Logo
শিরোনাম

ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মাভাবিপ্রবির ৬৭ জন শিক্ষকের বিবৃতি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি::



মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ জন শিক্ষক এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলোর সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষকবৃন্দ এক বিবৃতিতে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে অতিদ্রুত আলোচনা করে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি, নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সকল হত্যাকান্ডের  সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, সারা দেশে ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ যারা বিনা বিচারে আটক আছেন তাদেরকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং গণগ্রেফতার, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে যেভাবে বাসায় বাসায় গিয়ে ভয়- ভীতি প্রদর্শন ও গ্রেফতার করা হচ্ছে, এমন দমন-নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সাথে, ভবিষ্যতে এই অজুহাতে কোন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাডেমিক ও রাষ্ট্রীয় যে কোন ধরণের হয়রানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে জোর দাবি জানানো হয়েছে।



বিবৃতিদাতা শিক্ষকবৃন্দ:

ড. মোঃ ফজলুল করিম, ড. মোঃ আবীর হোসেন, রেজোয়ানা আফরিন, এ এস এম দেলোয়ার হোসেন, ড. মোঃ বদরুল আলম মিয়া, মোঃ আল আমিন, ড. মোঃ দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ড. মোঃ বশির উদ্দিন খান, ড. মোঃ আবদুর রহমান, ফারহানা আক্তার, ড. মোছা নুরজাহান খাতুন, মাহমুদা আক্তার, ড. মোস্তফা কামাল নাসির, ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, ড. মোঃ ইমাম হোসেন, ড. মোঃ খায়রুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন রিপন, মোঃ মাহফুজ রেজা, ড. কানিজ মরিয়ম আক্তার, ড. উম্মে সালমা, মাহমুদা বিনতে লতিফ, ড. আয়শা ফেরদৌসী, ড.মো: ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার, ড. অনিমেষ সরকার, ড. মেহেদী হাসান তালুকদার, ড. এ কে এম মহিউদ্দিন, মোঃ মোসাদ্দিক হাসান, ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, ড. মোঃ মাহবুবুল বাশার, ইশরাত জাহান ইরা, ফাহমিদা আক্তার, ড. কে এম কাদেরী কিবরিয়া, মুনমুন বিনতে আজিজ, রেজাউল করিম, সাবরিনা হেলেন, এস, এম, শামীম, মো: সালাউদ্দিন, ড. মো: আবু রাশেদ, সায়েমা আরেফিন, মেসবাহ উদ্দিন তালুকদার, মাহফুজা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সুব্রত ব্যানার্জী, খায়রুন্নাহার মুন্নী, নিলুফার ইয়াসমিন, আওরঙ্গজেব আকন্দ শিশির মিয়া, লুবনা ইয়াসমিন, মোহাঃ সুলতান আহাম্মেদ, ড. ফারাহ সাবরিন, সাজজাদ ওয়াহিদ, ড. মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, নোমান হাসান, ড. আব্দুল গাফফার খান, মো: আশিকুল ইসলাম, নিশাত আক্তার, রোকসানা খানম, মো: রাকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ড. শাহ আদিল ইশতিয়াক আহমদ, মো: নাসির উদ্দিন, মো: সিরাজ-উদ-দৌলা শামিম, আফিয়া আক্তার পিয়া, ড. মো: রাশেদুজ্জামান, সায়মা হোসেন সেতু, ফাতেমা তুজ জেহরা, ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

আরও খবর



নতুন বিশ্ব গড়ার কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের রাখার আহ্বান ড. ইউনূসের

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

টেকসই ভবিষ্যত বিনির্মাণ ও নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্লোবাল সাউথ এর কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও ছাত্রদের রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন,তরুণরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


তিনি গ্লোবাল সাউথ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বলেন,‘আমাদের কৌশলগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই তরুণ এবং ছাত্রদের রাখতে হবে, যারা গ্লোবাল সাউথের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ। আমাদের জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ তরুণ এবং তারা সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ।’


শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৪’ এর ইনঅগারাল লিডার্স অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একথা বলেন। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নেয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম বহুপক্ষীয় কোন অনুষ্ঠানে যোগদান।


আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত। মূলত এসব দেশে মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় কম।


প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। আর জনগণের যোগদানের মাধ্যমে এই বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। যার ফলস্বরূপ গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপদ গ্রহণ করে।’


উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং এর মাধ্যমে তার ১৫ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান হয়।  


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে তরুণরা আন্দোলন করেছে এবং তাদের আকাক্সক্ষা দেশবাসীকে প্রভাবিত করেছে। এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে অর্থবহ সংস্কার জরুরি। যার মাধ্যমে ভঙ্গুর হয়ে পড়া রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে পুনরুদ্ধার করা হবে।


তিনি বলেন,বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং একটি পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। যার মাধ্যমে  অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে নানা পরিবর্তন ঘটছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্লোবাল সাউথের নেতৃবৃন্দকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন,‘তরুণ ছাত্র এবং ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা ৪০০ বছরের শহরের দেয়ালে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ছবি আঁকছে। এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা নির্দেশনা তাঁদের নেই। কারোর পক্ষ থেকে বাজেট সমর্থনও নেই। এটি দ্বিতীয় বিপ্লবের আকাঙ্খার প্রতি তাদের আবেগ এবং অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের দেয়ালের লেখা পড়ে যেকেউ বুঝবেন, তারা কী স্বপ্ন দেখছে। তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের প্রধান কাজ বলে তিনি দূঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাপী তরুণরা আলাদা, তারা সক্ষম এবং প্রযুক্তিগতভাবে আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন, ‘তারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা উদ্যোক্তা। কিন্তু তারা চাকরী চায়, কারণ দেশে দেশে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা তাদেরকে চাকরির জন্য প্রস্তুত করে। অথচ সকল মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে।’


কেবলমাত্র চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে এমন শিক্ষা ও আর্থিক ব্যবস্থা নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহবান জানান অধ্যাপক ইউনূস।


তৃতীয়বারের মত গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। এবারের সম্মেলনে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের নিয়ে উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রতিপাদ্য এবং মূল সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো-‘অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার’।


রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


ভারত ২০২৩ সালের ১২ ও ১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট (ভিওজিএসএস) এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করেছিল। দুটি সামিটই ভার্চ্যুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করা হয়।


শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ববর্তী উভয় আয়োজনে গ্লোবাল সাউথ থেকে শতাধিক দেশ অংশ নিয়েছিল।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বেনাপোলে প্রেস লেখা মোটরসাইকেল থেকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক ১

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আনোয়ার হোসেন - নিজস্ব প্রতিনিধি::


যশোরের বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ শেখ মফিজুর রহমান (২৯) নামে মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

 দৈনিক নাগরিক ভাবনার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ এবং জাতীয় সংবাদিক সংস্থার শার্শা শাখার দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছে বলে জানাগেছে।

শনিবার (৩১ আগষ্ট) বেনাপোল সীমান্তো রোড বুজতলা টু পান্তাপাড়া ব্রিজের উপর থেকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল ও মটরসাইকেল সহ তাকে আটক হয়। আটক শেখ মফিজুর রহমান মফিজ বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর গ্রামের মৃতঃ শওকত আলীর ছেলে।

আমড়াখালী বিজিবি  কোম্পানী কমান্ডার মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি বেনাপোল সীমান্তে হতে যশোরগামী কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রামের পথ ব্যবহার করে মটরসাইকেল যোগে ফেন্সিডিল নিয়ে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি আভিযানিক দল পান্তাপাড় ব্রিজের উপর অভিযান পরিচালনা করে শেখ মফিজুর রহমান মফিজ নামে ১জনকে আটক করে।

এসময় মফিজের ঘাড়ের ব্যাগ থেকে উদ্ধারপূর্ব ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিল ও মটরসাইকেল  সিজার মূল্য ২,১১,৫০০/-(দুই লক্ষ এগারো হাজার পাঁচ শত টাকা)। তিনি আরও জানান বর্তমান বেনাপোল টু যশোর মহাসড়কে আমড়াখালী চেকপোষ্টে বিজিবির নজরদারী কড়াকাড়ি করায় মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রামের পথে চলাচল অবলম্বন করছে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, মাদক নির্মূলে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। আটক আসামিরা সীমান্তবর্তীগ্রাম এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয় করে যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ সহ বিক্রয় করে থাকে। তাছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক পাচারে এই সীমান্তকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

ফেন্সিডিল সহ আটক মফিজ একটি পত্রিকার প্রেস কার্ড বহন করে তার ব্যবহারিত মটরসাইকেলে স্টিকার লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিনধরে মাদকদ্রব্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আটক মফিজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



কুমিল্লায় মইনীয়া যুব ফোরামের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে সহযোগিতা প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

হযরত শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী প্রতিষ্ঠিত   স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মইনীয়া যুব ফোরামের উদ্যোগে দিনব্যাপী কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বন্যার্তদের মাঝে সহায়তা  প্রদান করা হয়। মইনীয়া যুব ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাসুক- এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল শুকনো খাবার  মুড়ি,বিস্কুট,খাবার স্যালাইন, ঔষধ,স্যাভলন, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, গ্যাস লাইটসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয়  উপকরণ। 

এই সময় ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাসুক এ মইনুদ্দীন  বলেন, ময়নীয়া যুব ফোরাম বিভিন্ন দুর্যোগ, দূর্বিপাকে   ২০১৪ সাল থেকে অত্যন্ত  দক্ষতার সাথে মানুষের পাশে থেকে স্বেচ্ছায়  কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশের সুরক্ষায় মইনীয়া যুব ফোরামের উদ্যোগে প্রতিবছর দেশব্যাপী ৫ লক্ষ গাছের চারা রোপন  করে যাচ্ছে। তিনি বলেন আজ ভয়াবহ বন্যার কারণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী,লক্ষ্মীপুর,  কুমিল্লার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। মানুষের এই কঠিন মুহূর্তে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষকে পূর্ণবাসনের প্রয়োজন হবে, এবং পানি বাহিত বিভিন্ন  রোগ ব্যাধি দেখা দেবে। এই সময়ে মানুষের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে  সরকারসহ সবাইকে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

এ সময় তাঁর সাথে  ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসলাম হোসাইন, কুমিল্লা মহানগর  সভাপতি হাবিবুর রহমান পায়েল,মোঃ আবুল কালাম খলিফা ইকবাল কবির,মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, ফরহাদ মুন্সিসহ মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



বন্যায় দুর্ভোগ: পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হয়নি যুবকের মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নোয়াখালী প্রতিনিধি
বন্যায় বিস্তৃত পানির কারণে ভ্যান গাড়ি করে আরজু (৪০) নামে এক যুবকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে প্রতিবেশীর কবরস্থানে।  

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মো.আরজু (৪০) উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের লোকমান হোসেনের ছেলে।  ।  

স্থানীয় বাসিন্দা জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল জানান, গত আট দিনের টানা বৃষ্টি ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানি নোয়াখালী ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নোয়াখালীর কবিরহাটসহ ৮টি উপজেলার অনেক জায়গায় হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে যায়। এতে মানুষের স্বাভবিক জীবন যাত্রা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আরজু আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। গতকাল বুধবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে সে কুমিল্লায় মারা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তার মরদেহ স্বাভাবিক ভাবে স্বজনেরা খাটিয় কাঁধে বহন করে কবরস্থানে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ভ্যান গাড়ি করে তার খাটিয়া জানাজা স্থলে নেওয়া হয়। এ জেলায় এ মুহূর্তে মৃত্যু বরণ করলে দাফন করার মত অবস্থা নেই।    

কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আরজু মারা যাওয়ার পর তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা সম্ভব হয়নি। তাদের পারিবারিক কবরস্থানে কোমর পানিতে বিস্তৃত ছিল।  পরই একই ওয়ার্ডের অন্য সমাজের চৌধুরী বাড়ির প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।  


আরও খবর



মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ আশরাফুল ইসলাম - মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি::


রাজধানী ঢাকা থেকে সিংগাইরের প্রবেশদ্বার হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৫২-এর প্রথম ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের নামে ২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় ‘শহীদ রফিক সেতু’। উদ্বোধনের পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর টোল আদায় হলেও তা এখনো বন্ধ না হওয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, পরিবহন চালকসহ সিংগাইরের সাধারণ জনগণ।

বৃহস্পতিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ শেষে টোল প্লাজা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র-জনতা।

শহীদ রফিক সেতুর অন্যায্য টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচির সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাসুদূর রহমান আইয়ুবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, মো. রুমি এবং ছাত্র-জনতার মধ্যে মো. আসিফ,জয় ইউনুস, মো. আবীর আহমেদ,মো. মিরাজ,মো. রনি,মো.সাইদুর রহমান প্রমূখ।

কৃষিনির্ভর সিংগাইরকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করতে এই টোল বাধা বলে জানান বক্তারা। কর্তৃপক্ষের কাছে ভাষা শহীদ রফিক সেতুর টোল আদায় স্থায়ী বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, মাত্র ৩০৭ মিটার দৈর্ঘ্যর এই ছোট সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি টাকা। গত ২৪ বছরে এই সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, যা এরকম ১৩টি সেতুর সমান। গত ২৪ বছরে সেতুর রেলিংয়ের ঢালাই খুলে গেছে, সেতুর লোহার সংযোগ পাত ভেঙে গেছে, ঢালাই ভেঙে গর্ত হয়েছে। অথচ টোল নামক অভিশাপ বিদায় নিচ্ছে না।



আরও খবর