Logo
শিরোনাম

ডাক্তাররা ব্যবসা খুলে বসেছেন : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

চিকিৎসা সেবা বাদ দিয়ে ডাক্তাররা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ বার্তা জাতির কাছে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন আদালত। যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে ভবিষ্যতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।

ভিকটিমদের সেবার নামে সিন্ডিকেটের কবলে চিকিৎসা ব্যবস্থা বলেও মন্তব্য করেন আদালত। আদালত আরও বলেন, আগে দেখতাম পরিবারের কোনো সদস্য ডাক্তার হলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা ক্লিনিক খুলতেন। এখন ডাক্তারের পরিবার নয়, যে কেউ ক্লিনিকের ব্যবসা করছেন। তাছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় হবিগঞ্জের দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের (ক্লিনিক) মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এসময় জামিন না দিয়ে ডাক্তারসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।


আরও খবর



নওগাঁয় সড়কে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার ২৬ নভেম্বর দিনগত রাত পনে ১২ টারদিকে মহাদেবপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের পূর্বগেট সংলগ্ন মাসুদ ফিলিং স্টেশন এর সামনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এসময় সেখানে পার্ক করে রাখা রাহি ট্রাভেলস এর একটি বাসে কে বা কারা (দূর্বৃত্তরা) আগুন ধরিয়ে দিলে বাসে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। আগুনের খবর পেয়ে সাথে সাথে থানার টহল পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌছান। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার আশরাফুর রহমান জানান, বাসের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর



বৃষ্টি শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতের আবহে থাকা দেশে হঠাৎ করেই নিম্নচাপের কড়া নাড়া। তারপর সেই নিম্নচাপ পরিণত হলো ঘূর্ণিঝড়ে। মিধিলি নামের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মিথিলার কবির বিদ্যাপতির পদের মতোই মিহি বৃষ্টি ঝড়ল দেশজুড়ে। গুনগুনিয়ে কে যেন গেল শুনিয়ে, শীতের ওড়নি পিয়া গিরিসের বাও, বরিসার ছত্র পিয়া দরিয়ার নাও।  আবহাওয়া অফিসও বলছে, এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশজুড়ে ৩-৪ চার ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। মানে শরতের ফালি মেঘের আকাশ ডিঙিয়ে হেমন্তের হীম আভার ঘোর কাটিয়ে এবার দেশে নামতে চলেছে পুরোদস্তুর শীত। কারণ তো ওই ঝরে গেছে নভেম্বর রেইন।

গরমক্লিষ্ট মনের এবার শীতল হাওয়ায় প্রাণ এলিয়ে দেওয়ার পালা। ঋতু বৈচিত্র্য হারাতে বসা এ তল্লাটে এখন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাওয়া ভার। উল্টো গরমের প্রকোপটাই সারা বছর থাকছে বেশি। তবে কেবল শীত নয়, এই বৃষ্টি মনে করায় একটা গানের কথাও। যে গানের নাম নভেম্বর রেইন। ১৯৯২ সালে প্রকাশ হওয়া রক ব্যান্ড গানস অ্যান্ড রোজেস-এর সাড়া জাগানো গান এটি। যে গানের ভাঁজে ভাঁজে বিরহের আঁচ। প্রেমিকার রহস্যময় মৃত্যু আর শোকগাঁথা যার উপজীব্য 

তবে নভেম্বর রেইন সবার জন্য রোমান্টিক নয়। অফিসগামীদের হঠাৎ বিপদে ফেলে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েন বিপাকে। কারণ এই সময়ে কারোই যে বৃষ্টি বরণের প্রস্তুতি থাকে না খুব একটা। তারপরও মৃদু বর্ষণমুখর এমন দিন প্রকৃতির এক অনিন্দ্য দান। দুঃখের সাথেও তো বৃষ্টির আছে সখ্য। সুখ যেমন বৃষ্টিতে ভেলা ভাসায়, দুঃখও তো তেমন বৃষ্টি দরিয়ায় ভাসায় আপন ডিঙি নাও। আর দিন শেষে তো কথা থাকে ওই, বৃষ্টিরা কখনো একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে ভালো-মন্দের অনেক কিছু। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




অনির্দিষ্টকালের জন্য শতাধিক কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরের কোনাবাড়ি-কাশিমপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

১১ নভেম্বর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং জিরাবো-বিশমাইল সড়কের এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।

ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার গেটে টাঙানো নোটিশে লেখা, গত ৮ নভেম্বর কারখানায় বহিরাগত হামলা হওয়ার কারণে বিকেল ৩টার দিকে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে পরদিন ৯ অক্টোবর শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ বন্ধ রাখেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বেলা ১১টার দিকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগ না করে বিভিন্ন অবৈধভাবে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করতে থাকেন। এতে করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। কর্তৃপক্ষ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা শান্ত না হয়ে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এমন আচরণ শ্রম আইন অনুযায়ী অবৈধ ধর্মঘটের আওতায় পড়ে। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও অবৈধ ধর্মঘট করার কারণে ৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিংবা কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

আগামী এ্যাপারেল্স লিমিটেড কারখানার নোটিশে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কারখানায় এসে ফেইস পাঞ্চ করে। তারা কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার চেচামেচি করে। পরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যায়। এতে করে নিরুপায় হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু বেতনের আগ পর্যন্ত ৫ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যায়। বেতন হয়ে গেলে ৮ নভেম্বর আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। সাধারণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মিছিল করতে করতে কারখানা গেটে চলে যায়। এমতাবস্থায় আবারও কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয়। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ৯ নভেম্বর কারখানা বন্ধ রাখে। এমন কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃঙ্খলতা ও বে-আইনি ধর্মঘটের শামিল। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১১ নভেম্বর হইতে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।

কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার বিষয়টি শ্রমিকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েও জানিয়ে দিচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগামী এপ্যারেলস কারখানার এক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। আমাদের মোবাইলে এ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেকেই কারখানায় সকালে গিয়ে নোটিশ দেখে ফিরে এসেছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ যে আইন দেখিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে সেই আইনে কারখানা যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিনের বেতন পাবে না শ্রমিকরা।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোনো চিঠি দেয়নি। তবে বিভিন্নভাবে আমরা বন্ধের খবর পেয়েছি। অন্যান্য দিনের মতো আজও আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে মজুরি বোর্ডে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করা হলে সেটি প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। তবে শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোথাও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সারা দেশ থেকে পণ্য ঢাকায় ঢুকতে ভাড়া বেড়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে গেছে। বেড়েছে দামও। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের ওপরে।

অবরোধের আগে এক ট্রাক সবজি বা অন্য খাদ্য পণ্য বাইরে থেকে ঢাকায় আনতে যেখানে খরচ হতো দূরত্ব ভেদে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন একই পণ্য একই স্থান থেকে ঢাকায় পরিবহনে খরচ গুনতে হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তারপরও সব ট্রাক ঢাকায় আসতে চায় না; অবরোধকারীদের অগ্নিসংযোগের আতঙ্কে থাকেন। যারা আসছেন তাদের বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েক হাজার ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্যবোঝেই করে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারে কথা হয় ট্রাক ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে। তিনি যশোরের গদখালি থেকে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, অবরোধের সময় তিনি ট্রাক ভাড়া পাবেন ১৯ হাজার টাকায়। অবরোধের আগে একই ওজনের একই পণ্য এনেছিলেন ১৬ হাজার টাকা ভাড়ায়।

তিনি বলেন, অবরোধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কোন দিকে থেকে অবরোধকারীরা ট্রাকে হামলা করে! গ্লাসে একটি ঢিল মারলে যে ক্ষতি হবে তা এক মাসের ভাড়া দিয়েও উঠবে না। আর আগুন দিলে পুরো ট্রাক শেষ, এমনকি জীবনও যেতে পারে। এই ঝুঁকি নিয়েই আসছি, ভাড়া তো একটু বেশি নেবই। এমন অভিযোগ সুজন মাদবরের। তিনি ফুলকপি নিয়ে এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে।

তিনি বলেন, তারা আমিরুল ইসলাম নামে এক মহাজনের পুরোনো ট্রাকচালক। অনেক দিন থেকেই আমিরুলের পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনিও বেশি ভাড়া পাচ্ছেন। অন্য সময়ের থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি ভাড়া পাচ্ছেন হরতাল-অবরোধের সময়।

তিনি বলেন, অবরোধে ছেলেমেয়েরা ট্রাক চালাতে নিষেধ করে কিন্তু সংসার তো আছে। আতঙ্ক নিয়ে ট্রাক চালাই, কখন কি হয়। কিছু হলে কেউ না দেখলেও পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে ট্রাক নিয়ে বের হই।

একই আশঙ্কার কথা জানালেন কুষ্টিয়া থেকে চাল নিয়ে আসা ড্রাইভার আনছার আলী। তিনি মোহাম্মদপুর বাজারে আড়তে চাল নামিয়েছেন। তিনি বলেন, সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার অবরোধ দিচ্ছে না। এই কয়দিনই ট্রাক চালাই। অবরোধে বসে থাকি। এরপরও ভয় পিছু ছাড়ছে না।

অবরোধের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে আসা পণ্যের খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম কমার কথা ছিল, কমছেও। কিন্তু যে হারে কমার কথা ছিল সে হারে কমছে না। বাড়তি পরিবহন ভাড়ার কারণে পণ্যের দামও বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারে মুলা নিয়ে আসা হাফিজুর রহমান জানান, তিনি সংবাদপত্রের ফিরতি গাড়িতে করে মুলা নিয়ে এসেছে। রাত তখন সাড়ে ১১টা। বাস থেকে মল সড়কে মুলা নামিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সামনে ফাঁকা জায়গা মুলার বস্তা রাখছেন। তিনি আরো বলেন, অবরোধের আগে যে বস্তা ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে এনেছিলাম, অবরোধের সময় একই বস্তার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৩০ টাকা। এর ফলে প্রতি কেজি মুলাতে খরচ বেড়েছে এক থেকে এক টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরও আগের মতো ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যের চেয়ে বেশি ভাড়া দিলেই কেবল ট্রাক ঢাকায় আসে বলে জানান তিনি। অন্য সবজি, ফল বা পণ্যেও এভাবে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীদের যাতায়াত কমে গেছে। আগে ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সবজি ঢাকার আনার জন্য ব্যবসায়ীরা মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সশরীরে এসব পণ্যের উৎপাদন স্থলে যেতেন। এখন অনেকেই আর এলাকায় যাচ্ছেন না। প্রয়োজনে ফোনে ফোনে কথা বলে পণ্য আনছেন। খুব প্রয়োজনে দুয়েকজন যাচ্ছেন বা কর্মচারী পাঠাচ্ছেন। এতে পণ্যটি ঢাকায় এলেও দাম বা মানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় প্রত্যাশার মতো কাজটি হচ্ছে না।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আর ব্যবসায়ীদের জায়গা দখল করেছে কৃষকরা। ব্যবসায়ী কম পাওয়ার কারণে কৃষকরা নিজেরাই কয়েকজন মিলে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য ঢাকায় আনছেন। সবজি এখন বিক্রি করতে না পারলে পরে দাম পড়ে যাবে। আবার মাঠে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তো আছেই। এজন্য কৃষকেরা নিজেরাই ঢাকায় চলে আসছেন। অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর জায়গা কৃষক দখল করেছেন বলে জানান তিনি। যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর মার্কেটে খোঁজ নিয়ে একই খবর মিলল।

অবরোধ-হরতালের প্রভাবের দেখা মিলেছে বাজারে। শীতকালীন শাকসবজির দাম উলে­খযোগ্য হারে কমেনি। মাছের বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

পণ্য পরিবহনে পুলিশ প্রহরা সাহস জোগাচ্ছে: অবরোধ চললে ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের গাড়ি পাহারা দিয়ে নিজ নিজ এলাকা পার করে দিচ্ছে বলে জানালেন যশোরের গদখালি থেকে আসা গিয়াস উদ্দিন।

তিনি বলেন, মাঠ বা ছোট বাজার থেকে ট্রাকবোঝাই করে সড়কে উঠলেই দাঁড় করিয়ে পুলিশ অনেকগুলো ট্রাক এক সঙ্গে করে নিজ জেলা পার করে দিচ্ছে। পরের জেলায় ওই জেলার পুলিশ পাহারা দিয়ে পার করে দিচ্ছে।

রাজশাহী থেকে আসা ব্যবসায়ীও এমন কথা জানালেন। তবে চুয়াডাঙ্গা বা ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাক পুলিশ প্রহরা ছাড়াই এসেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী এখলাছ হোসেন ও ড্রাইভার সুজন মাদবর। ফলে জীবন ও ট্রাক সম্পত্তির ঝুঁকি নিয়ে পণ্য আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া দেওয়ার পরও ব্যবসায়ী বা চালক-হেলপারের জানমালের নিরাপত্তা নেই।

প্রসঙ্গত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি দল। আগামীকাল রবিবার থেকে এ হরতাল পালন হবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা।

এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। তারপর ৭ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়। পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আবার চতুর্থ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। এর আগে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ পালন করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করায় তিন হেবি ওয়েট প্রার্থকে শোকজ করেছে ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

আগামী ১ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথিমধ্যে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন। 

নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।

 এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬(ঘ), ৮(ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।

 ওই আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা অনুসন্ধান কমিটির দপ্তরে আগামী ১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় সময় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যদিকে, বিধি ভঙ্গের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে শোকজ করেছে ইসি। 

আজ বৃহস্পতিবার একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা-১৯ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীরকেও শোকজ করা হয়েছে।

  ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় জবাব দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩