Logo
শিরোনাম

দাম কমল ২৩ ধরনের হার্টের রিংয়ের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০ হাজার ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে রিং।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে।

তবে সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে এই মূল্য নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর। নতুন করে হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করায় রিং ভেদে দাম বেড়েছে ২ হাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ইউরোপীয় আমদানিকারকেরা রিং সরবরাহ বন্ধ রাখায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছিল বলে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেসের পরিচালক ও ডিজিডিএর বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে হার্ট রিংয়ের দাম কমানো হলে ইউরোপিয়ান রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের দারস্থ হয়েছিল। রিটের মিমাংসা হওয়ার পরে তাদের প্যারেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। ওই দামে রিং বিক্রি করলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের পক্ষে ওই দামে রিং সরবরাহ করা সম্ভব নয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হার্টের রিংয়ের মূল্য হ্রাসে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ডিজিডিএ নতুন নির্ধারিত দামের সঙ্গে ২০২১ ও ২০২২ সালের রিংয়ের দামের তুলনা করেছে। সে হিসেবে রিংয়ের দাম কমেছে। তবে সেখানে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা দামের উল্লেখ নেই।

অধিদপ্তরটির পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে রিংয়ের দাম কমানোর চেষ্টা করছিলাম। এর প্রেক্ষিতেই এটা করা হয়েছে। সবগুলো হাসপাতালে নতুন এই মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে।

বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের রিং ব্যবহার হয়ে থাকে। নতুন মূল্য তালিকায় এগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মাস কয়েক আগে ৩টি স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছিল, যেগুলো এখন অপরিবর্তিত রয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঔষধ প্রশাসন যখন রিংয়ের দাম নির্ধারণ করে দেয় তখন আমদানিকারকদের একটি বড় অংশ নতুন মূল্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিলে। যা পরবর্তীতে আদালতেও গড়িয়েছিল। তবে এবার নতুন দাম নির্ধারণ করার পর এখন পর্যন্ত কোনো আপত্তি দেখা যায়নি।

কোন রিংয়ের কত দাম নির্ধারণ-

পোল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের দাম ৬০ হাজার টাকা, অ্যালেক্স ব্র্যান্ড ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ড ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের দাম ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ড ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ড ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের দাম ৬৩ হাজার টাকা, ওরসিরো মিশন ৬৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের দাম ৫৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৬২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৬৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের দাম ৬৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।

ভারতে তৈরি মেটাফর ব্র্যান্ডের দাম ৪০ হাজার টাকা, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ড ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম মর্ফ ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরো ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্ট ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্সের দাম ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফা ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডম ৬৮ হাজার করা হয়েছে।


আরও খবর



স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে, আলুর দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অবশেষে শীতের সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে আলুর বাজার বেশ চড়া। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হাজী জয়নাল আবেদীন বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক। ফলে কয়েকদিন আগে অস্থির হয়ে ওঠা বাজারে এখন স্বস্তির হাওয়া বইছে।

বাজারে বর্তমানে চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। ৮০ থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি শিমের জন্য।

বারোমাসি সবজির মধ্যে করল্লা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। গাজর ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাল কুমড়ার পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে দাম কমে লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা কেজি।

বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম যেমন কমেছে, একই সঙ্গে শীতকালীন সবজির তালিকায় উঠে এসেছে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ। কেজি ৬০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে সবজির বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে বাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডায়মন্ড আলু। কেজি ৮০ টাকা। এতে বিরক্ত সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার সকালে আলুর দাম প্রসঙ্গে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। মিরাজ হোসেন নামে একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, আমরা তো যাত্রীদের থেকে দুই টাকা ভাড়া বেশি নিতে পারি না। ৮০ টাকায় আলু কেনা লাগে। অনেক কষ্ট হইয়া যাইতেছে।

একই কষ্টের কথা জানালেন নির্মাণ শ্রমিক দিলু মিয়া। বলেন, আমগো ভাই অনেক কষ্টের ট্যাকা। বহুত কষ্ট কইরা ইনকাম করি। গরুর মাংস, খাসির মাংস তো কিনিই না। এখন তো আলুও কিনতে পারি না। ৮০ টাকা কেজি! আমগো মতো মানুষের জন্য ৮০ টাকা অনেক টাকা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




কুয়াশায় নৌ চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে এখনও শীতের আমেজ অনুভূত হয়নি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেকে বসতে শুরু করেছে শীত, সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী মানুষের, বিশেষত চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। শীতজনিত অসুখবিসুখ বাড়ছে। গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। এদিকে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ০৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পায়ে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

চাঁদপুর : ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় হরিণা ও নরসিংহপুর আলুবাজার ঘাটের ফেরি চলাচল। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল ৯টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে কুয়াশা বেড়ে যায়। ফলে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোররাত ৪টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

রাজশাহী ব্যুরো : শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীসহ আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। সোমবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজশাহী অঞ্চলের আকাশ। দুপুর ১২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক-মহাসড়কে। সোমবার দিনের প্রথমভাগে রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘনকুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হবে কিনা-জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক উম্মে ছালমা জানান, মাঠে মাঠে আলু বীজ রোপনের কাজ করছেন চাষিরা। এক-দুদিনের কুয়াশায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে আলু বীজ অঙ্কুরোদম হতে দেরি হবে।

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রামাঞ্চল থেকে শহরের সড়কগুলো সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়তে থাকে কুয়াশা। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। শীত উপেক্ষা করেই শ্রমজীবীরা নিজ নিজ কাজে যাচ্ছেন। ঘন কুয়াশায় ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় স্থানীয় তাপমাত্রার হিসাব রাখে। এই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি কিছু দপ্তর থেকে ১ হাজার কম্বল পেয়েছি। খুব শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত উপেক্ষা করে কাজে নামছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত রোদের দেখা মিলেনি।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুর জেলায় ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। সোমবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিন্ম ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এদিকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলতুত মিশ আকন্দ বলেন, হাসপাতালে বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন বর্হি বিভাগ হতে ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বদলগাছী (নওগাঁ) : নওগাঁর বদলগাছীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত পড়ছে জনজীবন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলে মেলেনি সূর্যের দেখা।সোমবার সকালে বদলগাছী আবহওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। ঘন কুয়াশার জন্য গাড়ির হেড লাইট জালিয়ে রাস্তার যানবাহন চলাচল করছিলো। লোক সমাগম বেড়েছে চা দোকানে।স্থানীয় বয়স্ক কৃষক পলাশ বলেন, শীতের কারণে আজ ক্ষেতে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। বরো ধানের বীজতলা তৈরি এবং চারা গজানো নিয়ে বিপাকে আছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান জানান, এ রকম কুয়াশা ও ঠান্ডা আর কয়কদিন থাকলে বোরো ধানের বীজতলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগের ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ড. নজরুল ইসলাম জানান, শীতে শিশুদে ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম জানান, বদলগাছীতে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার সঙ্গে শীতার্তদের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দের ব্যপারে কথা বলেছি। আমরা দ্রুতই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য গরম কাপড় বিতরণ করবো।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার শীত আর ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যের দেখা মেলেনি। ক্ষেত খামারের মজুররা পড়েছেন বিপাকে। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শহরের ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে।

সদর উপজেলার চরবনবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫১) বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাচা মরিচ খেতের পরিচর্য়া করতে হচ্ছে। কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গা চরের নৌকার মাঝি হানিফ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদী দিক ঠিক রাখা যায় না। অনেক সময় দিক ভুল হয়ে নৌকা চরে গিয়ে আটকে যায়। এই ঘাট থেকে শহরের মতি সাহেবের ঘাটে যেতে আগে সময় লাগতো ৪০ মিনিট। এখন সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। বড় বাজার,হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। পুরান কাপড় কিনতে আসা রিক্সা চালক জ জব্বার আলী (৬০) বলেন, কঠিন ঠান্ডা পড়েছে ভাই, পেটের জ্বালায় রিক্সা নিয়ে বের হতে হচ্ছে।

কালাই (জয়পুরহাট) : উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে জয়পুরহাটেও শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোর মধ্যে এ জেলাতেও গত তিনদিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দিনের বেলায় যেমনতেমন রাতের বেলায় ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত দুইদিন যেমনতেমন সূর্য্যের দেখা মিললেও আজ সোমবার একেবারেই দেখা মেলেনি। রাস্তায় হেড-লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিপাকে পরেছে স্বল্প আয়ের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

বদলগাছী আবাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সোমবার জয়পুরহাটসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন গত শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ এবং ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন ঘন কুয়াশার মধ্যে রোদের দেখা মিললেও সোমবার সকাল থেকেই সূর্য়ের দেখা মেলেনি। সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

এ অবস্থায়ও থেমে নেই স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর কর্ম। পরিবারের জন্য এমন কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে ছুটতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে শীত নিবারনের কাপড় ছাড়াই কোনোমতে বাড়ির বাহিরে এসে তারা নিজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাস চালক কেরামত আলী বলেন, কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেড লাইট জালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর ঠান্ডায় যাত্রীও কম। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

কথা হয় পুনট এলাকার চায়ের দোকানদার আক্কাস আলীর সাথে। তার দোকানের উপরে কয়েকটি টিনের ছাউনি আর চারদিকে খোলা। অনবরত তাকে পানি নাড়াচড়া করতে হচ্ছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে তার শরীর হিম হয়ে ওঠেছে। আক্কাস আলী বলেন, একদিন দোকান বন্ধ থাকলে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। পরিবারের তাগিদে এমন শীতে আমাকে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। যখন কুলাতে পারছিনা তখন খড়কুটা জালিয়ে শীত কাটাচ্ছি।

পাঁচশিরা বাজারে অটোভ্যান চালক বালা মিয়া বলেন, হারকাপানো এই শীতে সবাই ঘরে রয়েছে, আমাকে পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সারাদিনে যেটুকু পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীত নিবারনের গরম কাপড় কি দিয়ে কিনবো। শুনতে পাচ্ছি অনেকেই কম্বল আবার কেউ জ্যাকেট পেয়েছে। কই আমি সারাদিন রাস্তায় পড়ে আছি, কেউ একটি কম্বল বা জ্যাকেটও দেয়নি আমাকে।


আরও খবর



অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনে আলোচনা রাখতে গিয়ে এ দুশ্চিন্তার কথা জানান।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যা থেকে অনেক দূরে রয়েছে বাংলাদেশ।

একই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশকে বেরকরতে হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রযুক্তির ব্যবহার জেনো বাড়ানো যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ারও তাগিদ দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, এ কাজে এগুতে হলে প্রথমেই মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশল নিতে হবে। পাশাপাশি সেবা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ।

একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ দেন ইন্দরমিত এস গিল।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




বাড়ছে শীতের প্রকোপ, দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। কার্তিক মাসের শুরুতে এই অঞ্চলে শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করে। মাঝরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চারপাশ কুয়াশার পর্দায় মোড়ানো থাকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মহাসড়কে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া অনেকেই গায়ে জড়িয়েছেন হালকা শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস আর হিম কণা আভাস জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লেও শীতের তীব্রতা সেভাবে নেই।

দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকার ইজিবাইকচালক সাগর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকেই হালকা হালকা শীত অনুভব হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে গেছে। বেশিদূর দেখা যাচ্ছে না। যদিও বা ঠান্ডা নেই সেভাবে। শীত এলে ঠান্ডা আর কুয়াশায় আমাদের গাড়ি চালানো একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

পিকআপের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর যাচ্ছি। পিকআপের মাল নিয়ে সকাল ৮টায় বের হয়েছি প্রায় এক ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রাস্তা দেখা যাচ্ছে না তাই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, শীত আর ঘুন কুয়াশা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। বেশি কুয়াশা হলে আলুর গাছের ক্ষতি হতে পারে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ৯ টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সুফী একটি আত্মা বিষয়ক অধ্যায় । আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। সুফিবাদের একমাত্র মূল বিষয়টি হল, আপন নফসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া। জীবাত্মাকে পরমাত্মার অধীন করা। আল্লাহ পাক যে শয়তানটিকে
আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে তার সাথে জিহাদ করে তার থেকে মুক্ত হয়ে এ জড় জগত থেকে মুক্তি পাওয়া। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার


এবং আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাতিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এর মতে, আল্লাহর ব্যাতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ বলে

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহঃ


সুফীবাদ এক প্রকার রহস্যময় হৃদয়ভিত্তিক ও আত্মোপলব্ধিমূলক মতবাদ। একে রুহানী প্রশিক্ষণও বলা হয়। ব্যক্তির আত্মার পরিশুদ্ধি ও পরম সত্তার সন্ধানই এর লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সুফীগণ কতগুলো মূলনীতি ও স্তর তৈরি করেছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো

মূলনীতি সমুহঃ-


১. তাওবা : অন্যায় ও পাপের ওপর আন্তরিক অনুশোচনা, অন্যায়ের স্বীকৃতি ও বিষ্যতে এ কাজ না করার দীপ্ত শপথ। তাওবা হচ্ছে সুফী মতবাদের প্রথম মূলনীতি


২. তাওয়াক্কুল : সর্বাবস্থায় দয়াময় আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করাই তাওয়াক্কুল


৩. পরিবর্জন: এ প্রসঙ্গে নিজামুদ্দীন আওলীয়া বলেন : স্বল্প আহার, স্বল্প কথন, স্বল্প মেলামেশা, স্বল্প নিদ্রার

 মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের পূর্ণতা।


৪. সবর : যে কোন অবস্থায় অস্থির না হয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নেয়াই সবরের একমাত্র দাবী


৫. আত্মসমর্পণ : গুরুও কাছে নিজ আত্মাকে সোপর্দ করে দিতে হবে


৬. ইখলাস : নিছক আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সব কাজ করতে হবে


৭. আল্লাহর প্রেম : অন্তরে পার্থিব জগতের কোনকিছুর প্রেম ও মোহ থাকতে পারে না। সর্বক্ষণ আল্লাহকে পাওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকতে হবে


৮. আল্লাহর যিকর : আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ও অন্তরকে পরিশুদ্ধি করার জন্য সর্বদা আল্লাহর যিকর


৯: শুকুর : আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান ও আনুগত্যকরণ শুকর বলা হয়

স্তরসমুহঃ 
১. ফানাফিস শায়েখ : এই স্তরে সাধক তার মোরশেদের সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে তার মোরশেদ চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে মোরশেদ তাকে রাসুল (দ:) এর কাছে পৌছে দেন

২. ফানাফির রাসূল : এই স্তরে সাধক গন রাসুল (দ:) এর সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে রাসুল (দ:) চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে রাসুল (দ:) তাকে এর মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে পৌছে দেন

৩. ফানাফিল্লাহ ও বাকাবিল্লাহ :


ফানা ফিল্লাহ এবং বাকাবিল্লাহ হচ্ছে সুফী সাধনার সর্বোচ্চ স্তর। এ স্তরে পৌঁছলে সুফী নিজের ব্যক্তিগত চেতনাকে মুছে দিয়ে ঐশী চেতনায় উন্নীত হন। ব্যক্তিগত চৈতন্য খোদার ধ্যান ও প্রেমে সমাহিত হয়। তাই আত্মচেতনার অবলুপ্তিকেই বলা হয় ফানা


ফানার শেষ পর্যায়ে শুরু হয় বাকার প্রাথমিক পর্যায়। এ স্তরে সুফী সাধক আল্লাহর চিরন্তন সত্তার অবস্থান করেন

প্রাপ্তি কাশফ : সুফীগণ যখন আধ্যাত্মিক সাধনার চরম পর্যায়ে উপনীত হন তখন তার অন্তদৃষ্টি খুলে যায় এবং তার সামনে গোপনীয় সকল রহস্যদ্বার খুলে যায়। এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর অসীমতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন

 


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪