Logo
শিরোনাম

চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে কঠোর হতে বলল বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে যখন তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে যার উপসর্গ এরই মধ্যে দৃশ্যমান।

সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। সুতরাং কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




দেশে এখন মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। রবিবার জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা চূড়ান্ত এ ভোটার তালিকা আজ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটের প্রতিশ্রুতি জাতিকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমরা মনে করি, ইসির প্রতি দেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন দিতে জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের উদ্যোগ নিয়েছি, বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি চলছে। পরে ভোটার দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

সারাদেশে আজ ২ মার্চ পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’। ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে’ এই প্রতিপাদ্যে দেশে সপ্তমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হচ্ছে। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং মাঠপর্যায়ে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসগুলোয় বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




আমতলীতে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বরগুনার ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী নেতৃত্বে তাদের শতশত সর্মাথক তৌহিদি জনতা এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।

কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায় তৌহিদি জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা শতশত ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মো. মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতশত তৌহিদি জনতা­ লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়। এ সময় ওরশে আসা শতশত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা। এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়। ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে। যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপূরে মেডিকেল চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নওগাঁ মেডিকেল কলেজ চালুর পর থেকেই বরাবরই প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেছে। বড় মেডিকেল কলেজগুলোর মতো প্রায় সব সুবিধা থাকার পরও শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে এটি বন্ধের অনেক অপচেষ্টা চলছে। তাই ষড়যন্ত্র বন্ধ করে দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি জানানো হয়। 


আরও খবর



ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষে সম্ভব

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে এবং ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষে সম্ভব। বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে দেশ পুনর্গঠন করবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণের সমর্থন নেই এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পুনর্গঠনে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা বিগত ১৭টি বছর আন্দোলন করেছি, সেই স্বৈরাচার আজ পলাতক। তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে নেই। বিভিন্ন দাবিদাওয়ার উসিলায় বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই লক্ষ আমরা হাসিল করতে দিতে পারি না। দেশের মানুষকে যদি রক্ষা করতে হয়, সর্বোপরি বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমাদের সবাইকে যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। আমরা বসব, আলোচনা করব। এক আলোচনায় শেষ না হলে আবার আলোচনায় বসব। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধার খুঁজে বের করব। আমাদের অনেক কাজ। দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। দেশের সামনে আমরা রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছি। সেটির মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কীভাবে করব, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া আছে। এই দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও কৃষির জন্য আমরা কী কী করতে চাই তার কথাও উল্লেখ করা আছে। সমগ্র দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য আমরা কী করতে চাই, সেই কথাগুলো বলা আছে।

যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপি চেরায়পার্সনের উপদেষ্টা আমন উল্লাহ আমান।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, যশোর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।


আরও খবর



মশুরীখোলা দরবার শরীফে ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানী নারিন্দায় ঐতিহ্যবাহী মশুরীখোলা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ক্বেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (রহ.)’র ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত হয়েছে। গদ্দিনিশীন পীর সাহেব- আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে মশুরীখোলা দরবার প্রাঙ্গণে মশুরীখোলা আঞ্জুমানে আহসানিয়া বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মশুরীখোলা দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.) বলেন, শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.) ছিলেন আধ্যাতিক জগতের দীপ্তমান একজন সূর্য সন্তান । বাংলা ও আসামের হাজারো মানুষ তাঁর সংশ্রব ও শিক্ষা নিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে দিশা লাভ করেন। ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন দুদু মিয়ার বেজুম্মা দলের নির্মম অত্যাচার বন্ধ ও পুনরায় বাংলার জনপদে জুমা নামাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.)’র অবদান ছিলো অনস্বীকার্য। 

তিনি আরো বলেন, এদেশের ৯২% মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সকল জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান আমাদের। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বতন্ত্রতার রক্ষা করেই আধুনিকায়ন করতে হবে। দেশে ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছে হক্কানি তরিকতের পীর ওলিদের মাধ্যমে। সুতরাং বর্তমান চতুর্মূখী ফেতনা ও মুসলিমসমাজ দ্বীনের প্রতি উদাসীনতার পরিস্থিতিতে আউলিয়াগণের আদর্শ অনুসরন করাই ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়”। লক্ষাধিক ভক্ত আশেকানদের উপস্থিতিতে তিনি সরকারের কাছে উদাত্ব আহবান জানিয়ে বলেন, মুসলমানদের পবিত্র আত্মশুদ্ধির মাস; পবিত্র  রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করে পণ্যসামগ্রীর দাম নির্ধারণ উচিত। যেন সমাজের বিত্তশালীদের মতো অল্প আয়ের মানুষরাও স্বাচ্ছন্দ্যে সিয়াম পালন করতে পারে।  

সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, ক্রমাগত মাযারের হামলা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের নীল নকশার অংশ। সুফিদের মাজার-দরগাহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। শতাব্দীর পর শতাব্দী দরে এই উপমহাদেশে ইসলামের হুকুম-আহকাম প্রচারে পীর আউলিয়াদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ মধ্যে দিয়ে ইসলামের ইতিহাস থেকে সুফিয়ানে কেরামের অবদানকে মুছে ফেলার যাবে না।

পরিশেষে তিনি বলেন, পবিত্র এই দরবার শরীফে তরিকা গ্রহণ করে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শরীয়তের পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন হাফেজ, মাওলানা, মুফতি হয়েছে। সুতরাং আলোর দিশা ছড়িয়ে দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। আউলিয়া ও তাদের আশেকানদের উপর নির্বিচারে হামলার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। একইসাথে দেশের এসব প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দরবার শরীফের পীর সাহেব।

এসময় জাকেরীনদের জিকির আযকার তালিম প্রদান করেন শাহ্জাদা মাওলানা হাফেজ শাহ্ মুহাম্মদ সাইফুজ্জামান এরফান। এতে বক্তব্য রাখেন,অধ্যক্ষ মুফতি কাজী আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক,ডক্টর মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন সাইফী, সহ-অধ্যাপক মাও. আবুল বাশার, মাও. গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, পীর মাও. আহমদুল হুদা খান, মাও. মুফতি মঈন উদ্দিন হেলাল, মাও. তাওহীদুল ইসলাম, মাও. জিয়াউর রহমান আবু শাহ, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল কাদেরী,। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, প্রখ্যাত বুযুর্গ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। খতমে কুরআন, দরসে হাদিস, দরবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওরসের মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে সারারাত হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখদের বয়ান, নসিহত, যিকির, তাহাজ্জুদ নামায, মিলাদ-ক্বিয়াম, তাবারুক বিতরণ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।


আরও খবর