়তি দাম দিতে চায়নি। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৫০ টাকা করে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বড় আড়তদার ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে বিগত দেড় দশক ধরে চামড়া ব্যবসায় লোকসান দিতে হচ্ছে। এ বছর সিন্ডিকেট থাকবে না আশা করে চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু এবারো লোকসান দিতে হয়েছে।

নগরীর দেওয়ানহাট ও চৌমুহনী, দুই নম্বর গেট এলাকায় শত শত মৌসুমি ব্যবসায়ী দাম না পেয়ে সড়কের পাশে চামড়া ফেলে চলে গেছেন। চৌমুহনীতে কয়েকজনের একটি মৌসুমি ব্যবসায়ী গ্রুপ দাম না পেয়ে প্রায় ২ হাজার চামড়া ফেলে গেছেন।

চামড়ার পচন ও দাম না পাওয়ার জন্য এ বছর শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ কার্যক্রমকে দায়ী করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, সরকার ৩০ হাজার টন লবণ দেয়ার কথা বললেও বিতরণ করেছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। ফলে এ বছর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ সংগ্রহ করেননি। যার কারণে কাঁচা চামড়া নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। এ সুযোগে আড়ত ও ব্যাপারীরা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে পচন ধরতে শুরু করলে কম দামে বিক্রিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকার মেসার্স লাল মিয়া সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদ বলেন, আমরা কোরবানির অনেক আগেই পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে সংকটের কথা জানিয়েছিলাম। সরকার বিনামূল্যে দেশব্যাপী লবণ দেয়ার কথা জানানোয় কেউই লবণ সংগ্রহ করেনি। আবার সরকারও এক-চতুর্থাংশের বেশি লবণ দেয়নি। যার কারণে পাইকারি পর্যায়ে দেশব্যাপী চামড়ার জন্য নির্ধারিত মোটা লবণের সরবরাহ সংকট ও দাম বেড়ে যায়। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা শতভাগ কাঁচা চামড়ার বিপণনে বাধ্য হন। যার সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়েছেন আড়ত, ব্যাপারী ও ট্যানারি মালিকরা। পাশাপাশি দেশের শত শত লবণ মিল মালিক বড় লোকসানে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চট্টগ্রামের আড়তদার সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুল আলম জানান, মৌসুমি বিক্রেতারা শুরুতে বাড়তি দাম দিয়ে চামড়া বিক্রি করেনি। অনেকে আবার দেরিতে চামড়া এনেছিলেন। এতে চামড়া পচে গেছে। চামড়া পচে যাওয়ায় কেউ কেনেননি। তবে তারা শুরুতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়েও একেকটি চামড়া কিনেছেন। শেষ দিকে ২০০ টাকায়ও চামড়া নিয়েছেন। কেউ কেউ ক্রেতা না পেয়ে চামড়া ফেলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অনেক আড়তদার বলছেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ লবণযুক্ত চামড়ার দামের সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দাম গুলিয়ে ফেলেন। এতে অনেক সময় তারা বেশি দামে চামড়া কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এবারো সেটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর