Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

চিশতিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম , সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

চিশতিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম সুলতানুল হিন্দ খাজায়ে খাজেগান গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈন উদ্দীন হাসান চিশতী সানজরী রহ.। কাদেরিয়া ও চিশতিয়া এই উভয় তরিকারই উদ্ভব ঘটিয়াছে হযরত আলী রা. হইতে। চিশতিয়া তরিকার শাজারা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সা. হইতে শুরু করিয়া হযরত আলী রা. হইতে হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহ. খেলাফত প্রাপ্তির সপ্তদশ খলিফা।

হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহ. শরিয়তের সকল বিধি নিষেধ পালনের প্রতি সর্বদা সজাগ থাকিতেন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন ভাবেই শরিয়তের কোন ব্যত্যয় তিনি সহ্য করিতেন না। তিনি ভক্ত-অনুসারীদিগকে শরিয়তে পাবন্দ থাকিবার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতেন। এমন কি চিশতিয়া তরিকার অনুসারীগণ যেন কখনও শরিয়তের বরখেলাপ না করিতে পারে, সেই জন্য আহলে চিশতের পরিপালনীয় একটি অজিফা রচনা করিয়া হযরত খাজা কুতুব উদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহ.কে প্রদান করিয়াছিলেন; যাহা হযরত কাকী রহ.-এর স্ব-রচিত দলিলুল আরেফীনগ্রন্থের অষ্টম অধ্যায়ে বিধৃত হইয়াছে।

আহলে চিশতের জন্য প্রদত্ত এই অজিফা দান কালে তিনি বলেন, “বুজুর্গানে দ্বীন হইতে আমি যে অজিফা লাভ করিয়াছি, তাহা পালনে সুদৃঢ় রহিয়াছি। মনে রাখিও, রাসূল সা. বলিয়াছেন: তারিকুল বিরদি মালউন অর্থাৎ অজিফা ত্যাগকারী অভিশপ্ত।

একই ভাবে তিনি তাহাদিগকে সূফী দর্শনের গূঢ় রহস্য পূর্ণ বিষয় গুলি সম্পর্কেও দীক্ষা প্রদান করিতেন। চিশতিয়া তরিকায় নিজকে জানিবার বা দেহ তত্ত্বের তালিম গ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রহিয়াছে। এই তালিমের চূড়ান্ত পর্য্যায়ে উন্নীত না হওয়া পর্য্যন্ত কেহ এই তরিকায় কামালিয়ত অর্জন করিতে পারে না বা তাহার পক্ষে সূফী-দরবেশ পর্য্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। দেহ তত্ত্বের প্রধান সাধনা হইল আনাসির-এ-খামসা বা পঞ্চভূত (পঞ্চ উপাদান)। এই সাধনার গুরু হযরত মুহাম্মদ সা.। তাঁহার নিকট হইতে হযরত আলী রা., হযরত আলী রা. হইতে হযরত হাসান বসরী রহ. এই তালিম লাভ করেন। সিনা-ব-সিনা চলিয়া আসা এই তালিম হযরত ওসমান হারুনী রহ.ও লাভ করেন। এই তালিম গুলি লিপিবদ্ধ ছিল না। হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহ. তালিম গুলি সু-শৃঙ্খল ভাবে সাজাইয়া গুছাইয়া লিপিবদ্ধ করেন।

চিশতিয়া তরিকা মতে আব, আতশ, খাক, বাদ ও নূর যথাক্রমে পানি, আগুন, মাটি, বায়ু এবং নূরকে আনাসির-এ-খামসা বা পঞ্চ উপাদান নামে অভিহিত করা হয়। সমুদয় সৃষ্টি জগতের মূল উৎস এই পঞ্চ উপাদান। সমুদয় জড় বস্তু ও প্রাণী দেহে আনাসিরে আরবায়াবা চার উপাদান যেমন পানি, আগুন, মাটি ও বায়ুর সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে। আর চার উপাদানের মূলে রহিয়াছে নূর বা এক জ্যোতির্ম্ময় সত্তা। প্রত্যেক উপাদানে রহিয়াছে পাঁচটি গুণ বা সিফাত।

উহা আবার তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা:

১. আহাদিয়াত : এই স্তরে মহিমান্বিত আল্লাহ আপনাতেই বিদ্যমান এবং অতি সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম দরিয়া রূপে রহিয়াছেন। এই পর্য্যায়ে তিনি একক ও অদ্বৈত।

২. ওয়াহিদাত : এই স্তরে তিনি তাঁহার ইরাদা বা আকাক্সক্ষা বা এশক (প্রেম) হইতে নূরে মুহাম্মদী সা. সৃষ্টি করেন।

৩. ওয়াহেদিয়াত : এই স্তরে নূরে মুহাম্মদী সা. হইতে তিনি নিজেকে বিশ্ব চরাচর সৃষ্টির সঙ্গে আহমদরূপে প্রকাশ করেন। এই কারণেই কুরআনের পূর্বে সকল ধর্ম্ম গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ সা.কে আহমদউল্লেখ করা হইয়াছে।

হযরত সুরেশ্বরী রহ. তাঁহার রচিত আধ্যাত্মিক ঊর্দু গ্রন্থ সিররেহক্ক জামেনূর”- লেখকের ভূমিকায় লিখেছেন আহাদএবং আহমাদএর মধ্যে মীমএর পার্থক্য কেবল হামদ্ ও নাতের জন্য।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য পংক্তিতে সেই সুরই ধ্বনিত হইয়াছে এই ভাবে

আহমদের ঐ মীমের পর্দা উঠিয়ে দেখ মন
আহাদ সেথায় বিরাজ করে হেরে গুণীজন ॥

যে চিনতে পারে রয় না ঘরে হয় সে উদাসী
সে সকল ত্যাজি ভজে শুধু নবীজীর চরণ ॥

এই তালিমকে মান আরাফা নাফসাহুএর তালিমও বলা হয়। এই তালিম রপ্ত না করা পর্যন্ত কেহই প্রকৃত সূফী বা চিশতিয়া তরিকার পীর হইবার যোগ্য নহে।

চিশতিয়া তরিকায় সামা প্রচলিত রহিয়াছে। মাঝে মাঝে এই তরিকা পন্থীগণ সামার অনুষ্ঠান করেন। ইহাতে তাহারা জজবার হালতে পৌঁছেন। সামার দ্বারা আল্লাহর প্রেম বর্ধিত হয়। তাই চিশতিয়া তরিকার মাশায়েখগণ সামাকে রুহানী গেজা বা আত্মার খোরাকবলেন।

একই ভাবে চিশতিয়া তরিকায়ও কালেমা তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহযথা : লাম, আলিফ, আলিফ, লাম, হা, আলিফ, লাম, আলিফ, আলিফ, লাম, লাম, হা নোক্তা বিহীন এই বারোটি বর্ণের খাস তালিমের বিধান রহিয়াছে। এই তরিকার প্রধান দুইটি উপ তরিকা হইল: প্রধান খলিফা সুলতানুল মাশায়েখ হযরত নিজাম উদ্দিন রা.-এর নামানুসারে নিজামিয়াও অন্যতম খলিফা হযরত মখদুম আলী কালিয়ারী রা.-এর নামানুসারে সাবেরিয়াপৃথিবীতে অদ্যাবধি রহিয়াছে।


আরও খবর



পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতদের একজনের নাম পাওয়া গেছে, তিনি আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের নিকট আহাদ মিয়ার একটি ভবনে কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন। পরে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান ভেতরে সবাই মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা।

তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬২৩

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ইসরায়েলি হামলায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনির গাজায় শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। সর্বশেষ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় একটি ক্রীড়া কেন্দ্রে ১৫ জন নিহত হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ৩২৬২৩ দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক চাপ এবং নানা ধরনের সমালোচনার পরেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইসরায়েলকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমা এবং যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তাদের ২৬ কর্মী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন যারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩২ হাজার ৬২৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৯২ জন।

এর আগে সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ বিষয়ক একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানায়। ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।

এর আগে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, একটি হামলায় ইরানপন্থি নয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডার রয়েছেন। একটি উপত্যকায় তাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।

এদিকে ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার রাফায় আশ্রয় নেয়। এটি মিশর সীমান্তবর্তী এলাকা। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস জয় করেছি।

অপরদিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দুইটি ইস্যু জারি করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। সেখানে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চিয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর



নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনছে তালেবান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

আফগানিস্তানে এবার নারীদের পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনল তালেবান সরকার। ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে। গত শনিবার (২৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিওবার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। দ্যা গার্ডিয়ান।

টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহবিরোধী। আপনারা বলছেন, পাথর মেরে হত্যা করা নারী অধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব। তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র। তার এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকায় এমন পদক্ষেপ নিতে পারছে তালেবান সরকার।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন সাফিয়া আরেফি। তিনি একজন আইনজীবী এবং আফগান মানবাধিকার সংস্থা উইমেনস উইন্ডো অব হোপের প্রধান। তার মতে, এ ঘোষণাটি আফগান নারীদের ১৯৯০-এর দশকে তালেবান শাসনের অন্ধকারতম দিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন তালেবানদের শাস্তি থেকে তাদের বাঁচাতে কেউ তাদের (নারীদের) পাশে দাঁড়াচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতে নীরব থাকতে চাইছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন আফগান গবেষক সাহার ফেত্রাত বলেছেন: দুই বছর আগে, নারীদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করার সাহস তাদের ছিল না; এখন তারা তাও করবে। তারা তাদের কঠোর নীতিগুলো একে একে পরীক্ষা করেছে এবং এটি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কারণ তাদের অপব্যবহারের জন্য দায়ী করার মতো কেউ নেই।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই। একজন তরুণ ছাত্রীর বরাত দিয়ে জানা যায়, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে হতাশা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হার অনেক বেড়েছে। এটা দুঃখজনক।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর