Logo
শিরোনাম

ছোটবেলা থেকেই মেয়েকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলুন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শামীমা নাছরিন, সিনিয়র সাংবাদিক :

সব মা-বাবাকে উদ্দেশ করে বলছি। ছোটবেলা থেকেই মেয়েকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলুন। কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ তা স্পষ্ট করে দিন। ওর কোনো কিছু খারাপ লাগলে সরাসরি না বলতে শিখান। এতে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ও বড় হবে। 'তুমি মেয়ে এটা পারবে না, তুমি মেয়ে ওটা পারবে না'-এমন কথা বলার কোনো সুযোগ কাউকে দেবেন না। এমনকি আপনারাও বলবেন না। শুধুমাত্র মেয়েকে মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। 


এজন্য আপনারা ঘরে-বাইরে সব জায়গায় মেয়েকে সময় দিন, সম্মান করুন। ছোট হলেও তারও আত্মমর্যাদা বোধ আছে। কারো সামনে তাকে কখনও হেয় করবেন না। কোনো কাজ করতে না পারলে তিরস্কার না করে বুঝিয়ে বলুন। মনে রাখবেন, ঘরের মানুষ সম্মান না দিলে বাইরের মানুষ কোনোদিনও ওকে মর্যাদা দেবে না। 

পাশাপাশি, মেয়েকে কেউ অযথা নেতিবাচক কথা বললে তার প্রতিবাদ করুন। বুঝিয়ে দিন মেয়ে কতো স্পেশাল! তাহলে আপনাদের প্রতি ওরও আস্থা বাড়বে। নিশ্চিন্তে ভালো লাগা, খারাপ লাগা বা ওর সমস্যাগুলো অনায়াসে আপনাদের জানাবে। কখনও বাইরের কারো সঙ্গে কোনো কিছু শেয়ার করবে না। 

মেয়েদের পরের বাড়ি চলে যেতেই হয়। এই ভেবে কখনোই তাকে পড়ালেখা থেকে দূরে রাখবেন না। কারণ, পরের বাড়ি গেলেও মেয়ে কিন্তু আপনাদেরই। আপনারা নিশ্চয় চাইবেন না ওই বাড়িতে অসম্মান নিয়ে থাকুক মেয়েটা। তাকে সবাই তাচ্ছিল্য করুক। সেখানে তৃতীয় শ্রেণির সদস্যের মতো থাকুক।

তাই মেয়েকে স্বনির্ভর ও যোগ্য করে গড়ে তুলুন। নিজের ভবিষ্যৎ নিজেকেই নির্ধারণ করতে দিন। আপনারা শুধু মানুষ হতে সহযোগিতা করুন। এতে দিনশেষে আপনারাই উপকৃত হবেন। একদিন এই মেয়েটার জন্যই গর্বে বুকটা ভরে উঠবে। 

গ্যারান্টি।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে শৈত্যপ্রবাহের পরিধি বেড়েছে। শুক্রবার দেশের ১০ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা নেই অনেক জায়গায়। কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে এমন অবস্থায় আজ থেকে আগামী দুদিন জেলার কয়েক জায়গায় দিন এবং রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ ও তৎসংলগ্নএলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শনিবারের (১১ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রবিবারের (১২ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

একটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল? আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? আপনারা কোন সেক্টর কমান্ডারের অধীনে যুদ্ধ করেছেন? বাংলাদেশে কেউ আর দেশপ্রেমিক নেই? একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক- এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে বাংলাদেশের মানুষ হাসবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সিলেট মহানগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্বর সংলগ্ন স্থানে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী খেলোয়াড় ইমরান হোসেন ইমনের পরিবারকে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা ভয়ংকর নির্যাতনকে মেনে নিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য রাজপথে লড়াই করেছি। তারপরও আমরা পিছপা হইনি। সাড়ে ১৫ বছর নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে আন্দোলন করার ফলে জুলাই বিপ্লবে হাসিনার পতন হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলেই জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।

ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করার কারণে হাসিনা তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার এক বছরের মধ্য হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এম ইলিয়াস আলীকে যারা গুম করেছে তাদের বিচার কি হবে না? যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার কি হবে না?

পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে রিজভী জানান, কয়েকজন জাতীয় নেতৃবৃন্দের নামে পাঠ্যবইয়ে অধ্যায় করা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত একটি অধ্যায় রাখলে ভালো হতো। পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায় রাখলে তা পূর্ণতা পেত।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




তিন দিন ভোগাতে পারে গ্যাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি টার্মিনাল থেকে আগামী তিন দিন এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। একইসঙ্গে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপও কম থাকবে। ফলে সারাদেশে গ্যাস সংকট আরও বাড়বে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত টার্মিনাল থেকে ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময় অন্য টার্মিনাল থেকে দিনে ৫৭ থেকে ৫৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দিনে ১৫ থেকে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। এতে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।

দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সোম থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিবেদন বলছে, দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ২৭৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে এসেছে ৮৩ কোটি ঘনফুট। এ হিসাবে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধে গ্যাসের সরবরাহ কমতে পারে ২০ কোটি ঘনফুটের বেশি।

জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




চাঁদাবাজির সমঝোতায় নিত্যপণ্যের দাম কমছে না

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে চাঁদাবাজির সমঝোতার সংস্কৃতি চালু থাকায় নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো কঠিন বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ এ তিনি এ উদ্বগের কথা জানান।

অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে সব ধরনের কর কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে না। আই অ্যাম ডিপলি ওরিড আবাউট দ্যাট। ট্যাক্স কমে যাচ্ছে। চিনির দাম বোধ হয় কিছুটা কমেছে মাঝখানে। প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম, আমি তো আর কিছু করতে পারবো না। পণ্যের দাম ও বাজার নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন।’

বাজারে দুই-তিন রকমের চাঁদাবাজের যোগসাজেশে পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা খুব কঠিন। কিন্তু চাঁদাবাজির সমঝোতা খুবই সহজ। যেকোনো বাজারে যান। দুই-তিন রকম চাঁদাবাজ আছে, যারা আগের সরকারের। আবার যারা প্রোসপেক্টিভ, আসবে আর লোকাল। আমি কারওয়ান বাজারে গেছি। তিন ভাগে ভাগ করা। সেখানে সমঝোতা আছে। আমাকে বলা হয়, সিন্ডিকেট ভাঙো। পণ্যের দাম কমানো ও ক্রেতার কাছে পণ্য সহজলভ্য করা। মাঝখানে যে দামটা থাকে, ১০ টাকার বেগুন ৫০ টাকা হয়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়াই এটা বেড়ে যায়।’

মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা তাদের কাজ করবে। কিন্তু যে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ট্রাক ছুঁয়ে বলে আমাকে ৫০০ টাকা দাও, সে মধ্যস্বত্ত্বভোগী না। সে একজন চাঁদাবাজ, যোগ করেন তিনি।

আসন্ন বাজেট নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে অর্থ উপদেষ্টা জানান। তবে বাজেটে খুব বেশি নাটকীয় কিছু করা হবে না বলেও ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন এই উপদেষ্টা। তবে কর ছাড় কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রণোদনার দিন শেষ। এটা ভবিষ্যতে করা সম্ভব হবে না। কর অব্যাহতি কমানো নিয়ে আমি আগে বলেছি। সারাজীবন কী কর রেয়াত দিতেই থাকবো? এটা সম্ভব না। যুক্তিসঙ্গত কর দিতে হবে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫