Logo
শিরোনাম

চক্কর ৩০২ ‘কাউয়া কমলা খাইতে জানে না’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার: 

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবি ‘চক্কর ৩০২’। এর মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে নির্মাতা-অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবনের। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। দিন কয়েক আগে প্রকাশিত হয়েছে ছবির টিজার। বরবাদ, দাগি, জংলি, জ্বীন ৩-এর সঙ্গে আসন্ন ঈদে পাঁচ নম্বর ছবি হিসেবে যুক্ত হলো মোশাররফ করিম অভিনীত ‘চক্কর ৩০২’। 

শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত গেল সপ্তাহে এই ছবি মুক্তির ঘোষণায় অভিনব প্রচারণা কৌশল পছন্দ করেছেন দর্শক!

এরপর তিন দিন আগে এসেছে ছবির সোয়া এক মিনিটের টিজারও! এবার এলো ‘চক্কর ৩০২’-এর প্রথম গান ‘কাউয়া কমলা খাইতে জানে না’।

লোকসংগীতের ধাঁচে গাওয়া মাতাল রাজ্জাক দেওয়ানের কৌতুকপূর্ণ কথার এই গানটির মাধ্যমে ‘চক্কর’-এর কিছুটা আবহ ফুটিয়ে তুলেছেন নির্মাতা।


গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কাজল দেওয়ান এবং গানটির নতুন করে সংগীত আয়োজন করেছেন সময়ের আলোচিত সংগীত ব্যক্তিত্ব ইমন চৌধুরী। যদিও গানটি বহু পুরনো, বিভিন্ন লোকশিল্পী গানটি গেয়েছেন- তবে অনেকে মনে করছেন, সিনেমায় ব্যবহারের ফলে নতুন মাত্রা পাবে এটি। ইউটিউবে টাইগার মিডিয়ার চ্যানেলে গানটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটি মূলত রাজ্জাক দেওয়ানের জনপ্রিয় গান ‘কাউয়া কমলা খাইতে জানে না’-এর নতুন সংস্করণ। 


একটি প্রমোদতরীতে আঞ্চলিক ভঙ্গিতেই গানের আসরটি দেখা যায়। ভাসমান যে তরীটিই টার্গেট গোয়েন্দা পুলিশের। যেখানে সাঙ্গপাঙ্গসহ লুকিয়ে আছে অপরাধী। এমন আবহই ফুটে উঠেছে গানে। যে আসরের মধ্যমণি সুমন আনোয়ার!


গানের শেষ দিকে দেখা যায় অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ভাসমান সেই জাহাজটিতে উঠেন ‘চক্কর’-এর মূল গোয়েন্দা মোশাররফ করিম! শেষ পর্যন্ত কি অপরাধীদের মুখোমুখি হন এই গোয়েন্দা?

‘কাউয়া কমলা খাইতে জানে না’ সম্পর্কে ইউটিউব পোস্টে দেয়া হয়েছে অন্যরকম ইঙ্গিত। সেখানে বলা হয়েছে “মাতাল রাজ্জাক বলেছেন, ‘কাউয়া নাকি কমলা খাইতে জানে না’ কিন্তু এই কাউয়া সেই কাউয়া না। এই কাউয়া আকাশে উড়ে না, বাতাসে নড়ে না—এটা আপনার-আমার অন্তরে থাকে আর কা কা করে!”


গানটি ইতিমধ্যে দর্শক পছন্দ করতে শুরু করেছেন। শুভ নামের একজন মন্তব্য করেছেন,“এই গানের জন্য ‘চক্কর ৩০২’ অনেক দর্শককে পাবে, আমাদের আপন সুরের গান। কাজল দেওয়ানকে কাজে লাগানোয় খুব ভালো লাগছে, এ্যারেঞ্জমেন্ট দারুণ।”

মুক্তা নামের একজন লিখেছেন,“অসাধারণ গান। অনেক দিন পর একটা দেশী গান শুনলাম।” আরেকজন লিখেছেন, “আবারো ইমন চৌধুরী ম্যাজিক,এসময়ের সেরাদের একজন।” অনেকে গানটির জনপ্রিয়তা ‘হাওয়া’ ছবির ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের মতো হবে বলে পূর্বাভাস দেন। 


যেমন চয়ন অধিকারী নামের একজন লিখেছেন,“এই গানটা অনেক দূরে যাবে। দেখে নিয়েন। ভালোবাসা রইলো মুভির টিমের প্রতি।”


২০২১-২২ অর্থবছরে ‘চক্কর’ সিনেমার জন্য সরকারি অনুদান পান শরাফ আহমেদ জীবন। ছবিতে মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন তারিন জাহান, মৌসুমী নাগ, ইন্তেখাব দীনার, রওনাক হাসান, সুমন আনোয়ার, রীকিতা নন্দিনী শিমুসহ অনেকে।


আরও খবর



মুরগির বাচ্চা সিন্ডিকেটের কোটি কোটি টাকার লুটপাট

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাতের প্রান্তিক খামারিরা এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। ঈদকে কেন্দ্র করে অধিক দামে মুরগির বাচ্চা কিনতে বাধ্য হলেও এখন সেই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে ব্রয়লারের দাম নেমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না তারা। অথচ বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলো ঈদের আগে বাচ্চার দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা খামারিদের দুর্দশাকে আরও গভীর করেছে।

প্রান্তিক খামারিরা বর্তমানে মুরগি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, অথচ তাদের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি মুরগিতে তারা ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লোকসান দিচ্ছেন। এই ক্ষতি কতদিন বহন করা সম্ভব? সরকার কেন এখনো প্রান্তিক খামারিদের দুঃখ দুর্দশা পরিস্থিতির দিকে নজর দিচ্ছে না?

এই অন্যায্য পরিস্থিতির মধ্যে আরও এক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে—খামারে খামারে ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব। নিম্নমানের, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা বাচ্চাগুলো সহজেই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে, ফলে মৃত্যুহার বাড়ছে। অধিকাংশ খামারির মুরগি মারা যাচ্ছে, যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।

একদিকে খামারিরা উৎপাদন খরচের বিপরীতে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভাইরাসের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে তারা প্রতিটি দিক থেকে লোকসানের মুখে পড়ছেন। একদিকে কোম্পানির সিন্ডিকেট, অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট, সব মিলিয়ে প্রান্তিক খামারিরা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন।

এভাবে চলতে থাকলে তারা ধীরে ধীরে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন। দেশের পোল্ট্রি খাত সম্পূর্ণভাবে কর্পোরেট গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যার ফলে সাধারণ জনগণ উচ্চমূল্যে মাংস ও ডিম কিনতে বাধ্য হবে।

সরকারের উচিত দ্রুত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, প্রান্তিক খামারিদের জন্য ভর্তুকি ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এবং নীতিমালার মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অযৌক্তিক মুনাফা নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যথায়, পোল্ট্রি খাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের বিদায় নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং এর ফলাফল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।


আরও খবর



দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও লন্ডনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ‘আইনজীবীরা প্রস্তুত'। ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপাতত সম্পর্কের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আপনারা আমার আইনি চিঠিটি দেখুন এবং দেখুন আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আছে কি না... (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ) একবারের জন্যও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।’

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনের এই এমপি গত জানুয়ারিতে ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি তদন্তে তার নাম উঠে আসে। পরে বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

সরকার ছাড়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘মাসখানেক হয়ে গেল অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু (বাংলাদেশের) কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ এর আগে গত মাসে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিক ‘দেশে সম্পদ রেখে গেছেন’ এবং তার এ জন্য জবাবদিহি করা উচিত।’

এদিকে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’। চিঠিতে বলা হয়, দুদককে ‘২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে অথবা তার আগে’ টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন করতে হবে, অন্যথায় ‘আমরা ধরে নেব যে, উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট বিএনপি।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি দেশে নির্বাচন না হয়, তবে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আরো খারাপের দিকে যাবে। তখন এটি নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।

এখন বিএনপি কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দলের সঙ্গে এবং আমাদের মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।



আরও খবর



পাচারের ২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরাতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনতে ব্যাপক প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। হাসিনার আমলে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের বিদেশে পাচার করা বিপুল সম্পদ অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করেছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।

‘বাংলাদেশ আপ এগেইনস্ট টাইম টু ফাইন্ড স্টোলেন বিলিয়নস: সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ১১টি প্রভাবশালী পরিবারকে টার্গেট করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে আল জাজিরা বলছে, প্রভাবশালী এসব পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশক ধরে বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে কোটি কোটি ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাদের সম্পদের সন্ধানে ১১টি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশ্নবিদ্ধ এ সম্পদের পরিমাণ আঁতকে ওঠার মতো। ১১টি পরিবারের মধ্যে একটির বিরুদ্ধেই ১৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ আমানতই তুলে নিয়ে গেছে তারা। ফলত ব্যাংকটি প্রায় ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

আহসান মনসুর, আইএমএফ-এর সাবেক অর্থনীতিবিদ। পাচারকৃত অর্থ দ্রুত উদ্ধার করা নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। কেননা, দ্রুত সন্ধান না পেলে বেশিরভাগ অর্থ হাওয়া হয়ে যেতে পারে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, আমরা জানি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সম্পদের পরিমাণ কমে যেতে পারে। আহসান মনসুরের সন্ধান কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ব্রিটেন। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ উদ্ধার এবং জব্দ করার জন্য ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ দফতর এবং লন্ডনের আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, উল্লিখিত পরিবারগুলোর অনেকেরই এখানে বহু সম্পদ রয়েছে, বিশেষ করে লন্ডনে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা এই সচেতনতা তৈরি করতে চাই যে, বিশ্ব থেকে চুরি হওয়া সম্পদের প্রিয় হচ্ছে ব্রিটেন। আর বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখান থেকে এখানে প্রচুর চুরি হওয়া সম্পদ এসেছে।

এর আগে আল জাজিরার আই-ইউনিটের এক খবরে প্রকাশ করা হয়েছে যে, হাসিনার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর একারই লন্ডন এবং দুবাইতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থের সম্পদ রয়েছে। আই-ইউনিটের ওই খবরটি গত বছর প্রকাশ করা হয়। ব্রিটেনে সাইফুজ্জামান এবং তার পরিবারের ৩৬০টির বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই লন্ডনে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যেই সাইফুজ্জামানের ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এবং তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর সাইফুজ্জামানের বিদেশে থাকা সম্পত্তি দ্রুত জব্দ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেন সেগুলো বিক্রি করতে না পারে।

যদিও সাইফুজ্জামানের দাবি হচ্ছে আগের সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘ডাইনি হান্ট’ শুরু করা হয়েছে। তার সম্পদ বৈধভাবে উপার্জন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন এসব সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোনিবেশ করেছে তখন আহসান মনসুর চাচ্ছেন, ব্রিটেন এবং অন্যান্য জায়গায় এসব অভিজাত পরিবারের কোটি কোটি ডলার পাচারে সহায়তাকারী আইনজীবী, ব্যাংকার এবং এস্টেট এজেন্টদেরও তদন্তের আওতায় আনা হোক।

মনসুর বলেছেন, আইন লঙ্ঘন করে অপরাধীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করছে এমন এজেন্ট বা ব্যাংক অপারেটর সংখ্যা অনেক। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গভর্নর জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, কর্তৃপক্ষের কাজের মাত্রা এবং জটিলতা নিয়ে লড়াই করার কারণে অর্থ উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে বৃটেন সরকার এক্ষেত্রে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসব অপরাধী চক্রের মূল হোতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তাকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এমনকি হারিয়ে যাওয়া অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের পর পাচারকৃত কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা জটিল হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) তহবিল স্থগিত করে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে যে তদন্তকারী সংস্থা কাজ শুরু করার কথা ছিল তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের পূর্ণ শক্তিতে ঢাকায় থাকার কথা ছিল। তাদেরকে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। তবে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর আসতে পারেনি। যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।


আরও খবর



মার্চ ফর গাজা : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হবে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই গণজামায়াত শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছে ছোট-বড় মিছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মানুষের ঢলে সমাবেশস্থলের অর্ধেকের বেশি জায়গায় ভরে গেছে। সবার হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন পতাকা এবং বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যা-কার্ড দেখা গেছে।

গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত। বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি।

এই কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে সেনবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যাদের সমন্বয়ে নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে।

কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। গত শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পরিদর্শন করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থল।


আরও খবর