Logo
শিরোনাম

ড. ইউনূসের মেগাফোন কূটনীতিতে ভারতের অস্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে সম্পর্কে কিছু ভাটা পড়েছে সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান . মুহাম্মদ ইউনূসের এক সাক্ষাতকারে আশ্চর্য হয়েছে ভারত কারণ ওই সাক্ষাতকারে . ইউনূস ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সম্পাদক আনবারাসান ইথিরাজান

শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থী হিসেবে দেখা হয় এবং তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো সময় পার করেছে। এছাড়া নিরাপত্তার দিক দিয়েও ভারত সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা ভারত বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমন করেন এবং সীমান্তের অমিমাংসীত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি করেন

তবে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তিনি কতদিন থাকবেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানায়নি ভারত। অবস্থা ভারত বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের মধ্যে এক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যা প্রকাশ পেয়েছে . ইউনূসের কথায়

গত সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে . ইউনূস বলেন, ভারতের কাছে আমাদের আবেদন দিল্লিতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিবৃতি দেয়া বন্ধ করা। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায় তাহলে তার চুপ থাকা উচিত

জুলাই আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে ভারতকে চাপ দিচ্ছে বাংলাদেশ

ওই সাক্ষাতকারে ইউনূস বলেন, ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে এক সঙ্গে কাজ করা উচিত। যদিও সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে রয়েছে

যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান . ইউনূসের এমন মন্তব্যে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে তারা খুবই হতাশ হয়েছেন

বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে ভারতের সরকারি এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর ভারত নজর রাখছে এবং পরিস্থিতি উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে। এছাড়া ভারতকে নিয়ে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে তা নয়া দিল্লি নথিভূক্ত করছে

ভারতের সাবেক একজন কূটনীতিক বলেন, . ইউনূস মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন এবং তিনি অমীমাংসিত বিষয়গুলো মিডিয়াতে সামনে আনার চেষ্টা করছেন

ঢাকা নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার বীণা সিক্রি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ভারতের নির্দেশনা রয়েছে। সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, কীসের ভিত্তিতে . ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে তা স্পষ্ট নয়

তবে . ইউনূসকে মোগাফোন কূটনীতি বলায় তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

তিনি বলেন, ভারতের কোনো নেতা কী মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে না? যদি কেউ . ইউনূসকে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করে তাহলে তিনি সেটা তার দিক থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিবেন এটাই তো স্বাভাবিক। সুতরাং কেউ যদি সমালোচনা করতে চায় তাহলে যে কোনো বিষয়ে করতে পারে

যদিও কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন . ইউনূস। তবে এই দুই দেশের কোনো মন্ত্রী পর্যায়ের মধ্যে এখনও বৈঠক হয়নি

 


আরও খবর



গজারিয়ার ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়

বেঞ্চে বসা নিয়ে সংঘর্ষ: ২শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল: গজারিয়ার ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে মারামারির ঘটনায় নবম শ্রেণির ২ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে রায়হান ও ইমন নামের ২ ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান শিকদার।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় আনারপুরা গ্রামের রায়হান ও ইমন বহিরাগতদের সহায়তায় তাহিন (১৬), জোবায়ের (১৫), মো. আবদুল্লাহ (১৫) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) নামের ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করে। আহতদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার ক্লাস রুমে দুইদল ছাত্রের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আহত এক ছাত্রের মা গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য গতকাল ২০,০৪,২০২৫  রোববার বেঞ্চে বসাকে ঘটনা কেন্দ্র করে উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহত ৫ ছাত্রকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনা গজারিয়া থানায় দু'পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের ভাটেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- তাহিন (১৬), জোবায়ের (১৫), মো. আবদুল্লাহ (১৫) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) । এরা সকলেই বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. সাঈদ মিয়া ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্থানীয় আনারপুরা ও বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা দুইদল ছাত্রের মধ্যে গতকাল রোববার বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে টেবিলে বসা ও শুয়ে থাকা নিয়ে কথাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আনারপুরা গ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগতদের সহযোগিতায় বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা ৪ ছাত্রকে হকিস্টিক ও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

আহত শিক্ষার্থী মো. সাঈদ জানান, সে ক্লাসের বেঞ্চে শুয়ে ছিলো, আমি তাকে উঠতে বললে সে আমাকে বকাঝকা শুরু করে। তাদের গ্রামে স্কুল সে কারণে এরা দূর এলাকার ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুইপক্ষই অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সোমবার রাতে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির মৃত্যুর গুজব। এরপর রাতেই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে জানান দেন বেঁচে আছেন তিনি। কেবল তাই নয়, মানুষের এমন উদ্ভট কর্মকাণ্ড নিয়ে দারুণ বিরক্ত এই নায়িকা।

ফেসবুক লাইভে পরীমনি বলেন, সারা দিন শুটিং করে যখন ফোন হাতে নিলাম, আমি শকড। ফোনকলের চেয়ে বেশি মেসেজ। ধরেন, আপনার কোনো আত্মীয়র মৃত্যুর খবর শুনলেন, আপনি সেই আত্মীয়কেই ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বেঁচে আছেন? যেকোনোভাবে গুজবটা ছড়িয়েছে, আমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার জন্য কতটা শকিং!

এই অভিনেত্রী বলেন, মৃত্যু তো আসলে আমার হাতে নেই। আপনি তো জানেন না, কখন চলে যাবেন। আল্লাহর কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু চাই সব সময়।

‘পরীমণির যদি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, তবে ধরে নিতে হবে তাকে কেউ খুন করেছে’,- ভক্তদের এ তথ্য জানিয়ে পরীমনি বলেন, এই যে আমার ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল, তারপরও লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে। কোনো একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমনিকেই বেছে নেয়। আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমনির বিয়ের খবর করে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না বলে একদম মেরে ফেলল।

‘পরীমণি আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না’, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমার জীবনে এখন সুইসাইড করার মতো কোনো ইস্যুই নাই। আমার দুইটা বাচ্চা নিয়ে, কাজ নিয়ে অনেক খুশি। এই খুশির মধ্যে আপনাদের জীবনযাপন ঢুকিয়ে দেবেন না। কিছু হইলে খালি পরীমনিকে নিয়ে টানাটানি কেন? আর কিছু খুঁজে পান না?


আরও খবর



হজ বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা ঘোষণা করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

সৌদি আরব হজ পারমিট নির্দেশিকা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমিট ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করা ব্যক্তি এবং এতে সহযোগিতা করা যেকোনো পক্ষকে জরিমানা, বহিষ্কার ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

চাঁদ্র মাসের দুল-ক্বিদা ১ তারিখ থেকে শুরু করে দুল-হিজ্জা ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ এবং জরিমানা কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজ পারমিট ছাড়া মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে নিচের বিধানগুলো কার্যকর হবে

প্রথমত, হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন বা পালনের চেষ্টা করলে, বা যেকোনো ধরনের ভিজিট ভিসাধারী যদি মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সর্বোচ্চ ২০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫,৩০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কারো জন্য ভিজিট ভিসার আবেদন করেন, যিনি হজ পারমিট ছাড়াই হজ পালন করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন, বা যিনি উল্লিখিত সময়ে মক্কা শহর ও পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন, তার বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২৬,৭০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে। এই জরিমানা প্রতি ব্যক্তির জন্য আলাদাভাবে গণ্য হবে।

একই জরিমানা কার্যকর হবে তাদের ওপর যারা ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানে পরিবহন করেন বা করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়াও যারা ভিজিট ভিসাধারীদের কোনো হোটেল, ফ্ল্যাট, ব্যক্তিগত বাসভবন, আশ্রয়কেন্দ্র বা হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানে আশ্রয় দেন বা দেয়ার চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

যারা ওই ব্যক্তিদের অবস্থান গোপন রাখেন অথবা তাদের থাকার জন্য সহায়তা করেন, তারাও এই জরিমানার আওতাভুক্ত হবেন। প্রতিটি আশ্রয়প্রাপ্ত বা সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য জরিমানা বহুগুণে বাড়বে।

তৃতীয়ত, যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (থাকার অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়া বা অনিবন্ধিত অভিবাসী) হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

চতুর্থত, উল্লিখিত সময়ে যারা ভিজিট ভিসাধারীদের পরিবহনে নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করবেন বা করাবেন, তাদের যানবাহন যদি তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন হয়, তাহলে তা জব্দ করার জন্য সৌদি আদালতে আবেদন জানানো হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের এই কঠোর পদক্ষেপ হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। হজ মৌসুমে বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ সব নাগরিকদের এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর



এক মাস না যেতেই বাড়ল ট্রেজারি বিলের সুদহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

সরকারের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোর তরফে অর্থের জোগান বেশি থাকায় মার্চে ট্রেজারি বিলের সুদহার কমেছিল। তবে পরের মাসেই তা আবার বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে ট্রেজারি বিলের সুদের হার বেড়েছে ১০১ থেকে ১২৩ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদের হার নির্ধারণ করা হয় ব্যাংকগুলোর কাছে কী পরিমাণে তারল্য রয়েছে, সেটির ওপর ভিত্তি করে। সরকারের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য জোগান বেশি থাকলে সুদের হার কমে। আর চাহিদার তুলনায় তারল্য যোগান কম থাকলে সুদের হার বাড়ে।

এখন ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে থাকায় এবং সরকারের বেশি ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হওয়ায় সুদহার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে, বলছেন ব্যাংকাররা।

সর্বশেষ সোমবারের নিলামে ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মার্চে যা ছিল ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সুদহার কমেছে ১২৩ বেসিস পয়েন্ট।

এদিন ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদহার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এক মাস আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সে হিসাবে সুদহার কমেছে ১০১ বেসিস পয়েন্ট।

এপ্রিলে এসে ৩৬৪ দিনের টেজারি বিলের সুদের হার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সুদহার কমেছে ১১৫ বেসিস পয়েন্ট।

ট্রেজারি বিল এক ধরনের স্বল্পমেয়াদি আর্থিক ঋণপত্র, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকার বিক্রি করে থাকে। মেয়াদ হয় ৯১ থেকে ৩৬৪ দিন পর্যন্ত।


আরও খবর



বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে স্বর্ণের দরে হের ফের

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

দেশের বাজারে বেশ ঘন ঘন ওঠানামা করছে স্বর্ণের দাম। তবে যে পরিমাণ কমে, তার চেয়ে বেশি বাড়ে। এভাবে গেল এক বছরে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দর বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দামের এমন ঊর্ধ্বগতি মূলত বিশ্ববাজারের কারণে ঘটছে বলে দাবি করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, দাম বাড়ার কারণে বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। বিক্রি কমে অর্ধেকে নেমেছে।

বিশ্ববাজারের তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভরিতে ৬০ হাজার টাকারও ব্যবধান রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশে কোন যুক্তিতে বা মানদণ্ডের ভিত্তিতে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়? অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে দাম কীভাবে সমন্বয় করা হয়, তা অস্পষ্ট। এতে মূলত ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ক্রেতারা ঠকছেন। এই পরিস্থিতিতে দাম নির্ধারণের সুনির্দিষ্ট কাঠামো দাঁড় করানো এবং আমদানির ক্ষেত্রে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ দেন তারা।

করোনা অতিমারির পর থেকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। কয়েক বছর ধরে স্বর্ণের দাম বেশ ওঠানামা করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দর ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে বাংলাদেশেও অস্থির হয়ে উঠছে মূল্যবান ধাতুটির বাজার। ফলে দাম এত বাড়ছে কেন, আর কত দিন বাড়তে পারে, শেষ পর্যন্ত দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্বর্ণপ্রেমীদের মনে। আবার যারা বিনিয়োগ নিয়ে ভাবছেন, তারাও রয়েছেন দোলাচলে। বৈশ্বিক এই পরিস্থিতিতে এখন বিনিয়োগ করার উত্তম সময় কিনা, হঠাৎ আবার দাম পড়ে যাবে কিনা, এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে দেশে অস্বাভাবিক দাম বাড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

দেশে এক বছরে দাম কত বাড়ল

গত এক বছরে বেশ কয়েকবার উত্থান-পতন ঘটেছে দামের। তবে যতবার দাম কমেছে, অর্থাৎ যে পরিমাণ কমেছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। দেখা গেছে, দুই দফায় পাঁচ হাজার টাকা বাড়ার পর কমেছে এক বা দেড় হাজার টাকা। এভাবে গত এক বছরে দাম বেড়ে এখন ১ লাখ ৭২ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। সেই হিসাবে, এক বছরে প্রতি ভরিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা দাম বেড়েছে।

বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশে স্বর্ণের দাম বেশি

দেশে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চে উঠেছে গত ২২ এপ্রিল। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) ওই দিন দুপুরে ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের (১১.৬৬৪ গ্রাম) দাম ঘোষণা করে ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তবে ওই  দিনই সন্ধ্যায় ফের দাম কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। এখন পর্যন্ত এই দরে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণের ভরি।

আন্তর্জাতিক বাজারদর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাজুস নির্ধারিত স্বর্ণের এ দাম শুধু দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নয়, বর্তমান আন্তর্জাতিক দরকেও ছাড়িয়েছে। এমনকি প্রতিবেশী ভারতের তুলনায়ও স্বর্ণের এ দর অনেক বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্পট মার্কেটে সর্বশেষ প্রতি আউন্স (২৮.৩৪৯৫ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণ সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৩৩৪ ডলারে কেনাবেচা হয়েছে। ডলারের বিনিময় মূল্য ১২২ টাকা দরে প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫১ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে। অর্থাৎ দেশে প্রতি ভরি স্বর্ণ অন্তত ৫ হাজার টাকা বেশি দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনজেলওয়ান বাংলার অনলাইন পোর্টালের খবর অনুযায়ী, সে দেশের জুয়েলার্স সমিতির বেঁধে দেওয়া বাজারদর অনুযায়ী, গতকাল প্রতি গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কেনাবেচা হয়েছে ৯ হাজার ৮৯ রুপিতে। রুপির বিনিময় মূল্য ১ টাকা ৪৩ পয়সা হিসাবে প্রতি ভরির দাম ভারতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১ টাকা। এই হিসাবে বাংলাদেশে ভারতের চেয়ে ভরিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের খালিজ টাইমসের তথ্যমতে, দুবাইয়ে বর্তমানে প্রতি গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর ৩৬৭ দশমিক ৭৫ দিরহাম। প্রতি দিরহামের বিনিময় মূল্য ৩৩ দশমিক ৩৪ টাকা হিসাবে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র দুবাইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে প্রতি ভরি স্বর্ণের দর কম প্রায় ২৯ হাজার টাকা। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনটি দেশেই স্বর্ণের দর বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশে কোন মানদণ্ডে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে? 

ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মূলত তেজাবি স্বর্ণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা নতুন ও পুরোনো স্বর্ণ কেনেন। নিয়ন্ত্রণ মূলত তাদের হাতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজার ওঠানামা করছে। কলকাতার ব্যবসায়ীরা সাধারণত দুপুরের দিকে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। এরপর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা স্থানীয় দর নির্ধারণ করেন। এই দাম অলংকার ব্যবসায়ীদের জন্য, খুচরা ক্রেতাদের জন্য নয়। ওই দরের ওপর ভিত্তি করেই বাজুস স্বর্ণের দাম ঘোষণা করে। 

বাজুসের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে দেশে এর প্রভাব পড়ে। মূলত তেজাবি স্বর্ণের দাম বাড়লে বাজুস দাম বাড়ায়। এখানে বাজুসের কোনো কৌশল নেই। বরং দাম বাড়ার কারণে গত কয়েক বছরে বিক্রি কমে অর্ধেকে নেমেছে। তবে স্বর্ণ আমদানিতে এলসি জটিলতা, করহারসহ নানা সমস্যা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববাজারে দাম কেন বাড়ছে

অর্থনীতিবিদ এবং অলংকার ব্যবসায়ীদের মতে, বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ, বিভিন্ন দেশের রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপ, ডলারের দর কমে যাওয়াসহ নানা কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডলার মজুত রাখে। গত তিন বছরের মধ্যে ডলারের দাম এখন সর্বনিম্ন। বৈশ্বিক এই অস্থিরতার কারণে দর আরও পড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণের মজুত বাড়াচ্ছে। দাম বাড়ার পেছনে এটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে চীনের ওপরে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ানোর কারণে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের পরিবর্তে ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণ কিনছে। 

বিশ্ববাজারে আরও বাড়ার পূর্বাভাস

মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা ৩৫ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে, যা আগে ছিল ২০ শতাংশ। সংস্থাটি বলছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার কমাতে পারে, যা স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়িয়ে দেবে। 

এই ধারণা থেকে সংস্থাটি স্বর্ণের দাম নিয়ে তাদের আগের পূর্বাভাস আবার সংশোধন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আগে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ ডলার পর্যন্ত উঠবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। নতুন বিশ্লেষণে তারা বলছে, প্রতি আউন্সের দাম ৩ হাজার ৬৫০ থেকে ৩ হাজার ৯৫০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। বছর শেষে এটি গড়ে ৩ হাজার ৭০০ ডলারে স্থির হতে পারে। 

দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি নিয়ম বা কাঠামো প্রণয়ন করা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বুঝে না ঠিক কী পদ্ধতিতে দেশে স্বর্ণ বেচাকেনা কিংবা দাম নির্ধারণ করা হয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কিছুদিন পরপর দেশে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিশ্ববাজারের কথা বলে দাম বাড়ানো হলেও বিশ্ববাজারের সঙ্গে দামের ব্যাপক ফারাক থাকে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে আসলে দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ে বা কমে তা স্পষ্ট নয়। 

হঠাৎ দাম বাড়লে ক্রেতা বিপাকে পড়েন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কেউ হয়তো পরিকল্পনা করছেন আগামী সপ্তাহে তিনি এক ভরির গহনা কিনবেন। এক সপ্তাহ পর কিনতে গিয়ে দেখা গেছে ভরিতে চার-পাঁচ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। তখন দেখা যায় তাঁর গহনা কেনার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। এমনটা নিয়মিতই ঘটছে। তাই কোন কোন যুক্তি বা মানদণ্ডে দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হচ্ছে, বৈশ্বিক দামের সঙ্গে দেশের দর কতটা সংগতিপূর্ণ, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা খুবই জরুরি। 

ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এখন হয়তো ব্যাগেজ রুলে বা বিভিন্ন উপায়ে বিদেশ থেকে স্বর্ণ আসে। বৈধ পথে আমদানির জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার, তাহলে বৈধ চ্যানেলে আমদানি বাড়বে। তখন দর সম্পর্কে সবাই অবগত থাকবে। একই সঙ্গে এতে অবৈধ পথে স্বর্ণ চোরাচালান কমে আসবে। তা ছাড়া দেশে কী পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, কী পরিমাণ আমদানি হচ্ছে, সে বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। 

বিশ্ববাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের দরে সমন্বয়হীনতা থাকে উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা, পুঁজিবাজারে মন্দাসহ নানা কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগমুখী হন বিনিয়োগকারীরা। এতে স্বর্ণের দাম বাড়ে ঠিক, কিন্তু বাংলাদেশে দাম বাড়ানো কতটা যৌক্তিক, তা বিবেচনা প্রয়োজন। বিশ্ববাজারের দরের সঙ্গে কতটা সমন্বয় হয়েছে, তা দেখতে হবে।


আরও খবর