শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার : নওগাঁয় ''এসএসসি'' পরক্ষার্থী কিশোরী এক স্কুল ছাত্রীকে প্রতিবেশী সম্পর্কে চাচা ও ভাই কর্তৃক ভঁয় দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ছাড়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ না করার হুমকি দিয়ে ফের আবারো ব্লাক মেইল করার ঘটনায় মামলার পলাতক আসামী মনোয়ার (৩৪) কে আটক করেছে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বুধবার ১ নভেম্বর পূর্বরাত পনে ১টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়ন এর শালবাড়ী দেওয়ানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারন মামলার পলাতক আসামী নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়ন এর মোহনপুর গ্রামের সামাদ এর ছেলে মনোয়ার (৩৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার হাপানিয়া
হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর ১০ম' শ্রেনীতে
পড়ুয়া ছাত্রী (১৬) প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে একডালা নামক স্থানে পৌঁছালে এসময় আকাশ থেকে বৃষ্টি
পড়ায় ছাত্রীটি রাস্তার
পার্শ্বের একটি অটো-রাইচ মিলের গেটে আশ্রয় নেয়। ঐ সময় রাস্তাদিয়ে
চার্জার ব্যাটারী চালিত অটো-বাইক নিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রীটির
সম্পর্কে প্রতিবেশী ভাই সুজন ও চাচা মনোয়ার তাকে হাপানিয়া
পৌছে দেওয়ার কথা বলে সু-কৌশলে অটো-বাইকে তুলে ভঁয়ভিতি দেখিয়ে একটি বাড়িতে নিয়ে আবারো ভঁয়ভীত দেখিয়ে শারিরীক
সম্পর্কের চেষ্টা করেন। কিন্তু
ছাত্রী শারিরীক সম্পর্কে
রাজি না হয়ে চাচা ও ভাই ডেকে নিজের ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা করেন। এতেও রক্ষা হয়নি। এসময় অভিযুক্ত সুজন এবং মনোয়ার ইচ্ছার
বিরুদ্ধে ও জোর পূর্বক ছাত্রীকে পালাক্রমে
ধর্ষন করেন এবং ধর্ষনের ভিডিও তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ধারন পূর্বক ছাত্রীকে
ভঁয় দেখিয়ে ধর্ষকরা
বলেন, ধর্ষনের ঘটনা যদি কারো নিকট প্রকাশ করে তাহলে মোবাইল ফোনে ধারনকৃত
ভিডিও সোস্যাল মিডিয়া
ফেসবুকে ছেড়ে ভাইরাল
করে দিবেন, এতে সে নিজ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সহ গ্রামের
লোকজনের মুখ দেখাতে
পারবেনা বলেও হুমকি দেয়। ভঁয়ে ছাত্রী ঘটনাটি কয়েকদিন
গোপন রাখেন এমনকি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
এরি মাঝে ছাত্রীকে বাড়ির সামনে পেয়ে আবারো সেই ভিডিও প্রকাশ
করার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব
দিলে ছাত্রী কান্নায়
ভেঙ্গে পড়েন এবং ঘটনাটি প্রকাশ করেন। ঘটনা প্রকাশের পরই ছাত্রীর
বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুজন ও মনোয়ার এর বিরুদ্ধে
নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার
মাত্র কয়েক ঘন্টার
মধ্যে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের
চৌকস টিম ঢাকা শহরে অভিযান চালিয়ে
সুজন কে আটক করেন। অপরদিকে
ঘটনার পর থেকে মনোয়ার পলাতক ছিলেন।
পালাক্রমে
ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারনের ঘটনাটি
এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
করলে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর গোয়েন্দা দল ধর্ষক এর গতিবিধি
পর্যবেক্ষণ ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন ও তথ্য প্রযুক্তির
সহায়তায় ১ নভেম্বর
পলাতক ধর্ষক মনোয়ার
কে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানধীন শালবাড়ী
দেওয়ানপুর এলাকা থেকে আটক করেন। আটককৃত আসামী মনোয়ার
কে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদক
কে নিশ্চিত করেছেন
র্যাব।