Logo
শিরোনাম

চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নয়, চলছে পরীক্ষার প্রহসন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আমি পপি আক্তার—একজন সংবাদকর্মী। কিন্তু আজ আমি কোনো চায়ের কাপ হাতে টেবিলে বসে রিপোর্ট লিখছি না। লিখছি বিছানায় শুয়ে, ব্যথায় কাতর শরীর নিয়ে। জায়গাটা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আজ আমি রোগী। আমার কণ্ঠে আজ হাজারো রোগীর আর্তনাদ, যাদের চিকিৎসা না পেয়ে চোখে জল, মনে ক্ষোভ, মুখে নীরবতা। গত এক সপ্তাহ ধরে আমি গুরুতর অসুস্থ। ভর্তি হয়েছি চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। প্রথমদিন সাংবাদিক ভাই মো. কামাল উদ্দিন হাসপাতালে এসে আমাকে দেখে সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তার উপস্থিতিতে কিছুটা সাড়া দেয়, কয়েকজন ডাক্তার-প্রফেসরও আমাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তারপর? নীরবতা, উপেক্ষা, উদাসীনতা। আজও আমার চিকিৎসা সুনির্দিষ্ট নয়। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঠেলাঠেলি, এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষায় পিষে যাওয়া আমার মতো শত শত রোগীর গল্প একই। পরীক্ষাই যেন এখানে একমাত্র চিকিৎসা। শুধু টেস্ট, আর টেস্ট। ওষুধ নেই, পরিকল্পনা নেই, করুণা নেই।

পেশার মেশিনও নেই, খাবার আসে বিকেলে- বলেন তো, একটা সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে যদি পেশার মেশিনই না থাকে, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের রোগী কিভাবে বাঁচবে? পেশার মাপতে বললে আয়ারা বলেন—মেশিন নাই! গায়ে জ্বর, মাথা ঘোরে, বুক ধড়ফড় করে—তবুও সাড়া নেই। দুপুরের খাবার আসে ৩টা বা ৪টায়। সেই খাবারও রোগীর নয়—বিনাভাবে অভিভাবক খায়, কারণ রোগী এতক্ষণে অজ্ঞান বা নি:শেষ।

নারী ওয়ার্ডে পুরুষদের অনুপ্রবেশ, রাতে ঘুমায় পাশেই! সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা, মহিলা ওয়ার্ডেও রক্ষা নেই। পুরুষরা দিনের বেলায় যেমন ঘোরাঘুরি করে, রাতেও এসে পাশেই শুয়ে পড়ে। নারীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা এখানে এক ভিন্নরকম ব্যঙ্গ। হাসপাতালের নিরাপত্তা যেন নিছক কল্পকাহিনি। বাথরুমে আলো নেই, কল ভাঙা, পানি পড়ে না। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষ! ওয়াশরুমের অবস্থা বর্ণনাতীত। একটামাত্র আলো, তাও কাঁপছে। পানির কল সব ভাঙা। গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষের অবাধ প্রবেশ, যেন নারীত্বের লজ্জা কেউ দেখে না, বোঝেও না।ডাক্তাররা থাকেন সকালে—তারপর নিখোঁজ- সকাল বেলা হয়তো দু’একজন ডাক্তার আসেন। কিন্তু তারপর গোটা দিন ওয়ার্ড যেন জনশূন্য। রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে, জ্বর গায়ে উঠে, ব্যথায় কাতরায়—কিন্তু চিকিৎসা নেই, চিকিৎসক নেই, কেবল দয়া-ভিক্ষার ভরসা। টেস্ট করতে হয় টাকার বিনিময়ে, সিরিয়াল ভেঙে, তাও চিকিৎসা মেলে না

আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, এক্স-রে—প্রতিটি পরীক্ষার পেছনে টাকা গুনতে হয়। সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করে ডাক্তাররা বলেন, ‘ইমারজেন্সি’। দেরি হলে ফাইল ফেলে দেন। একজন রোগী তো বলেই ফেললেন—"সিস্টেম নাই, আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন!" এই কি আমাদের রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থা? আমি লিখছি, কারণ আমি সাংবাদিক। কিন্তু আমার পাশের বেডে যে নারীটি শুয়ে আছেন, যিনি চট্টগ্রামের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা, তার কণ্ঠ নেই, কলম নেই। তার চিৎকার কে শুনবে? আজ আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাননীয় উপদেষ্টা Asif Mahmud Shojib Bhuyain স্যার, আপনি দেখুন এই হাসপাতালে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে।

চিকিৎসা নয়, এখানে মানুষ শুধু প্রহসনের শিকার হচ্ছে। এখানে শুয়ে থেকে আমি দেখেছি, কিভাবে মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মরে যাচ্ছে, আর কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শক।

এই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কি মৃত্যুর এক কারখানা হয়ে যাচ্ছে?

একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে, একজন রোগী হিসেবে এবং একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি অনুরোধ জানাই—এই অব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হোক। মানুষ যেন অন্তত সরকারি হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার আশায় মরতে না হয়। আমি চাই, এই লিখন একটি জবাব পাক। শুধু আমার জন্য নয়, আমার মতো হাজারো কণ্ঠহীন রোগীর জন্য। চট্টগ্রাম মেডিকেলের প্রতিটি অসংগতি যেন আজ সরকারের চোখে পড়ে।


আরও খবর



পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবিতে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিক্ষকদের বের করে দিয়ে ঢাকা পলিটেকনিকে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক (অস্থায়ী) সাব্বির আহমেদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপরেখা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি হলো :

১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

২. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

৩. উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

৫. স্বতন্ত্র কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

৬. পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস এবং ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ -আশলিয়ার আওতাধীন মুজারমিল, আশুলিয়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ২ ইঞ্চি ডায়ার আনুমানিক ৪৫০ ফুট অবৈধ বিতরণ লাইনের ৬০০ আবাসিক বার্ণার এর অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে ৬,৪৮,০০০/- টাকার মাসিক গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।

একই দিনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোনাল বিক্রয় অফিস চন্দ্রার আওতাধীন রিপন নীটওয়্যার লিমিটেড, জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর-এর গ্যাস সংযোগটি অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, জনাব হাসিবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুরের নেতৃত্বে আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ- জয়দেবপুর জোবিঅ-টঙ্গী -এর ডেনিম শেয়ার, আব্দুল গফুর খান রোড, জাম্বুরার টেক, শিলমুন, টঙ্গী, গাজীপুরের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৫০ফুট পাইপলাইন অপসারণপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারী বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিতাস গ্যাসের জোবিঅ- কিশোরগঞ্জ কর্তৃক একটি অভিযানে বকেয়ার জন্য ০১ টি আবাসিকের ১টি ডাবল বার্নার ও অবৈধ/অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ১টি আবাসিকের ১টি ডাবল বার্নারসহ মোট ২টি আবাসিকের ২টি ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ১জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫১,৮৪০/- টাকা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাসের ভিজিল্যান্স ডিভিশন / বিভাগ (ঢাকা) কর্তৃক মা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর -এর অবৈধ বাণিজ্যিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রিমিয়াম ফ্যাশন, প্লট-৬৩, রোড-২, ব্লক-কে, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর-১২, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠান ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শনকালে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এছাড়াও, তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা -সোনারগাঁও, আঞ্চলিক রাজস্ব উপশাখা -মুন্সিগঞ্জ-এর আওতাধীন বক্তারকান্দী, শুভকরদী, ঘারমোড়া, আলীসাহাদ্দী, চুনাভুড়া, বন্দর এলাকায় আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে মোট ০৯ টি (বকেয়ার জন্য ০৫ টি, জিরো পেমেন্ট ০৪ টি) আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় নগদ ৪০,১০০/-(চল্লিশ হাজার একশত)টাকা আদায় করা হয়েছে। মেসার্স রবিউল ট্রেডার্স, শাইলকুড়া, দাপা, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এ অবৈধ বাইপাসের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা- রূপগঞ্জ March' ২৫ মাসের বিল পর্যন্ত বকেয়ার কারণে দেশ ইন্ডাস্ট্রিজ ও হাশেম পেপার মিলস এবং সানজানা টেক্সটাইল -এর সংযোগের গ্যাস সরবরাহ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৪৬টি শিল্প, ১৬৬টি বাণিজ্যিক ও ৩৩,৬৪৩টি আবাসিকসহ মোট ৩৪,০৫৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৭৬,২৪৩টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



হজ বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা ঘোষণা করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

সৌদি আরব হজ পারমিট নির্দেশিকা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমিট ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করা ব্যক্তি এবং এতে সহযোগিতা করা যেকোনো পক্ষকে জরিমানা, বহিষ্কার ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

চাঁদ্র মাসের দুল-ক্বিদা ১ তারিখ থেকে শুরু করে দুল-হিজ্জা ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ এবং জরিমানা কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজ পারমিট ছাড়া মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে নিচের বিধানগুলো কার্যকর হবে

প্রথমত, হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন বা পালনের চেষ্টা করলে, বা যেকোনো ধরনের ভিজিট ভিসাধারী যদি মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সর্বোচ্চ ২০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫,৩০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কারো জন্য ভিজিট ভিসার আবেদন করেন, যিনি হজ পারমিট ছাড়াই হজ পালন করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন, বা যিনি উল্লিখিত সময়ে মক্কা শহর ও পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন, তার বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২৬,৭০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে। এই জরিমানা প্রতি ব্যক্তির জন্য আলাদাভাবে গণ্য হবে।

একই জরিমানা কার্যকর হবে তাদের ওপর যারা ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানে পরিবহন করেন বা করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়াও যারা ভিজিট ভিসাধারীদের কোনো হোটেল, ফ্ল্যাট, ব্যক্তিগত বাসভবন, আশ্রয়কেন্দ্র বা হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানে আশ্রয় দেন বা দেয়ার চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

যারা ওই ব্যক্তিদের অবস্থান গোপন রাখেন অথবা তাদের থাকার জন্য সহায়তা করেন, তারাও এই জরিমানার আওতাভুক্ত হবেন। প্রতিটি আশ্রয়প্রাপ্ত বা সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য জরিমানা বহুগুণে বাড়বে।

তৃতীয়ত, যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (থাকার অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়া বা অনিবন্ধিত অভিবাসী) হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

চতুর্থত, উল্লিখিত সময়ে যারা ভিজিট ভিসাধারীদের পরিবহনে নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করবেন বা করাবেন, তাদের যানবাহন যদি তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন হয়, তাহলে তা জব্দ করার জন্য সৌদি আদালতে আবেদন জানানো হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের এই কঠোর পদক্ষেপ হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। হজ মৌসুমে বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ সব নাগরিকদের এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর



এদেশে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদ সেলিনা হায়াত আইভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জ.ই. মামুন, সিনিয়র সাংবাদিক :

এদেশে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির (Clean image) রাজনীতিবিদ দলমত নির্বিশেষে হাতে গোনা কয়েক জন। তাদের মধ‍্যে সেলিনা হায়াত আইভী অন‍্যতম। তিনি নিজের দলের ভেতরের দানবদের সাথে যেমন লড়াই করেছেন তেমনি কাজ করেছেন সব দল মতের ভালো মানুষদের সাথে নিয়ে। দীর্ঘকাল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পরেও তার সম্পর্কে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির জোরালো অভিযোগ কখনো শুনিনি। সত‍্যি কথা বলতে এবং সঠিক কাজ করতে তাঁকে কখনো ভয় পেতে দেখিনি। তাঁর গ্রেপ্তারের খবর সুস্থ ধারার রাজনীতির জন‍্য অশণি সংকেত। এই যদি ভালো কাজের পরিণতি হয় তাহলে আগামীতে কেউ ভালো কাজ কেন করবেন! 

মানুষের মঙ্গলের জন‍্য কাজ করা, সততা স্বচ্ছতা এবং দেশপ্রেম বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করা এমন একজন মানুষকে মিথ‍্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। তবে আগের মতোই নারায়ণগঞ্জের নারী পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ কাল রাত থেকে তাঁর প্রতি যে সমর্থন ও ভালোবাসা দেখিয়েছে তাও অভূতপূর্ব। তাঁর বাড়ির সামনে কাল রাতে যত মানুষ জড়ো হয়েছিলো, টিভি টক শোতে গলা ফাঁটানো অনেক নেতার তথাকথিত অনকে রাজনৈতিক দল টাকা দিয়ে বা বিরিয়ানি খাইয়েও দেশের কোথাও এত লোকের একটা সমাবেশ করতে পারবে না। যে কোনো রাজনীতিবিদ আইভী আপাকে ঈর্ষা করতে পারেন। প্রতিকুল পরিবেশেও তাঁকে পালাতে হয় না, সরকার বা তার দোসরদের সাথে আঁতাত করতে হয় না, তিনি বীরের মতো বাঁচেন, জেলে গেলেও বীরের মতো যান।

সাংবাদিক হিসেবে আমি দীর্ঘদিন ধরে আইভী আপাকে দেখেছি, তাঁর কাজ দেখেছি, নারায়নগঞ্জের মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ দেখেছি। সব সময় আমার গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা ও সহানুভূতি তাঁর জন‍্য। 


আরও খবর



২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৮ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

ঈদের আগে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্সের সেই গতিধারা এখনো অব্যাহত। চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ২.২৭ বিলিয়ন (২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের বেশি বা ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চের পুরো সময়ে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ে মার্চ মাসে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবশেষ মার্চে আসে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।


আরও খবর