Logo
শিরোনাম

দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রেনে আসবে সবজি

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

দেশজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। শাক-সবজি, মাছ, ডিমসহ কৃষিপণ্যের বাজারও চড়া। অন্তর্বর্তী সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই পণ্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের পরিকল্পনা করছে সরকার।

সেজন্য ১৫টি অঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য পরিবহন করবে রেলওয়ে। তিনটি স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় সবজি, ফলমূল, মাছ, ডিম সরবরাহ করা হবে

আগামী মঙ্গলবার থেকে ট্রেনে শাক-সবজি, মাছ, ডিম ও ফল পরিবহন করা হবে। খুলনা, রাজশাহী ও পঞ্চগড় থেকে সপ্তাহে একদিন চলবে স্পেশাল পারসেল ট্রেন। রেলওয়ে বলছে, এতে মধ্যস্বত্বভোগী ও আড়তদারের দৌরাত্ম্য কমবে। পাশাপাশি কমবে দাম ও রাজধানীবাসী পাবে টাটকা সবজি

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেলের ভাড়া তুলনামূলক কম, সহজে এবং পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব। সেই লক্ষ্যে আপাতত খুলনা, রাজশাহী, পঞ্চগড় এই রুটগুলোকে নির্ধারণ করা হয়েছে। সপ্তাহে পণ্য নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে একদিন

চাহিদা বাড়লে ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা হবে। ভাড়া ঠিক করা হয়েছে কেজি প্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দুই টাকা।

সরদার সাহাদাত আলী আরো জানান, সাড়ে ১২টা বা ১টার মধ্যে ট্রেনগুলো যাতে তেজগাঁও পৌঁছে যায় সেভাবে সময় নির্ধারণ করা হবে। কেউ যদি ঢাকা পর্যন্তও মালামাল বহন করতে চায়, তাহলে সেটিও করা সম্ভব।

এর আগে ২০২১ সালে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা চালু হয়নি। আম ও গরু পরিবহনেও বিশেষ ট্রেন চলেছে, কিন্তু লাভজনক হয়নি


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




শারদীয় দুর্গোৎসব বুধবার শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

আগামীকাল বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর রবিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী ও ১২ অক্টোবর মহানবমী এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।


আরও খবর

২০২৫ সালের হজের খরচ কমতে পারে

মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪




ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারীদের চক্রান্তের বিষে হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধু ইভা খাতুনের (২০)। এ ঘটনায় আহতের পিতা ইকরামুল হক (৪৪) বাদি হয়ে ৪জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পারিবারিক এই সংঘাতে থানার অভিযোগে বিবাদী হয়েছেন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের আমজাদ ঢালীর ছেলে আঃ কুদ্দুস আলী (৩০), আমজাদ ঢালীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), আমজাদ ঢালী (৫৫) ও বিদ্যুৎ হোসেন (৩০)।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ডহর-মাগুরা গ্রামের বাদি (ইকরামুল হক) এর একমাত্র মেয়ে ইভা খাতুনের (২০) সাথে ০১ বছর পূর্বে একই উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের ২ ও ৩নং বিবাদীর ছেলে ১নং বিবাদীর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় ও ০৪ নং বিবাদী বাদির মেয়ের চাচাতে দেবর। বিবাদীরা অত্যন্ত খারাপ, যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারী লোক। বিয়ের পর বাদি তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অদ্যবধি ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার (৪ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি) বিবাদীদের নিকট দেওয়ার পরও যৌতুক লোভী পরিবারের যৌতুকের দাবিতে ১,২ও ৩নং বিবাদীরা বাদির মেয়ের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে বিবাদী ৪ জন মিলে বাদির মেয়েকে লোহার শাবল দিয়ে মারপিট করে। এরপর ৩ ও ৪ নং বিবাদীরা বাদির মেয়েকে মাটিতে ফেলে হাত পা চেপে ধরে এবং ২নং বিবাদী তার (ইভা খাতুনের) মুখে ঘাস মারা তেল (বিষ) ঢেলে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। বিষক্রিয়ার ফলে বাদির মেয়ে মৃত্যুর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দাপাদাপি শুরু করলে এলাকাবাসীরা তাৎক্ষণিক ভাবে বাদির মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উক্ত হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। বর্তমানে আহত বাদির মেয়ে ইভা খাতুন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আহতের পিতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।   

অভিযোগের বিবাদী কুদ্দুস আলী বলেন, আমার মায়ের সাথে আমার গন্ডোগোল হচ্ছিল সেই সময় ও এসে ঝামেলা করছিল। আমি ওতে সরে যেতে বললে ও ঘরে গিয়ে স্প্রে করার ঔষুধ খেয়েছে। আমরা ওকে মারেনি।

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী বলেন, পারিবারিক গোলযোগের উপর একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের উপর অতি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সত্যের জয় হবেই : হাথুরুসিংহে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অসদারচণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে চাকরিচ্যুত করে। ৪৮ ঘণ্টার শোকজ নোটিশ দিলেও মূলত ওইদিনই লঙ্কান কোচকে অব্যাহতি দিয়ে দেয় বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হাথুরুসিংহের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি জানিয়েছে। শোকজ নোটিশে সাবেক কোচ কী জবাব দিয়েছিলেন, সেটি জানার আগ্রহ ছিল সবার। কিন্তু বিসিবি সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি। হাথুরুসিংহে নিজেই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।

দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে হাথুরুসিংহে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই চাকরি হারালেন। প্রথম অভিযোগ বাংলাদেশের ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলা। ভারতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে নাসুমের গায়ে হাত তোলেন হাথুরুসিংহে। ওই বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন। ম্যাচে বিরতির সময় একাদশের বাইরে থাকা নাসুমকে পানি নিয়ে মাঠে যেতে বলেন কোচ হাথুরুসিংহে। সবকিছু গুছিয়ে পানি নিয়ে মাঠে যেতে নাসুমের ৩০ সেকেন্ড দেরি হয়। যে কারণে সেদিন তাকে চড় মারেন হাথুরুসিংহে। হাথুরুসিংহের এমন ব্যবহারে সেদিন নাসুম কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। প্রধান কোচের এমন ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দলের ট্রেইনার এবং বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররাও ঘটনাটি জানতে পারেন

শুধু অসদাচরণই নয়। হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে ইচ্ছে মতো ছুটি কাটানোর অভিযোগও আছে। তার জন্য বছরে ছুটি বরাদ্দ ছিল ৪৫ দিনের। তবে গত বছর তিনি কাটিয়েছেন ৬৭ দিন ছুটি। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন এই লঙ্কান কোচ। অতিরিক্ত ছুটির জন্য বিসিবির কাছে থেকে অনুমতিও নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এটাকে আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে দেখছে বিসিবি

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের অবস্থান জানিয়ে এক লম্বা চিঠি গণমাধ্যমের কাছে পাঠিয়েছে হাথুরুসিংহে, ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে একজন খেলোয়াড়ের উপর কথিত হামলা এবং অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে আমার সততা এবং পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা সাম্প্রতিক অভিযোগের ব্যাপারে আমি এই চিঠি লিখছি। এই ব্যাপারে চুপ থেকে আমি এই ধরনের অনুমানভিত্তিক বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ না করে থাকতে পারবো না। আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা দরকার। আমি আমার কথাগুলো বলতে চাই।

নাসুমকে চড় মারার অভিযোগ নিয়ে লঙ্কান কোচ বললন, প্রথমত, অভিযুক্ত ঘটনাটি খেলোয়াড়দের ডাগআউট বা ড্রেসিং রুমে ঘটেছিল, যে জায়গায় বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকে। ৪০ থেকে ৫০টিরও বেশি ক্যামেরা খেলার প্রতিটি মুহূর্ত সঙ্গে সঙ্গে ধারণ করে। আমি অভিযোগকারীকে যাচাই করার সুযোগ পাইনি বা কোনও সাক্ষীও পাইনি, আদৌ যদি থেকে থাকে।

অভিযোগ দেরিতে ওঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, আরেকটি বিষয় হলো, ঘটনাটি যতটা গুরুতর হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার যে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ইভেন্টের পরে অবিলম্বে টিম ম্যানেজার বা কোনও কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায়নি। যদি অভিযোগ করাও হয়, আমি বিস্মিত যে কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি কিংবা আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। প্রশ্ন উঠছে, কেন এটি কয়েক মাস পরে ইউটিউবে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?

অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বললেন, ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়ার বেলায় সবসময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান উভয়ের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোনও সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং আমি যতবারই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা মঞ্জুর করেছে। তাদের অনুমতি ছাড়া আমি কখনও ছুটিতে যাইনি।

তিনি আরও যোগ করেছেন. নতুন বোর্ড সদস্যরা অভিযোগ করলো যে আমি অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছি। আমার ছুটির মধ্যে পড়া সরকারি ছুটির হিসাব করেনি, যেমন ঈদের দিন, শুক্রবার। আমি যখন সরকারি ছুটির সময আমি ছুটি নেইনি, তখন তারা বাহবা দেয়নি। আমি এটা বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, আমি শুক্রবারে করা কাজের জন্য পরে সেই ছুটি পাওয়ার দাবি রাখি। একজন বিসিবি চাকরিজীবী হিসাবে, আমি শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের অর্ধেক দিন মিলিয়ে দেড় দিনের ছুটি পাই। আরেকটি ব্যাপার মনে করাতে হবে যে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সময় বিদেশি কোচদের ছুটি নেওয়াটা একটা সাধারণ রীতি। এটি আমার কাছে ব্যতিক্রম কিছু নয় বরং আমার মেয়াদের আগে অনেক বিদেশি কোচের জন্য এটি স্বীকৃত ব্যাপার।

এসব অভিযোগকে পূর্বপরিকল্পিত দাবি করলেন তিনি, আমার মনে হচ্ছে এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত। নতুন সভাপতির মেয়াদের প্রথম দিনে, তিনি প্রধান কোচকে অপসারণের ইচ্ছা প্রকাশ করে একটি প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়েছিলেন। আরেকজন প্রধান কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে শোকজ নোটিশ পেয়ে আমি হতভম্ব। সেখানে বলা হয়েছে যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হাতে আছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ঘটনার ক্রমধারা এই কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

সবকিছু এত দ্রুত হওয়া হাথুরুসিংহে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমার নিরাপত্তা শঙ্কায় আমাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। এসব অভিযোগ, দ্রুত নতুন প্রধান কোচের নিয়োগ এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব নতুন ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য এবং বিসিবির ভেতরের কর্মীদের আচরণের ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করছে।

নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, আমি আমার সম্মান রক্ষা করতে সংকল্পবদ্ধ এবং এই বিষয়ে যে কোনও তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে, এবং আমি আমার ভালোবাসার খেলাতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে পারবো


আরও খবর



ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, পুলিশ কর্মকর্তা, কাউন্সিলরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

উত্তম কুমার - যশোর জেলা প্রতিনিধি ::

যশোর শহরের কসমেটিকস ও কেবল ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন পনিকে অপহরণ, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন পৌর কাউন্সিলরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার আজগর আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন পনির অভিযোগটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিলে কোতোয়ালি থানার ওসি মামলাটি গ্রহণ করেন।

মামলার আসমিরা হলেন চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই জামাল হোসেন, টিএসআই রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, রায়পাড়া কয়লাপট্টির মৃত ইয়াসিনের ছেলে সার্জেন্ট বাবু ও চাঁচড়ার ভোমরের ছেলে খায়রুজ্জামান বাপ্পি।

পনির মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শহরের বড় বাজারে সুনামের সাথে কসমেটিক ও কেবল ব্যবসা করে আসছেন। কাউন্সিলর সুমনের সাথে বিরোধের জের ধরে তার পরিকল্পনায় ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট রাতে এসআই জামাল ও টিএসআই রফিকের নেতৃত্বে একটি টিম নিজ বাড়ি থেকে তাকে ধরে থানায় নিয়ে রাখেন। ওই রাতে স্বজনেরা মুরাদকে ছাড়াতে গেলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পুলিশ। অন্যথায় মুরাদকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেন।

পরদিন ৩০ আগস্ট সকালে থানায় গিয়ে স্বজনেরা অনুনয় বিনয় করলে ১২ লাখ টাকা দিলে মুরাদকে ছাড়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ১ সেপ্টেম্বর সকালে থানায় গিয়ে ওই দুই অফিসারকে ১২ লাখ টাকা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় মুরাদকে মুক্তি দেন। দুইদিন থানায় আটকে রেখে ১২ লাখ টাকা চাঁদা নিলেও পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় তিনি মামলা করতে পরেননি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আশায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

আরও খবর



এমপি কোটার ২৪ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে উঠছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ২৮৮ কোটি টাকা মূল্যের ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার নিলামে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এমপি পদ চলে যাওয়ার পাশাপাশি নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় না করায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্যানুসারে, গাড়িগুলো ১২তম সংসদের সদস্যরা আমদানি করেছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কারণে তারা এই শুল্কমুক্ত সুবিধা নিতে পারেননি।

সাধারণত ৮৫০ শতাংশ শুল্ক প্রয়োগের পরে প্রতিটি গাড়ির বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১০-১২ কোটি টাকা। তবে শুল্কমুক্ত স্কিমের আওতায় এমপিরা প্রতিটি গাড়ি মাত্র . কোটি টাকায় পেতেন।

গাড়িগুলো ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের কার শেডে পৌঁছায়। আইন অনুযায়ী, আমদানিকারককে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে গাড়িগুলো ছাড় করতে হতো। এই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ১৫টি ল্যান্ড ক্রুজারসহ গাড়িগুলো এখন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক নিলামে তুলবে।

২৩ অক্টোবর ১৮টি গাড়ির নথি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দরের কাছ থেকে কাস্টমস নিলাম শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, আরো ৬টি গাড়ির আমদানিকারকদের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কোনো জবাব না পাওয়া গেলে এই গাড়িগুলোও নিলাম প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪