Logo
শিরোনাম

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় আন্দোলন হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে। মূলত 'সন্ত্রাসী সংগঠন' আখ্যা দিয়ে ছাত্রসংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি উঠছে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে। এরই মধ্য ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে আলটিমেটাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সম্প্রতি একাধিক স্থানে বক্তব্যকালে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এক সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। মাহমুদুর রহমানের বেঁধে দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। এর পর থেকে তার নেতৃত্বে এই দাবিতে মাঠে নামতে পারে অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ছাত্রলীগের দখলে

সরকারের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনকে মাঠের রাজনীতিতে অংশ নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয় ছাত্রলীগের মাধ্যমে। এর পর থেকে সংগঠনটিকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অ্যাখ্যা দেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধের আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে

জুলাই গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। অন্যথায় আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম থেকেই কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানিয়েছেন, ৩৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লায় ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাই এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন

আমরা চট্টগ্রাম থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছি।

আওয়ামী লীগের যতগুলো সংগঠন এবং তাদের দোসর রয়েছে, তাদের নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে বলেও জানিয়েছেন রাসেল আহমেদ

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে আর সেইভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি ছাত্রলীগকে। সারা দেশে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও আত্মগোপনে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী হাসান ইনান। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সচেতন নাগরিক সমাজের এ দাবি একটি জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা একটি জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো কোনো কিছুকে নিষিদ্ধ করব না। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার আইন রয়েছে। আমরা সেই আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করার প্রত্যাশা রাখি


আরও খবর



নেপথ্যে পরকিয়া, নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে কোহেলী আক্তার (৯) ও তার বাবা কোরবান আলী (৩২) দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সারে ৯ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে স্ত্রী এক যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর কারনে অভিমানে বাবা কোরবান আলী তার মেয়ে কোহেলী আক্তারকে সাথে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন স্থানিয়রা। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকালে মর্গে প্রেরন করেছেন।

নিহত বাবা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মেয়ে কোহেলী আক্তার রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কোরবান আলী একজন বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ। সে কথা বলতে পারতো না এবং কানেও কম শুনতো। তার স্ত্রীর এক যুবকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে এবং গত সোমবার পূর্বরাতে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শিশু সন্তান সহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী কোরবান আলী

মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আজ সকালে কোরবান আলী তার মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হোন। সকাল সারে ৯ টারদিকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ এলাকায় পৌছালে সেখানে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারনা করছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়রা আরো জানান, রেল লাইনের উপর বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।

বুধবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।

গবেষকরা বলছেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়া—এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।

জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।


আরও খবর



আ’লীগ আমলে বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির খসড়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। তবে প্রতিবেদনের বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৮ আগস্ট দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র জানতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় এই কমিটিকে।

ইতোমধ্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দেবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। আগামী সোমবার প্রতিবেদনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে কমিটি। অর্থনৈতিক খবরের সাবস্ক্রিপশন

জানা যায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, সরকারি নথি ও বৈশ্বিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে শ্বেতপত্রে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে অর্থ পাচারের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেনি কমিটি। কীভাবে অর্থ পাচার হয় এবং কীভাবে তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায় না। তবে গবেষণা ও ধারণাভিত্তিক কিছু তথ্য দিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির তথ্য অনুযায়ী, কর ফাঁকি দিতে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ভুল চালানের কারণে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে বাংলাদেশ।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শ্বেতপত্রে দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে থাকছে অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে ২২টি অধ্যায়।

এতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিস্থিতি, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও বৈষম্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোর ওপরও থাকছে বিশ্লেষণধর্মী পর্যবেক্ষণ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




কোন কোন বিষয় দেখে আপনার পছন্দের মনিটর কিনবেন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান সময়ে আমরা কম্পিউটার কিংবা সিসিটিভি সহ বহুবিধ কাজের ক্ষেত্রে আউটপুট ডিভাইস হিসাবে মনিটর  ব্যবহার করে থাকি।এই মনিটর এর সুন্দর প্রদর্শিত চিত্র আমাদের কাজকে করে তুলে গুনগত মান সম্পন্ন।কিন্তু আমরা পিসি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে হারে গবেষণা অনুসন্ধান করে থাকি, কিন্তু মনিটর কেনার ক্ষেত্রে ঐরকমভাবে গবেষনা বা অনুসন্ধান আমাদের হয়ে উঠে না।তাই আজ আমরা জানবো যেসব বিষষে লক্ষ্য রেখে মনিটর কিনলে আপনি আপনার সঠিক মনিটর খুঁজে পাবেন।আসুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয় গুলোঃ

মনিটর কেনার আগে জানা জরুরি বিষয়গুলো:

প্যানেল টাইপ:

TN (Twisted Nematic): সাধারণত সস্তা এবং ফাস্ট রেসপন্স টাইম থাকে, কিন্তু ভিউইং এঙ্গেল খুব ভালো হয় না। গেমিংয়ের জন্য উপযুক্ত।

IPS (In-Plane Switching): ভালো কালার একুরেসি এবং ভিউইং এঙ্গেল থাকে, কিন্তু TN এর তুলনায় ধীর রেসপন্স টাইম থাকতে পারে। ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং বা সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

VA (Vertical Alignment): ভালো কনট্রাস্ট রেশিও এবং কালো রং গভীর হয়। কিন্তু ভিউইং এঙ্গেল মাঝারি।

রেজোলিউশন:

1080p (1920x1080): সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

1440p (2560x1440): গেমিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভালো।

4K (3840x2160): অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশন, ভিডিও এডিটিং এবং গেমিংয়ের জন্য আদর্শ।

রেফ্রেশ রেট:

হার্জ (Hz) এককে পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রেফ্রেশ রেট মানে স্মুথ ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স। গেমিংয়ের জন্য কমপক্ষে 144Hz রেফ্রেশ রেট ভালো।

রেসপন্স টাইম:

পিক্সেলগুলি একটি রং থেকে অন্য রং পরিবর্তন করতে যে সময় নেয়। কম রেসপন্স টাইম মানে ভালো মুভমেন্ট ক্লিয়ারিটি।

পোর্ট:HDMI, DisplayPort, VGA ইত্যাদি পোর্টগুলো থাকা জরুরি।

আকার: আপনার ডেস্ক এবং ব্যবহারের ধরনের উপর নির্ভর করে মনিটরের আকার নির্বাচন করুন।

অতিরিক্ত ফিচার:

এডজাস্টেবল স্ট্যান্ড, ভেসা মাউন্ট, স্প্লিট স্ক্রিন, আই কেয়ার টেকনোলজি ইত্যাদি।


কোন মনিটরটি কিনবেন?

গেমিং: উচ্চ রেফ্রেশ রেট, কম রেসপন্স টাইম এবং ভালো কালার একুরেসি বিশিষ্ট TN বা IPS প্যানেলের মনিটর।


ভিডিও এডিটিং: উচ্চ রেজোলিউশন, ভালো কালার একুরেসি এবং বড় আকারের IPS প্যানেলের মনিটর।


অফিস ওয়ার্ক: ভালো ভিউইং এঙ্গেল এবং কম্পোর্ট বিশিষ্ট IPS প্যানেলের মনিটর।

কিছু জনপ্রিয় মনিটর ব্র্যান্ড: Dell, Asus, Acer, LG,Hp,Samsung.


- লেখক,

মোঃকাউসার আহমেদ 

বি,এস,সি (অনার্স) ইন  সি,এস,ই, এম,এস,সি ইন পি এম আইটি (অধ্যয়ন),জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। 

আইটি অফিসার

বি,কে,এস,পি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।


আরও খবর



সবজির বাজারে শীতের আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি ও মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। এছাড়া শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে দাম। একই সঙ্গে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম। তবে এখনও চড়া আলু ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আলুর দাম চড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে আলুর দাম বাড়তি। হিমাগার থেকেই এখনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। ফলে আলুর দাম কমছে না। অন্যদিকে, কৃষকের ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।

খুচরা বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। সেই হিসাবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কৃষকের শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি শিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য সবজি ও শাক আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮৫ টাকায়। বেশ কিছুদিন ধরেই পণ্যটি ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম।

ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫০ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪