Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

চিশতিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম , সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

চিশতিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম সুলতানুল হিন্দ খাজায়ে খাজেগান গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈন উদ্দীন হাসান চিশতী সানজরী রহ.। কাদেরিয়া ও চিশতিয়া এই উভয় তরিকারই উদ্ভব ঘটিয়াছে হযরত আলী রা. হইতে। চিশতিয়া তরিকার শাজারা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সা. হইতে শুরু করিয়া হযরত আলী রা. হইতে হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহ. খেলাফত প্রাপ্তির সপ্তদশ খলিফা।

হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহ. শরিয়তের সকল বিধি নিষেধ পালনের প্রতি সর্বদা সজাগ থাকিতেন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন ভাবেই শরিয়তের কোন ব্যত্যয় তিনি সহ্য করিতেন না। তিনি ভক্ত-অনুসারীদিগকে শরিয়তে পাবন্দ থাকিবার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতেন। এমন কি চিশতিয়া তরিকার অনুসারীগণ যেন কখনও শরিয়তের বরখেলাপ না করিতে পারে, সেই জন্য আহলে চিশতের পরিপালনীয় একটি অজিফা রচনা করিয়া হযরত খাজা কুতুব উদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহ.কে প্রদান করিয়াছিলেন; যাহা হযরত কাকী রহ.-এর স্ব-রচিত দলিলুল আরেফীনগ্রন্থের অষ্টম অধ্যায়ে বিধৃত হইয়াছে।

আহলে চিশতের জন্য প্রদত্ত এই অজিফা দান কালে তিনি বলেন, “বুজুর্গানে দ্বীন হইতে আমি যে অজিফা লাভ করিয়াছি, তাহা পালনে সুদৃঢ় রহিয়াছি। মনে রাখিও, রাসূল সা. বলিয়াছেন: তারিকুল বিরদি মালউন অর্থাৎ অজিফা ত্যাগকারী অভিশপ্ত।

একই ভাবে তিনি তাহাদিগকে সূফী দর্শনের গূঢ় রহস্য পূর্ণ বিষয় গুলি সম্পর্কেও দীক্ষা প্রদান করিতেন। চিশতিয়া তরিকায় নিজকে জানিবার বা দেহ তত্ত্বের তালিম গ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রহিয়াছে। এই তালিমের চূড়ান্ত পর্য্যায়ে উন্নীত না হওয়া পর্য্যন্ত কেহ এই তরিকায় কামালিয়ত অর্জন করিতে পারে না বা তাহার পক্ষে সূফী-দরবেশ পর্য্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। দেহ তত্ত্বের প্রধান সাধনা হইল আনাসির-এ-খামসা বা পঞ্চভূত (পঞ্চ উপাদান)। এই সাধনার গুরু হযরত মুহাম্মদ সা.। তাঁহার নিকট হইতে হযরত আলী রা., হযরত আলী রা. হইতে হযরত হাসান বসরী রহ. এই তালিম লাভ করেন। সিনা-ব-সিনা চলিয়া আসা এই তালিম হযরত ওসমান হারুনী রহ.ও লাভ করেন। এই তালিম গুলি লিপিবদ্ধ ছিল না। হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহ. তালিম গুলি সু-শৃঙ্খল ভাবে সাজাইয়া গুছাইয়া লিপিবদ্ধ করেন।

চিশতিয়া তরিকা মতে আব, আতশ, খাক, বাদ ও নূর যথাক্রমে পানি, আগুন, মাটি, বায়ু এবং নূরকে আনাসির-এ-খামসা বা পঞ্চ উপাদান নামে অভিহিত করা হয়। সমুদয় সৃষ্টি জগতের মূল উৎস এই পঞ্চ উপাদান। সমুদয় জড় বস্তু ও প্রাণী দেহে আনাসিরে আরবায়াবা চার উপাদান যেমন পানি, আগুন, মাটি ও বায়ুর সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে। আর চার উপাদানের মূলে রহিয়াছে নূর বা এক জ্যোতির্ম্ময় সত্তা। প্রত্যেক উপাদানে রহিয়াছে পাঁচটি গুণ বা সিফাত।

উহা আবার তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা:

১. আহাদিয়াত : এই স্তরে মহিমান্বিত আল্লাহ আপনাতেই বিদ্যমান এবং অতি সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম দরিয়া রূপে রহিয়াছেন। এই পর্য্যায়ে তিনি একক ও অদ্বৈত।

২. ওয়াহিদাত : এই স্তরে তিনি তাঁহার ইরাদা বা আকাক্সক্ষা বা এশক (প্রেম) হইতে নূরে মুহাম্মদী সা. সৃষ্টি করেন।

৩. ওয়াহেদিয়াত : এই স্তরে নূরে মুহাম্মদী সা. হইতে তিনি নিজেকে বিশ্ব চরাচর সৃষ্টির সঙ্গে আহমদরূপে প্রকাশ করেন। এই কারণেই কুরআনের পূর্বে সকল ধর্ম্ম গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ সা.কে আহমদউল্লেখ করা হইয়াছে।

হযরত সুরেশ্বরী রহ. তাঁহার রচিত আধ্যাত্মিক ঊর্দু গ্রন্থ সিররেহক্ক জামেনূর”- লেখকের ভূমিকায় লিখেছেন আহাদএবং আহমাদএর মধ্যে মীমএর পার্থক্য কেবল হামদ্ ও নাতের জন্য।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য পংক্তিতে সেই সুরই ধ্বনিত হইয়াছে এই ভাবে

আহমদের ঐ মীমের পর্দা উঠিয়ে দেখ মন
আহাদ সেথায় বিরাজ করে হেরে গুণীজন ॥

যে চিনতে পারে রয় না ঘরে হয় সে উদাসী
সে সকল ত্যাজি ভজে শুধু নবীজীর চরণ ॥

এই তালিমকে মান আরাফা নাফসাহুএর তালিমও বলা হয়। এই তালিম রপ্ত না করা পর্যন্ত কেহই প্রকৃত সূফী বা চিশতিয়া তরিকার পীর হইবার যোগ্য নহে।

চিশতিয়া তরিকায় সামা প্রচলিত রহিয়াছে। মাঝে মাঝে এই তরিকা পন্থীগণ সামার অনুষ্ঠান করেন। ইহাতে তাহারা জজবার হালতে পৌঁছেন। সামার দ্বারা আল্লাহর প্রেম বর্ধিত হয়। তাই চিশতিয়া তরিকার মাশায়েখগণ সামাকে রুহানী গেজা বা আত্মার খোরাকবলেন।

একই ভাবে চিশতিয়া তরিকায়ও কালেমা তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহযথা : লাম, আলিফ, আলিফ, লাম, হা, আলিফ, লাম, আলিফ, আলিফ, লাম, লাম, হা নোক্তা বিহীন এই বারোটি বর্ণের খাস তালিমের বিধান রহিয়াছে। এই তরিকার প্রধান দুইটি উপ তরিকা হইল: প্রধান খলিফা সুলতানুল মাশায়েখ হযরত নিজাম উদ্দিন রা.-এর নামানুসারে নিজামিয়াও অন্যতম খলিফা হযরত মখদুম আলী কালিয়ারী রা.-এর নামানুসারে সাবেরিয়াপৃথিবীতে অদ্যাবধি রহিয়াছে।


আরও খবর



লজ্জাজনক হার : ক্ষমা চাইলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ঘরের মাটিতে লজ্জায় ডুবেছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের মতো ম্যাচে ১০ জন ব্যাটসম্যান মিলে ৫০ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি দাসুন শানাকার দল। তাতে হারতে হয়েছে শোচনীয়ভাবে। এমন হারের পরে ক্ষমা চেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারায় ভারত। এশিয়ার এই বিশ্বকাপ জিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমে এমন লজ্জার রেকর্ড গড়ে বিব্রত শ্রীলঙ্কা।

ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছেন, সবাই অনেক আশা নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাদের আমরা হতাশ করেছি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়াবে।

শানাকা আরো বলেছেন, উইকেট দেখে মনে হয়েছিল ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারবে। সেজন্যই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আবার আবহাওয়াও মেঘাচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু আমরা ধারণারে চেয়েও খারাপ খেলেছি। ভারত বোলিংয়ে ভালো করেছে। ফলে ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দশমিনায় এম.এইচ.ভি কর্মীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা,(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ এম.এইচ.ভি এ্যাসোসিয়োশন, দশমিনা শাখার উদ্যোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ঘন্টাব্যাপি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন এম.এইচ.ভি কর্মীরা ।

মানববন্ধনে এম.এইচ.ভি কর্মীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা আমাদের দশমিনা উপজেলায় ১শত১৮ জন এম.এইচ.ভি কর্মী এক বছরের জন্য নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে ওই প্রকল্প আরো তিন বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করেন।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ  এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে করোনাকালীন সময় সহ স্বাস্থ্য সেবায় গ্রাম থেকে গ্রামে নিরলস সেবা প্রদান করি। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকল্প মেয়াদ শেষ হবার ঘোষা দেয়া হয়। মনবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে একটাই দাবি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও প্রকল্পে কর্মরত এম.এইচ.ভি কর্মীদের  স্থায়ী করনের নিবেদন করছি।

 বাংলাদেশ এম.এইচ.ভি দশমিনা উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কর্মীরা বলেন, আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও স্থায়ী করনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক দিক বিবেচার আবেদন জানাই কারন এই প্রকল্পে কর্মরত থাকায় আমরা অন্য কোন কর্মসংস্থানের দিকে নজর দেইনি। আমাদের বর্তমানে অন্য কোন কর্মসংস্থানে যাওয়ার বয়স নেই তাই যাহাতে মা, বাবা, সন্তান পরিবারকে নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেতে পারি তাহার তাহার জন্য মানবতার মা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন।

এম.এইচ.ভি কর্মীদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে  দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারি ও বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়োশন পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এম.এইচ.ভি কর্মীদের নিয়োগ দানের পর দশমিনা উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই প্রকল্পের পরিচালকের কাছে অনুরোধ করবো মানবিক দিক বিবেচনায় প্রকল্পের ময়াদ বৃদ্ধি সহ এই সকল কর্মীদের স্বাস্থ্য সেবায় বহাল রাখলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর জিডিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



সীমিত সামর্থ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাফুফের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে গত কয়েক বছরে অসংখ্য বারই এসেছেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। তিনি আজ (শুক্রবার) একটু ভিন্নভাবেই আসলেন। জাতীয় দলের টি-শার্ট পরে হেড কোচের আসনে বসে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলেন মিন্টু। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এএফসি অ-২৩ বাছাই খেলতে যাচ্ছেন। 

টুর্নামেন্টটিতে ১১ টি গ্রুপ রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা পাঁচ রানার্স-আপ মূলপর্বে খেলবে। বাংলাদেশের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মূলপর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়ে যাব। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমে পয়েন্ট পেলে তখন মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’

এই সপ্তাহেই সিনিয়র জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আবার এশিয়ান গেমস রয়েছে। সব মিলিয়ে অ-২৩ দল পূর্ণ শক্তির নয়। বিষয়টি মেনে নিয়েও সর্বোচ্চ প্রত্যাশাই করছেন মিন্টু, ‘বয়স ২৩-এর নিচে এমন সাত জন (মোরসালিন, দিপকসহ আরও পাঁচ জন) খেলোয়াড় সিনিয়র দলে রয়েছে। তারা আসলে অবশ্যই দলীয় শক্তি বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সিনিয়র দলের প্রীতি ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। আবার সামনে এশিয়ান গেমস। সেই দলে যারা রয়েছে তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বিদ্যমান সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চটা দেব। আমাদের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। তাদের সাম্প্রতিক খেলাগুলো দেখেছি। তারা আমাদের সামর্থ্যের খুব বাইরে নয়।’

সিনিয়র জাতীয় দলে খেলেছেন এমন চারজন রয়েছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে। এদেরই একজন ইয়াসিন আরাফাত এই দলটির অধিনায়কত্ব করবেন। জাতীয় দলে এক সময়কার নির্ভরযোগ্য এই ফুটবলার সাফের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ডাক পাননি। পুনরায় জাতীয় দলে প্রবেশের চেয়ে জুনিয়র দলের দায়িত্বেই তার আপাতত মনোযোগ, ‘আমি এখনকার দায়িত্ব নিয়েই ভাবছি। এই দলে সেরাটা দিতে চাই। সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই জাতীয় দলেও বিবেচনা করবে।’

গোলের খেলা ফুটবল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গোল স্কোরিংয়েই মূল সমস্যা। এএফসি অ-২৩ টুর্নামেন্টেও এটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্বীকার করলেন কোচ মিন্টু, ‘এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। গোল শুধু টেকনিক্যাল নয়, সাইকোলজিক্যালও বিষয়। খেলোয়াড়দেরও বিশ্বাস থাকতে হবে সে পারবে। গোল করতে করতে সে এতে অভ্যস্ত হবে।’ 


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি তিন চুক্তি-সমঝোতা স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিয়ার্তোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইন বৈঠকে উভয় মন্ত্রী এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি, ২০২৪-২৬ সালের জন্য স্টাইপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৩-২৫ বছরের জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ২০২৩-২০২৫।

বৈঠকে দুদেশের মন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী জনগণের দুর্দশা লাঘবের জন্য যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হাঙ্গেরির সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান পিটার সিয়ার্তো।

এ ছাড়া বৈঠকে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবিত সফরে দ্বৈত কর পরিহার, বিনিয়োগের নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি এবং পানি সহযোগিতা চুক্তি স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে উভয় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হাঙ্গেরির ভিসা ঢাকা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান পিটার সিয়ার্তো।

এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রীকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহীদের সতর্ক করল হাইকমিশন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশন। ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ হাইকমিশন লক্ষ্য করেছে যে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের সুযোগ পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সেদেশে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটির ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে সবাইকে অবগত থাকার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ও স্থায়ী ভিসায় কর্মী নেওয়ার জন্য টেম্পরারি স্কিল শর্টেজ -সাবক্লাস ৪৮২ (টেম্পরারি স্কিল শর্টেজ সাবক্লাস ৪৮২) নামে একটি ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এই ভিসা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত একজন স্পন্সর (নিয়োগকারী) প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ট্রেড পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সার্টিফিকেট-৩/৪ অথবা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হয়।

স্কিল লেভেল ১ মাত্রার পেশার জন্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। যেকোনো পেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩-৪ বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা দরকার হয়। অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র, বিগত ২ বছরের বেতন বিবরণী, ব্যাংকের হিসাব বিবরণী প্রয়োজন হয়।

সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে ৫-৬ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে রিকগনিশন অব প্রিয়র লার্নিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিদিষ্ট সংখ্যক কলেজ থেকে পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাগত সনদ অর্জন করা যায়। পেশা বিবেচনায় আইইএলটিএসের স্কোর প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬। আইইএলটিএস ছাড়াও অন্যান্য স্বীকৃত পরীক্ষা যেমন টোফেল, পিটিই গ্রহণযোগ্য।

বিদেশি কর্মীদের কাজের দক্ষতা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের কয়েকটি পেশার জন্য দক্ষতা যাচাই করানোর প্রয়োজন হয় না। সেগুলো হলো-অটোমোটিভ ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাবিনেট মেকার, কারপেন্টার, কারপেন্টার ও জয়েনার, ডিজেল মোটর মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান (জেনারেল), ইলেকট্রিশিয়ান (স্পেশাল ক্লাস), ফিটার (জেনারেল), ফিটার এবং টারনার, ফিটার-ওয়েল্ডার, জয়েনার, মেটাল ফেবরিকেটার, মেটাল মেকানিস্ট (ফার্স্ট ক্লাস), মোটর মেকানিক (জেনারেল), প্যানেল বিটার, পেস্ট্রি কুক, সিটমেটাল ট্রেড ওয়ার্কার, টুল মেকার, ওয়েল্ডার (ফার্স্ট ক্লাস)। টেমপরারি স্কিল শর্টেজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কর্মীদের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

ভিসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়ার হোম অফিসের লিংকে https://immi.homeaffairs.gov.au/visas/getting-a-visa/visa-listing/temporary-skill-shortage-482


আরও খবর