Logo
শিরোনাম

ড. কামালের নেতৃত্বে গণফোরামের নতুন কমিটি

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের ১০১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কমিটিতে সভাপতি পরিষদ সদস্য হয়েছেন এ এইচ এম খালেদুজ্জামান, ড. কামাল হোসেন, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এস এম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, আবদুল আজিজ, শান্তিপদ ঘোষ, আ ও ম শফিকউল্লাহ, মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, মোমেন চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, ডা. আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, সেলিম আকবর, সুরাইয়া বেগম, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, হারুনুর রশীদ তালুকদার, ইসমাইল হোসেন ও ফরিদা ইয়াছমিন।

কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শাহ মো. নূরুজ্জামান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুজন হলেন মো. মাহফুজুর রহমান ও শফিউর রহমান খান বাচ্চু। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন অধ্যক্ষ মো. ইয়াছিন। দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন এম এ ওয়াহাব।

তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সাগর, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক বকুল ইমাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোমেনা আহমেদ মুমু, সংস্কৃতি সম্পাদক ড. নীলিমা পারভীন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম সজল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম পলাশ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মো. নবাব আলী, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক (নওগাঁ), শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন (গাজীপুর), নারীবিষয়ক সম্পাদক সাহিদা ইসলাম শিল্পী (ঢাকা), সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে মো. আলী লালকে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ। অধিকাংশ দলের আপত্তি সত্ত্বেও ইসি ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা এক ভয়ঙ্কর অশনিসংকেত।

তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে গভীর রাজনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত, স্বৈরাচারী সরকারের গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশের অর্থনৈতির আজ চরম দুরবস্থা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দেশের টাকা দুর্নীতি হয়ে পাচার হচ্ছে উল্লেখ করে ড. কামাল আরও বলেন, রাষ্ট্রে যারা দায়িত্বে আছেন, তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। সবাই মিলে এ রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচানোর সবচেয়ে বড় সুযোগ হচ্ছে একটি সত্যিকারের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।


আরও খবর



আইন, আদালতকে ও সম্মান করে না ভূমিদস্যু, নাজিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা, ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়া বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখল, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল অবসর প্রাপ্ত লোকের কাছে।

 লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন নাজিম উদ্দিন। এসব জমির নিরীহ মালিকগণ নাজিম বাহিনীর ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর একবিঘা জমি কিনে আশে পাশে দশ বিঘা জমিতে জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জমির চেহারা পাল্টে ফেলে নিজের কোম্পানির সাইন বোর্ড লাগিয়ে, জোর পূর্বক আশে পাশের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার মানুষকে জিম্ম করে ফেলে নাজিম উদ্দিন। অন্যের জমি দখল করে মসজিদ ও কবরস্থানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি।

 শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলে জমির আসল মালিকগণ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নাজিম বাহিনী নির্মাণ কাজ শুরু করে নিউগিনি প্রপার্টিজ। এলাকায় নাজিম উদ্দিনের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে নাজিম উদ্দিন তথা নিউনিগি প্রপার্টিজ। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় গত ২০ই মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও উচ্ছেদ অভিযোনে গেলে সৃষ্টি হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নির্দেশে উক্ত ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করতে গেলে সদলবণে সেখানে উপস্থিত হয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন ভূইয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরাসরি বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ারকে লাঞ্চিত করেন ও প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নাজিম উদ্দিন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপর চূড়ান্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দেন নাজিম উদ্দিন।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকান্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকি প্রদান করেন। তার অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপে অবশেষে ভদ্র মহিলা (নিঃম্যাঃ) নিজের সম্মান বাচাতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে শুধুমাত্র নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রাজউক নকশা অনুমোদন করিয়ে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। তার কোম্পানির নেই কোন ইঞ্জিনিয়ার, নেই কোন অভিজ্ঞ লোকজন। সকল কার্য পরিচালনা করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন। তিনিই মালিক, তিনিই ইঞ্জিনিয়ার তিনিই সেলসম্যান তিনিই কন্ট্রাকক্টর, তিনিই পার্চেজার। সব কিছুই তিনি তার মতো করে করেন।

তার ধারনা তিনি যা করেন সেটাই আইন, সেটাই আদালত। আইন, বিচার শালিস, আদালত, প্রশাসন কোন কিছুকেই পরোয়া করেন না নাজিম উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ধারায় প্রায় ৩০টি মামলার আসামী নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ। আর সাধারণ ডায়েরী রয়েছে অসংখ্য। এর মধ্যে প্রায় ১০টি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)এর (ঈ) ১০/১২, ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৩২৫ সহ অন্যান্য ধারায়। নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জামাত শিবিরের অর্থযোগান, মানিলন্ডারিং সরকারের কর ফাঁকি, দুর্নীতি কোন কিছুই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না নাজিমের বেলায়। নাজিমের এসব কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার জেল খাটার পর টাকা আর ক্ষমতার জোরে জেল থেকে বেরিয়ে নাজিম উদ্দিন গর্ব করে বলেন তাকে আটকে রাখার মত জেলখানা বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। কোথায় নাজিমের খুঁটির জোর কেউ জানে না। এক অদৃশ্য শক্তির জোরে ইসলামী লেবাচে চলাফেরা করে নানা প্রকার বে-আইনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় অঘোষিত ক্ষমতার নায়ক নাজিম উদ্দিন।

তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এজন্য নিরপেক্ষ স্বাক্ষীর অভাবে খারিজ হয়ে যায় নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ। পুলিশ, র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাজিম উদ্দিনের সব মামলার তদন্ত করতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশে এক পরাধীন এলাকা মাটিাকাটা-মানিকদি। এলাকার লোকজনের কাছে নাজিম বাহিনীর বিষয়ে জানতে চাইলে সবাই কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবার চেষ্টা অনেক করেও নাজিম উদ্দিনের দেখা পেলে সব প্রশ্নের জবাব উগ্র ও সন্ত্রাসী ভাষায় প্রদান করেন তিনি।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




কর্মকর্তা হত্যার বিচার করে আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই:পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, 'বন কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পাহাড় খেকোরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছিল যে তাদের পথে কেউ বাধা হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমরাও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে  একটি নজির স্থাপন করতে চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের এমন বিচার করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার কথা কেউ চিন্তাও না করে।

রবিবার (০৭ এপ্রিল) সকাল পৌণে ১১টায় মন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে পাহাড় খেকো চক্রের হাতে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে চেক ও নগদ টাকা হস্তান্তর শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,' বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অবগত রয়েছেন। সময় সুযোগ পেলে তিনিও নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলবেন। বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। এ ঘটনায় একজন আটক হলেও বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা তাদের আটকের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। অচিরেই সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

এর আগে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল পৌণে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে নিহত বন কর্মকর্তা সাজেদুজ্জামানের বাড়িতে পৌঁছান। এসময় তিনি নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের বাবা শাহজাহান মাস্টার,মা উম্মে কুলসুম এবং স্ত্রী মুমতাহেনা সুমি ও নয় মাসের কন্যা সন্তান সাদিকার সাথে কথা বলেন। এ সময় নিহত বন কর্মকর্তার মা এবং স্ত্রী হাতে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের একদিনের বেতন ১০ লক্ষ টাকার চেক এবং মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন তিনি। পাশাপাশি নিহত বন কর্মকর্তার স্ত্রী মুমতাহেনা সুমিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পরে তিনি নিহতের কবর জিয়ারত করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বন সংরক্ষণ (প্রশাসন) আব্দুল আউয়াল সরকার, পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আবু নাঈম মোহাম্মদ  মারুফ খান, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম,গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তারআরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহব্বায়ক আমিরুল হাছান সহ বন বিভাগের মাঠ পযায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য,গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করার সময় বাধা দিতে গেলে ড্রাম ট্রাক চাপা দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানককে । কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।


আরও খবর



শেরে খোদা আলি (রাঃ) ইমানদারদের অভিভাবক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ৩১তম বংশধর, শাহ্জাদা-এ-গাউসুল আযম, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ২১শে  রমজান মহিমান্বিত এক দিবস যে দিন মওলা-এ-কায়েনাত, শেরে খোদা, মুশকিল কোশা হযরত মওলা আলি (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রেমে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে, যখন প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে কেউ ছিলেন না, তখন হযরত আলি (রাঃ) প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছায়ার মত লেগে ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হলেন জ্ঞানের শহর আর হযরত আলি (রাঃ) হলেন সেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের দরজা। হযরত মওলা আলি (রাঃ) এর অনুসরণ ব্যতীত কেউ সেই জ্ঞানের শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ মওলা আলি (রাঃ) হলেন মু'মিন ও মুনাফিক চেনার আয়না। মু'মিনরা মওলা আলি (রাঃ) কে ভালোবাসবে আর মুনাফিকরা তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে। প্রিয় নবিজী (দ) তাকে মু'মিনদের অভিভাবকরূপে নির্ধারণ করেছেন।"

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, "তিনি ছিলেন এমনই একজন মহাবীর, যাকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 'শেরে খোদা' বা 'আল্লাহর সিংহ' উপাধি দিয়েছেন এবং নিজের 'যুলফিকার' নামক তরবারি উপহার দিয়েছেন। একদিক থেকে তিনি প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরম বন্ধু, ভাই ; অপরদিকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জামাতা ও উত্তরসূরী। তিনি বেহেশতে নারীদের নেতা মা ফাতিমাতুজজাহরা (রাঃ) এর স্বামী এবং বেহেশতে যুবকদের নেতা হযরত সাইয়্যেদুনা ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর সম্মানিত পিতা। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাধ্যমে নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও বেলায়ত হল নবুয়্যতের ছায়া। মওলা আলি শেরে খোদা (রাঃ) কে আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেই বেলায়তের সিংহাসনে বসিয়েছেন। তাই মওলা আলি (রাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা, তার অনুসরণের মাঝেই সত্য পথের পথিকরা পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনে মুক্তির পথ এবং মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা ও প্রিয় নবিজী (দ) এর সান্নিধ্য অর্জনের পথ খুঁজে পাবে।

৩১শে মার্চ, ২০২৪ গাজীপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ জয়দেবপুর আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শাখার উদ্যোগে হযরত মওলা আলি মুসকিল কোশা কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারিম এর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহফিলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা আবু তালেব মঈনী, মওলানা ইয়াসিন আনসারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজের হোসাইন মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মোহাম্মদ মনসুর আলী মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আহলে বাইতে রাসুল (দ) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটে মাদক সেবনরত অবস্থায় আদিতমারি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। 

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে লালমনিরহাট শহরের কোর্ট বিল্ডিংয়ের দক্ষিন পার্শ্বে মডেল মসজিদ সংলগ্ন রেলের পরিত্যাক্ত ভবন থেকে মাদক সেবনরত অবস্থা তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আদিতমারি উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাসেল মাহফুজ ওরফে ডেন্টিস্ট (৩৮)। তালুক খুটামারা এলাকার মৃত অপুর আলীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৬)। মডেল মসজিদ এলাকার মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৫২)। মদিনাপাড়া এলাকার মৃত ফজলার রহমানের ছেলে নুরে হাসান সিদ্দিক (৩২)। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, আসামীদের  পুলিশ আইনের ৩৪ (৬) ধারা মোতাবেক গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



রাণীনগরে ডাকাতির প্রস্ততিকালে অস্ত্রসহ আটক-৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে পুলিশ ডাকাতির প্রস্ততিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ চার জনকে আটক করেছে । এসময় একটি মিনিট্রাক জব্দ করা হয়।মঙ্গলবার গভীর রাতে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোনা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বুধবার দুপুরে রাণীনগর থানায় নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান পিপিএম,এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে উপজেলা জুরে পথচারী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে থানাপুলিশ টহল দেয়ার সময় নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোনা এলাকায় পৌছলে সড়কের উপর একটি মিনি ট্রাক সন্দেহভাজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। এসময় পুলিশ ট্রাকের কাছে যেতেই ট্রাক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।এসময় পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার নিমাইকোলা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে শাকিল প্রাং(২৪) ও লিটনের ছেলে মুন্না মন্ডল (১৯) এবং নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে আজাদুল ইসলাম (২৮) ও একই উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে লিটন হোসেন (২৪)।

আটককালে তাদের নিকট থেকে লোহার শাবল,রড,হাসুয়া,চাকু,কসটেপ,রশি উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি মিনিট্রাকও জব্দ করা হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, মিনিট্রাকে এই দলে ১০/১২জন ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা নওগাঁর মহাদেবপুরে গত বছরে সংঘটিত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এরা কোন বাড়ী বা রাস্তায় পথচারীর পথরোধ করে ডাকাতি সংঘটিত করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। সংবাদ সম্মেলনে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদি মাসুদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর