Logo
শিরোনাম

দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ মার্চ সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে সরকারপ্রধানের শ্রদ্ধা শেষে পরিদর্শন বইতে তিনি এই প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করেন।

পরিদর্শন বইতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের। হানাদার পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাই আমার শ্রদ্ধা।

বইতে শেখ হাসিনা আরও লেখেন, বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেসা এবং আমার তিন ভাই ভ্রাতৃবধূসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের।

শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে লেখেন, আজকের এই দিনে আমি প্রত্যয় করি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। ইনশাআল্লাহ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।‌ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

এর আগে, মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।

ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

 


আরও খবর



পানগুছি নদীর ভাঙনের মুখে ৬শ’ পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ,বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর অব্যাহত ভাঙনের মুখে ৬শ’ পরিবার। প্রতিনিয়ত শত শত বিঘা ফসলী জমি, বসত বাড়ি গাছপালা, রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বন্যা, জলোচ্ছাস এলেই আতংকে থাকতে হয় নদীর তীববর্তী বাসিন্দাদের। সন্ন্যাসী হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার স্থায়ী ভেড়িবাঁধের দাবি স্থানীয়দের।  

সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নদীর তীরবর্তী ৮টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে নতুন নতুন এলাকা।  

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা, কাঠালতলা নদীর তীরবর্তী এ দুটি গ্রামে এক সময়ে ৩/৪ হাজার পরিবার বসবাস ছিলো। বর্তমানে সেখানে দাড়িয়েছে ৬শ’ পরিবারের। তাও আবার ভাঙ্গনের মুখে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে গত ৪০ বছরে বিলীন হয়েছে এ এলাকার ৩শ’ একর ফসলি জমি। শত শত পরিবারের বসতবাড়ি, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক স্থাপনা প্রতিবছর হারিয়েছে যাচ্ছে। অব্যাহত এ ভাঙন থেমে নেই।  

গাবতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, এ গ্রামের অনেকেই নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।  

জেলে পল্লীর বাসিন্দা সেলিম তালুকদার, গফফার তালুকদার, শহিদ বেপারী বলেন, ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি ভেড়িবাঁধ হবে। এ পর্যন্ত ৩/৪ বার বসতবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। আবার নতুন করে গড়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বাপ দাদার অনেক জমি ছিলো, এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। নদীতে মাছ ধরে তা বিক্রি করে পরিবারের সকলকে নিয়ে দু’মুটো খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। ঘূর্ণিঝড় বন্যা এলেই আতংকে থাকতে হয় আমাদের। কবে হবে স্থায়ী ভেড়িবাধ?।

অপরদিকে কাঠালতলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১টি পরিবারের নেই কোন যাতায়েতের রাস্তা। কথা হয়, আশ্রয়নের বাসিন্দা সাফিয়া বেগম, মাহিনুর, নূরজাহান, চম্বা বেগমসহ একাধিক বাসিন্দারা বলেন, সরকারিভাবে ৪ মাস হয়েছে ঘর পেয়েছি। এখান থেকে যাতায়েতের কোন রাস্তা নেই। বন্যা হলে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘরেই থাকতে হবে আাদের। মাটির রাস্তার কাজ শুরু করেও মাঝপথে তাও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।  

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, এ উপজেলার সন্যাসী হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী ভেড়িবাঁধের জন্য ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য’র মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। কাজটির অগ্রগতিও রয়েছে। সকল আশ্রয়ন প্রকল্পের যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্তা নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পরিকল্পনা রয়েছে। 


আরও খবর



আওয়ামী লীগ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে:প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

বিএনপি-জামায়াত চক্রকে ভোট চোর হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশবাসীকে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় রবিবার (৭ মে) বিকালের লন্ডনের হোটেল ম্যারিয়টে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। তাই, সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে সবসময় জনগণের পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হবে। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (নেতা-কর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে, কারণ, নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

শেখ হাসিনা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা ডেল্টা ২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ অন্নহীন মানুষ থাকবে না, বলেন তিনি।

বিএনপি ও এর নেতাদের ভোট চোর আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া ভোট চোর ছিলেন, তার মা ভোট চোর, আমাদের ভোট চোর বলার সাহস হয় কী করে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।

শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে ১টিসহ মোট ৩০টি আসন জিতেছিল। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আমরা বাকী সব আসন পেয়েছিলাম। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে ?

 


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




পর্যবেক্ষণে মিয়ানমার গেল রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

রাখাইন রাজ্যের মংডুতে পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেছে। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ২০ জন রোহিঙ্গা এবং পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফের জেটিতে আসেন। সকাল ৯টার দিকে তারা নৌপথে স্পিডবোটে রওয়ানা দেন।

প্রতিনিধি দলটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাখাইনের সার্বিক পরিস্থিতি কতটুকু অনুকূলে রয়েছে তা দেখবে। বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনে যাচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গত ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি টানা সাত দিন টেকনাফের স্থল বন্দর রেস্টহাউসে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন।

২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধি দলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেল।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।

সর্বাত্মক চেষ্টা করেও গত প্রায় ছয় বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বারবার আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সামরিক শাসন ফিরে আসায় প্রত্যাবাসনের আলোচনা অনেকটা এতদিন থমকে ছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির একটি প্রতিনিধি দলের সফরের পর আবার নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এবার রোহিঙ্গ প্রতিনিধি দলের সফরে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।

 


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জের জালকুড়িতে হা পা বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মুল আসামী মোঃ কমল ওরফে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে। সনাক্ত করেছে নারীর পরিচয়। নিহত নারীর নাম নাসরিন আক্তার। সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য জানান। রবিবার রাতে কড়িগ্রামের চিলমারীর পুর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে নামে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন সনাক্ত হয় নিহতের নাম নাসরিন আক্তার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে এবং গত রবিবার রাতে চিলমারীতে অভিযান চালিয়ে কমলকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কুদ্দুস স্বীকার করে জানায়, গত ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ জালকুড়ির পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। গান শেষে রাত অনুমান সোয়া ৩ টায় নাসরিন আক্তার (৪০) এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাসরিনের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইরে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪ শ’ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে। নাসরিন রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীণ তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনের হাত বেঁধে এবং নাসরিনের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



ইউক্রেনে রুশ প্রতিনিধিকে কিল-ঘুষি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

পতাকা ধরে টান দেওয়ায় রাশিয়ার এক প্রতিনিধিকে কিল-ঘুষি মেরেছেন ইউক্রেনের এমপি ওলেক্সান্ডার মারিকোভস্কি। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায়।

কৃষ্ণ সাগর অর্থনৈতিক কমিউনিটির সম্মেলনে অংশ নিতে তুরস্কে গেছেন ইউক্রেনীয় এমপি ওলেক্সান্ডার। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সম্মেলনে নিজ দেশের পতাকা প্রদর্শন করছিলেন তিনি। তখন হঠাৎ করে পতাকাটি ধরে টান দেন অজ্ঞাত এক রাশিয়ান প্রতিনিধি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে গিয়ে সবার সামনেই রাশিয়ান ব্যক্তিটিকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন ওলেক্সান্ডার। এছাড়া ওই রুশ প্রতিনিধির কাছ থেকে পতাকাটি আবার ছিনিয়ে নিজের কাছে নেন তিনি।

জেসন জয় স্মার্ট নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। এরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এতে লেখা হয়েছে, তুরস্কের আঙ্কারায়, কৃষ্ণ সাগর অর্থনৈতিক কমিউনিটির সংসদীয় সম্মেলনে, রাশিয়ার প্রতিনিধি এক ইউক্রেনের এমপির কাছ থেকে ইউক্রেনের পতাকা টান দেন। এরপর ওই এমপি রাশিয়ান প্রতিনিধির মুখে ঘুষি মারেন।

পরবর্তীতে ভিডিওটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন ইউক্রেনের এমপি ওলেক্সান্ডার মারিকোভস্কি। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমাদের পতাকা স্পর্শ করা থেকে দূরে থাকুন।

কৃষ্ণ সাগর অর্থনৈতিক কমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন এ দুই দেশই এটির সদস্য। কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলগুলোতে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিয়ে কাজ করতে এই কমিউনিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।


আরও খবর