Logo
শিরোনাম

দেবের সঙ্গে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রুক্মিণী

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image



বিডি টু ডে বিনোদন ডেস্ক:


টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ-এর হাত ধরে ‘বুমেরাং’ হয়ে সামনে আসছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। সিনেমাটিতে রোবট হয়ে ধরা দেবেন ‘নিশা’ রুক্মিণী। 


সিনেমা মুক্তির আগে ‘বুমেরাং’-এর নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছেন রুক্মিণী মৈত্র। একইসঙ্গে কথা বলেছেন নিজের বিয়ে নিয়েও। 



এদিকে কিছুদিন আগেই গুগল সার্চ করে দেব অনুরাগীরা চমকে যান। তাঁরা দেখেন, সেখানে লেখা দেব নাকি বিবাহিত! ২০২১-এর ৬ মে নাকি তিনি রুক্মিণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এমনকি সেখানে লেখা ছিল, তাঁদের নাকি একটি সন্তানও রয়েছে। এবার বিয়ে নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন রুক্মিণী।



বিয়ের খবরে অবাক রুক্মিণী সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওহ গড! এটা যে কোথা থেকে আসছে! গুগলেও পৌঁছে গেল। শুধু তাই নয়। সেখানে একটা বাচ্চার কথাও রয়েছে। যার কথা বলা হয়েছে, সেই আমাইরা আমার ভাইঝি। যেহেতু আমাইরার সঙ্গে আমার এত ছবি রয়েছে। ওরা ওকে আমার বাচ্চা বানিয়ে দিয়েছে।’


তবে বাস্তবে অনুষ্ঠান করে রুক্মিণী বিয়েটা কবে করবেন? এ বিষয়েও মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। রুক্মিণীর কথায়, ‘মিডিয়া যেদিন অনুমান করা বন্ধ করবে, আমি সেদিন বিয়েটা করে নেব। আমার মাও কিন্তু বিয়ের কথা জিজ্ঞাসা করেন না। তাহলে আপনারা কেন জিজ্ঞাসা করছো! 


যেদিন মনে হবে, আমি বিয়ের জন্য তৈরি, সেদিন বিয়েটা করে নেব। আমি বিয়েতে বিশ্বাসী, আর বিয়ে লুকিয়ে রাখতেও চাই না। এখন এত ব্যস্ততা রয়েছে, তাই বিয়ের প্ল্যান করা সম্ভব নয়। 


তবে আমার মনে হয় প্রতিশ্রুতি জরুরি। আজকাল দেখি বহু বিয়েই টিকে আছে, তবে সেই সম্পর্কে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তাই আমাদের প্রতিশ্রুতিটাই আগে থাকুক। বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য।’


রুক্মিণীর কথায়, অভিনেত্রী হওয়াটাই তাঁর জীবনের সব থেকে বড় বুমেরাং। ভেবেছিলাম কোনো দিনই অভিনেত্রী হবো না, তবে সেটাই ঘটেছে।


এদিকে সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে আরও একবার ঘাটাল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন দেব। ভোটের আগে জোর কদমে প্রচার চালিয়েছেন অভিনেতা। তবে দেবের কোনো প্রচারেই রুক্মিণীকে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে রুক্মিণী বলেন, ‘এটা এক্কেবারেই ওর আলাদা কর্মক্ষেত্র। ওর একার জার্নি। ওই বিষয়টা ও একাই খুব পরিণত হাতে সামলাচ্ছে। 


প্রচারে ওর সঙ্গে না থাকলেও আমি ওর পাশে সবসময় আছি।’



আরও খবর



এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।

নেতারা বলেন, ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।


আরও খবর



একমত না হওয়া বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন,রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের আলোচনায় অনেক বিষয়েই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে একমত না হওয়া বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সনদ প্রতিষ্ঠা করা।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের আলোচনায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ প্রায় ৬ মাস হয়ে গেল। এই সময়ে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি, আবার কিছু বিষয়ে একমত হইনি।

সংস্কারের অসীম সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,এই সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে। মানুষের ত্যাগের প্রতি দায় ও দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য গঠনে শুধু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক যথেষ্ঠ নয়। এর জন্য নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ব্যতীত সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই। ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারা বিষয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তর আলোচনা হবে বলেও জানান আলী রীয়াজ। 


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




অতি তাপমাত্রায় ভুগছে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত এক বছরে বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত এক মাস তীব্র গরম সহ্য করেছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে, জীবাশ্ম জ্বালানি অব্যাহতভাবে পোড়ানোর ফলে প্রতিটি মহাদেশেই মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে উন্নয়নশীল দেশে এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ও গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক ফ্রিডেরিকে ওটো বলেছেন, ‘প্রতি ব্যারেল তেল পোড়ানো ও প্রতি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণে তাপমাত্রা একটু একটু বাড়বে ফলে তাপপ্রবাহে আরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে।’

২ জুন ‘বিশ্ব তাপ মোকাবিলা দিবস’-এর আগে বিশ্ব আবহাওয়া নিরীক্ষণ সংস্থা, ক্লাইমেট সেন্ট্রাল ও রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট ক্লাইমেট সেন্টারের বিজ্ঞানীরা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। এই বছর দিবসটি অতিরিক্ত গরমে দুর্বলতা ও হিটস্ট্রেক ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব মূল্যায়ন করতে গবেষকরা ২০২৪ সালের ১ মে থেকে ২০২৫ সালের ১ মে পর্যন্ত সময়কে বিশ্লেষণ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘চরম গরম দিন’ সংজ্ঞায়িত করা হয় সেসব দিনকে যা ১৯৯১-২০২০ সালের মধ্যে কোনো স্থানের তাপমাত্রার ৯০ শতাংশ দিনের চেয়ে বেশি গরম ছিল।

বিজ্ঞানীরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মডেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছেন, মানবসৃষ্ট উষ্ণায়ন না থাকলে এমন চরম গরম দিনের সংখ্যা কত হতো।

ফলাফল ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ যা মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ, তারা গত এক বছরে অন্তত ৩০ দিন বেশি চরম গরম দিনের সম্মুখীন হয়েছে, যা মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন না হলে হতো না।

গবেষক দলটি পুরো বছরের মধ্যে ৬৭টি চরম গরমের ঘটনা চিহ্নিত করেছে এবং প্রতিটির পেছনেই জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রভাব খুঁজে পেয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যারিবীয় দ্বীপ আরুবা। সেখানে ১৮৭ দিন চরম গরম রেকর্ড হয়। যা পৃথিবীর স্বাভাবিক উষ্ণতায় থাকলে ৪৫ দিন কম হতো।

এই গবেষণাটি এমন এক বছরের কথা বলে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতার দিক থেকে নজিরবিহীন। ২০২৪ সাল ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছর, যা ২০২৩ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গরম জানুয়ারি।

গত পাঁচ বছরের গড় হিসেব করলে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখন শিল্প বিপ্লবের পূর্বের সময়ের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শুধু ২০২৪ সালেই তাপমাত্রা বেড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার বাইরে।

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, গরমজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

২০২২ সালের গরমে ইউরোপে তাপজনিত রোগে ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে অন্য দেশে এমন তথ্য খুবই কম। অনেক মৃত্যুর আসল কারণ হলো তাপের প্রভাব, কিন্তু তা হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যার সঙ্গে ভুলবশত জড়ানো হয়।

গবেষকরা তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে আগাম সতর্কবার্তা, শহরভিত্তিক পরিকল্পনা ও জনসচেতনতামূলক উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

তারা বলেন, ভবন নির্মাণে ছায়া ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। গরমের সময় কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে।

তবে তাদের মতে, শুধু পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই যথেষ্ট নয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্রুত বন্ধ না করলে বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়। সূত্র: বাসস


আরও খবর



নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত করি'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে আগামী ৩ দিন ব্যাপী বিশেষ ভূমিসেবা প্রদান, বিনামূল্যে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ও ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে। এমন আয়োজন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রতিটি মানুষের দ্বারে পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ভূমি সেবা প্রাপ্তি সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। আগে সেবা প্রাপ্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তবেই যে কোন সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানী ছাড়াই সহজেই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। আর ভূমি সেবা নিতে আসা অধিকাংশ মানুষরাই জানেন না ডিজিটাল ভূমি সেবা সম্পর্কে। আর এই সব মানুষরা যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসেন তখন অনেক ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই সব সেবা গ্রহিতাদের একটি বিষয় একাধিকবার বলতে নারাজ। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষই ভয়ে তৃতীয় পক্ষের দালালদের কাছে গিয়ে হয়রানীর শিকার হোন এবং অর্থ খোয়া দেন। আগে তথ্য জানতে এবং অপরকে জানাতে হবে। আর এই জন্য প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের ভূমি সেবা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সেবা নিতে আসার প্রতি মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিষয় একাধিকবার ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে ভূমি সেবার তথ্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার সালমান হাবিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গনমাধ্যমকর্মী, সেবা গ্রহিতা, সুধীজনরা।

শেষে জেলা প্রশাসক সেবা গ্রহিতাদের মাঝে ভূমির খাজনা আদায়ের রশিদ, খারিজের রশিদ, নামজারির রশিদ এবং ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক প্রদান করেন। 


আরও খবর



জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলি হামলার জবাবে শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের ওপর শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে বলে মন্তব্য করেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসির নতুন প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর।

শুক্রবার তিনি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি এক বার্তায় এ মন্তব্য করেছেন। ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর জানিয়েছে।

পাকপুর বলেন, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আমাদের সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকদের রক্তের বদলা নিতে এবং সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ পালন করতে আমরা প্রস্তুত। ইসরায়েলি শাসকের জন্য কঠিন ও বেদনাদায়ক পরিণতি অপেক্ষা করছে।

শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েল তেহরানসহ একাধিক শহরে ব্যাপক সামরিক হামলা চালায়। হামলায় নিহত হন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির অ্যারোস্পেস বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরআলি হাজিজাদে এবং খাতাম আল-আনবিয়া সদর দফতরের প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ।

এই আক্রমণের পরই সর্বোচ্চ নেতা খামেনি পাকপুরকে নতুন আইআরজিসি প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা পাল্টা জবাবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।


আরও খবর