Logo
শিরোনাম

চুপ থাকা অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেওয়া !

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

অধ্যাপক ডমোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :

চুপ করে থাকা মানুষদের আমরা ভালো মানুষ হিসেবে বিবেচনা করছি | সমাজ তাদের নাম দিয়েছে অতিশয় ভদ্র মানুষ, যারা কারো সাথেও নেই, পাছেও নেই | সমাজের অন্য মানুষেরা কোথায় আছে না আছে এটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তারা নিজেরা সেভ জোনে আছে ভেবে এই মানুষগুলো সব সময় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে |

কেউ কেউ চুপ থাকা এই সংস্কৃতিকে বাহবা দিয়ে এসব মানুষকে সারাজীবন বোবা মানুষ বানিয়ে রাখার মোটিভেশন দিচ্ছে | এই কৌশল অবলম্বন করে বিরাট একটা শ্রেণীকে যদি সমাজের মূল স্রোত থেকে বাইরে রাখা যায়, তবে মন্দ কি?

 

চুপ থেকে যদি ভালো মানুষের স্বীকৃতি খুব সহজে পাওয়া যায়, এই ভেবে সমাজের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ মুখে তালা দিয়ে রেখেছে | অথচ এদের সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণী বলে কেউ কেউ ভাবলেও এরাই সমাজ ধ্বংসের মূল কারিগর হিসেবে কাজ করছে | এদের চুপ থাকা অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেওয়াতে ভূমিকা রাখছে, সমাজের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করছে | এদের এমন মনোভাবের কারণে মানুষের পক্ষে, সমাজের পক্ষে, দেশের পক্ষে একদিন কথা বলার কোনও মানুষ পাওয়া যাবেনা |

চুপ থাকা মানুষরা নিজেদের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দেয় | চুপ থেকে ভালো মানুষের সংজ্ঞায় নিজেদের ফেলে তারা এই সুবিধা নিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়না |

 

এই শ্রেণীর বাইরে আরও দুটো শ্রেণী আছে, খুব সহজ করে বললে ১. উচিত কথা বলার মানুষ এবং ২. সুবিধাবাদী মানুষ | এর বাইরেও আগাছা, পরগাছা, পরজীবী মানুষ তো আছেই |

উচিত কথা বলার মানুষদের সংখ্যা আমাদের সমাজে ক্রমশ কমতে কমতে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে এসেছে |

চুপ থাকা মানুষদের নীরবতা সুবিধাবাদী মানুষদের অন্যায়কে আরও সহজ করে দিচ্ছে | এদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভূমিকায় সুবিধাবাদী মানুষদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে |


চুপ থেকে দুপক্ষকেই খুশি রাখা মানুষদের ভালো মানুষ বলাটা কতটা যৌক্তিক, সেটাও ভাববার বিষয় | মনে রাখতে হবে, নিউট্রাল গেয়ারে কখনো গাড়ি চলেনা | চুপ থেকে নিরপেক্ষতার অভিনয় সুবিধাবাদিতার চেয়েও ভয়ংকর |

আর অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনই সমান অপরাধী |


নীরব থাকা অনেকটা নীরব ঘাতকের মতো | সুবিধাবাদী ও চুপথাকা মানুষের সংখ্যা একত্রে অনেক বেশি হওয়ায় উচিত কথা বলার মানুষেরা কোনঠাসা হয়ে আছে, সব জায়গায় তারা হারছে, মার্ খাচ্ছে | ঘুরে দাঁড়াতে চুপ থাকা মানুষদের তথাকথিত ভালো মানুষের মুখোশটা খুলে মুখটাকে বের করে আনা খুব বেশি প্রয়োজন | মনে রাখতে হবে, ভালো মানুষ সেজে ভালো থাকা আর প্রকৃত ভালো মানুষ হওয়া এক কথা নয় | নিজে ভালো থাকা মানে ভালো থাকা নয়, সবাইকে নিয়ে ভালো থাকাই ভালো থাকা |

 

আমাদের সমাজে মানুষদের মূল সমস্যা হচ্ছে তারা বাস্তবের নায়ক-ভিলেনদের চিনতে পারছেনা | ভিলেনকে ভাবছে নায়ক, নায়ককে ভাবছে ভিলেন | এটা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এর বোঝা টানতে হবে | সমাজের সবাই সুবিধাবাদী হয়ে গেলে সমাজটাকেই একদিন নিলামে তুলে বিক্রি করার মতো অবস্থা তৈরী হতে পারে | সমাজ বিক্রি হলে মানুষ দাস হয়ে যায় আর দাসত্বের চেয়ে বড় কলংক আর কিছু নেই |


আরও খবর

রবীন্দ্র তীর্থস্থানে এক বিকেল

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩




নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁর মান্দায় ক্লাসে পড়া না হওয়ায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে নন এমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা দেওয়ানো সেই প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মান্দা উপজেলার চক গোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে।

ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানার সাথে সাথেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র ইকবাল মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর ৩য় ঘন্টার গণিত ক্লাসে পড়া না পারার জন্য ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে শরীর রক্তাক্ত জখম করেছেন প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী। তিনি শিক্ষার্থী ইকবালকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি বেতের আঘাত করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলে এতে আমার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। এভাবে আমাদের ক্লাসের ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আমি নিজের প্রান বাঁচানোর তাগিদে স্কুলে বাহিরে চলে যাই। বিষয়টা এলাকাবাসিকে জানালে তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানায়। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করেন এবং আমাকে সহ আমার সহপাঠীদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত শরীরের ছবি ও ভিডিও অভিযোগের সাথে জমা দেন বলেও জানায় সে।

প্রতিবেদকের হাতে থাকা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় ইকবাল, মাহফুজুর, মুজাহিদ, সাকলাইন, মাহি, রাকিব, সাকিব, রনি, আরাফাত সহ ২০থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করা রক্তাক্ত শরীর। তারা সেই ভিডিওতে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তাদের এমন নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন।

এবিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর মুঠোফোনে কল দিলে সে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

মারপিটের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, মারপিটের ঘটনা ঘটার পর স্থানীয়রা আমাকে জানান। আমি জানার সাথে সাথেই বিদ্যালয়ে গিয়ে সরেজমিনে দেখে সত্যতা পেয়েছি। আর ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি জানিনা বা আমাকে এই বিষয়ে কেউ জানায় নি। আপনার মাধ্যমেই প্রথম জানলাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে বলছি। ক্লাসে পড়া না পারলে কোন শিক্ষার্থীকে কি শারীরিক নির্যাতন করা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শারীরিক নির্যাতন তো দূরের কথা শিক্ষার্থী মনোকষ্ট পাবে এমন কথাও বলা যাবেনা।


আরও খবর



অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইইউ : রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা নেই।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে নগরীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় দিবস উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইইউ বাংলাদেশে কোনো সহিংসতা ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, কারণ সব বাংলাদেশিও তাই দেখতে চায়।

তিনি বলেন, আমরা এখানে (বাংলাদেশ) অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করতে আসিনি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের কথা শুনতে এসেছি।

ইইউ'র অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও ব্রিফিংয়ে যোগ দেন। হোয়াইটলি বলেন, ইইউ জুলাই মাসে একটি অনুসন্ধানমূলক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে লিখিত আমন্ত্রণ পেয়েছি।

আসন্ন বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউরোপীয় কমিশনের হাইকমান্ড।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



মেট্রোরেলে ঢিল, গ্রেপ্তার হয়নি একজনও

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়া ভবন চিহ্নিত হয়েছে। ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বাড়িটি থেকে অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতকারীরা গ্রেপ্তার হয়নি। শনিবার (৬ মে) রাজধানীতে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মাঝামাঝি পূর্ব অংশে চলাচলরত মেট্রোরেলকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়া হয়েছে। তার আশপাশে তিন থেকে চারটি ভবন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কোন ভবন থেকে ঢিল ছোড়া হয়েছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে মেট্রোরেল-২০১৫ আইনে। ঢিল ছোড়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাচ মেরামত করতে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় একটি বহুতল ভবন থেকে গত ৩০ এপ্রিল চলন্ত মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে মেট্রোরেলের কোনো যাত্রী আহত না হলেও কোচটির পূর্বপাশের জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শক্তিশালী লেমিনেটেড কাচ ব্যবহার করার কারণে জানালাটি পুরোপুরি ভেঙে যায়নি। ঘটনার পরপরই কাফরুল থানায় মামলা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একটি বিশেষ টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে গত ১ মে ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনগামী একটি মেট্রোরেল কাজীপাড়া স্টেশনের ঢোকার মুখে একটি জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাটি কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের ঠিক দক্ষিণ প্রান্তের ঘটনা। যখন ট্রেনটি স্টেশনের ঢুকতে যাচ্ছে, ঠিক এমন সময় বিকট আওয়াজে জানালার কাচটি ভেঙে যায়। ট্রেন ছিল পশ্চিম দিকের ট্র্যাকে, আর পূর্বদিক থেকে ঢিল আসে। ফলে ট্রেনের পূর্বদিকের একটি কাচ ভেঙে গেছে। যিনি এই রিপোর্ট (কাচ ভাঙার) করেছেন, তার ভাষ্যমতে এটি কাজীপাড়া স্টেশনে ঢোকার ঠিক একটু আগে ঘটে।

কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান (১ মে) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যখন ঢিল ছোড়া হয়, তখন ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়ার মাঝামাঝি কোনো স্থানে বহুতল ভবন থেকে ঢিল ছুড়ে ট্রেনের কাচ ভাঙা হয়েছে। তবে কোন ভবন থেকে ঢিল ছোড়া হয়েছে, সেটির তদন্ত চলছে। ডিএমটিসিএলের লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এটি এখন মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত চলবে। আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। অভিযুক্তরা শনাক্ত হলেই তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আপলিফট বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক পেজে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত জানালার ছবি পোস্ট করে লিখেছে, কোনো এক কিউট ব্যক্তি নাকি ঢিল ছুড়ে মেট্রোরেলের জানালার কাচ ভেঙেছে। এর সত্যতা জানি না। তবে এটি যদি সত্যি হয় তাহলে কথা হচ্ছে আমরা কি সভ্য হব না? আমরা যদি সভ্য না হই উন্নত সেবা পাওয়ার আশা রাখিই বা কীভাবে?

এই পোস্টে শতাধিক মানুষ মন্তব্য করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আবদুর রাকিব নামের একজন মন্তব্যে লিখেছেন, নিউজটা সত্য। চরম শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে আর কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।

 


আরও খবর



কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

সময় যতই গড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা তত বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসছে। আগামীকাল সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৮ নম্বর এবং মোংলায় ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এনামুর রহমান বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোন হচ্ছে না। এটি অতি প্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড়। আগামীকাল রোববার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।

এর আগে শনিবার (১৩ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে চলে এসেছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা (ECP: 966 HPA) উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

বিশেষ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এটি আজ সকাল (১৩ মে) ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

শনিবার থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। এছাড়াও অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।


আরও খবর



শিক্ষকের বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া সাত বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করেছে এক  শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার মুগরাকুল হাদিউল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।

  শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাদের বাড়ি পার্শবর্তী সোনারগাঁও উপজেলায়। তিনি তার ছেলেকে কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে কয়েকমাস পূর্বে মুগরাকুল হাদিউল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি করান। সেখানে বোর্ডিংয়ে থেকে  লেখাপড়া করতো সে। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীর থাকার কক্ষ থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আবু সুফিয়ান  তার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক  বলাৎকার করে শিশুটিকে। এমনকি ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে হুমকি প্রদান করে শিক্ষক। এদিকে শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি  হলে সে  ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। পরে তাকে বুধবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার  শিশুটির মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। 

   এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি/ তদন্ত  আতাউর রহমান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত

মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর