Logo
শিরোনাম

চলমান সংস্কার কাজের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ছয় মাসে বারবার যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে সেটা হলো- কবে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শুরু থেকেই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে। সরকারের কাছে নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও দাবি করেছে। সরকার স্পষ্ট করে তারিখ ঘোষণা না করলেও দুটি সময়সীমার কথা জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, চলমান সংস্কার কাজের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক পরিসরে সংস্কার চাইলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আর সংক্ষিপ্ত সংস্কার চাইলে ২০২৫ সালের মধ্যে ত্রয়োদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার চাপ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যূনতম সংস্কার শেষে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর এই চাপের মধ্যে অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন করার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি বিদেশি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারে। সেই ইঙ্গিত আরও জোরালো হলো সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা আছেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেনও- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন।

ফখরুল বলেন, আমরা আশা করব, জনগণের যে প্রত্যাশা আছে, একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। সেটার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

এদিকে একই দিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারের আপত্তি নেই।

শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচন দ্রুত চায় বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। সরকারের পরিকল্পনা, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ নাগাদ নির্বাচন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেসময় নির্বাচন চায় তখনই নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশনও ডিসেম্বরে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমবার মানিকগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্ততি নেওয়ার কথা বলেছেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন মহলের সহায়তা দরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন হয়, সে লক্ষে প্রস্ততি নিচ্ছে কমিশন। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সবার চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করতেই হবে, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই।

তবে ডিসেম্বর মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের অংশ এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের সংশোধনের কারণে আটকে আছে যাবতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি। কেননা এই দুটি আইনে কী কী সংশোধন আনা হবে—সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ছাড়া কমিশনকে কোনো ধরনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।

এছাড়া এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি ভোটারযোগ্য হবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট হলে তারা ভোট দিতে পারবেন না। এটাকে একটি জটিলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন আগামী বছরের জানুয়ারিতেও হতে পারে।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের কারণে প্রস্তুতিতে আমরা আটকে আছি। এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। দুটি আইন সংশোধন হবে নাকি বিদ্যমান আইনে কার্যক্রম শুরু করব সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ হলে প্রস্তুতিতে আমরা পিছিয়ে যাব। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে।

এদিকে বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করলেও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলো ততটা তাড়াহুড়োর পক্ষে না। তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। এক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হলেও মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দলগুলো। যদিও বড় দল হিসেবে বিএনপির চাওয়াই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে অংশ না নিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।, তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছিল। তাদের (ছাত্ররা) জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।

‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’ বলেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই হাইকমিশনার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটছি, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেওয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।

২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া সরকারি কোটা সংস্কারের আন্দোলন সংহিসতার জেরে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলন ঠেকাতে ব্যাপক দমন পীড়ন চালায় আওয়ামী লীগ সরকার। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল অনুসন্ধান চালায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তথ্যানুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন, বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার পর জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভলকার তুর্ক।

সেখানে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমাতে শেখ হাসিনাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




আইনশৃঙ্খলা উন্নতির অভিযানে কারো গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি হওয়ায় সারাদেশে অভিযান শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অভিযানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অভিযান চালাতে গিয়ে কোনো বাহিনীর কারো কোনো গাফিলতি প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অভিযানে ব্যর্থতা পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক। ঠিকমতো কাজ না করলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

অভিযানের সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্যি সংবাদটা পরিবেশন করেন, দেখেন ব্যবস্থা নিই কি না। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্যি সংবাদের ভিত্তিতে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, সাংবাদিকরা যে খবর প্রকাশ করছেন, তা যেন অতিরঞ্জিত না হয়। তাহলে মানুষের ধারণা পরিবর্তন হয়ে যায়।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যথাযথভাবে করতেই সরকার এই কমিশন করেছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় গঠিত কমিশন তদন্ত করছে। তাদের রিপোর্টে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমরা আশা করি, দেশবাসী এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দোষীদের খুঁজে বের করতে সমর্থ হবে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকে মিলবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে ৬৪ জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চায় সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে সব উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে। যাদের এখনো স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবে। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, রমজানে কেউ যেন মজুতদারি করতে না পারে জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে না করে সে বিষয়েও অনুপ্রাণিত করতে হবে। পুরো মাস বা সাতদিনের পণ্য একসঙ্গে কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একদম প্রাথমিক ধাপ টিসিবির মতো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপকারভোগী নির্বাচন করা। এটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের মধ্যে আপনাদের (জেলা প্রশাসকদের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষ আপনাদের সম্মান দেবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




তরুণ প্রজন্ম দেশের প্রাণশক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, তরুণ প্রজন্ম এদেশের প্রাণশক্তি। স্কাউটস আন্দোলন দেশের তরুণদের দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সিরাজগঞ্জ শহরের যমুনা নদীর হার্ডপয়েন্টে সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প (কমডেকা) কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণাকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ স্কাউটসে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশ স্কাউটসে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসে মেয়েদের সংখ্যা মোট স্কাউটসের সংখ্যার ১৩ শতাংশেরও কম। এই সংখ্যাকে আরও বাড়াতে হবে। আমি আশা করি নারীদের স্কাউটসে অংশগ্রহণ বাড়াতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে স্কাউটসের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমের অবারিত সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ রোভার স্কাউটরা কাজে লাগাতে পারে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, অঞ্চল ও জেলা পর্যায়েও এ ধরনের সমাজ উন্নয়ন ক্যাম্পের আয়োজন করা যেতে পারে।’

শৈশবের স্মৃতি স্মরণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি নিজেও একজন স্কাউটস ছিলাম। এবারের কমডেকা থিম নির্ধারণ করা হয়েছে-‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে স্কাউটিং’—এটা অত্যন্ত সময় উপযোগী। এদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযোগী করে তুলতে হবে এ দেশকে। আর যেন এই দেশের মাটিতে কোনো স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ইতিহাস আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সুযোগের যথাযর্থ ব্যবহার করতেই হবে। আমরা সবাই মিলে সত্যিকারের একটি সুন্দর বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’

সপ্তাহব্যাপী এ কমডেকায় দেশের ৬৪ জেলার প্রায় পাঁচ হাজার রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক রোভার ও কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারী রোভার স্কাউটরা সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে ১৪টি আকর্ষণীয় চ্যালেঞ্জিং প্রোগ্রামে অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ-পরিচালক হামজার রহমান শামীমের সঞ্চালনায় এসময় অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, অধ্যাপক ফাহমিদা, মু. তৌহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, আবু সালেহ মহিউদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



রমজানে স্বস্তি ফেরাতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোর তালিকায় রয়েছে- সরিষার তেল, আটা, ময়দা, ডাল, এলপি গ্যাস, বিস্কুট, লবণ ও গরম মসলাসহ আরও কিছু পণ্য।  সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল- জাতীয় খাদ্যশস্য।

শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।

ওই পণ্যগুলোতে ভ্যাট সুবিধা পেতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ বেশ কিছু শর্ত।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫