Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

দাঁতের সমস্যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় কখনো কখনো কমবেশি সবাই ভোগেন। পিরিওডনটিটিস নামক মাড়ির এক ধরনের রোগে মুখে দুর্গন্ধ থেকে দাঁত থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে পারে।

তবে অবাক হবেন, মাড়ির রোগের কারণে হৃদযন্ত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমনটিই দাবি করা হয়েছে। তাই শুধু ডায়েট বা শরীরচর্চা নয়, নজর রাখতে হবে মাড়ির স্বাস্থ্যের দিকেও।

ক্লিনিক্যাল ফিজিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই বিষয় জানিয়েছেন গবেষকরা। তাদের মতে, পিরিওডনটিটিস এর সঙ্গে হৃদযন্ত্রে ফাইব্রোসিসের যোগাযোগ মিলেছে। এটা এমন একটা সমস্যা যার ফলে হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়।

হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শুনসুকে মিয়াউচির মতে, পিরিওডনটিটিসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহই ফাইব্রোসিসের কারণ।

প্রফেসর শুনসুকে মিয়াউচি জানান, মাড়ির এই রোগ আট্রিয়াল ফাইব্রোসিস তৈরি করে। বিভিন্ন রোগীর ইতিহাস যাচাই করা জানা গেছে, পিরিওডনটিটিস ও আট্রিয়াল ফাইব্রোসিসের পরিস্থিতির মধ্যে সম্পর্ক আছে।

মাড়ির ওই রোগ যত জটিল হবে, হৃদযন্ত্রে ফাইব্রোসিসের অবস্থাও ততটাই খারাপ হবে। এই ঘটনা থেকে গবেষকরা দাবি করেছেন, মাড়ির সমস্যার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক আছে।

হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বায়োমেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স এর গবেষক উকিকো নাকানোও এই গবেষণার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

যে সমীক্ষা হয়েছে তাতে দেখা গেছে পিরিওডনটিটিস আট্রিয়াল ফাইব্রোসিস-এর সমস্যা দ্রুতগতিতে বাড়াতে পারে।

গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী, হৃদরোগের সমস্যা দূরে রাখতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা ও ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাড়ির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসও বাদ দিতে হবে।


আরও খবর

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




উপকূল অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনার দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ি উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। মিঠা পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে "নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা" শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা একথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ গোলবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল'র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ'র সঞ্চালনায়

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। 

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স'র কৌশিক রায়, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা'র গীতিকার মোল্লা আল মামুন, লিডার্স'র কৌশিক, বাদাবন'র পপি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র কমলা সরকার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেয়া হয়। পৌর এলাকার ৫ হাজার ৬ শো হোল্ডিংধারীদের  মধ্যে ২ হাজার  ৬ শো হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেয়া হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে ৩/৪ শো গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। 

এরআগে সকাল ৯টায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের দাবীতে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। 

এ সময়ে তিনি বলেন ২০১০ সালে সুপেয় পানি পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে জাতিসংঘ। এসডিজি'র অভিষ্ট ৬ এর ৬.১ এ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সরকারকে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে জলাধার-পুকুর খনন ও সংরক্ষন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। র‌্যালীতে শতাধিক নারী-পুরুষ খালি কলস হাতে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।


আরও খবর



ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজান উপলক্ষে সব অফিস আদালতের সময় কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয় যেন অফিস শেষেও সবাই পরিবারের সঙ্গে গিয়ে ইফতার করতে পারেন। কিন্তু এই জ্যামের শহরে অনেকেই ঠিক সময়ে বাসায় উপস্থিত হতে পারে না। নগরবাসীকে যানজট বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে নানা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও মিলছে না তেমন সুফল।

রাজধানীতে সকাল ৯টার দিকে এবং বিকেল ৩টার পর থেকেই শুরু হয় যানজটের বিড়ম্বনা। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগরবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

উন্নয়নের কারণে রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ যাতায়াত নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে। তবে অধিকাংশের দুঃশ্চিতার কারণ রমজান মাসে অফিস শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে। এক্ষেত্রে মগবাজার, মালিবাগ, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১১টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের।

অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে।

অন্তত ১১টি রুটের যানজটের চিত্র সামনে আসছে, যেসব রুটে প্রায়ই লেগে থাকে। অনেক গণপরিবহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না বিধায় যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি।

ঢাকা মহানগর পুলিশেল (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তুত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।


আরও খবর



রাজাপুরে ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত থাকার অভিযোগ:

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রাহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক পড়েছে। এ উপজেলায় চলতি মাসের সম্প্রতি ৬ টিসহ গত আড়াই মাসে ১১ ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ায় বর্তমানে ৪টি স্থানের ট্রান্সফর্মার না থাকায় ২ শতাধিক পরিবার অন্ধকারে রয়েছেন। চুরি হওয়া স্থানে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে গ্রাহকদের টাকায় নতুন ট্রান্সফর্মার কিনতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ থাকাকালীন ও লোডশেডিংয়ের সময় ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে, যা কোন সাধারন মানুষের পক্ষে চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে। উপজেলার মধ্য চাড়াখালী গ্রামের আল আমিন জানান, কয়েকদিন আগে মধ্য চাড়াখালী ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে অন্তত ৩৫ পরিবার বিপাকে পড়েছে। নিমহাওলা এলাকার জাহিদ ও হিরন খান জানান, গালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের খায়রে হাট নিমহাওলা এলাকার ১০ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ১৫ পরিবারেরও বেশি পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ইসা আকন পলাশ জানান, ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের ৫ কেবি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এতে ১৫ পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে।


বদনিকাঠি গ্রামের মুন্না জানান, বদনিকাঠি খান বাড়ির ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে অনেক পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। সত্যনগর তুলাতলা এলাকার আখি, লিজা জানান, সত্যনগর তুলাতলা এলাকার সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে অন্তত ৭৫ পরিবার কয়েকদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে থাকলেও নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হচ্ছে না। এখনও গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনতে হবে বলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জানিয়েছে। বাগড়ি বাশতলা গ্রামের রিংকু সিকদার, নাদিম, আলিম ও আলম জানান, বাগরি বাশতলা গ্রামের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে যায় পরে ৪৫ জন গ্রাহকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনে স্থাপন করতে হয়েছে। এতে প্রায় এক সপ্তাহ অন্ধাকারে থাকতে হয়েছে সবাইকে। লাইন চালু থাকাকালিন সাধারন মানুষের পক্ষে ট্রান্সফর্মার চুরি করা সম্ভব নয়, এর সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হয়, ওই সময় ট্রান্সফর্মার চুরি। পল্লী ঠিকাদারের কর্মচারি, পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগসাজসে একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে। আর ট্রান্সফর্মার চুরি হলে পল্লী বিদ্যুতের অফিস থেকে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করতে হয়। নতুন ট্রান্সফর্মার বিক্রির একটি কৌশল হলো ট্রান্সফর্মার চুরি বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের। এছাড়াও উপজেলার বড়ইয়া পালট, চুনপরি ও সাতুরিয়া ইউনিয়নে ট্রান্সফর্মার চুরির খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ স্থানের ট্রান্সফর্মারের ভেতরের তামার কয়েল নেয় চোরেরা। গ্রাহকরা জানান, কিছুদিন পর পর একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেইে চলছে। কিন্তু প্রতিরোধে বা চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কোন মাথাব্যাথা নেই। চোরের কাছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অসহায় হয়ে পড়েছে। তাতে অনেক দিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফ্রীজের মাছ, গোশতসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্ষতি হয় চরমভাবে। এ ছাড়াও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ ঘটে। গ্রাহকরা আরও জানান, ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২ টি, ফেব্রæয়ারি মাসে ৩ ও চলতি মার্চ মাসে এ পর্যন্ত ৬ টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। সাড়ে ৩৭ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার, ২৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় এক লাখ টাকা, ১৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৭৯ হাজার টাকা, ১০ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ও ৫ কেবির ট্রান্সফর্মারের দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িতের অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় জানান, বর্তমানে ৪ টি স্থানের ট্রান্সফর্মার চুরি হওয়ার পর নতুন করে স্থাপন করা হয়নি। এতে অন্তত দেড় থেকে ২ শ গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছে। চুরি হওয়া স্থানে প্রথম বার গ্রাহকদের অর্ধেক ও দ্বিতীয় বার সম্পূর্ণ টাকা গ্রাহকদের দিতে হয়, এটা কষ্টের বিষয়। চুরি ঠেকাতে গ্রাহকদের সচেতনতার পাশাপাশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও চুরি ঠেকাতে মাইকিং করা হবে। এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও জরুরি। পুলিশ প্রশাসনেরও সহযোগীতা চাওয়া হবে। জানতে চাইলে মুঠোফোনে রাজাপুর থানার ওসি মুঃ আতাউর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে ট্রান্সফর্মার চুরির বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চোরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত বাংলাদেশকে ৩৮ টাকা দরে পেঁয়াজ দিচ্ছে এমন খবরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম কমেছে ৫০ টাকা। এর ৩ মাস আগে ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের দাম এক রাতেই কেজিতে বেড়েছিল ৬৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আশরাফ জানান, বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ আছে এখন। এরমধ্যে একটি হচ্ছে পাবনার এবং অন্যটি হচ্ছে ফরিদপুরের। আজকের বাজারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লার (৫ কেজি) দাম ২৮০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪০০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী জলিল বলেন, গতকাল থেকেই পেঁয়াজের দাম কমেছে। আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৭২ থেকে ৮০ টাকা। এখন পেঁয়াজের দাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। দাম কেনা বাড়লো বা কমলো, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমরা কিনে এনে এখানে মাত্র ২/৩ টাকা লাভে বিক্রি করি।

ভারতের পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আসবে কী না তারই তো কোনো ঠিক নেই। আসলেও দাম এমনই থাকবে।

এদিকে মগবাজারের চারুলতা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, যে পেঁয়াজের দাম একদিন আগেও ১১০ টাকা ছিল, সেটি কমে হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, গতকাল বিকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন পাবনার পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০ টাকা। দাম বাড়া-কমার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কারিশমা নেই। আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

ওই দোকানের ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২ দিন আগে এই দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ১১০ টাকা দিয়ে। আজও এক কেজিই নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এক কেজির দামে আজ ২ কেজি কিনতে পারলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়। কী এমন হলো যে দাম অর্ধেকে নেমে এলো। তারা কিন্তু সীমিত লাভ করলে সারা বছরই মানুষ একটা লেভেলে বাজার করতে পারে। কিন্তু সেটি তারা করে না। কোনও মাসে একই বাজার হয় ১০ হাজার টাকা আবার কোনও মাসে ওই একই বাজার হয় ১৫-১৬ হাজার টাকায়।

গতকাল বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল), এমন খবর প্রকাশ পায়। খবরে বলা হয়, প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ছিনতাই হওয়া জাহাজ থেকে নাবিকদের বার্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে গেছে দস্যুরা। বাঁচার আকুতি জানিয়ে জিম্মিরা অডিও বার্তা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এরপর অন্তত ১০০ জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

জাহাজে থাকা এক নাবিক জানান, প্রায় শতাধিক জলদস্যু ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি।

জানা যায়, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই জলদস্যুরা সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির একজন নাবিক। ২৩ নাবিককে কেবিনে রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে জাহাজের ২৩ জন ক্রুর পরিচয় মিলেছে। জাহাজের মাস্টার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের রাশেদ মোহাম্মদ আবদুর, চিফ অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, থার্ড অফিসার হিসেবে আছেন ফরিদপুরের ইসলাম মো. তারেকুল, ডেক ক্যাডেট হিসেবে আছেন টাঙ্গাইলের হোসাইন মো. সাব্বির।

এ ছাড়া চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নওগাঁর শাহিদুজ্জামান এ এস এম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন খুলনার ইসলাম মো. তৌফিকুল, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নেত্রকোণার উদ্দিন মো. রোকন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের আহমেদ তানভীর, ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে আছেন লক্ষ্মীপুরের থান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে আছেন উল্লাহ ইব্রাহিম খলিল, এবিল সি-ম্যান (নাবিক) হিসেবে আছেন নোয়াখালীর হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল, চট্টগ্রামের রহমান মো. আসিফুর, চট্টগ্রামের হোসাইন মো. সাজ্জাদ, অর্ডিনারি সি-ম্যান (সাধারণ নাবিক) হিসেবে আছেন নাটোরের মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল, ওয়লার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের হক আইনুল, চট্টগ্রামের শামসুদ্দিন মোহাম্মদ, বরিশালের হোসাইন মো. আলী, ফায়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের উদ্দিন মোহাম্মদ নূর এবং ফাইটার হিসেবে আছেন নোয়াখালীর আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ।


আরও খবর