Logo
শিরোনাম

চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায় জি-৭

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

সাতটি শিল্পোন্নত দেশ শনিবার ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির জন্য চীনকে দায়ী করেছে এবং এর নিন্দা করেছে। একই সময়ে তারা রাশিয়াকে তার সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

হিরোশিমায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের এক বিবৃতিতে, চীনের 'অর্থনৈতিক বল প্রয়োগ', দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণ এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন ও তাদের কাজে হস্তক্ষেপ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে অবমূল্যায়নের সমালোচনা করা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

এছাড়া 'জি-সেভেন রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের মুখে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করার' প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই গ্রুপ বলেছে যে তাদের উদ্যোগগুলো চীনের ক্ষতি করার জন্য বা তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নকে বাধা দেয়ার জন্য নয়। জি-সেভেন বেইজিংকে জলবায়ু, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণ পুনর্গঠন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না বা অন্তর্মুখি হয়ে যাচ্ছি না। একই সঙ্গে, আমরা স্বীকার করি যে স্থিতিশীলতার জন্য অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত ও বৈচিত্র্যময় করা প্রয়োজন। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিকে প্রানবন্ত করতে, আমাদের অর্থনীতিতে এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেবো। আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলে অত্যধিক নির্ভরশীলতা হ্রাস করবো।

জি-সেভেন পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এটি ইউক্রেনে 'সার্বিক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি'কে সমর্থন করতে বেইজিংকে উৎসাহিত করে।

যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে ২০২১ সালের জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এই বিবৃতিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই সম্মেলনে চীনের কথা প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হয়েছিলে। তুলনামূলকভাবে মৃদু ভাষায় এক 'শান্তিপূর্ণ সমাধানের' আহ্বান এবং তাইওয়ানে 'স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টার' বিরোধিতা করা হয় বিবৃতিতে।

তবে জি-সেভেন সদস্যদের মধ্যে একটি সমঝোতার ভাবও দেখা গেছে; কেউ কেউ এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনায় অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ম্যাক্রোঁ এপ্রিলে বলেছিলেন, এটা ভাবা সবচেয়ে খারাপ হবে যে আমরা ইউরোপীয়রা এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা এবং চীনের অতি-প্রতিক্রিয়ার অনুগামী হবো।

এর আগে শনিবার জি-সেভেন নেতারা 'অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম' চালু করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শাস্তিমূলক বাণিজ্য অনুশীলনের মোকাবেলার জন্য এটি একটি নতুন পরিকাঠামো । নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এই পরিকাঠামোটি চীনকে লক্ষ্য করেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা অনুধাবন করা যায়।

এক বিবৃতিতে, জি-সেভেন বলেছে যে প্লাটফর্মটি এই গ্রুপের 'সম্মিলিত মূল্যায়ন, প্রস্তুতি, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া' সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আর 'সমন্বিত প্রতিক্রিয়া সন্ধান, প্রতিরোধ এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা' করতে ব্যবহৃত হবে নিজ নিজ আইনি ব্যবস্থা অনুসারে।

বেইজিং থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন যদি অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য ছয় সদস্যকে যেভাবে বল প্রয়োগ করছে তা আগে আলোচিত হতে হবে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে আবুল কাশেম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ছাগল নিয়ে দ্বন্ধে দুই পক্ষের টেঁটাযুদ্ধে নিহত আবুল হোসেন হত্যার বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বকশীগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়কের নইমিয়ার বাজারে ঘন্ট্যাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বগারচর এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, গাজী আমানুজ্জামান মডার্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অংশ নেন। আবুল কাশেম ওরফে দুলাল মিয়ার খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত আবুল কাশেমের ভাই রেজাউল করিম,পিতা আবদুর রাজ্জাক,স্ত্রী মাসুমা বেগম,ছেলে মনিরুজ্জামান, মেয়ে লামিয়া আক্তার মুনিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ আলী ও মো.আবু রাইহান প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। 

উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আলিরপাড়া গ্রামে ছাগল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আবুল কাশেম ওরফে দুলাল মিয়া নামে এক ব্যাক্তি নিহত হন। এই ঘটনায় নিহত দুলাল মিয়ার ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচুসহ ৬ জন আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।


আরও খবর



জামায়াতের বিচারে সংশোধন হচ্ছে আইন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করতে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।

শনিবার (৬ মে) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।

জামায়াতে ইসলামীর বিচারের ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের এটা মনে হওয়াটাও তো আমাদের জন্য দুঃখের। কারণ এই সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছে। তারা কিন্তু জামায়াতের হোতা ছিল, প্রতিষ্ঠাতা ছিল। সেই ক্ষেত্রে আপনারা যদি মনে করেন আমরা উদ্যোগী নই, তাহলে সেটি আমাদের জন্য দুঃখজনক।

তাহলে বিচার ঝুলে আছে কেন? জবাবে আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জামায়াতের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট যথেষ্ট নয়। এই আইনটি সংশোধন করা দরকার এবং সেই প্রক্রিয়া চলছে। আমি এতটুকুই বলব। আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন।

সংবিধানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় হাইকোর্টে দলের নিবন্ধন বাতিলের পর আপিল বিভাগের থাকা মামলাটি নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ওই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কারণ এটি বিচারাধীন বিষয়।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা চাঁদ গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌনে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি দেন।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপরই রোববার (২১ মে) রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। যেখানে আসামি করা হয় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে।

এরপর সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় সন্ত্রাস দমন আইনে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরমান হোসেন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। যেখানে আবু সাঈদ চাঁদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার হন।

পরে মঙ্গলবার (২৩ মে) নাটোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চাঁদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। সর্বশেষ বুধবার (২৪ মে) চাঁদসহ দলের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু।

এর আগেও বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুলাই তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়।


আরও খবর



জেলেনস্কির ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স সফরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো সহায়তা ও সমর্থন পেলেন। ইউরোপীয় ঐক্যে বিশেষ অবদানের জন্য শার্লেমান পুরস্কারও গ্রহণ করলেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পর পর তিনটি ইউরোপীয় দেশ সফর করে ইউক্রেনের জন্য আরো সমর্থন ও সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করলেন। সেই সঙ্গে ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স ইউক্রেনের প্রতি অবিচ্ছিন্ন সহায়তার অঙ্গীকার করছে। রোমে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে নিজস্ব উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের জন্য জার্মানির সমর্থন ও সহায়তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ধীরগতি নিয়ে কিয়েভে যথেষ্ট ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে সেই কালো মেঘ কেটে গেছে। বার্লিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একাধিক ক্ষেত্রে সত্যিকারের বন্ধু ও সহযোগীদেশ হিসেবে জার্মানির ঢালাও সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরই জার্মানির অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। 

 এ ছাড়াও জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেন শুধু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিজস্ব ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলমুক্ত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, রাশিয়ার ভূখণ্ড দখলের কোনো চেষ্টা করবে না। অতীতের উত্তেজনা কাটিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে জার্মানির জনগণ ও করদাতাদের প্রতি ইউক্রেনের মানুষের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, জেলেনস্কির সফরের ঠিক আগে জার্মানি আরো এক দফা সামরিক সহায়তার ঘোষণ করেছে। ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের সেই প্যাকেজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শলৎসের কাছে উন্নত বোমারু বিমান সরবরাহের অনুরোধ করেন। তিনি সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে এক ফাইটার জেট কোয়ালিশনগঠনের উদ্যোগের কথাও বলেন। শলৎস অবশ্য সেই অনুরোধ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

রবিবার জেলেনস্কি জার্মানির পশ্চিমে আখেন শহরে শার্লেমান পুরস্কার গ্রহণ করেন। ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের মানুষকে যৌথভাবে এ বছরের পুরস্কার দেওয়া হলো। পুরস্কার গ্রহণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ইউক্রেনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যা প্রতিদিন নিজেদের স্বাধীনতা এবং ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। তাদের প্রত্যেকে আজ এখানে উপস্থিত থাকলে ভালো হতো।

জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেন শান্তি ছাড়া কিছুই চায় না। একমাত্র বর্তমান সংকটে জয়ের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করতে পারে বলে জেলেনস্কি মনে করেন। কারণ রাশিয়া যেকোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা ও পাপের মাধ্যমে ইউরোপীয় একত্রীকরণের ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঠেলতে বদ্ধপরিকর।

জার্মানির পর ফ্রান্স সফরে গিয়েও জেলেনস্কি আরো সমর্থন পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরো লাইট ট্যাংক ও আর্মার্ড যান সরবরাহের ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে ফ্রান্স। রবিবার জেলেনস্কির সফরের শুরুতেই ম্যাখোঁ এক টুইট বার্তায় লেখেন, ইউরোপের সঙ্গে ইউক্রেনের বন্ধন আরো বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর



বিশৃঙ্খলার শংকা স্থানীয়দের

নওগাঁয় মেলা বন্ধে উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা বন্ধে চেম্বার এর লিখিত আবেদনে সারা দেয়নি নওগাঁ জেলা প্রশাসন। এনিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা তৈরী হয়েছে। 

অন্যদিকে পুলিশ এর ডিএসবি প্রতিবেদন ছাড়াই মেলার আয়োজনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড়ে তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সেসাইটি -গ্রাসরুট জোড়েসোরে মেলার আয়োজন করছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা করা না হলেও শোনা যাচ্ছে মেলার উদ্বোধন ২৫ মে। নওগাঁ জিলা স্কুলের সামনে মাইক্রোষ্ট্যান্ড সড়িয়ে বিশাল এলাকা জুড়ে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলেছে মেলা আয়োজকরা। ভেতরে ও বাইরে ডেকোরেশন, ষ্টল নির্মান করা হচ্ছে। এছাড়া বড় পরিসরে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র ও হোটেল-রেস্তোরা বসানোর কাজ চলছে। জেলা স্কুলের প্রধান ফটক ঘেঁষে ফুটপাত জুড়ে বসছে খাবারের দোকান। 

নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল জানান, নওগাঁ শহরের মুক্তি মোড়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই অনুমতি পেয়ে গ্রাসরুট মেলার আয়োজন করছে। অথচ চেম্বার ও জেলা পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি মেলা আয়োজনের জন্য সাম্প্রতিক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পর্যন্ত নেয়া হয়নি। 

চেম্বার সভাপতি আরো জানান, নিয়ম অনুসারে মেলা আয়োজন করতে গেলে অন্তত এক মাস পূর্বে আয়োজককে স্থানীয় চেম্বার অব-কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির মাধ্যমে অনুমতি গ্রহন করতে হয়। মেলার স্থান বরাদ্দসহ নির্ধারিত ফি জমা দেয়ার চালান প্রমানসহ দাখিল করতে হবে। কিন্তু গ্রাসরুট চেম্বারের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি। মেলার জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেননি এবং কোন প্রকার সুপারিশ পত্র গ্রহণ করেনি। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিপত্রের সঙ্গে সমন্বয়হীন। তাই দ্রুত এই মেলার আয়োজন বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ২৩ মে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি। ফলে শহরের বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আয়োজিত মেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনকারীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এসময় মেলা চলানো হলে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার দারুন ভাবে বিঘ্নিত হবে। তারা আরো বলেন, শোনা যাচ্ছে মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য ২০ টাকা। ওই টিকিটে লটারী বা জুয়া চালানো হবে। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার শংকা রয়েছে। এছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই এতো বড় মেলার আয়োজন পুরোটাই নিরাপত্তাহীন বলে মন্তব্য করেছেন তারা। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মেলা বন্ধ করা না হলে আন্দোলন কর্মসূচীর প্রস্ততি নেয়ার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। 

এ বিষয়ে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি -গ্রাসরুট এর স্থানীয় প্রতিনিধি মর্জিনা লাকি বলেন, জেলা প্রশাসন মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে। বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়নি। 

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, শহরের মুক্তি মোড়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা আয়োজনের বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মেলা বন্ধের জন্য স্থানীয়দের পাঠানো একটি লিখিত আবেদন পাওয়া গেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কিম্বা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা মুখ খুলছেন না। যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। 


আরও খবর