Logo
শিরোনাম

চাঁদা না পেয়ে অটোচালকের বসতঘরে হামলা, লুটপাট আহত ৬

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে দাবি করা চাঁদার টাকা না পাওয়ায় অটোচালকের বসতঘরে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের বাধাদিতে গিয়ে নারী-পুরুষসহ ৬ জন আহত। স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতে  সদর উপজেলার বশিকপুর ৭ নম্বর ওয়াডে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ী থেকে নগদ ৮ লাখ টাকাসহ ১২ লক্ষ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের   ।

জানা গেছে, ত্রাসের জনপথ সদর উপজেলার বশিকপুরে সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে নতুন করে পাকা ঘর তুলতে দিতে হয় চাঁদা। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর এসব আওয়ামী পন্থী চাঁদাবাজ গা ঢাকা দিয়েছিল।এতোদিন অনেকেই ভয়ে বাড়ি-ঘর না তুলল্লেও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা নেই এমন বিশ্বাসে পাকা ঘর তৈরি কাজ ধরেন সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন ও তার সন্তান অটোচালক শাফায়াত। সন্ত্রাসীদের নজরে আসলে তারা এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চাঁদা দাবী করে এমন দাবী ক্ষতিগ্রস্তসহ এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে বশিকপুর। তাই সন্ধ্যার মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া থাকে সবার। এখন সন্ধ্যার পর থেকে বের হতে পারেন না তারা। বাজার জমজমাট থাকত রাত ১টা পর্যন্ত। এখন সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সবার মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করে, কখন কী হয়!


হামলায় আহত নাসির উদ্দিন জানান,  অন্য বাহিনীর মতো কাজ করছে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ বাহিনী । এতোদিন এ বাহিনীর  লোকজন চাঁদা আদায় করতো । কিছু দিন তাদের সন্ন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ থাকলে ও কয়েকনি ধরে তারা নতুন করে এলাকায় এ বাহিনী ও সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে দিয়েছে । নীজ জায়গায় পাকা ঘর তুলেতেই তাদের নজরে আসে তাদের। সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ বাহিনী দাবী করেন  ৫০ হাজার টাকা চাঁদা । দিতে অস্বীকার করাতে ক্ষিপ্ত হয় এ বাহিনীসদস্যরা। তাদের হামলায় তিনিসহ তার বাবা শাহাবুদ্দিন ,ভাই শাফায়াত,মা শিরিন আক্তারসহ তাদের পরিবারের ৬ জন আহত হয়।  

হামলাকারীরা ভাড়ি ঘর ভাংচুরসহ অটোরিকসাটিও ভাংচুর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা । জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ এলাকার এক নম্বর ত্রাস। তার রয়েছে  ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী।  সন্ধ্যার পর  বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর শাহাদাত মাকসুদ বাহিনী তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা১২ লাখ টাকার মালামালসহ মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। বাধাঁদিতে দিতে গিয়ে হামলা ও মাধরের শিকার হন তারা। এ ঘটনায় শুষ্টু বিচার দাবী করেছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তিন দশক ধরে ত্রাসের রাজত্ব চলছে বশিকপুরে। মানুষ দিনের পর দিন নৃশংস ঘটনা দেখে অনেকটাই বোবা হয়ে গেছে। তারা অনেক কিছু দেখেও দেখত না। শুনেও শুনত না। তবে সম্প্রতি জোড়া খুনের পর বশিকপুরের মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। অনেকে মুখ না খুললেও চাইছেন এই অরাজকতার অবসান।

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সমাজকর্মী মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ক্ষমতাধর রাজনীতিকেরা নিজেদের প্রয়োজনে বাহিনীগুলো তৈরি করেছেন। এই সমস্যা নিরসনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো শুদ্ধ না হলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না।’

 এদিকে হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনায় অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর, শাহাদাত ও  মাকসুদ। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন,ঘটনাটি তিনি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। পারিবারিক বিরোধে না সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দত্তপাড়া পুলিশের তদন্তটিম কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাতে ও দিনে ওই এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।  


আরও খবর



বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭% শুল্ক আরোপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, যাকে বাণিজ্য যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে আমেরিকান পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এখন থেকে বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা দেশটি প্রধানত রফতানি নির্ভর, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য। 

হোয়াইট হাউস জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীনের মতো সবচেয়ে বেশি অপরাধী দেশগুলোর পণ্যের ওপর আরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, এটি দেশের দেশের অন্যায্য বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মুক্ত বাণিজ্যনীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। দেশটির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়তে পারে।

হোয়াইট হাউস জানায়, ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ শুরু হবে ৫ এপ্রিল থেকে। এরচেয়েও বেশি হারে শুল্ক কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে।  

চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সিএনবিসিকে জানায়, চীনের ওপর নতুন পাল্টা শুল্ক আগের ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে, যার ফলে ট্রাম্পের এই মেয়াদে বেইজিংয়ের ওপর প্রকৃত শুল্ক হার দাঁড়াবে ৫৪ শতাংশ। আর জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ হারে শুল্ক বসবে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বসছে ৩৭ শতাংশ।

কিছু ছোট দেশের ওপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে। যেমন; দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ লেসোথোর পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, আর ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ শুল্ক বসবে।

হোয়াইট হাউসের একটি তথ্যপত্র অনুযায়ী, বেসলাইন (মূল মান) শুল্ক ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যকর হবে, এর মধ্যে প্রায় ৬০টি দেশ উচ্চমাত্রার পাল্টা শুল্কের আওতায় পড়বে। 


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রতিবাদে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সড়কে নেমেছে হাজারো মানুষ।

‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত এই কর্মসূচির অর্থ হচ্ছে- ‘৫০টি বিক্ষোভ, ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ১টি আন্দোলন’। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা বিপ্লবী যুদ্ধ শুরুর ২৫০তম বার্ষিকীর সঙ্গে মিলিয়ে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

বিবিসি লিখেছে, হোয়াইট হাউস ও টেসলা ডিলারদের শোরুমের বাইরে এবং অনেক শহরের প্রাণকেন্দ্রে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেন। ভুল করে এল সালভাদরে পাঠানো আব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান অনেকে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এপ্রিলের শুরুতে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম হয়।

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে বলে জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।

গতকালের কর্মসূচিতে ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। সরকারি চাকরিতে ছাঁটাই এবং ব্যয় কমাতে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডোজ) নেওয়া উদ্যোগ এবং এল সালভাদরের নাগরিক আব্রেগো গার্সিয়াকে নির্বাসন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনের অনাগ্রহের বিষয়গুলো রয়েছে এর মধ্যে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ক্যানসারে আক্রান্ত উপস্থাপিকা-অভিনেত্রী সামিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আড়াই বছর ধরে এই মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন টিভি উপস্থাপক-অভিনেত্রী সামিয়া আফরিন।সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে তারকাদের পোশাক নিয়ে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখান থেকে প্রাপ্ত পোশাক বিক্রির টাকা ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় হবে। গতকাল ২২ মার্চ উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী শেষ হয়েছে।

এই আয়োজনে উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামিয়া আফরিন বলেন, ‘আমার ক্যানসার ধরা পড়ে ২০২২-এর ঠিক এপ্রিলে। তখন কোভিড থেকে সবেমাত্র লকডাউন উঠছে এবং কিছু কিছু দেশ খুলছে (ভ্রমণ অনুমতি)। ওই সময় স্টেজ ৪-এ ছিল আমার ক্যানসার। এটা খুবই ভীতিকর ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল আমার পরিবারের লোকজনের জন্য। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে যে, এটা একটা অসুখ; এ জন্য আমাকে লড়াই করতে হবে অথবা নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ভয় না পেয়ে কীভাবে নিরাময় হতে পারে, আমি সেসব খুঁজে বের করি।

যোগ করে তিনি বলেন, ‘তখন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, বরং আমি আমার পরিবারের জন্য সহায়ক হয়েছিলাম। কারণ, কারও কাছ থেকে সহানুভূতিশীল কোনো কথা বা সেই দৃষ্টিতে দেখতে চাইনি। আমি সবসময় দৃঢ়চেতা হতে চেয়েছিলাম। তাতে হয় কী, এটা একজন রোগীকে আরও বেশি শক্তি জোগায় তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার জন্য।’

ক্যানসারে আক্রান্ত হলে রোগীর মনোবল ভেঙে পড়ার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই বিষয়ে সামিয়ার ভাষ্য, ‘আমরা হয় কী, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। মনে হয়—আমার জীবন শেষ হয়ে গেল, এরপর আর বুঝি কিছু নেই। এটা নিছক ভুল কথা। যদি আমরা চেষ্টা করি, মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি এবং সাথে সাথে অনেক লাইফ স্টাইলেও পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, যদিও তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। লাইফ স্টাইল যদি ঠিক থাকে, তাহলে পরবর্তীতে এটা আর হওয়ার সুযোগ থাকে না বলে আমার মনে হয়।

বর্তমান নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানিয়ে সামিয়া বলেন, ‘প্রতি ঘরে-ঘরেই দেখা যায় এক-দুজন ক্যানসারের রোগী আছেন, আমি নিজেও একজন ক্যানসারের রোগী। প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি এটার সঙ্গে লড়াই করছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ মূলত ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। সামিয়া বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি এবং সবার পক্ষে ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব না—এমনটা শোনার সাথে সাথে সবার ভেতর যে ভয় বা ভীতি কাজ করতে থাকে, সেই জায়গা থেকে একটা মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য তার যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকে, তবে সে মানসিকভাবে একটু পরিত্রাণ পায়।

তিনি বলেন, ‘সবারই ইচ্ছে থাকে কিছু করার, সহায়তা দেওয়ার, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে এতটা সুযোগ হয় না। আমাদের যেহেতু কিছু জিনিস আছে, যেগুলো পরিধেয় পোশাক; টেলিভিশন-মিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে আমাদের অনেক কাপড় পরতে হয়েছে এবং সেগুলো পুনরায় আর পরা হয়নি, তাই মনে হয়েছে এই কাপড়গুলো বিক্রি করে যে টাকা আসবে, সেটা আমরা ক্যানসার আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যয় করব। এই ভাবনা থেকে বন্ধুদের জানালাম, সবাই সহমত প্রকাশ করেছে এবং একাত্মতা ঘোষণা করে তারাও এসেছে, সবাইকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি এই প্রদর্শনী এক ধরনের সচেতনতা তৈরি করাও যে, আমরা আমাদের জায়গা থেকে কতটুকু সহায়তা করতে পারি, দেখা যায় এক-দুই হাজার টাকা করে একসঙ্গে একটা বড় অ্যামাউন্ট হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, একসময় টিভি উপস্থাপনার নিয়মিত মুখ ছিলেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন। মাঝেমধ্যে তাকে নাটকেও দেখা গেছে। ইমরাউল রাফাতের ‘পাপপূণ্য’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ধুলোর মানুষ’, ‘মানুষের ঘ্রাণ’ এবং রাজিবুল ইসলামের ‘ব্লাফমাস্টার’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের যে শোভাযাত্রা বের হয়, তার নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এই শোভাযাত্রার নতুন নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আগে নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপকমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিগুলোর সদস্যরা।


আরও খবর



৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে বেশ বড় ছুটি পেয়েছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরাও। ঈদের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-বোনাস নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ঈদ কাটিয়ে তারা ফিরেছেন কর্মস্থলে। ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা ঈদের ছুটি শেষে চালু হয়েছে।

বিজিএমইএ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনভুক্ত ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৯২টি কারখানা চালু রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রয়েছে মাত্র ১২টি, যা মোট কারখানার মাত্র ০.৫৭ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে; সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় ৪০৩টির মধ্যে ৩৯৯টি খোলা; নারায়ণগঞ্জে ১৮৮টির মধ্যে ১৮৬টি এবং ডিএমপি এলাকায় ৩২১টির মধ্যে ৩২০টি চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ৩৩৬টি খোলা রয়েছে।

খোলা কারখানার অনুপাতে শতকরা হারে গড় হিসেবে ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খোলা রয়েছে ডিএমপি এলাকায় (৯৯.৬৯%), এরপর নারায়ণগঞ্জ (৯৮.৯৪%), চট্টগ্রাম ও গাজীপুর-ময়মনসিংহ (৮৮.৮%) এবং সাভার-আশুলিয়া (৮৮%)।


আরও খবর