Logo
শিরোনাম

চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ডিউক খুলনায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক (ডিউক) খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত রাত (সোমবার) সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কেএমপি'র খান জাহান আলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ উত্তর জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) লেয়াকত হোসেন ও খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন।


গ্রেপ্তার নাজমুল হক ডিউক নগরীর ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে সিএমপি ডবলমুরিং মডেল থানায় মামলা রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানায়।


অভিযান ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর (রোববার) খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক এই কাউন্সিলরের বড় ছেলের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস উপলক্ষে তিনি খুলনায় অবস্থান করছিলেন।

রাতেও তিনি খুলনা শিরোমনি এলাকায় ছেলের সাথে সময় কাটান। গত মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপি ডবলমুরিং মডেল থানার রিকুইজিশন এর মাধ্যমে খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এর খান জাহান আলী থানা পুলিশ তাকে একটি বাসা থেকে আটক করেন। পরে দুপুরের দিকে সিএমপি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।


এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি-গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, 'ঘটনাটি সত্য, গ্রেপ্তার কাউন্সিলর ডিউককে নগরীর ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ খুলনা থেকে নিয়ে আসতেছেন। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে সিএমপিতে এসে পৌঁছবেন।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ভর্তি ৭০, করোনা শনাক্ত ৬

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

কদিনে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ১২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৭ মে  স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডেঙ্গুতে এই মাসে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৮ জন এবং এই মাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ জন।

সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩৩১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ১০৮ জন, বাকি ২২৩ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন এবং এপ্রিলে ৭০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩ এবং এপ্রিলে ৭ জন মারা গেছেন।


আরও খবর



আমি এনসিপির সদস্যা হই বা না হই, আমি একজন যোদ্ধা।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

নীলা ইস্রাফিল :

আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে লেক্সাসে চড়তাম। ২৬ জন কাজের লোক ছিল। আরাম আয়েশের কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু খারাপ প্রস্তাব পাওয়ার পর আমার শ্বশুর  প্রয়াত  উপদেষ্টা  সুফি চেহারার আড়ালে বিভৎস হাসান আরিফকেও আমি ছাড় দেই নাই।

আমার এথিক্সের সাথে যায় না বলে আমি পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করে  বাংলাদেশের সব চেয়ে ক্ষমতাশালী  মানুষটির অন্যায়কে প্রতিবাদ করেছি।

আমি জানি আমি যা বলেছি তা কেউ বিশ্বাস করবে না। 

এটা অবিশ্বাস্য। আমি জানতাম, এত সুদর্শন, এত অভিজাত, এত সম্মানিত একটা মানুষকে অসম্মান করার অপরাধে সমাজে আমাকে রাস্তায়  ছুঁড়ে ফেলে দেবে। 

কিন্তু সেটা জেনেও আমি আমার প্রতি করা অবিচারের প্রতিকার চেয়ে গিয়েছি—অসংখ্য প্রলোভন দেওয়া সত্ত্বেও আপোষ করিনি। এর পরিণতিতে আমার নামে ১৯টি মামলা দেওয়া হয়, কোনো উকিল ওয়ান ইলেভেনের উপদেষ্টা, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফের বিপক্ষে দাঁড়ায় নাই।

আমার ছোট মেয়ের জন্ম হয়েছে কারাগারে, আমি এখন পর্যন্ত আমার দুই মেয়েকে নিয়ে একসাথে ঘুমাতে পারিনি।

২০২০ সালে আমার পেটের বাচ্চাকে লাথি দিয়ে মেরে ফেলা হয়।

আমি তাও এখনো প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফ, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ, পুলিশ ও ডিবির সাথে লড়াই করে যাচ্ছি।

আমার কাছ থেকে আপনারা কীভাবে আশা করেন যে, তুষারের আমার সাথে এই আচরণের আমি প্রতিবাদ করব না?


গণ-অভ্যুত্থানে আমি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে রাস্তায় নামার কারণে, হাসান আরিফ আমার  বাচ্চা দুইটাকে রেখে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তিনি আমাকে বলেন যে, আমার কারণে আওয়ামী লীগ বাসায় পৌঁছে যাবে।

এই সময়ে গণ-অভ্যুত্থানের সাথে গড়ে ওঠা, বৈষম্য  বিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা আমার প্রতি করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়ায়। 

আমি সপ্রতিভ, কর্মোদ্যম ও সৃজনশীল মানুষ। ফলে আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের বিভিন্ন নেতা ও কর্মীর সাথে আমার আলাপ হত। তুষারের সাথে তখনই পরিচয় এবং  এনসিপির জন্মের পূর্বেই তার সাথে  সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক আলাপ হতো।

বিগত ডিসেম্বরে আমার প্রাক্তন স্বামী মুয়াজ আমাকে ঢাকা ক্লাবে সবার সামনে স্টেক নাইফ দিয়ে হত্যা চেষ্টার পর শহিদুল ভাই, সারা আপা, ফজিয়া করিম আন্টি সহ বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা আমাকে নিরাপত্তার নিয়ে বিচলিত হয়ে যায়। সেজন্য মানবাধিকার কর্মী Rezaur Rahman Lenin আমাকে নেপালে পাঠিয়ে দেয়। নেপালে যাওয়ার পর থেকে তুষার প্রায়ই  ফোন করতো ও তার আলাপের ধরন পাল্টাতে থাকে। সে আমাকে বিভিন্নভাবে অ্যাপ্রোচ করতে থাকে—

“তোমার ছবি দাও,”

“তোমার ঠোঁট সুন্দর,”

“তোমার স্লোগান, তোমার প্রতিবাদী কণ্ঠ আমাকে আকৃষ্ট করে।”


আমি তুষারকে এই ধরনের আলাপে সব সময়েই বিব্রত বোধ করেছি এবং তাকে আমাদের সম্পর্ক সাংগঠনিক ও ফর্মাল রাখতে অনুরোধ রেখেছি।

যেহেতু বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি, এনসিপি আমার জীবনের প্রধান অবলম্বন, আমি তুষারকে তার আগ্রাসী আচরণ সংযত রেখে, ফর্মালভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখি। বাংলাদেশের অসংখ্য নারীকে ক্ষমতাবান পুরুষের সাথে এই ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়।


ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে এনসিপির আত্মপ্রকাশের দিন আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি। রোজার সময় একদিন তুষার আমাকে অত্যন্ত আপত্তিকর একটি কথা বলে।

ইতিপূর্বে সকল আলাপের সীমা ছাড়ানো এই আলাপে আমি বিব্রত বোধ করি এবং ওকে জানাই যে আমি আর কথা বলতে চাই না। কিন্তু তুষার আমাকে আলাপের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে তুষার আমাকে জানায় ডিটেকটিভ পুলিশ বা ডিবি ওর সাথে কথা বলেছে, সেই বিষয়ে সে আমার সাথে আলাপ করতে চায়।


যেহেতু আমি তখন উপদেষ্টা হাসান আরিফের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং তুষার আমাকে ডিবির কথা বলেছে, তাই আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিশ্চয়ই আইনি, ডিবি ও পুলিশসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হতে পারে এবং আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো বিষয় থাকতে পারে—এই বিবেচনায় আমি আলাপটি রেকর্ড করি।

প্রায় দেড় ঘণ্টার আলাপে ৪৭ মিনিট আমি রেকর্ড রাখি।


তুষার আমাকে জানায়, ডিবি তাকে নীলা ইস্রাফিল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং সে ডিবিকে জানিয়েছে যে নীলা তার গার্লফ্রেন্ড—যা নিয়ে আমি তুষারকে প্রশ্ন করি।

তাছাড়া আমরা তুষারের খারাপ প্রস্তাব নিয়েও আলাপ করি।

আমি তাকে প্রশ্ন করি, আমার কোনো অ্যাটিটিউড, ব্যবহার বা আচরণে মনে হয়েছে আমাকে এই ধরনের প্রস্তাব করা যেতে পারে?

তুষার আমাকে বিষয়টি ভুলে যেতে বলে।


কিন্তু তুষারের খারাপ প্রস্তাব ও তুষারের সাথে ডিবির যোগাযোগের বিষয়টি আমি মানবাধিকার কর্মী রেজাউল করিম লেনিন ও তুষারের এক্স-গার্লফ্রেন্ড বিথি সপ্তর্ষিকে জানাই। আমার নিরাপত্তা ও ডিবির প্রসঙ্গ থাকায় নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি তুষারের সাথে আলাপের অডিওটি  সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরকেও  শেয়ার করি। আমার নিরাপত্তা হুমকি ও আমার পরিস্থিতি  বিবেচনা করে প্রয়োজন পরলে  প্রকাশের অনুমতি দিয়ে রাখি। 


আমি প্রচণ্ড আহত হলেও, কাছের বন্ধুদের জানালেও তুষারের আপত্তিকর আলাপের  বিষয়টি নিয়ে উচ্চকিত হইনি, বরং সাংগঠনিকভাবে গোপনীয়তার সাথে বিষয়টি ডিল করার চেষ্টা করি।


কিন্তু তুষার আমাকে সেই সুযোগ দেয় নাই। বিষয়টি আমার প্রফেশনাল লাইফে প্রভাব ফেলে।

সে আমার সহযোগীদেরকে বলা শুরু করে, “নীলার থেকে দূরে থাকতে হবে।”

সে আমাকে এনসিপি থেকে দূরে রাখতে, আমাকে বিভিন্ন সেল থেকে দূরে রাখতে, সাংস্কৃতিক সেল, নারী উইং, মহানগর কমিটি থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটাতে থাকে।


কোরবানির দিন রাতে একটি অনুষ্ঠানে নাহিদের সাথে দেখা হয় এবং নাহিদকে বিষয়টি জানাই।

নাহিদ আমাকে বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলার দিক থেকে ডিল করতে ও মহানগরে দায়িত্বে থাকা শাহরিয়ার ও নিজামকে বিষয়টি অবগত করতে বলে।

যে দিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার ও নিজামকে আমি জানাই, তার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি যে, অডিওটি কেটে সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং ভাইরাল হয়েছে।


এরপর আমাকে নিয়ে যে মিডিয়া ট্রায়াল হয়, তাতে আমি দেখতে পেয়েছি, আমার নারী সহকর্মীরাও আমার পক্ষে দাঁড়ায় নাই।

আমার অপরাধ আমি পাশ্চাত্য কাপড় পরি। আমি ‘তুমি’ করে কথা বলি, সহজভাবে সবার সাথে মিশি।

আমাকে নিয়ে যে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে, সেটা আমি সহ্য করব।

আল্লাহ আমাকে এর চেয়ে অনেক কঠিন সময় দিয়েছেন।


কিন্তু আমার সহকর্মীরা বুঝতে পারছেন না, তুষার যদি আমার মতো একজন সাহসী নারীকে এইভাবে যৌন নিপীড়ন ও সাংগঠনিক প্রভাব খাটিয়ে দমন করার সুযোগ পায়, তবে আগামী দিনে তারাও নিরাপদ থাকবে না।

তাদেরকে আমার চেয়ে কঠিন নিপীড়নের শিকার হতে হবে।

সবাই নীলা ইসরাফিল নয়—

যাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির না করে ৩৫ সপ্তাহে প্রেগ্নেনসি ৩৭ দিন কারাগারে  রেখে  বাচ্চার হওয়ার পর শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়ার  পররেও শ্বশুরবাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে,    রাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদ করবে, বাংলাদেশের পুরো বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে একলা  লড়বে।


আমার খারাপ লাগে এনসিপির জন্য।

আমি এনসিপিকে ভালোবাসি।

আমি ছেলে-মেয়েগুলোকে দেখেছি, তাদের শত ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু তারা প্রকৃতই দেশকে ভালোবাসে।

আমার কারণে এনসিপি আজ কলঙ্কিত হলো, তাদের ট্রায়ালে পড়তে হলো।

কিন্তু আমাকে আল্লাহ অন্যায়ের মুখে চুপ করে থাকার শক্তি দেননি।


আমি তুষারের কোনো ক্ষতিও চাইনি।

আমি পার্টির ভেতরে বিষয়টা মীমাংসার চেষ্টা করেছি, চেয়েছি তুষার একটা ইন্টারনাল শাস্তি পেয়ে শুদ্ধ হোক।

আমার মতো আর কোনো নারী যেন পার্টির ভেতরে তুষার বা তুষারের মতো কারও লালসার শিকার না হয়।

এনসিপি ভদ্রলোকদের দল—এখানে যেন ভদ্র নারীরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারে।


অনেকে বলেছেন, আপনি দ্বিতীয় ভিডিওটা কেন করলেন?

কিন্তু আমার অডিও প্রকাশের পর আমাকে যা ফেস করতে হয়েছে—

আমি সিডিওস  করেছি, আমি কেন ‘তুমি’ করে কথা বলি, নিশ্চয়ই আমি পদ-পদবির লোভে ঢলে ঢলে মিশে, তারপর পদ-পদবি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সব প্রকাশ করেছি— এই সব অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে। 

কেউ আমাকে বিশ্বাস করেনি।

আমার সহকর্মীদের কেউ আমাকে ফোন করে একটু সহানুভূতি জানায়নি, যেন আমি অপরাধী আর তুষার ভিকটিম।

বিথি তার ইস্যু এখনো ডিল করতে পারেনি, তাই আমি সচেতনভাবেই রেকর্ড করেছি;  যিনি প্রতিদিন গাইড করেন, তিনি যদি সেই দিন দেশে থাকতেন, হয়তো আমি এই অডিওটা বা তার পরের অডিও প্রশ্ন-উত্তরটা প্রকাশ করার অনুমতি দিতাম না। হয়তো ভুল করেছি। হয়তো ভুল করিনি। 

 আমার তাসনুভার জন্য খারাপ লাগছে। ওর কোনো অপরাধ নেই। আমার কারণে তাকে একটা ঘৃণ্য সময় পার করতে হলো।

এই ছাড়া আমার কোনো গিল্টি ফিলিং বা কোনো রিগ্রেট নাই।


আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রাক্তন স্বামী, হাসান আরিফ বা তুষারের সাথে আমার প্রতিটা ঘটনা যদি রেকর্ড করে সবার সামনে ফাঁস করা হতো, তাহলে আপনারা দেখতে পেতেন—

আমি জ্বলন্ত আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে আসা চরিত্র আর সতীত্বের   পরীক্ষায় পাশ করে আসা একজন নারী।

আপনাদের পরীক্ষায় পাশ ফেল করা না করায়  আমার কিছুই যায় আসে না।


এই বিষয়ে এইটা আমার ফাইনাল   বক্তব্য। আমি এই নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাইনা। বাকি যা বলার আমি তদন্ত কমিটিকে বলবো। 


আমি এই ঘটনাটি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25




বাংলাদেশকে কৃষি ও গবেষণায় সহযোগিতা করবে চীন

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ |

Image

সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও জানিয়েছেন, তার দেশ কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মাছ ধরাসহ গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ব্যবসায় সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে চীনা ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের একটি বড় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ওয়েনতাও। এরপর তিনি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব চীনা কোম্পানি আমার সঙ্গে এসেছে তারা খুবই উৎসাহিত। আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। এসব কোম্পানি আমাকে বলেছে, আপনার উদ্যোগ দেখে তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ভোক্তাবাদ প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী জানান, রাত ১০টার পরও বিপণিবিতানে ক্রেতাদের উপস্থিতি তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো বিপুল সম্ভাবনা অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে, বিশেষ করে কৃষি এবং গভীর সমুদ্র-নদীভিত্তিক মাছ চাষে। তিনি বলেন, ‘চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকেই একটি উৎপাদন ইউনিটে রূপান্তর করা সম্ভব।’

এ প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানতে আগ্রহী যে, কৃষির কোন কোন খাতে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা সম্ভব।’ তিনি চাষের জমি উন্নয়ন, পানি সংরক্ষণ ও আধুনিক চারা রোপণ প্রযুক্তির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে কৃষি শুধুই একটি শিল্প নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সংগঠনের রূপ।’

মাছ ও সামুদ্রিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে ওয়াং ওয়েনতাও চীনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চান। তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার প্রযুক্তিতে চীন বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।’

চীনা মন্ত্রী উল্লেখ করেন, চীন-বাংলাদেশ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূসের পাট খাত পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য তাঁকে আকৃষ্ট করেছে। তিনি বলেন, চীন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের পাট আমদানি করে, যা বাংলাদেশের মোট পাট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে পারলে এর পরিমাণ বহুগুণ বাড়তে পারে।

চীনা মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনার বক্তব্যের পরপরই চীনা পাট ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের পাট পণ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সহযোগিতা কেবল ব্যবসায় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। গবেষণাতেও যৌথভাবে কাজ করা উচিত। যদি বাংলাদেশ এই গবেষণায় অংশ নেয়, তাহলে পাট চীনের জন্য একটি উপযুক্ত পণ্য হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পাটপণ্য ডিজাইনাররা চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারেন।

অধ্যাপক ইউনূস চীনা মন্ত্রীর এই আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানের প্রশংসা করেন এবং চীনকে বাংলাদেশের পাশে বন্ধুর মতো থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনা মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কথা আমার কানে সংগীতের মতো শোনায়।’ তিনি চীনা মন্ত্রীর উষ্ণ ভাষণ এবং বড়সংখ্যক চীনা বিনিয়োগকারী নিয়ে আসার জন্য সাধুবাদ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আজকে আপনার ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এত বেশি বিনিয়োগকারী এসেছেন, যা আমাদের জন্য একটি ভালো বার্তা— পুরো জাতি এটি লক্ষ্য করেছে।’

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, সেখানে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সফরের সময় অনেক আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। আপনার সফর এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি কোনও অবস্থায় কনট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) আনতে পারতাম। এজন্য আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গাছা থানা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো, জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, হয়রানি পোহাতে হবে না। “মামলা বাণিজ্য” বন্ধ করার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মামলা বাণিজ্যে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মিথ্যা সংবাদ হলে দুর্নীতি যারা করে তারা সুবিধা পায়, পার্শ্ববর্তী দেশও সুবিধা পায়। পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয় ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি তারা কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কী? আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে বা থাকতে পারে। এজন্য আমরা দেখবো। যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। যারা নির্দোষ সে যাতে কোনোমতে সাজা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ঝালকাঠিতে১৬ আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬ জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সদস্যপদ বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

সদস্যপদ বাতিল হওয়া আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি আবদুল মান্নান রসুল, সাবেক সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন ও তাঁর পুত্র মোর্শেদ কামাল, সাবেক জিপি তপন কুমার রায় চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি এম আলম খান কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি আ.স.ম. মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সাবেক সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব জি.কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো. আবুল বাশার এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. রুহুল আমীন রিজভী।

সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, "আমাদের আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ  করবো।"

এ বিষয়ে সমিতির ভর্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস সিকদার বলেন, “শুধু আওয়ামীপন্থী নয়, আরও প্রায় ৩০ জনের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কিন্তু সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণ সভা ছাড়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এভাবে বিপুল সংখ্যক  সদস্যদের পদ বাতিল করতে পারে না।  এ বিষয়টি সাধারণ সভায় আলোচনার কথা ছিল। তাছাড়া ভিজিলেন্স উপকমিটির মতামত ব্যতিত কারো বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়না।'  

সমিতির নির্বাহী সদস্য ও যুবদল নেতা আনিসুর রহমান খান বলেন, “চিঠিতে যেটা বলা হয়েছে, যে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা সত্য নয়। কার্যনির্বাহী কমিটিতে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সাধারণ সভায় বিষয়টি তোলার পরামর্শ দিয়েছিলাম।”

অন্যদিকে, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসান বলেন, "আমরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে উল্লেখিত ১৬ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁদের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডসহ আইনজীবীদের মারধর, মামলা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

সদস্যপদ বাতিল নিয়ে ঝালকাঠি আইনজীবী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। 


আরও খবর