Logo
শিরোনাম

দাবি-দাওয়া ও অবৈধ যানবাহনে যানজট বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সরকার পরিবর্তনের পর রাজধানীতে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও অস্থিরতার কারণে সড়কের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় বেড়েছে যানজট, বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ট্রাফিক পক্ষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি এ কথা বলেন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ সারা দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। দেশের আপামর জনগণের কথা বিবেচনা করে ছাত্র-জনতা কিছুদিন সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে সড়ক ও পরিবহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতাসহ সমাজের নানা শ্রেণিপেশার লোকজনের কায়িক শ্রম ও মূল্যবান পরামর্শে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বেআইনি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো বৃদ্ধি পেলেও পরিবহন ব্যবস্থার সুশৃঙ্খল ও আধুনিকায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে হয়নি। শহরের জনগণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক যানবাহন উল্লেখযোগ্যভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি একই সড়কে রিকশা ঠেলাগাড়িসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করে। মানুষ তার প্রয়োজনে এসব যানবাহনের দারস্ত হচ্ছে। ফলে ঢাকা মহানগরীতে সুশৃঙ্খল ও কাঠামোগত ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কঠিন হচ্ছে। অপরদিকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও অস্থিরতার কারণে সড়কের শৃঙ্খলা ভেঙে যাচ্ছে। বৈধ-অবৈধ যানবাহনের অধিক্যের কারণে যানজটের আকার দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের চেষ্টা সত্ত্বেও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন আশানুরূপ হয়নি। ট্রাফিক সিগন্যালে দেশিয় প্রযুক্তি চালু করার জন্য একটি গবেষক দল কাজ করছে। আশা করি, স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা চালু হবে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শুধু সরকার কিংবা পুলিশের কাজ করার মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা আশানুরূপ উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন নগরীর প্রতিটি মানুষকে সম্পৃক্ত করা। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে গাড়ির চালক ও ট্রাফিক পুলিশের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনই নগরীর অধিবাসীদেরও ট্রাফিক আইন মেনে চলা একান্ত কর্তব্য।

এবারের ট্রাফিক পক্ষ উদযাপনে ছাত্র-জনতা যোগ দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় ৩০০ জন ছাত্র এই ট্রাফিক সপ্তাহে কাজ করবেন। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ জন্য তাদের আমরা একটা সম্মানী দেবো।

নগরবাসীর প্রতি আহ্বান রেখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ছাত্র-জনতাসহ নগরে বসবাসকারী জনসাধরণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ট্রাফিক শৃঙ্খলা উন্নয়ন সম্ভব। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর পুলিশ ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর ফলে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক বিভাগের কাজে যেমন গতি আসবে, তেমনই ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জনভোগান্তি কমে আসবে।

এর আগে ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪ উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, র‌্যালি ও বেলুন উড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম


আরও খবর



ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সামাজিক ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪’র তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমাজ গড়ার আওয়াজ তুলেছেন তরুণরা। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, ও বাক-স্বাধীনতার। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

থ্রি জিরোর ভিত্তিতে সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই সভ্যতা আমাদের ব্যর্থ করেছে। শুধু পরিবেশের দিক দিয়েই নয়, মানুষ মুনাফার পেছনে মরিয়া হয়ে উঠাও এর জন্য দায়ী। আসুন আমরা নতুন একটি সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরোর ভিত্তিতে। যেখানে সম্পদকে কুক্ষিগত করা হবে না। সবার মাঝে সমানভাবে বণ্টন হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদেশি অতিথিদের বলব আপনারা রাস্তাগুলো ঘুরে দেখুন। বাংলাদেশের তরুণদের মনের ভাষা বুঝতে পারবেন। আমি আপনাদের আহ্বান জানাব, নতুন একটি বিশ্ব গড়ার বিষয়ে ভাবতে। যেভাবে আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন একটি বাংলাদেশের বিষয়ে ভাবতে শিখিয়েছেন।

আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন।


আরও খবর



সুপেয় পানি পাচ্ছে না দক্ষিণ গাজার ১২ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। এতে মারাত্মক সুপেয় পানি সংকটে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে খান ইউনিস শহর। সেখানকার ১২ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত মানুষ সুপেয় পানির অভাবে এখন ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে খান ইউনিস শহর কর্তৃপক্ষ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

বিবৃতিতে নগর সরকার বলেছে, ক্রমাগত জ্বালানি বন্ধের কারণে নলকূপ এবং ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়েছে। খান ইউনিসের ১২ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত মানুষজন পানযোগ্য ও ব্যবহারযোগ্য পানি পাচ্ছে না।

নগর সরকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থগিত করার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সতর্ক করে বলেছে, অপরিশোধিত বর্জ্য জল রাস্তায় প্লাবিত হতে পারে, পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এতে রোগ ও মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে, নগর সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে, যা জীবনের সমস্ত দিক ধ্বংস করেছে।

নগর সরকার জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে এবং জনসেবা সম্পূর্ণ পতন রোধে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং খুচরা যন্ত্রাংশ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যের বিকল্প নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। দেশ আজ ক্রান্তিলগ্নে। কিছু কুচক্রীমহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। পাচার করা টাকায় বিদেশে তারা বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বিনষ্টে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আজ শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম-ওলামাসহ সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যারন তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে আগামী প্রজন্মের জন্য দেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মতবিনিমিয় সভায় উপরোক্ত বক্তব্য দেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে মিঞা মো. শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা. মোখলেসুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কী, পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সভায় উপজেলার সকল স্তরের শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম-ওলামা, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহন করেন।


আরও খবর



ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে রিকশাচালকরা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এর আগে, ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন ‌বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু।

প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। ঢাকা মহানগরের প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। তবে রিকশাচালকদের কোনো রকম প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ব্যবস্থা নেই। এ কারণে রাজধানীতে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য।


আরও খবর



সিপিবির সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যালেস্টাইনের জনগণের সাথে সংহতির আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি সভা উদযাপিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এই সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

সভায় সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাইদ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাকিল আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আক্তার।

সূচনা বক্তব্যে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘সকল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সনদ চরমভাবে লঙ্ঘন করে সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী গাজাসহ পুরো প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যে পশ্চিমা দেশগুলো কথায় কথায় বিশ্বকে মানবাধিকারের সবক দেয়, তারা আজ প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সম্পর্কে কার্যত নীরব। আরব লীগ এবং ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যতটা সরব, গাজায় গণহত্যা নিয়ে ঠিক ততটাই নীরব। প্রথমে তারা যুদ্ধবিরতিতেও ভেটো দিয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। অবিলম্বে প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলী বাহিনীর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সিপিবির এই সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে ১৯৭৩ সালে প্যালেস্টাইনের জনগণের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্যালেস্টাইনের মানুষ সব সময়ই সংকটের মধ্যে আছে। বাংলাদেশ প্যালেস্টাইনের এক অকৃত্রিম বন্ধু।

সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মদদে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার বিচার করতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।’

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান বলেন, ‘ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে দখলদার শক্তির সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে সকল বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আগামী দিনে আমরা প্যালেস্টাইনের জনগণের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আমাদের দেশের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’

সংহতি সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমরেডবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবা, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল সহ অন্যান্য সংগঠন  

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের আহ্বান জানায়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন  সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর