Logo
শিরোনাম

চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন। ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। শাশুড়ির সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে খালেদা জিয়া আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি।


আরও খবর



টিউলিপের সঙ্গে দেখা করবেন না ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরের সময় লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে ড. ইউনূসকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন টিউলিপ।

টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লন্ডনে সাবেক ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।

একটি চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ করেন টিউলিপ। তিনি উল্লেখ করেন, এই সাক্ষাৎ ‘ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।’

বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূসকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি চলতি সফরে টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা।

ড. ইউনূস বলেন, ‘না, করব না। কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।’

টিউলিপ যুক্তি দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেয়নি এবং তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে মামলা চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট উপাদান আছে কিনা অথবা তা বাতিল করা হবে।’ বাংলাদেশের প্রসিকিউটরদের আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত এবং টিউলিপকে অপরাধের প্রমাণ দেওয়া উচিত কিনা– এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দুদকের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং তারা সঠিক কাজটিই করছে।’

যদি টিউলিপ বাংলাদেশে কোনো অপরাধে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁর প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে কিনা– এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যদি এটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হয়, তবে অবশ্যই।’

এদিকে বিবৃতিতে টিউলিপ জানান, ড. ইউনূস দেখা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি হতাশ। তিনি বলেন, ‘কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) এ প্রতিহিংসার কেন্দ্রে রয়েছেন।’

টিউলিপ আরও বলেন, ‘আমি আশা করি তিনি এখন সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার অভ্যাস বন্ধ করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন। আদালতকে এটা প্রমাণ করার সুযোগ দেবেন যে, তাদের তদন্তের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।’

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আমার হতাশ হওয়া উচিত নাকি তাঁর (স্টারমার) হতাশ হওয়া উচিত। এটা এক ধরনের মিসড অপারচুনিটি (হাতছাড়া হওয়া সুযোগ)।’ স্টারমারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এলে সুযোগ হতো বিশ্রাম করে পরিস্থিতি দেখার ও অনুভব করার।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সাক্ষাৎসূচি স্থির না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছে কিনা– এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এ ধরনের কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত।’

বিবিসি জানতে পেরেছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার সুযোগ খুঁজছে।


আরও খবর



ভারতে বিমান বিধ্বস্ত : নিহতদের প্রত্যেক পরিবার পাবে ১ কোটি রুপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এ সহায়তা ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার পুরো ব্যয় বহন করবে টাটা গোষ্ঠী। ক্ষতিগ্রস্ত বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলটি নতুন করে নির্মাণেও সহায়তা দেওয়া হবে।

চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, শোক প্রকাশের জন্য কোনো শব্দই এ মুহূর্তে যথেষ্ট নয়। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী ওই প্লেনটি ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলের তৈরি এ প্লেনটি ‘ড্রিমলাইনার’ হিসেবে পরিচিত। প্লেনটি ১৪ বছর আগে আকাশে ওড়া শুরু করেছিল। তবে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের কোনো প্লেনের এর আগে এভাবে ভেঙে পড়ার তথ্য নেই।


আরও খবর



মনেপড়ে চরমোনাই এর পীর সাহেব (রহঃ) কে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিষ্ট :

ফিলিস্তিনের মুসলমানদের যে অবস্হা, যেভাবে তাদের উপর  নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাতো গভীর উদ্বেগের বিষয়।  আমরাতো বাংলাদেশী। ছোট একটি দেশ  ।  অবশ্য আমাদের দেশের সরকার প্রধান ফিলিস্তিনের নির্যাতিত  মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা এবং বিভিন্ন ভাবে সহযেগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতন- নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই আমাদের সরকারকে। তবে  যারা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, যারা অনেক শক্তিশালী,  যারা এ সমস্ত বিষয়গুলো ফায়সালা করতে পারেন, তারা কিন্তু নিশ্চুপ। কোন আওয়াজ তাদের নেই।  যেভাবে নিরপরাধ মানুষগুলো মারা হল, কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই।

মানে যারা ভূত ছাড়াতে পারবেন, অলরেডি  তারা যেন ভূতের দ্বারা আক্রান্ত। কেউ মানবতার পক্ষে কথা বলছেন না। সবাই যেন তেলো মাথায় তেল দিচ্ছেন। অনেকেই ইসরাইলের পক্ষে।  তারা বিভিন্ন সময় অহেতুক কাজে তাদের  দ্বীল কেঁদে উঠলেও মুসলমান মারার সময় একটুও যেন তাদের মনটা কাঁদে না।

আমাদের জাতিসংঘ  এর ভুমিকা  থাকে একদম নিরব।   বিশেষ  করে মুসলমান মারার সময় তারা যেন ঘুমে বিভোর থাকেন।তাদের কাজ-কারবার  দেখে মনেহয়না বিশ্বে কিছু ঘটে যাচ্ছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।


এজন্য আমাদেরই একজন প্রাণপ্রিয় নেতা। যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার এবং রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, তিনি চরমোনাই এর মরহুম পীর সাহেব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আপোষহীন সংগ্রামী নেতা সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি একবার বক্তৃতায়  বলেছিলেন, আমাদের মুসলিম জাতিসংঘের প্রয়োজন। যে সংঘটি  নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কথা বলতে পারে। মুসলিমদের সুবিধা- অসুবিধার কথা তুলে ধরতে পারে।

আজকের এই ক্রান্তিকালে সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, এর কথা বড্ড স্মরণ হয়। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে ভাবে জুলুম চলে আসছে, তাতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন সময়ের দাবী। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঐ সকল জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

সৈয়দ ফজলুল রহ, একজন মুখলিস পীর  এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। যিনি আমাদের দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বহু চিন্তা করেছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব  সেই সময়ে ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছিল।  তিনি যদিও আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর চিন্তা- চেতনা, তাঁর রাজনৈতিক দর্শনগুলো যেন অমর হয়ে রয়েছে। সত্যিকারার্থে  বর্তমান পরিস্হিতিতে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি মজলুমদের পক্ষে কথা বলে, তাহলে জালিমেরা  এত্ত সাহস পায় না। কিছুটা হলেও তারা নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোন তীব্র প্রতিবাদ  না আসায় তাদের আস্ফালন বেড়েই চলেছে।

এজন্য মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে ঐসকল জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নচেৎ মুসলমানদের উপর  থেকে নির্যাতনের খড়গ  নেমে যাবে না।

সাময়িক ভাবে হয়ত ইসরাইল পিছু হটেছে। যুদ্ধ বিরতী এখন। কিন্তু  ওদের তো ওয়াদা ঠিক থাকেনা। আবারও কখন ওরা মুসলিমদের উপর তেড়ে আসবে না এটার কোন গ্যারান্টি নেই। এজন্য বিশ্ব নেতাদের ঐকবদ্ধ হয়ে  একটা সুরাহা করা উচিত।

বিশ্ব মুসলিমের এই ক্রান্তিকালে তাইতো বড্ড স্মরণ হয় সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, ( পীর সাহেব চরমোনাই) এর কথা। বারবার মনেপড়ে।  তাঁর চিন্তা- চেতনা ছিল আসলেই প্রশংসনীয়। তিনি মুসলিমদের কথা ভেবে ছিলেন নিঃস্বার্থ ভাবে।  এজন্য তিনি যেন আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। 

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, একজন আপোষহীন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর রাজনীতি ছিল যেন বে- মেছাল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এদেশে রাজনীতি করেছেন।  যার কারণে তাঁর সুনাম - সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে দেশান্তরে। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রুপসা থেকে পাথুরিয়া  এক  নামে যিনি ছিলেন সবার প্রিয়। সেই মহান ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কথা ভেবেছেন। বিশ্ব মুসলিমের শান্তি- নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছেন সব সময়। 

তাঁর বড় এক   সুচিন্তা  ছিল মুসলিম জাতিসংঘ। মুসলিমগণ এক হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে  কোনদিন আর মুসলিমদের উপর এভাবে নির্যাতন নেমে আসবেনা।  বিশ্বে যত মুসলিম রাষ্ট্র আছে সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব। মুসলমানেরা একতাবদ্ধ না হয়ে কখনো এই ধরনের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হবে না।

আল্লাহতায়ালা সেই মহান মনিষীকে ক্ষমা করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে সুউচ্চ মাকাম দান করেন। আমিন


আরও খবর



সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জামায়াত আমিরের

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক যে অস্থিরতা বিরাজ করছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এজন্য সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এই অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াত আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী চুপ করে থাকতে পারে না৷ ইতোমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দলীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় বসেছি। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বৈঠক শেষে আমরা বলেছি, সংঘাত এবং কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্য দিয়ে জাতিকে আর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই সমীচীন হবে না। এ সংস্কৃতির অবসান হওয়া উচিত। এজন্য প্রয়োজন অর্থবহ ডায়ালগ। এই দায়িত্বটা মূলত বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। তাদের এ অর্থবহ ডায়ালগের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। সমস্যা যত বড়ই হোক আমরা বিশ্বাস করি আলোচনার মধ্য দিয়ে সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছা সম্ভব।

জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী তার নিজস্ব অবস্থান থেকে ইতোমধ্যে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাহী পরিষদের বৈঠক থেকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা আশা করি সেই বৈঠকে ভালো কিছু বের হয়ে আসবে। অতীতেও আমরা লক্ষ্য করেছি এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণ যখন মুখোমুখি হয়েছে তখন আলোচনার উদ্যোগও সফল হয়েছে। আমরা আশাবাদী আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

এদিকে জামায়াতে ইসলামী আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পেয়েছে। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যাবে বৈঠক করতে। এদিন বিএনপির সঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



সরকারি চাকরিজীবীদের শাস্তিতে হচ্ছে নতুন বিধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিপাকে পড়েন। তাদের সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করতে দেখা গেছে। সরকারি কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে, দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে, তাদেরকে দ্রুত বরখাস্ত করার বিধান আনছে সরকার।

এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সংশোধিত আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বছরের পর বছর ধরে চলা শাস্তিমূলক মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে এ সংশোধন আনা হচ্ছে।

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জনপ্রশাসনের একাংশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, একদল কর্মকর্তা দলবদ্ধভাবে জনপ্রশাসন সচিবকে অবরুদ্ধ করে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি আদায় করেছেন। প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। কেউ কেউ কর্মবিরতিতে গেছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এবং আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিকে নিরুৎসাহিত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ প্রয়োজন রয়েছে। ফলে নতুন সংশোধিত আইনে সরকার সভা-সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও ধর্মঘটসহ যেকোনো ধরনের দলবদ্ধ কর্মসূচিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তিতে পাঁচ বছর

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, তদন্ত কমিটি গঠন, প্রতিবেদন দাখিল এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ প্রশাসনিক ধাপে যেতে হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আপিল করার অধিকারও রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে নতুন আইনে এসব বাদ দিয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হচ্ছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমা

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে অন্যকে প্ররোচিত করলেও একই শাস্তির আওতায় পড়বেন। কর্মস্থলে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকলেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে। তবে আইনের এই খসড়া নিয়ে সরকার জনমত নেয়নি। সচরাচর আইন প্রণয়নের আগে মতামত আহ্বান করা হলেও এবার গোপনীয়ভাবে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫