Logo
শিরোনাম

দাবানলে পুড়ে যেতে পারে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো দাবানলের আগুনে নতুন নতুন এলাকা পুড়ছে। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসে আরও তীব্র বাতাসের প্রভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং এর আশপাশে এখনও জ্বলন্ত ভয়াবহ দাবানল আরও তীব্র হতে পারে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্যালিসেডস এবং ইটনের প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টির ফায়ার প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন যে এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

ঝড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, যা সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেছেন,ঝড়ো বাতাস ফিরে আসার আগেই জরুরি সব প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মীরা পুরোপুরি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা।

ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়লে তা বিপর্যয়কর হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গোটা লস এঞ্জেলসই দাবানলের হুমকির মুখে পড়েছে।

পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা হয়ত আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছি। কারণ মঙ্গলবার বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে।’

এরই মধ্যে আগুনে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি বলেন, ফিরে আসার পূর্বাভাস থাকা ঝড়ো বাতাসে আর্দ্রতা খুবই কম থাকায় লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।

লস এঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি আগুন নেভানোর কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের আরও সদস্য চেয়েছেন। চারশ’সদস্য এর মধ্যেই কাজ করছে।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ আছে বলে কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস কারফিউ পালনের জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উইলিয়ামসন আরও বলেন, পুলিশ কারফিউ ‘কঠোরভাবে প্রয়োগ’ করছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের এক হাজার ডলার জরিমানা অথবা জেল হতে পারে।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মূল্যস্ফীতির কারণে বড় ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে (২০২৫) পাঁচটি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয়টি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এছাড়া আরও চার ঝুঁকির বিষয়গুলো হলো- চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা।

সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হিসেবে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, বিশেষ করে বন্যা ও উচ্চ তাপমাত্রা এবং দূষণকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে দূষণকে শীর্ষ তিন ঝুঁকির একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। দেশ দুটিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সবুজ অর্থনীতি রূপান্তরের ক্ষেত্রে দূষণ সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আরও দুটি বিষয় খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এর একটি হচ্ছে বেকারত্ব, অন্যটি হচ্ছে অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা। এ দুটি বিষয়ের কারণে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতির গড়পড়তা হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তা ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবমতে, ২০২২ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ুগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যান্য উদ্বেগকে ছাপিয়ে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাত।

দেশভিত্তিক প্রধান ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালায় ডব্লিউইএফ। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৪টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে তার মা মরিয়ম বেগম ও বোন ফিরোজা পারভীন জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় মুখ খুলেছেন সাদিকা পারভীন পপি।

ভিডিও বার্তায় সাদিকা পারভীন পপি বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু? প্রতিটা মানুষের জীবনে সুন্দর একটা সময় থাকে নিজের জীবন উপভোগ করার জন্য। সে সময়টা আমি তাদের (ভাই-বোনদের) জন্য ব্যয় করেছি।’

ভাই বোনদের কথা উল্লেখ করে পপি বলেন, ‘তারা আমার বাবা-মায়ের সন্তান আমার সন্তান না, আমার দায়িত্ব না। তারপরও আমি আমার ভাই-বোনদেরকে নিজের সন্তান হিসেবে লালনপালন করেছি। নিজের ভবিষ্যতের ভালো লাগা মন্দ লাগা অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। শুধু আমার ভাই বোনদেরকে মানুষ করার জন্য।’

‘কিন্তু এখন এসে দেখলাম তারা মানুষ তো হয়নি। হিংস্র কিছু বলবো না, পশুদের মাঝে তো কৃতজ্ঞতা থাকে এদের মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতা বোধটুকু নেই। উপরের দিকে থুথু ফেললে তো নিচের দিকে আসে। কাদের নামে অভিযোগ দিবো, অভিযোগ তো করে বাইরের লোকদের নামে।’

তার কথায়, ‘আমি যেহেতু আমার ভাই-বোনদের কে আমার মা-বাবাকে অনেক ভালোবাসি যার কারণে আমার জীবনে অনেক ‍কিছু ফেস করেছি তাদের দ্বারা নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতো বছর ইন্ড্রাষ্টিতে যা আয় করেছি, তারা আমার সঙ্গে বেইমানি করে, আমার সমস্ত অর্থ নিয়ে নিয়েছে। আমার টাকা দিয়ে কেনা সম্পত্তি কোনো কিছু আমার নামে ছিল না আমার ভাই-বোনের নামে ছিল। আমার অ্যাকাউন্ট পুরো শূন্য ছিল আমার দেহটা ছাড়া আমার কোনো কিছুই আমার ছিল না। সবকিছুই তাদের আয়ত্তে ছিল, আমিও তাদের আয়ত্তে ছিলাম।’

পপির ভাষ্য, ‘একটা পর্যায়ে এসে মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কিছু না কিছুর প্রয়োজন হয়। বেঁচে থাকার জন্য শুধু আমার প্রাণটা ছিল হয়ত। একটা পর্যায়ে এসে যখন আমি জানতে পারলাম আমার পরিবার আমার সাথে বেইমানি করেছে, আমাকে ঠগিয়েছে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’

শেষে বলেন, ‘এগুলো জানার পর আমি চুপ ছিলাম। আমি যাদের কোলে পিঠে মানুষ করেছি দুই হাত দিয়ে, আমি তাদের দ্বারা অনেক বেশি নির্যাতিত হয়েছি। তারা আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। আমার টাকা চুরি করে আমাকে মারার পরিকল্পনা করেছে । আমাকে খুন করে ফেলার জন্য টাকা দিয়েছে খুনিকে


আরও খবর

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের কয়েকটি বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিরাজ করবে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এই তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে দেওয়া এক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মোস্তাফা কালাম পলাশ জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রংপুর, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা বিরাজ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আজ শুক্রবার রাতে দেশের বেশিভাগ জেলার আকাশ কুয়াশা মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামীকাল শনিবার খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা বিরাজ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের উপর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুয়াশা অতিক্রম করার আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ৬৪ টি জেলার আকাশই কুয়াশার চাদের ঢাকা থাকার আশংকা করা যাচ্ছে।

কোন বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে কবে কুয়াশা অতিক্রম করবে

৮ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, সিলেট, ঢাকা বিভাগ

৯ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ

১০ ফেব্রুয়ারি: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ

১১ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ

১২ ফেব্রুয়ারি: সকল বিভাগ

১৩ ফেব্রুয়ারি: সকল বিভাগ

১৪ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট বিভাগ

১৫ ফেব্রুয়ারি: খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগ

১৬ ফেব্রুয়ারি: খুলনা ও বরিশাল বিভাগ


আরও খবর

এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আসলে জীবনটা কী? অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শামীমা নাছরিন, সিনিয়র সাংবাদিক :

ভেবে মনে হলো, জীবনটা আসলে যুদ্ধ। টিকে থাকার লড়াইয়ে হাজার রকমের প্রচেষ্টার সমন্বয়। একটা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই আরেকটা যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে। যেন সিনেমার সিকোয়েন্স। 

অবশ্য, বাবা-মার সামর্থ্য থাকলে ছোটবেলায় লড়াইটা কম করতে হয়। কিন্তু জীবনে যখন একা চলার প্রয়োজন হয় বা নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হয় তখনই যুদ্ধটা শুরু হয়। শুধুমাত্র সময়ের সঙ্গে এর ধরণটা বদলে যায়।

শিক্ষা জীবনে পড়ালেখায় ভালো করা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। পরীক্ষায় কে কার চেয়ে ভালো ফল করতে পারবে এ নিয়েই মূলত যুদ্ধ। শিক্ষা জীবন শেষে চাকুরির জন্য যুদ্ধ। তবে, চাকুরির পাশাপাশি পরিবারের চাপে বিয়ে না করা ইস্যুতে যুদ্ধ করে মেয়েরা। যেসব মেয়েরা চাকুরি-সংসার দুটোই সামলান তারা জড়িয়ে পড়ে মহাযুদ্ধে। ঘর-বাহির করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হলেও  জিতে যায় বিবাহিত মেয়েরা। তবে, নতুন যুদ্ধ শুরু হয় মা হওয়ার পর। বাচ্চার দেখভাল করতে গিয়ে সংসার ও চাকরি নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধে নামে মায়েরা। এ সময় পরাজিত হয়ে চাকুরি ছেড়ে দেয় অনেকে। চাকরি ছাড়লেও যুদ্ধ কিন্তু শেষ হয় না। কাঁধে দায়িত্ব চাপে সংসার ও সন্তানের। সন্তানের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে খারার তৈরি এবং স্কুল-কোচিং বা অন্যান্য শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে পড়ে মায়েরা। তিন বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্তানকে আনা নেওয়ার জন্য সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা। এক সময় সন্তান বড় হয়ে গেলে যুদ্ধ হয় নিজের শরীরের সঙ্গেই। জীবন পরিক্রমায় শরীরটাই যেন যুদ্ধক্ষেত্র হয়। আজ এ রোগ তো কাল সে রোগ। এভাবেই যুদ্ধ করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে মৃত্যুর কাছে হেরে যায় মানুষ।

তাই দুইদিনের জীবনে এতো প্যারা নিয়ে লাভ নেই। আল্লাহ আমাদের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই হবে। আমরা শুধু সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখে দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক রাখতে পারি।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




পর্যটনের হাতছানি দিচ্ছে ‘তারুয়া’ সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত। যার একদিকে সবুজ বন, অন্যদিকে সৈকত পাড়ে বালুর ঝলকানি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণসহ জীব বৈচিত্র্যের সমারোহে ভরপুর এ চরটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। প্রায় ৪ দশক আগে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা এই চরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতিনিয়ত ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করছে। বলছিলাম ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনায় অবস্থিত তারুয়া সমুদ্র সৈকতের কথা। এই চরটি প্রকৃতির সুনিপুণ নিখুঁত এক অপরূপ সৃষ্টি।

জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রথমে চরফ্যাশনে যেতে হবে। যার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এরপর চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কপথ এবং ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে তারুয়া চরের। প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘের এই চরটি দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই। সৈকতের একপাশে বঙ্গোপসাগর আর অন্য পাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি, যা শেষ হয়েছে সৈকত ঘেরা ম্যানগ্রোভ বনে গিয়ে। এই চরের মোহনীয় রূপ সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

স্থানীয় জেলে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠে এই চর। ওই চর মোহনায় একসময়ে শত শত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ ধরা পড়ত জেলেদের জালে। তাই সেই মাছের কারণেই এ চরের নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া। শীত মৌসূমে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসে। অধিকাংশ পর্যটক তাঁবু টানিয়ে রাত্রী যাপন করে থাকেন। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

তারুয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা লিটন, আরিফ ও শাহাবুদ্দিন বলেন, তারুয়া সৈকত প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য চমৎকার জায়গা। এখানে অপার সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে যে কারো ইচ্ছা করবে। এটা দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই।

ঘুরতে আসা পর্যটক মামুন বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিগত বছরে কক্সবাজার, কুয়াকাটা গিয়েছি। সেখানকার থেকে কোনো অংশে কম না তারুয়া সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং যাতায়াত ব্যবস্থা যদি সহজ করা যায়, তাহলে এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিতে পারে। সরকার যদি এখানে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, পুরো দ্বীপজেলাতেই পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনপুরা, ঢালচরের তারুয়া সৈকত ও চর কুকরি-মুকরি। এই জায়গাগুলোতে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও সহজ যোগাযোগব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে পর্যটকরা এখানে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও থাকতে পারে।


আরও খবর

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪