Logo
শিরোনাম

চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৭৯জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মেটা ভার্সন কিংবা ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর পক্ষেই সরাসরি গিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। সে কারণে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশের মাটিতে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী গত সোমবার নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট’-এ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক এবং নাহিদ খান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম, নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এতে বাংলাদেশ ও ইউএস এর আইটি/আইটিইএস খাতের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ৩০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শতভাগ ই-সার্ভিস প্রদান, ২০৩১ সালের মধ্যে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক, অগ্রসরমান অর্থনীতি, উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা এবং মাথাপিছু ১২ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষমাত্রা নিয়ে এখন আমরা কাজ করছি।

সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশি মি. ববি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেন।


বিজ্ঞপ্তি


আরও খবর

জিমেইলে আসছে নীল টিক

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির রুটিন প্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

এনসিটিবি কর্তৃক প্রেরিত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সমন্বিত রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ১১ মে মাউশির সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়।

এতে এক শিফটের সাধারণ স্কুলগুলোকে সকাল ১০টায় পাঠদান শুরু করে বেলা ১টা থেকে ৪৫ মিনিট অবধি বিরতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিরতির পর বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদান করতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে দুই শিফটের স্কুলগুলোতে প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু করে ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত বিরতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিরতির পর পুনরায় বেলা ১২টা অবধি পাঠদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় শিফট বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু করে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট বিরতি দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বেলা ৩টা ৫ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদানের কথা বলা হয়েছে।

মানতে হবে যেসব নির্দেশনা :

ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।

নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।

প্রথম থেকে তৃতীয় পিরিয়ড হবে ৬০ মিনিটের এবং চতুর্থ থেকে সপ্তম পিরিয়ড হবে ৫০ মিনিটের।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ীশরীর চর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমনগান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ, প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোক্রমেই সেশনের সময় কমানো যাবে না।

রুটিনে উল্লিখিত ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির কোনো বিষয়েই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।

জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন (২১ শে ফেব্রুয়ারি, ১৭ ই মার্চ, ২৬ শে মার্চ, ১ লা বৈশাখ, ১ লা মে, ১৫ ই আগস্ট, ১৬ ই ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় দিবসে রুটিন অনুসরণ না করে, দিবস পালনে বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকগণ আগে থেকেই পরামর্শ করে শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবসের কার্যক্রম সাজাবেন। যেন দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন তা অর্জিত হয়।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণই শুধু ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাকে সে বিষয়েরই সেশন/শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।

এ ছাড়া দুই শিফটসাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সেশন রুটিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা-

১. ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

২. অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।

৩. নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে সপ্তম পিরিয়ডে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।

৪. রোল কলের কারণে প্রথম পিরিয়ড হবে ৪৫ মিনিটের এবং বাকী পিরিয়ড হবে ৪০ মিনিটের।

 


আরও খবর



ধামরাইয়ে আমিনুর হত্যার প্রতিবাদে এলাকা বাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের জহির উদ্দিনের ছেলে আমিনুর হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় কাশিপুর আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে প্রায় ২ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। 


এসময় নিহত আমিনুরের চাচা মহর উদ্দিন বলেন আমার ভাতিজার সাথে কুল্লা ইউনিয়নের কফিলউদ্দিনের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া উর্মির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যে রাতে আমার ভাতিজা আমিনুর কে হত্যা করা হয়, সেদিন রাত ০৯ টার দিকে উর্মি ফোন করে নিয়ে যায় নেওয়ার পর তার পিতা মাতা মিলে আমিনুরের হাত, পা বেধে তারপর তাকে হত্যা করে তারা ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে উর্মি আমাদেরকে ফোন করে বলে যে আমিনুর মারা গেছে আমরা গিয়ে ভাতিজার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি, আমরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মেয়ের বাবা কফিল উদ্দিন ও মেয়ে উর্মি জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়।


ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও এখনোও থানার পুলিশ কোন মামলা নিচ্ছে না। আমারা গরীব বলে কি বিচার পাবো না দেশবাসীর কাছে জানতে চাই? 


এসময় নিহতের মা আমেনা বলেন আমার ছেলেকে যারা এভাবে হত্যা করলো আমি তাদের ফাঁশি চাই। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আরও বক্তব্য দেন প্রতিবেশী চাচা বাবুল হোসেন,ফায়ারসার্ভিস কর্মকর্তা বাসেদ এবং ফুফু সাহেদা বেগম সহ উপস্থিত ছিলেন এলাকার হাজার ও লোকজন।


আরও খবর



কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। বছর খানেক ধরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী মাঠে আছে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কিন্তু সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাদের বিরূপ মন্তব্যকে দেশবিরোধী কাজ ও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যে এবার সরাসরি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। বিএনপির নেতাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি বিএনপির নেতাদের সহ্য হয় না। আওয়ামী প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আবার বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে মাঠে থাকবেন ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূলত, দ্বাদশ নির্বাচনে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। বিরোধী দলীয় নেতার এমন বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। এই বক্তব্যের মধ্যমে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার নীলনকশা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কর্মসূচি পালন করে। ভিন্ন ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও বাকি সংগঠনগগুলো। এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশের পর ঢাকা মহানগরের দুটি বড় ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সব থানায় এ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কঠোরভাবে মাঠে থাকবেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বড় দুই ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ। তারা আগামীতেও রাজনীতির মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্দেশে সোমবার মহানগরের অন্তর্গত প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তরও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকে নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে তারা বিকেলে মহানগরের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে মহানগরের থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরের নেতারাও নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিরোধে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান করেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিএনপি সরকার উৎখাত করে নির্বাচনে আসতে চায়। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি তাদের (বিএনপি) গভীর ষড়যন্ত্র। বিএনপি ও তাদের দোসররা এখনো খুন-হত্যা থেকে বের হতে পারেনি। তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

রাজধানীতে রবিবার এক শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকার পতনের এক দফার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এজন্য এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারা দেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আর শান্তি সমাবেশ নয়, তাদের প্রতিরোধ করা হবে। দলীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারেই আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জের জালকুড়িতে হা পা বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মুল আসামী মোঃ কমল ওরফে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে। সনাক্ত করেছে নারীর পরিচয়। নিহত নারীর নাম নাসরিন আক্তার। সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য জানান। রবিবার রাতে কড়িগ্রামের চিলমারীর পুর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে নামে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন সনাক্ত হয় নিহতের নাম নাসরিন আক্তার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে এবং গত রবিবার রাতে চিলমারীতে অভিযান চালিয়ে কমলকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কুদ্দুস স্বীকার করে জানায়, গত ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ জালকুড়ির পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। গান শেষে রাত অনুমান সোয়া ৩ টায় নাসরিন আক্তার (৪০) এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাসরিনের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইরে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪ শ’ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে। নাসরিন রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীণ তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনের হাত বেঁধে এবং নাসরিনের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বামী মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তি বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৮ সালে উপজেলার ঘাসিরপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের কন্যা সাবিনা ইয়াছমিনকে রেজিষ্টি কাবিন মুলে ২য় বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ভরণপোষন ও বকশীগঞ্জ পৌর শহরে ৫ শতক জমি কিনে বাড়ি এবং ময়মনসিংহ শহরে ৩ শতক জমি কিনে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে ব্ল্যাক মেইল ও নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে। কোন কারন ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সে। আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক ও আমার সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সম্মানের ভয়ে সব কিছু মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকি। গত ছয়মাস আগে তার গর্ভে আমার কন্যা সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় সে আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি,মামলার হুমকি দিতে থাকে এবং আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে গত ৮ মে সোমবার আমি তাকে আইনগত ভাবে তালাক দিয়েছি। এরপর সে আমার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাজানো মামলা ও আদালতে একটি মামলা করে। এমনকি বিভিন্ন জনকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট করে সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করে আসছে। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের আইনে আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আইন মোতাবেক তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা করেছে আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নিব। তার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। তবে শিশু সন্তানটি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান। আমার মেয়েকে আমি চাই। তার বিষয়েও আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।  

উল্লেখ্য,গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন। তার দাবি স্বামীর অধিকার চাওয়ায় নির্যাতন করা হয়েছে তাকে।


আরও খবর